মহাজালিয়াতির পরও বহাল তবিয়তে জিএম সফিউল আজম 



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মহাজালিয়াতির পরও বহাল তবিয়তে জিএম সফিউল আজম 

মহাজালিয়াতির পরও বহাল তবিয়তে জিএম সফিউল আজম 

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে ফিরে: কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা জিএম সফিউল আজম এখনও বহাল তবিয়তে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ।

বোর্ডের অনুমোদনের আগেই সংযোগ প্রদান, জালিয়াতির জন্য ডেসপাচ রেজিস্টারের পাতা (পাতা-৫৫৭) ছিড়ে ফেলা এবং মিটার টেম্পারিংয়ের মতো ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ। এতো এতো জালিয়াতির তথ্য প্রমান সামনে এলেও বছরের পর বছর ধরে শুধুই তদন্তের পর তদন্ত চলছে। আর সিন্ডিকেট হয়ে উঠেছে আরও অপ্রতিরোধ্য।

মেসার্স মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স লিমিটেড (গ্রাহক সংকেত শিল্প-৫১৫১) আবেদন করেন ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর। ১ দিন পরেই (২০ ডিসেম্বর) ওই সংযোগটি প্রদান করা হয়। এতে সব ধরনের আইনকানুন উপেক্ষা করা হয়েছে। সংযোগটিও প্রদান করা হয়েছে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ক্যাপটিভে। যে ক্যাভটিভ বন্ধে বিদ্যুৎ বিভাগ নানাভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মেসার্স মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স লিমিটেড ৯০০ কিলোওয়ার্ট ক্ষমতার ক্যাপটিভের আবেদনটি বোর্ডে তোলার বাধ্যবাধকতা ছিল। সেই বিধিনিষেধ অমান্য করে মোটা অংকের বিনিময়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোম্পানিটির বিদ্যামান ক্যাপটিভ পাওয়ারের মিটার পরীক্ষা করে ১৩.৭৫ শতাংশ (২০২১ সালের ২৩ জুন)  ধীরগতি পাওয়া যায়। কোন মিটারে সমস্যা পাওয়া গেলে, অবৈধ হস্তক্ষেপ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করার আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অবৈধ হস্তক্ষেপ পাওয়া গেলে জরিমানা আর যান্ত্রিক ত্রুটি হলে পুর্ববর্তী ৬ মাসের গড় বিল সমন্বয় করতে হয়। কিন্তু ওই গ্রাহকের ক্ষেত্রে কোন কিছুই করা হয় নি উৎকোচের বিনিময়ে।

৫ কোটি ৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বকেয়ার কারণে মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্সের একটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। নিয়ম রয়েছে ৫০ শতাংশ বকেয়া পরিশোধ এবং অবশিষ্ট টাকা কিস্তিতে আদায়ের শর্তে পুনঃসংযোগ দিতে পারে ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিন্তু কোন টাকা আদায় না করেই শুধুমাত্র পুনঃসংযোগ ফি ৪০ হাজার টাকা আদায় সাপেক্ষে সংযোগ প্রদানের ফাইল উপস্থাপন করেন মহাব্যবস্থাপক  সফিউল আজম। এখানেও রড় রকমের বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

পেট্রোবাংলা গঠিত তদন্ত কমিটি বলেছে, মিটারে নেগেটিভ এরোর ছিল। এরপরও গ্যাস বিপণন নীতিমালা অনুযায়ী বিল সমন্বয়/জরিমানাসহ বকেয়া আদায় না করে পুনঃসংযোগ প্রদান করায় কেজিডিসিএল এর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্নের ৬ মাস পর শুধুমাত্র মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মিটার পরীক্ষা করায় গ্রাহক কর্তৃক অবৈধ হস্তক্ষেপের আলামত নষ্ট হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এতে স্বাভাবিক নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে।

মেসার্স ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডে (গ্রাহক সংকেত ৮০৬৫) সংযোগ প্রদানে অভিনব জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বে একবার সংযোগের আবেদন করলে বোর্ডসভা (২০২০ সালের ২২ নভেম্বর) বাতিল করেছিলেন। বিষয়টি জানার পরও বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই ডায়মন্ড সিমেন্টকে সংযোগ প্রদান করতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন সফিউল আজম খান।

মেসার্স সায়মা সামিরা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড (সাদ মুছা গ্রুপ) নতুন সংযোগের আবেদনেও জালিয়াতির ঘটনা উন্মোচন হয়েছে। পর্ষদের সভার পূর্বেই ওই গ্রাহক চাহিদাপত্র ইস্যু করেছেন সফিউল আজম খান। ওই জালিয়াতি সামনে চলে এলে ধামাচাপা দিয়ে ডেসপাচ রেজিস্টারের পাতা (পাতা-৫৫৭) পরিবর্তন করা হয় সফিউল আজম চক্র।

