সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ লোডশেডিং বন্ধের আশাবাদ প্রতিমন্ত্রীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি দর্শন ও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অস্থির বিশ্ব বাজার শীর্ষক সেমিনার

ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি দর্শন ও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অস্থির বিশ্ব বাজার শীর্ষক সেমিনার

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী মাসের শেষ দিকে লোডশেডিং থেকে পুরোপুরি বের হয়ে আসবো। বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপ না হলে আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (১৪ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি দর্শন ও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অস্থির বিশ্ব বাজার শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের পরিস্থিতি খুবই অস্বাভাবিক, কোন একটি নির্দিষ্ট দেশে নয়, সারাবিশ্বেই মন্দাভাব তৈরি হয়েছে। অনেকেই বুঝেও ভান ধরে থাকেন। ভর্তুকি দিয়ে সাশ্রয়ী দামে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা জনবান্ধব সরকার, লুটপাট করা বিএনপি জামাত জোট সরকার না। এক দুইটা মাস অপেক্ষা করেন। ইউকের মতো দেশ পাওয়ার কাটের দিকে যাচ্ছে। জার্মানি পুরনো কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করছে। আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি, এই অবস্থা সাময়িক। এতোদিন ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে বিপিসি। তেলের দাম কমতে থাকলে কে চায় জনগণের দুর্ভোগ বাড়াতে। কেউ চায় না,

চ্যালেঞ্জের সময় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সময় নয়। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা যেনো ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে পারি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, তখন গ্যাসের ব্যবহার ছিলই না। সে কারনে বড় বড় কোম্পানি গ্যাস ফিল্ড বিক্রি করে তেলের দিকে গেছে। সেই সময়ে বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন গ্যাসের গুরুত্ব।অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থা ওই ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদেক সাহসী হওয়ার শিক্ষা দেয়।

বিএনপি জামাত কোন দর্শনই পালন করেনি। তমায়ানমারের পাইপ লাইন আমাদের উপর দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এটি হলে আমরা কমদামে গ্যাস পেতাম। বিএনপি জামাত জোট সেই পাইপ লাইন করেনি। বিএনপির সময়ে ১৬-১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। বিনিয়োগ স্থবির হয়েছিল। খালেদা জিয়া সরকার একটা উপাধি পেয়েছিল দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন বলেন, এক সময় দেশ থেকে গ্যাস রপ্তানির তোড়জোড় চলেছিল। তখন যদি বিক্রি করে দিতাম, আজকে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতো। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ৬১৮ এমএমসিএফডি উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। আমরা ডিপ ড্রিলিংয়ে যাচ্ছি আশাকরছি সেখানেও রিজার্ভ বাড়বে। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদা পূরণ করতে এলএনজির উপর নির্ভরতা থাকবে। পরিমাণ নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর। ভবিষ্যতে আরও অস্বস্তি থেকে বাঁচার জন্য কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। যে কোন মূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কোন আপোস করা যাবে না।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, পিএসসি আপডেট করার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি এ বছরের শেষের দিকে বিডিং রাউন্ড আহ্বান করা সম্ভব হবে। আমরা জ্বালানির বহুমুখীকরণের দিকে যাচ্ছে। কয়লার দিকে মনযোগ দেওয়ার অবকাশ রয়েছে।

ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, জ্বালানির দাম বাড়ানোর এখতিয়ার বিইআরসির। প্রতিমন্ত্রী আজকে দয়া করে গ্যারান্টি দিয়ে যাবেন আজকে। কমিশন গণশুনানির মাধ্যমে এই দাম সমন্বয় করবে।

বিপিসি লাইসেন্সি হিসেবে আবেদন করবে। ভর্তুকি দিয়ে আসছেই সরকার। বিপিসির বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ রয়েছে। সেটা পরিষ্কার করা দরকার।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, সমস্যার শাখা প্রশাখা বিস্তৃত হয়েছে। খুজতে গেলে দেখা যায় অনেক গভীরে চলে গেছে।  জ্বালানি যোগান দিতে পারিনি নিজস্ব জ্বালানির প্রতি অবহেলার কারণে। ভুতত্ববিদরা মনে করছেন,  দেশীয় গ্যাস এখনো আছে এটা নিশ্চিত। এটাকে যদি উত্তোলন করা হতো তাহলে আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। এখনো দেশের বহু এলাকায় গ্যাসের মজুদ থাকার সম্ভাবনা আছে। এসব জায়গায় এখন উত্তোলন করা জরুরি।  এজন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের এডিটর মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব বিইআরসির হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। ২০২৫ সালের মধ্যে নিজস্ব কয়লার ব্যবহার বাড়ানো না গেলে সংকট আরও বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যুতে দাম অনেক বেড়ে যাবে। একবারে এভাবে তেলের দাম বাড়ানো উচিত হয় নি।

এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে মূল। সঞ্চালনা করেন এফইআরবির ইডি রিসান নসরুল্লাহ।

   

রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাটা পড়েছে বিদেশ থেকে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ে। গত আগস্টের মতো চলতি সেপ্টেম্বরেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৪৮ কোটি ডলার, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ১১ কোটি ডলার কম। আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেশে এসেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং আগস্টে প্রবাসী আয় আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।

