ব্যাংকক হসপিটাল থাইল্যান্ডে উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সবচেয়ে অগ্রগামী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যাংকক হসপিটাল থাইল্যান্ডে উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সবচেয়ে অগ্রগামী

ব্যাংকক হসপিটাল থাইল্যান্ডে উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সবচেয়ে অগ্রগামী

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংকক হসপিটাল অফিস বাংলাদেশ আয়োজিত "ব্যাংকক হসপিটাল থাইল্যান্ডে উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তিতে সবচেয়ে অগ্রগামী" বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ২৬ নভেম্বর ২০২২ শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকক হসপিটাল হেডকোয়ার্টার্স (বিএইচকিউ)-এর নেতৃত্বে থাইল্যান্ড এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে সম্মিলিতভাবে ৪৯টি নেটওয়ার্ক হসপিটাল পরিচালিত হয়। ব্যাংকক হসপিটাল হেডকোয়ার্টার্স (বিএইচকিউ)-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালে, যা গুরুতর এবং জটিল অসুস্থতার জন্য বিশ্বমানের চিকিৎসা পরিষেবা দেয়। বিএইচকিউ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) কর্তৃক প্রত্যয়িত এবং নিউজউইক পরিচালিত ওয়ার্ল্ডস বেস্ট হসপিটাল-২০২০ জরিপে ব্যাংকক হসপিটাল থাইল্যান্ডের শ্রেষ্ঠতম হসপিটাল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি থাই রাষ্ট্রদূত মিসেস ‘মাখওয়াদি সুমিতমোর’ তাঁর বক্তৃতায় থাইল্যান্ডে মেডিকেল ট্যুরিজমের সুযোগ সুবিধাসমূহ তুলে ধরেন। মেডিকেল ট্যুরিজমে ২২ বছরের বেশী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ইঐছ-এর একমাত্র প্রতিনিধি ‘ব্যাংকক হসপিটাল অফিস বাংলাদেশ’ ধানমন্ডি, বনানী এবং চট্টগ্রামে ৩টি অফিসের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সৌজন্যমূলক ওয়ান-স্টপ পরিষেবা প্রদান করে চলেছে।

ব্যাংকক হসপিটালের ইন্টা‌রনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও উপদেষ্টা ডাঃ শক্তি রঞ্জন পাল, এবং ব্যাংকক হার্ট হসপিটালের পরিচালক ডাঃ ক্রিয়েংক্রাই হেংরুসামি ব্যাংকক হসপিটালের বিভিন্ন পরিষেবাসহ প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্ষেত্রে ব্যাংকক হসপিটালের অবদান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেন। ব্যাংকক হসপিটাল হেডকোয়ার্টার্স (বিএইচকিউ) অত্যাধুনিক কার্যকরি ওষুধ, উন্নত প্রযুক্তি, দক্ষ ও প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ এবং থাই আতিথেয়তার সমন্বয়ে স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবার ধারায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে ।ইঐছ ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে ব্যাংকক হার্ট হসপিটাল, ওয়াটানোসোথ ক্যান্সার হসপিটাল, ব্যাংকক ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল (নিউরোলজি এবং অর্থোপেডিকস)। স্বাস্থ্যসেবার প্রধান ক্ষেত্রের বিপুল সংখ্যক বিশেষজ্ঞগণ এখানে কর্মরত রয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক হসপিটালের প্রধান কার্যালয় হওয়ায়, ইঐছ প্রযুক্তিগতভাবে সবচেয়ে উন্নত হসপিটাল এবং এতে এমন কিছু অনন্য চিকিৎসা-প্রযুক্তি রয়েছে যা থাইল্যান্ডের অন্য বেসরকারি হসপিটালে পাওয়া যায় না। বছরের পর বছর ধরে থাই এবং

বিদেশী রোগীরা তাদের চিকিৎসার জন্য ধারাবাহিকভাবে ব্যাংকক হসপিটালকে বেছে নিচ্ছে, কারণ এখানে একই ছাদের নীচে সমস্ত নির্ভরযোগ্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পাওয়া যায়।