পর্ষদ সভায় মেসার্স আল-রাজী কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেডের (গ্রাহক সংকেত-৭৩৭৮) সংযোগের অনিয়মের বিষয়ে উত্থাপন করেন একজন সদস্য। পর্ষদের অনুমোদনের পূর্বে ডিমান্ড নোট ইস্যু করার বিষয়ে যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত হয়। পর্ষদের আলোচনা অনুযায়ী তদন্ত করা হয়নি, এমনকি পরের সভায় উপস্থাপন না করেই সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি তার মতামতে উল্লেখ করেছেন, ডেসপাচ রেজিস্ট্রারের পাতা পরিবর্তন করে আল-রাজী কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেডের পরিবর্তে জালালাবাদ সিএনজির ভূয়া এন্ট্রি বসানোর জন্য সফিউল আজম খান দায়ী।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সফিউল আজম খানের অফিসে গেলে তিনি সাক্ষাৎ দেন নি। ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর বলেন, কোন কথা থাকলে প্রশাসন বিভাগের সঙ্গে কথা বলেন। আমার কোন বক্তব্য নেই। বলেই লাইন কেটে দেন। এরপর কয়েক দফায় এসএমএস দিলেও সাড়া দেননি। হোয়ার্টসঅ্যাপে ম্যাসেস দিলে সিন করেছেন, কিন্তু কোন রিপ্লাই দেন নি।

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস বিতরণের দায়িত্বে থাকা কেজিডিসিএল’র তদন্ত কমিটি নানা রকম পুকুরচুরির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মাজেদ, কোম্পানি সচিব ফিরোজ খান, সফিউল আজম খানের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেটের তথ্য প্রমান পেয়েছে পেট্রোবাংলা গঠিত তদন্ত কমিটি। কোম্পানিটিতে অনেক যোগ্য কর্মকর্তা থাকলেও তাদের দায়িত্ব না দিয়ে সাইড লাইনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। অনেকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচিত হলেও তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয় নি। পদোন্নতি ঠেকাতে দুদকের একটি বেনামী চিঠি সামনে আনা হয়। পরে সেই চিঠি স্মারকবিহীন ভূয়া বলে জানা গেছে। আবার সিলেকশন কমিটি পদোন্নতির সুপারিশ দিয়েছে, বোর্ড সেই ‍সুপারিশ অনুমোদন দিয়েছে। সেই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি না দিয়ে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে কোন রকম শোকজ নোটিশ ছাড়াই।

কর্ণফূলী গ্যাসের এসব পুকুরচুরি ঘটনায় দফায় দফায় তদন্ত করা হয়। সর্বশেষ কমিটি ( আলী ইকবাল নরুল্লাহ) সুনির্দিষ্ট অনিয়মের তথ্য প্রমান ও সুপারিশ তুলে ধরে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। সময়ক্ষেপন করতে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় সেই তদন্ত রিপোর্ট। মন্ত্রণালয় থেকে ১৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এতে পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি বিভাগের প্রতি এক ধরণের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে জনমনে। সৎ অফিসাররা হতাশ হচ্ছেন।

পে্ট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ আলতাফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক করণীয় গ্রহণ করা হয়েছে। আপাতত এর বেশি বলতে পারবো না। কি ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সময় হলেই সবকিছু জানানো হবে।

পেট্রোবাংলার অপর একজন পদস্থ কর্মকর্তা এম এ মাজেদসহ দুর্নীতিবাজ কয়েকজন কর্মকর্তাকে শোকজ করার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি তার নাম প্রকাশ করতে আপত্তি জানিয়েছেন।

   

রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাটা পড়েছে বিদেশ থেকে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ে। গত আগস্টের মতো চলতি সেপ্টেম্বরেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৪৮ কোটি ডলার, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ১১ কোটি ডলার কম। আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেশে এসেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং আগস্টে প্রবাসী আয় আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।

১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ও রফতানিকারকরা এক ডলারের বিপরীতে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১১০ টাকার বিপরীতে পাওয়া যায় এক ডলার। কিন্তু কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের অন্তত সাত-আট টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে।

;

‘নিরাপত্তা মানেই হচ্ছে ব্যবসা’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার

হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তায় কাঁদামাটিতে সিলিন্ডার রাখা দীর্ঘ মেয়াদের জন্য খুবই বিপদজ্জনক। দূর্ঘটনা রোধে এলপিজি সিলিন্ডারে প্রেসার রেগুলেটিং ভাল্ব স্থাপন জরুরি। অনেক দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রযুক্তি।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইপিবি অডিটরিয়ামে “হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার এমন সুপারিশ উঠে এসেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আমিন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী। তিনি বলেন, সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে বিইআরসি নির্ধারিত নিরাপত্তা নির্দেশিকা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। সিলিন্ডারের গায়ে ওয়ার্কিং ও টেস্টিং প্রেসার উল্লেখ বাধ্যতামুলক হলেও থাকছে না। সিলিন্ডারে ভাল্ব ও রেগুলেটর ব্যবহার হচ্ছে অনুমোদনহীন। কিছু প্রযুক্তি এসেছে বিএসটিআই এর অনুমোদন নেই, তবুও বাজারে চলছে। এগুলো মার্কেটে আনা উচিত হয় নি।

তিনি বলেন, আধুনিক মানেই নিরাপদ নয়। উন্নত বিশ্ব নতুন প্রযুক্তি এলে তার ভালো দিকগুলো বেশি বেশি প্রচার করে, খারাপ দিকগুলো বলে না। আমরা দেখেছি গ্যাস্টিকের ওষুধ খেয়ে মানুষকে ক্যান্সারের আক্রান্ত হতে।

বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, কোন কিছু করতে গেলে অনেক জায়গা থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু দূর্ঘটনার পর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না। সেভাবে কোন অথরিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় নি। ব্যবসা লাভজনক না হলে, নিরাপদ না হলে দীর্ঘমেয়াদে টিকতে পারবে না। যে কারণে নিরাপত্তা মানেই হচ্ছে ব্যবসা।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক (ঢাকা) সালেহ উদ্দিন বলেন, দিন শেষে সকল দায় ফায়ার সার্ভিসের উপর পড়ে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই অবহেলা করা হয়। গার্মেন্টে জিএম কমপ্ল্যায়েন্স বেতন পান ১ লাখ টাকা, আর প্রোডাকশনের জিএম পান ৩ লাখ টাকা।

সেমিনার রুমটির (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যূরো) ত্রুটির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, বড় এই হল রুমে, দরজা মাত্র একটি। কোন কারণে ওই দরজা বন্ধ হয়ে গেলে লোকজন বের হবে কোন দিক দিয়ে তার কোন ব্যবস্থা নেই। ভবন তৈরির সময় এসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।

ওমেরা পেট্রোলিয়ামের হেড অব হেলথ্ সেফটি এনভায়রনমেন্ট এন্ড কোয়ালিটি দাউদুর রহমান খান বলেন, হোটেল রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডার রাস্তার পাশে কাদামাটিতে রাখা হয়। এতে দীর্ঘ মেয়াদে সিলিন্ডারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বহুতল ভবনের সিঁড়ির নিচে কিংবা স্টোররুমে সিলিন্ডার স্টোরেজ করা হচ্ছে। যেখানে পর‌্যন্ত বাতাস প্রবেশের কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আগুণ নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা নেই। এলপি গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারি তাই লিকেজ হলে নিচে জমা হয়। আর আগুণের স্পর্শে এলে বিস্ফোরিত হয়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ক্রস ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা থাকা উচিত। মেঝের লেভেলে হাওয়া বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা গেলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিনি বলেন, ২০০৯ সালে এলপি গ্যাসের চাহিদা ছিল ৪৭হাজার টন, এখন ১৪ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। চাহিদা ২০ থেকে ২২ গুণ বেড়ে গেছে, ভবিষ্যতে এটা দ্বিগুণ হবে। এটার যুগপোযোগি নীতিমালা জরুরি। আরও আধুনিক নীতিমালা করা দরকার। সিলিন্ডার লিকের কারনে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহনে কিভাবে, কোথায় ব্যবহৃত হবে তার একটি গাইডলাইন থাকা দরকার। যত্রতত্র যাতে না বসতে পারে, তার জন্য নীতিমালা থাকা উচিত। আমাদের দেশ উন্নয়ন হচ্ছে, এখন এসব বিষয়ে দেখা দরকার। ভবিষ্যতে কোথায় কিভাবে গ্যাস দিবো তার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর দেখছি, যে কারণে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। যারা ব্যবসা করছেন সবকিছুর দিকে যেনো নজর দেন। অটোগ্যাস স্টেশন থেকে সিলিন্ডারে গ্যাস নিচ্ছে এটি কোনভাবেই কাম্য নয়।