১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ও রফতানিকারকরা এক ডলারের বিপরীতে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১১০ টাকার বিপরীতে পাওয়া যায় এক ডলার। কিন্তু কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের অন্তত সাত-আট টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে।

;

‘নিরাপত্তা মানেই হচ্ছে ব্যবসা’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার

হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তায় কাঁদামাটিতে সিলিন্ডার রাখা দীর্ঘ মেয়াদের জন্য খুবই বিপদজ্জনক। দূর্ঘটনা রোধে এলপিজি সিলিন্ডারে প্রেসার রেগুলেটিং ভাল্ব স্থাপন জরুরি। অনেক দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রযুক্তি।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইপিবি অডিটরিয়ামে “হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার এমন সুপারিশ উঠে এসেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আমিন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী। তিনি বলেন, সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে বিইআরসি নির্ধারিত নিরাপত্তা নির্দেশিকা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। সিলিন্ডারের গায়ে ওয়ার্কিং ও টেস্টিং প্রেসার উল্লেখ বাধ্যতামুলক হলেও থাকছে না। সিলিন্ডারে ভাল্ব ও রেগুলেটর ব্যবহার হচ্ছে অনুমোদনহীন। কিছু প্রযুক্তি এসেছে বিএসটিআই এর অনুমোদন নেই, তবুও বাজারে চলছে। এগুলো মার্কেটে আনা উচিত হয় নি।

তিনি বলেন, আধুনিক মানেই নিরাপদ নয়। উন্নত বিশ্ব নতুন প্রযুক্তি এলে তার ভালো দিকগুলো বেশি বেশি প্রচার করে, খারাপ দিকগুলো বলে না। আমরা দেখেছি গ্যাস্টিকের ওষুধ খেয়ে মানুষকে ক্যান্সারের আক্রান্ত হতে।

বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, কোন কিছু করতে গেলে অনেক জায়গা থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু দূর্ঘটনার পর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না। সেভাবে কোন অথরিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় নি। ব্যবসা লাভজনক না হলে, নিরাপদ না হলে দীর্ঘমেয়াদে টিকতে পারবে না। যে কারণে নিরাপত্তা মানেই হচ্ছে ব্যবসা।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক (ঢাকা) সালেহ উদ্দিন বলেন, দিন শেষে সকল দায় ফায়ার সার্ভিসের উপর পড়ে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই অবহেলা করা হয়। গার্মেন্টে জিএম কমপ্ল্যায়েন্স বেতন পান ১ লাখ টাকা, আর প্রোডাকশনের জিএম পান ৩ লাখ টাকা।

সেমিনার রুমটির (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যূরো) ত্রুটির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, বড় এই হল রুমে, দরজা মাত্র একটি। কোন কারণে ওই দরজা বন্ধ হয়ে গেলে লোকজন বের হবে কোন দিক দিয়ে তার কোন ব্যবস্থা নেই। ভবন তৈরির সময় এসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।

ওমেরা পেট্রোলিয়ামের হেড অব হেলথ্ সেফটি এনভায়রনমেন্ট এন্ড কোয়ালিটি দাউদুর রহমান খান বলেন, হোটেল রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডার রাস্তার পাশে কাদামাটিতে রাখা হয়। এতে দীর্ঘ মেয়াদে সিলিন্ডারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বহুতল ভবনের সিঁড়ির নিচে কিংবা স্টোররুমে সিলিন্ডার স্টোরেজ করা হচ্ছে। যেখানে পর‌্যন্ত বাতাস প্রবেশের কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আগুণ নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা নেই। এলপি গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারি তাই লিকেজ হলে নিচে জমা হয়। আর আগুণের স্পর্শে এলে বিস্ফোরিত হয়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ক্রস ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা থাকা উচিত। মেঝের লেভেলে হাওয়া বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা গেলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিনি বলেন, ২০০৯ সালে এলপি গ্যাসের চাহিদা ছিল ৪৭হাজার টন, এখন ১৪ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। চাহিদা ২০ থেকে ২২ গুণ বেড়ে গেছে, ভবিষ্যতে এটা দ্বিগুণ হবে। এটার যুগপোযোগি নীতিমালা জরুরি। আরও আধুনিক নীতিমালা করা দরকার। সিলিন্ডার লিকের কারনে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহনে কিভাবে, কোথায় ব্যবহৃত হবে তার একটি গাইডলাইন থাকা দরকার। যত্রতত্র যাতে না বসতে পারে, তার জন্য নীতিমালা থাকা উচিত। আমাদের দেশ উন্নয়ন হচ্ছে, এখন এসব বিষয়ে দেখা দরকার। ভবিষ্যতে কোথায় কিভাবে গ্যাস দিবো তার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর দেখছি, যে কারণে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। যারা ব্যবসা করছেন সবকিছুর দিকে যেনো নজর দেন। অটোগ্যাস স্টেশন থেকে সিলিন্ডারে গ্যাস নিচ্ছে এটি কোনভাবেই কাম্য নয়।