ব্যাংকক হার্ট হসপিটালের উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাম - ২৫৬ স্লাইস, এমআরআই ৩.০ টেসলা, কার্ডিয়াক এমআরআই ৩.০ টেসলা, ওপেন এমআরআই ১.০ টেসলা, জটিল অ্যারিথমিয়ার জন্য কার্টোসাউন্ড, ইত্যাদি। এখানে স্মার্ট সার্জারির জন্য একটি হাইব্রিড ওটি-ও রয়েছে। (ইঐছ অল-আর্টারি বা ডাবল লাইফ সিএবিজি, দ্বিতীয় সিএবিজি অথবা রিডু সিএবিজি -এর মত সার্জারির ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয়।)

ব্যাংকক ক্যান্সার হসপিটালে সঠিকভাবে ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য রয়েছে ৪র্থ প্রজন্মের এমসিটি ফ্লো পেট-সিটি, রেডিওথেরাপি এবং রেডিওসার্জারির নতুন যুগান্তকারী চিকিৎসায় ভ্যারিয়ান এজ ১ থেকে ৩দিনের মধ্যেই সার্জারি ছাড়াই (কোনও কাঁটা ছেঁড়া, রক্তপাত এবং সংক্রমণ ছাড়া) মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসা সম্ভব করে তোলে। একই সাথে বিএইচকিউ ইমিউনোথেরাপি, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি ও টার্গেট থেরাপির মত অত্যাধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসার নেতৃস্থানীয় হসপিটাল। ব্যাংকক হসপিটাল হেডকোয়ার্টার্স (বিএইচকিউ)-এ টিউমার বোর্ড (মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিশেষজ্ঞদের সমন্বযয়ে গঠিত একটি দল)-ও রয়েছে, যা প্রতিটি ক্যান্সার রোগীর সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা পর্যালোচনা এবং পথ প্রদর্শন করে।

ব্যাংকক ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল (নিউরোলজি এবং অর্থোপেডিকস) মেরদন্ডের অস্ত্রোপচারে নির্ভুলতার জন্য ও-আর্ম প্রযুক্তি ব্যবহার করে। গুরতরভাবে আহত রোগীদের সর্বোত্তম পরিষেবার জন্য এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগীয় বিশেষজ্ঞদের একটি নিবেদিত "ট্রমা কেয়ার টিম"।

এছাড়া এখানে রয়েছে জটিল ও মুমূর্ষু রোগীদের স্থানান্তরের জন্য অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, যা সর্বোচ্চ সুরক্ষা রেকর্ডধারী স্কাই আইসিইউ, দক্ষ এভিয়েশন ডাক্তার এবং নার্স দিয়ে সুসজ্জিত।

ব্যাংকক একাডেমি অফ স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ মেডিসিন (ইঅঝঊগ) হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র ফিফা স্বীকৃত সেন্টার এবং ক্রীড়াজনিত ইনজুরির আদর্শ চিকিৎসাকেন্দ্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত কৌশলগুলির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে রিকভারি এবং আরও ভাল অস্ত্রোপচারের ফলাফল অর্জনের জন্য রয়েছে মিনিমাল ইনভেসিভ সার্জারি (গওঝ), যা ক্রীড়াবিদদের উন্নত পারফরম্যান্সের সাথে পেশাদারী ক্রীড়াঙ্গনে দ্রুত ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়।

ইঐছ তে সম্প্রতি যুক্ত করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (অও) সম্পন্ন স্বাস্থ্যপরিষেবা, যা মেডিক্যাল ইমেজ স্ক্রিনিংয়ে সূক্ষ্মতা বজায় রাখতে চমৎকারভাবে কাজ করে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি, ইঐছ সকল

ডিপার্টমেন্টের রোগীদের টেলিমেডিসিন পরিষেবাও প্রদান করে, যার মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সময়ে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী রোগী সুলভে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন, এবং এখনও পাচ্ছেন।

এ সময় ব্যাংকক হসপিটাল হেডকোয়ার্টার্স (বিএইচকিউ) -এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর - মিঃ রাল্ফ ক্রেওয়ার, মার্কেটিং কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট মিসেস প্যাচারিন তালানন, এবং আন্তর্জাতিক বিপণন কর্মকর্তা মিসেস শিরং গুয়ান সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন। এছাড়াও ব্যাংকক হসপিটাল অফিস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ নীলাঞ্জন সেন, নির্বাহী পরিচালক জনাব কাজী শারহান সাইফ, এবং অপারেশন্স পরিচালক জনাব মোহাম্মদ শহিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।

   

