গ্যাস, বিদ্যুতের পর নির্বাহী আদেশে বিতরণ চার্জ বাড়াতে তোড়জোড়



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গ্যাস, বিদ্যুতের পর নির্বাহী আদেশে বিতরণ চার্জ বাড়াতে তোড়জোড়

গ্যাস, বিদ্যুতের পর নির্বাহী আদেশে বিতরণ চার্জ বাড়াতে তোড়জোড়

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির নির্বাহী ক্ষমতা যাচ্ছে তাই ব্যবহারের পথে হাঁটছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর এবার বিতরণ কোম্পানির চার্জ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

প্রথম ধাপেই তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সুন্দরবন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম কোম্পানি লিমিটেডের বিতরণ চার্জ এবং গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ এর সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই চার্জ বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। আদেশ যাই আসুক ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা।

নির্বাহী আদেশে এমনটি করা হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছে ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্ট ড. শামসুল আলম। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, কোম্পানিগুলো অনেক গোজামিল দিয়ে দাম বাড়িয়ে নিতে চায়। বিইআরসির শুনানিতে কিছুটা হলেও যাচাই-বাছাই করা হতো। এখন সেই জায়গাটিও নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এতে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে।

গ্যাসের বিতরণ কোম্পানিগুলো অনেক বছর ধরেই মুনাফা করে চলছে। তাদের মুনাফার কিছুটা নজির পাওয়া যায় প্রফিট বোনাস প্রদানের হার থেকে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড তার ৩৮৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রত্যেকটে ১৮ লাখ টাকা করে প্রফিট বোনাস দিয়েছে। যদিও তাদের বোনাস নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে রয়েছে নানা রকম প্রশ্ন। কোম্পানিগুলোর প্রফিট বোনাসে কিছুটা লাগাম টানার চেষ্টা করে চলেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

কেউ কেউ মনে করেন বিইআরসি ও কোম্পানির দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণও এটাই। যে কারণে আইন সংশোধন করে নির্বাহী আদেশে দাম বাড়ানোর বিকল্প চালু করা হয়েছে। অনেকের ধারণা মুনাফায় লাগাম দেওয়ায় চটে গেছেন বিতরণ কোম্পানিগুলোর লোকজন। আর কোম্পানি চটে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে মন্ত্রণালয় ক্ষেপে যাওয়ার নামান্তর। কারণ যুগ্মসচিব থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত প্রত্যেকেই কোন না কোন কোম্পানির বোর্ডে রয়েছেন। কেউ কেউ একইসঙ্গে একাধিক কোম্পানির বোর্ডে রয়েছেন। খোদ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব রযেছে সবচেয়ে বড় দু’টি কোম্পানির (তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে। বহু বছর ধরেই এমনটি চলে আসছে, সচিব পদে ব্যক্তির রদবদল হলেও সচিবের জন্য নির্ধারিত থেকেই যাচ্ছে বোর্ড চেয়ারম্যান পদটি। যিনি সচিব হবেন তিনিই বোর্ড চেয়ারম্যান হবেন এটাই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

কোম্পানির কর্মকর্তারা যেহেতু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন, তাই সহজেই কান ভারি করার সুযোগ পান। এমনকি বোর্ড সভায় বসেও তারা তাদের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করান। কর্তাও হয়তো তা তলিয়ে দেখার সময় সুযোগ পান না। গত ১৪ ডিসেম্বর আন্ত:মন্ত্রণালয় সভার কার্যপত্রে বিইআরসিকে নিয়ে চচ্চার আলামত পাওয়া গেছে। ওই সভায় জিটিসিএল এমডি বলেন, প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের সঞ্চালন চার্জ নির্ধারিত রয়েছে ৪৭ পয়সা। এরফলে গত অর্থ বছরে ২১৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৫৫০ কোটি টাকা লোকসান হবে। তিতাস গ্যাস এমডি হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, তাদের কোম্পানি লোকসান দিচ্ছে, বিতরণ চার্জ বাড়ানো দরকার। তাদের এমন বক্তব্যের জবাবে জ্বালানি বিভাগের তৎকালীন সিনিয়র সচিব বলেন, “ সরকার, পেট্রোবাংলা কিংবা বিপিসি মুনাফা করার জন্য কখনই ব্যবসা করে না। তবে কোম্পানিগুলি যে পরিমাণ বিনিয়োগ করবে তা রির্টাণের সুযোগ থাকতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলি বিনিয়োগ করে ক্ষতির সস্মুখিন হবে, যা কাঙ্খিত নয়।”

তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাবি হচ্ছে বিতরণ চার্জ কম থাকায় তারা লোকসান দিচ্ছে। অথচ গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বিইআরসি টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, রেট বেজের উপর রিটার্ন বিবেচনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে তিতাস গ্যাসের নীট রাজস্ব চাহিদা মাইনাস ১০ পয়সা। তিতাসের প্রতি ঘনমিটারের বিদ্যমান বিতরণ চার্জ ২৫ পয়সা হারে ( জুলাই ২০১৯ থেকে) বাতিল করা যেতে পারে।

অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী তিতাস গ্যাস ২০২০-২১ অর্থবছরে অন্যান্য পরিচালন আয় করেছে ২ হাজার ৬০৮ মিলিয়ন টাকা, অন্যান্য অপরিচালন আয় করেছে ১২৩ মিলিয়ন টাকা। একই বছরে ব্যাংকে জমা আমানতের সুদ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৫১১ মিলিয়ন টাকা। তিতাস ২০২০-২১অর্থবছরে অন্যান্য খাত থেকে সর্বোমোট আয় করেছে ১০ হাজার ৩৭১ মিলিয়ন টাকা।

বিতরণ চার্জ বিলুপ্ত করার পক্ষে বিইআরসি টেকনিক্যাল কমিটি তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে। কমিটি বলেছে, তিতাসের রাজস্ব চাহিদায় অবচয় হার, ঋণের সুদ, রিটার্ণ অন ইক্যুইটি, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, সুদ আয় সিস্টেম লস বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ভবনের অবচয় ৩ থেকে ১০ শতাংশ, ফার্ণিচার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ, অফিস ইক্যুইপমেন্ট ১৫ শতাংশ অন্যান্য ইক্যুইপমেন্ট ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ যানবাহন ২০ শতাংশ, অন্যান্য সম্পদ ১০ থেকে ২০ শতাংশ অবচয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৫ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এতে তাদের বিতরণ চার্জ বিলুপ্ত করলে কোম্পানি মুনাফায় থাকবে।

শুনানিতে বিইআরসি টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টে বলা হয় সবগুলো কোম্পানিই মুনাফায় রয়েছে। কোম্পানিগুলো পরিচালন বর্হিভূত আয় এতে বেশি, তাদের বিতরণ চার্জ আদায় না করলেও মুনাফায় থাকে। অর্থাৎ হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক আমানত, নানা রকম মাশুল দিয়েই মুনাফায় থাকে কোম্পানি। এ কারণে শুধু কর্নফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিতরণ চার্জ ২৫ পয়সা থেকে কমিয়ে ৯ পয়সা করার সুপারিশ দেওয়া হয়। অন্যান্য বিতরণ কোম্পানির বিতরণ চার্জ বিলুপ্ত করার সুপারিশ দেওয়া হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানিগুলোর ব্যাংকে ফেলে রাখা উদ্বৃত্ত অর্থ নিয়ে গেছে সরকার।

অথচ এখন কোম্পানিগুলোর চার্জ বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। অবশ্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর টাকার হিস্যা পুনঃনির্ধারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। না হলে আকাশচুম্বি দামের ক্রিম চলে যাবে কোম্পানির পকেটে। বছর থেকে শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ট বাড়বে, কয়েকগুণ বাড়তে পারে প্রফিট বোনাস। বিদ্যমান ফর্মুলায় গ্যাস বিক্রির অর্থ বিভিন্ন খাতে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে এলএনজি আমদানির কথা বলে যেভাবে দাম বাড়ানো হয়ে তার প্রতিফলন হওয়ার সুযোগ নেই।

বিইআরসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমরা যা দিয়েছি সেটিকে ট্যারিফ বলা হয়। ট্যারিফ নির্ধারণের কতগুলো ভিত্তি রয়েছে। ফ্রি অর্থনীতির মধ্যেও ট্যারিমের মাধ্যমে কিছুটা হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নির্বাহী আদেশে যেভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে, সেখানে কোম্পানিগুলো মুনাফা ফুলে ফেপে উঠবে। পেট্রোবাংলার সুবিধা পাওয়ার কোন পথ উন্মুক্ত করা হয় নি। গেজেটে বলতে হতো, বাড়তি অর্থ পুরোটা পেট্রোবাংলা পাবে, তবেই প্রকৃত সফল পাওয়া যেতো। না হলে কর্নফুলী ১৮ লাখ প্রফিট বোনাস দিয়েছে পরের বছর এক কোটি করে দেবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই চার্জ পুনঃনির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। কোম্পানিগুলো চাপাচাপি করবে সে কারণে কিছুটা গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।

আজ থেকে সোনার ভরি ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একলাফে ৭৬৯৮ টাকা বাড়ার পর দুই দফায় সোনার দাম কমল ২৩৩৩ টাকা। তাতে দেশের বাজারে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট সোনার প্রতি ভরির দাম দাঁড়াবে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা, যা এক দিন আগেও ছিল ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহসভাপতি এমএ হান্নান আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে সারা দেশে নতুন দর কার্যকর হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৮৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৭৮৫ টাকা করা হয়েছে।

এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভ‌রি ১ হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫০ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।

;

এক দিনের ব্যবধানে আবারও কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৭ টাকা কমানো হয়। এখন থেকে প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকায় বিক্রি হবে। নতুন দাম বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে।

বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বুধবার (২২ মার্চ) বৈঠক করে নতুন করে সোনার দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ২৩ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৮৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৭৮৫ টাকা করা হয়েছে।

এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভ‌রি ১ হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫০ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।

;

‘সর্বজনীন ব্যাংকিং এবঙ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘সর্বজনীন ব্যাংকিং এবঙ ’বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত

‘সর্বজনীন ব্যাংকিং এবঙ ’বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ড. এম. কামাল উদ্দীন জসীম রচিত ‘সর্বজনীন ব্যাংকিং এবঙ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নকীব মো. নসরুল্লাহ ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টের সভাপতি ওমর ফারুক।

স্বাগত বক্তব্য দেন মাহমুদা সেকান্দার ফাউন্ডেশনের সভাপতি লে. কর্নেল ইঞ্জি. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রকাশক মমতাজ পিকু।

;

বিকাশ-এর ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মেহজাবীন ও নিশো



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিকাশ-এর ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মেহজাবীন ও নিশো

বিকাশ-এর ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মেহজাবীন ও নিশো

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ প্রজন্মসহ সকলকে ডিজিটাল লেনদেনে সচেতন, উৎসাহিত এবং অভ্যস্ত করতে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ-এর ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন দেশের জনপ্রিয় দুই তারকা অভিনয় শিল্পী মেহজাবীন চৌধুরী ও আফরান নিশো।

সম্প্রতি বিকাশ-এর প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ব্র্যান্ড এনডোর্সার হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জনপ্রিয় এই দুই তারকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় এই দুই তারকা তাদের অসাধারণ অভিনয় প্রতিভা এবং ব্যক্তি-ইমেজের মাধ্যমে সব ধরণের দর্শকের বিশেষ করে তরুণদের কাছে আইকন হয়ে উঠেছেন। ব্র্যান্ড এনডোর্সার হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে বিকাশ-এর সেবাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রতিষ্ঠানটির মূল্যবোধের প্রসারে নানা ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রমে অংশ নিবেন তাঁরা।

বিকাশ-এর সাথে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, “প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সেবার মাধ্যমে মানুষের ডিজিটাল লাইফস্টাইলের অংশ হয়ে উঠেছে বিকাশ। বিকাশের এইসব সেবাগুলো ব্যবহারে তরুণ প্রজন্মসহ সকলকে আরো উৎসাহিত করে ক্যাশলেস স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারাটা আমার জন্য সম্মানের।”

জনপ্রিয় তারকা নিশো বলেন, “বিকাশ-এর মতো এমন একটি অতি প্রয়োজনীয় সেবাকে আগামী দিনে আরো বেশি মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দিতে কাজ করতে পারাটা এক ধরণের আত্মতৃপ্তির। আমার বিশ্বাস, বিকাশ-এর সঙ্গে থেকে আরো বেশি ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ততা তৈরি করতে সবাইকে উৎসাহিত করতে পারবো।”

;