এলপিজির দর প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সঙ্গে মিটিং করেই প্রতি মাসে দর ঘোষণা করা হচ্ছে। দর মেনে চলা উচিত। আপনাদের অনেক ইস্যু আমরা দেখেছি, একসঙ্গে সবকিছু করা সম্ভব না। ভোক্তাদের দিকটাও দেখতে হবে। বিইআরসি যেহেতু লাইসেন্স দিয়েছে, সে কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল করারও সুযোগ রয়েছে। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নুরুল আলম বলেন, আবাসিকে আর নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব না। পাইপলাইনের গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলপিজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিইআরসির সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তাই প্রথম বলা হয়, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হয়। যা মোটেই কাম্য নয়। যারা বাজারজাত করছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অল্প বলে এড়িয়ে চলার ‍সুযোগ নেই। একটি দুর্ঘটনাও অবহেলা করার সুযোগ নেই।

বিইআরসি সদস্য ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মোঃ আমিনুর রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মোঃ খলিলুর রহমান খান, জেএমআই এলপিজির জিএম (টেকনিক্যাল অপরেশন) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, এলপিজি পরিবেশক এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

;

আরও ৮ পোশাক কারখানার ৩৬ হাজার কর্মী বেতন পাবেন বিকাশে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরও ৮ পোশাক কারখানার ৩৬ হাজার কর্মী বেতন পাবেন বিকাশে

আরও ৮ পোশাক কারখানার ৩৬ হাজার কর্মী বেতন পাবেন বিকাশে

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শীর্ষস্থানীয় আরো আটটি তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বিতরণ করবে বিকাশ-এর পে-রোল সল্যুশন-এর মাধ্যমে। এ নিয়ে দেশের পোশাক শিল্পের ১,১০০-টিরও বেশী কারখানার ১০ লাখের বেশি কর্মী ও শ্রমিকের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে বিকাশ-এর ডিজিটাল পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করে।

সম্প্রতি বিকাশ-এর প্রধান কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিকাশ-এর চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোয়াজুদ্দিন গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল নোমান, টার্গেট গ্রুপের গ্রুপ অ্যাডভাইসর আব্দুল হক, জামালউদ্দিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জামাল উদ্দিন মিয়া, শাহানা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ মোঃ মিজানুর রহমান অপু এবং ব্রিটানিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিল আহমেদ, প্যাট্রিয়ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুল হক খান এবং হ্যামস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সফিকুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন বিকাশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ এবং চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার মাহফুজ সাদিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত পে-রোল সল্যুশন ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষকে এখন আর ক্যাশ টাকা বহনের খরচ ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয়না, নষ্ট হয়না মূল্যবান কর্মঘন্টা, এছাড়াও বেতন দেওয়ার সময় খুচরা ও নকল টাকার ঝামেলাও এড়ানো যাচ্ছে, বেতন বিতরণ ব্যবস্থাপনা হয়েছে আরো সহজ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক।

কর্মীরা এখন বিকাশে পাওয়া বেতন ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ব্যবহার করে তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করার সুযোগ পাচ্ছেন। শ্রমিকরা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই নিতে পারছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ন্যানো লোন, সেভিংস, বীমা সহ আরো বহু আর্থিক সেবা।

শুধুমাত্র ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতনই নয়, এ খাতের কর্মীদের জন্য একটি টেকসই আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। এর অংশ হিসেবে বেশকিছু কারখানার ভেতরেই ন্যায্য মূল্যের দোকান ‘সুলভ বাজার’ ও ‘আপন বাজার’ স্থাপন করেছে বিকাশ, যেখানে শ্রমিকরা বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া, নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন কারখানায় অটোমেটিক স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে বিকাশ।

পাশাপাশি, আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শ্রমিকদের আরো সচেতন করতে কারখানা প্রাঙ্গণে এমএফএস-এর নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে আসছে বিকাশ। শ্রমঘন এলাকায় আছে বিকাশের বিশেষ গ্রাহক সেবাকেন্দ্র, কারখানার ফটকের পাশে এবং শ্রমিকদের আবাসস্থলের কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে এজেন্ট পয়েন্ট এবং গড়ে তোলা হচ্ছে মার্চেন্ট অবকাঠামো।

;

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান মুক্তধারার 



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক আইএনসি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এন্ড সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আকিজ উদ্দীন।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আমেরিকার নিউইয়র্কে ইউএসএ-বাংলাদেশ বিজনেস লিংক ও মুক্তধারা নিউ ইয়র্কের উদ্যোগে এবং এফবিসিসিআই ও গ্রেটার নিউ ইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স এর সহযোগিতায় আয়োজিত ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর সমাপনী অধিবেশনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশ ইমিগ্র্যান্ট ডে অ্যান্ড ট্রেড ফেয়ার ২০২৩ এর আহ্বায়ক ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক আইএনসি এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইমিগ্র্যান্টস ডে ২০২৩ এর প্রধান সমন্বয়ক বিশ্বজিত সাহা উপস্থিত ছিলেন।

;