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভোজ্য তেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক-ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু, ভোজ্য তেলের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করে দিলেও তা মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায় নির্ধারিত মূল্যের চাইতেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। দাম নেবার কারণ জানতে চাইলে দায়সারা উত্তর ব্যবসায়ীদের।

গতকাল (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সংবাদ সম্মেলনে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোন তোয়াক্কা করছে না দোকানীরা।

প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও লিটার প্রতি ১৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা করে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। তবে ভিন্ন চিত্র ছিলো ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দামে। সরকারের বেঁধে দামের চাইতেও প্রতি ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম মূল্যে ৮০০ টাকা করে বিক্রি করছেন দোকানীরা।

সরকারের বেঁধে দামে তেল বিক্রি না করার কারণ জানতে চাইলে রাব্বি ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী লুতফুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গতকাল কি ঘোষণা হইছে তেলের দাম কমছে নাকি বাড়ছে তা ভালো করে জানিনা। তবে শুনছি ফেছবুকে টিভিতে। আমাদের দোকানে যে তেল আছে তা আগের দামে কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন তেল আসলে আবার নতুম দামে বিক্রি করবো। খোলা তেলে ১৮ টাকা বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ যে বললাম আগের দামে কেনা। আমি তো নতুন দামের চাইতে ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম নিচ্ছি এখনো। কিন্তু খোলা তেল আমার আগের দামে কেনা তাই ১৮ টাকা বেশি নিতেছি। দাম বৃদ্ধির ঘোষণা এলে যতো দ্রুত দাম বাড়ে কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা এলে কমেনা কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বড় বড় পাইকারদের কাজ। তারা সিন্ডিকেট করে। কিন্তু আমাদের এমন সুযোগ নেই। আমরা এক দুই টন মাল সর্বোচ্চ কিনি। কখনো আরও কম কিনি।

আরেক ব্যবসায়ী খাদিজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোসলে উদ্দিন বলেন, ৫ লিটারের তেলের বোতলে যে দাম ৮০০ টাকা দেয়া সেই দামে বিক্রি করছি। এছাড়া এক লিটারের বোতলের দাম ১৬৩ টাকা দামে বিক্রি করছি। তবে খোলা তেল আমার কেনা ছিলো ১৬৩ টাকা করে তাই আমি ১৬৪/১৬৫ টাকা দামে বিক্রি করতেছি। খোলা তেল ১৪৭ টাকা সরকার নির্ধারণ করছে কিন্তু সেটা কি ভালো নাকি মন্দা জানিনা। যে দামে কিনি তার থেকে এক দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি করি।

একটি সিকিউরিটি গার্ডের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আলতাফ হোসেন। তার কাছে খোলা তেল কতো নিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬৫ টাকা নিলো। খোলা তেলে দুই টাকা কমে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানেন কিনা প্রশ্ন করলে আলতাফ হোসেন বলেন, ভাই এসব খবর দিয়ে তো কোন কাজ হয়না। দাম বাড়লে তখন ব্যবসায়ীরা পারলে আরও বাড়িয়ে নেয়। অথচ কমলে তিন মাসেও দাম কমার খবর থাকেনা। আপনার সামনেই তো বেশি নিলো কিছু করার আছে বলেন? আমি এক লিটার তেল নিতে আসছি। এখন এদের সাথে কি দাম নিয়ে ঝগড়া করবো।

আরেকজন ক্রেতা সজিব মোল্লা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ে তবে খোলা তেলের দাম কমাইছে শুনে ভালো লাগলো। তবে দুই টাকা দাম কমায় তার প্রভাব আসলে বাজারে পরেনি। তাছাড়া লোক দেখানো বাজার মনিটরিং করে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব না। একদিকে ব্যবসায়ীদের উপর ট্যাক্স বসাইবেন। জরিমানা করবেন আবার বলবেন দাম কমাইতে তারা কিভাবে দাম কমাবে। জীবনে শুনছেন কোনকিছুর দাম বাড়লে তা আবার কমে সহজে।

;

শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রায় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের করা গবেষণায় এ তথ্য মিলেছে। শিশুদের খাবারে যাতে চিনি যুক্ত করা না হয় এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানদণ্ড পরীক্ষায় কোনো ধরনের ক্ষতিকারক বিষয় সামনে আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া বিএসটিআই’র পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য কোম্পানি নেসলে বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের জন্য তৈরি করা দুধ ও সিরিয়াল পণ্যগুলোতে বাড়তি চিনি ও মধু যুক্ত করে, যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন। নেসলের শিশুখাদ্যে বাড়তি চিনি যুক্ত করার আইন লঙ্ঘনের এই ঘটনা কেবল এশিয়ান, আফ্রিকান এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক থেকে একজন শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার পরিবেশন করা হয়, তাতে প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম বাড়তি চিনি উপস্থিতি আছে।

পাবলিক আই বলছে, নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনও চিনি ব্যবহার করে না। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে বাড়তি চিনি যুক্ত করে তারা।

এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। নেসলের শিশুখাদ্য পণ্যের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গবেষণায় পাওয়া ফল একটি বৈজ্ঞানিক প্যানেলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া যুগান্তরকে বলেন, খাদ্যে ভেজাল কিংবা দূষণের কারণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সব সময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। এক গবেষণায় নেসলের দুটি পণ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে। এটা আমরা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। বিএসটিআই’র মানদণ্ডে পরিমাপ করব। সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা সামনে এলে বা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পণ্য দুটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সুপারিশ করব। এছাড়া মামলা করারও সুযোগ আছে।

এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নেসলে ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্রর সঙ্গে কথা বলেছে। ওই মুখপাত্র বলেছেন, তারা গত পাঁচ বছরে নেসলের শিশুখাদ্যে যোগ করা চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে তারা পণ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ভারতে নেসলের ১৫টি সেরেলাক শিশুখাদ্য থেকে একটি শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তাতে গড়ে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি থাকে। একই পণ্য জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে বিক্রি করা হচ্ছে বাড়তি চিনি ছাড়াই। অন্যদিকে ইথিওপিয়া ও থাইল্যান্ডে এই চিনির পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই সূত্র জানায়, এটি অন্য দেশের তৈরিকৃত পণ্য। তবে এগুলো আমাদের দেশের মানদণ্ড অনুযায়ী এক নাও হতে পারে। সেরেলাক ও নিডো যদি দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরি করে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যেহেতু একটি প্রতিবেদনে ক্ষতির বিষয়টি এসেছে, তাই এই বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে দেখা হবে। যদি কোনো ক্ষতিকারক কিছু থাকে, তাহলে পদক্ষেপ নেব।

;

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদ পরবর্তীত বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। বিশেষ করে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

কাওরান বাজারের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আজকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা কেজি, ধনেপাতা কেজি ১০০টাকা আর আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

এছাড়া শবজির বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও দাম আগের মতোই চড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। মিষ্টি কুমড়া ৪০, মুলা ৫০-৬০, পটল ৭০ _১২০, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৮০,  জালি প্রতি পিছ ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ করলা ১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০, বাধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০, ক্যাপসিকাম ৪৫০ টাকা।

তবে মাছ মাংসের বাজারে দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছে মাছের গায়ে হাত দেয়া যায় না। বাজারে আজকে দেশি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি, এবং চাষের চিংড়ি ৭০০টাকা কেজি, আইর মাছ ৮০০টাকা কেজি,কাতল ৭০০ টাকা, দেশি বড় বোয়াল ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ১০০০ টাকা। আর ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা কেজি।মুরগী ২১০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা,

কল্যাণপুর থেকে কাওরান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন সুফিয়া বেগম। তিনি জানান ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি বাজারে। মাত্র ৫ জনের সংসারের বাজার করতে ইতিমধ্যে বাজারের প্রায় অর্ধেক টাকা শেষ হয়েছে শুধু মাছ কিনতে। এখনো সবজি ও ঘরের অন্যান্য বাজার করা বাকি। আগে যেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকায় সপ্তাহের পুরো বাজার শেষ হয়ে যেতো সেখানে এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে টেনেটুনে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। কাওরান বাজারে কিছুটা কম দামে কিনতে আসলে দামের পার্থক্য এলাকার বাজারের চাইতে খুব একটা কম না। তবে টাটকা পণ্য পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। বাজারের  ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে কামাই করেও এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসারের চাহিদা মেটাতে।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লতিফ বার্তা২৪.কম’কে জানান, বাজারে সরবরাহ আছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম। তাই বেড়েছে সকল মাছের দাম। দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় তার দাম একটু বেশি। তবে চাষের মাছের দাম আগের মতোই আছে।

;

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;