এলপিজির দর প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সঙ্গে মিটিং করেই প্রতি মাসে দর ঘোষণা করা হচ্ছে। দর মেনে চলা উচিত। আপনাদের অনেক ইস্যু আমরা দেখেছি, একসঙ্গে সবকিছু করা সম্ভব না। ভোক্তাদের দিকটাও দেখতে হবে। বিইআরসি যেহেতু লাইসেন্স দিয়েছে, সে কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল করারও সুযোগ রয়েছে। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নুরুল আলম বলেন, আবাসিকে আর নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব না। পাইপলাইনের গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলপিজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিইআরসির সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তাই প্রথম বলা হয়, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হয়। যা মোটেই কাম্য নয়। যারা বাজারজাত করছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অল্প বলে এড়িয়ে চলার ‍সুযোগ নেই। একটি দুর্ঘটনাও অবহেলা করার সুযোগ নেই।

বিইআরসি সদস্য ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মোঃ আমিনুর রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মোঃ খলিলুর রহমান খান, জেএমআই এলপিজির জিএম (টেকনিক্যাল অপরেশন) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, এলপিজি পরিবেশক এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

;

আরও ৮ পোশাক কারখানার ৩৬ হাজার কর্মী বেতন পাবেন বিকাশে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরও ৮ পোশাক কারখানার ৩৬ হাজার কর্মী বেতন পাবেন বিকাশে

আরও ৮ পোশাক কারখানার ৩৬ হাজার কর্মী বেতন পাবেন বিকাশে

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শীর্ষস্থানীয় আরো আটটি তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বিতরণ করবে বিকাশ-এর পে-রোল সল্যুশন-এর মাধ্যমে। এ নিয়ে দেশের পোশাক শিল্পের ১,১০০-টিরও বেশী কারখানার ১০ লাখের বেশি কর্মী ও শ্রমিকের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে বিকাশ-এর ডিজিটাল পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করে।

সম্প্রতি বিকাশ-এর প্রধান কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিকাশ-এর চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোয়াজুদ্দিন গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল নোমান, টার্গেট গ্রুপের গ্রুপ অ্যাডভাইসর আব্দুল হক, জামালউদ্দিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জামাল উদ্দিন মিয়া, শাহানা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ মোঃ মিজানুর রহমান অপু এবং ব্রিটানিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিল আহমেদ, প্যাট্রিয়ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুল হক খান এবং হ্যামস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সফিকুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন বিকাশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ এবং চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার মাহফুজ সাদিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত পে-রোল সল্যুশন ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষকে এখন আর ক্যাশ টাকা বহনের খরচ ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয়না, নষ্ট হয়না মূল্যবান কর্মঘন্টা, এছাড়াও বেতন দেওয়ার সময় খুচরা ও নকল টাকার ঝামেলাও এড়ানো যাচ্ছে, বেতন বিতরণ ব্যবস্থাপনা হয়েছে আরো সহজ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক।

কর্মীরা এখন বিকাশে পাওয়া বেতন ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ব্যবহার করে তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করার সুযোগ পাচ্ছেন। শ্রমিকরা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই নিতে পারছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ন্যানো লোন, সেভিংস, বীমা সহ আরো বহু আর্থিক সেবা।

শুধুমাত্র ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতনই নয়, এ খাতের কর্মীদের জন্য একটি টেকসই আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। এর অংশ হিসেবে বেশকিছু কারখানার ভেতরেই ন্যায্য মূল্যের দোকান ‘সুলভ বাজার’ ও ‘আপন বাজার’ স্থাপন করেছে বিকাশ, যেখানে শ্রমিকরা বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া, নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন কারখানায় অটোমেটিক স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে বিকাশ।

পাশাপাশি, আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শ্রমিকদের আরো সচেতন করতে কারখানা প্রাঙ্গণে এমএফএস-এর নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে আসছে বিকাশ। শ্রমঘন এলাকায় আছে বিকাশের বিশেষ গ্রাহক সেবাকেন্দ্র, কারখানার ফটকের পাশে এবং শ্রমিকদের আবাসস্থলের কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে এজেন্ট পয়েন্ট এবং গড়ে তোলা হচ্ছে মার্চেন্ট অবকাঠামো।

;

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান মুক্তধারার 



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক আইএনসি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এন্ড সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আকিজ উদ্দীন।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আমেরিকার নিউইয়র্কে ইউএসএ-বাংলাদেশ বিজনেস লিংক ও মুক্তধারা নিউ ইয়র্কের উদ্যোগে এবং এফবিসিসিআই ও গ্রেটার নিউ ইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স এর সহযোগিতায় আয়োজিত ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর সমাপনী অধিবেশনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশ ইমিগ্র্যান্ট ডে অ্যান্ড ট্রেড ফেয়ার ২০২৩ এর আহ্বায়ক ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক আইএনসি এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইমিগ্র্যান্টস ডে ২০২৩ এর প্রধান সমন্বয়ক বিশ্বজিত সাহা উপস্থিত ছিলেন।

;