ঈদ কেনাকাটায় ১০ হাজার আউটলেটে বিকাশ পেমেন্টে ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক
নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঈদ কেনাকাটায় ১০ হাজার আউটলেটে বিকাশ পেমেন্টে ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক
অর্থনীতি
এবারের ঈদের কেনাকাটা আরো সাশ্রয়ী করতে দেশজুড়ে প্রায় ১০ হাজার আউটলেট ও রিটেইল দোকানে বিকাশ পেমেন্টে মিলছে ৫ থেকে ২০% পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক।
সারাদেশে ৩ হাজার ব্র্যান্ড ও মার্চেন্ট আউটলেটে লাইফস্টাইল সামগ্রী, পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট কিনে বিকাশ দিয়ে পেমেন্টে করলে দিনে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ও অফার চলাকালীন সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে, দেশজুড়ে প্রায় ৭ হাজার রিটেইল দোকানে বিকাশ পেমেন্টে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক নিতে পারবেন গ্রাহক। রিটেইল দোকানগুলোতে ক্যাশব্যাক পেতে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে গ্রাহককে।
১১ জুলাই, ২০২২ পর্যন্ত বিকাশ অ্যাপ, ইউএসএসডি কোড *২৪৭# মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন গ্রাহকরা।
এছাড়াও, প্রায় ৫০টি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কেনাকাটায়ও ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক নিতে পারছেন গ্রাহকরা।
অফারের আওতাভুক্ত সব মার্চেন্ট এর তালিকা এবং বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এই লিংকে- https://www.bkash.com/payment/। বিকাশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও অফারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন গ্রাহকরা।
ইসলামী ব্যাংক ময়মনসিংহ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক ময়মনসিংহ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
অর্থনীতি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ময়মনসিংহ জোনের উদ্যোগে “ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ পরিপালন” শীর্ষক ওয়েবিনার সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী।
মূল বিষয়ের ওপর বক্তব্য দেন শরী‘আহ সেক্রেটারিয়েটের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ শামসুদ্দোহা।
ময়মনসিংহ জোনপ্রধান মোঃ আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জোনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ খলিলুর রহমান। ময়মনসিংহ জোনের অধীন শাখাসমূহের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।
এলাকাবাসীর নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা নিশ্চিত করতে পল্লবীতে স্থাপিত হয়েছে কৃষকের বাজার। এ বাজারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাইকৃত ১০ জন নিরাপদ চাষি তাদের উৎপাদিত সবজি এবং ফলমূল সরাসরি ভোক্তার কাছে বিক্রি করবেন। এ বাজারের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে নিরাপদ সবজি-ফল সহজলভ্য হবে এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা অনুপস্থিত থাকবে বলে কৃষকরাও ন্যায্য মূল্য পাবেন।
প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ বাজারটি আয়োজিত হবে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০ টায় নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডে কৃষকের বাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
কৃষকের বাজারটি উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজনে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সেলিনা বেগম, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের চীফ টেকনিক্যাল এডভাইজার জাভিয়ে বোয়ান, সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট জাহাঙ্গীর আলম, ন্যাশনাল অপারেশন্স স্পেশালিস্ট সিলভি রাজ্জাক, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ইমতিয়াজ সুলতান জনি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কৃষকের বাজারটি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে বিরুলিয়া থেকে ১০ জন কৃষক তাদের উৎপাদিত নিরাপদ সবজি বিক্রি করবেন। কৃষকদের জন্য পানি, শৌচাগারসহ সকল সুবিধা নিশ্চিতের জন্য বাজারটি আমার কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত হয়েছে। আমাদের একটাই দাবি এখানে যেন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সেলিনা বেগম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লক্ষ্য হলো মানুষকে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেয়া। এ কারণে কৃষকের বাজার কার্যক্রমের সাথে আমরা সম্পৃক্ত হয়েছি এবং নিরাপদ চাষী বাছাই এ ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টকে সহযোগিতা প্রদান করেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধরণের কার্যক্রম ও সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজার জাভিয়ে বোয়ান বলেন, কৃষকের বাজারে ভোক্তাগণ সরাসরি কৃষকদের থেকে নিরাপদ সবজি কিনতে পারবেন। নগরবাসীর পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিতে নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট সম্মিলিতভাবে এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে। মোট ১৬টি বাজার এ কার্যক্রমের আওতায় স্থাপিত হবে। আমরা আশা করি, কৃষকের বাজার নগরবাসীর পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি কৃষকের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে। ফলে কৃষকগণ তাদের পণ্যের সঠিক মূল্য পাবেন। ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের ন্যাশনাল অপারেশন্স স্পেশালিস্ট সিলভি রাজ্জাক বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার লক্ষ্য হলো মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করা। কৃষকের বাজার কার্যক্রমটিও এর একটি অংশ। খাদ্যের সঠিক মান যেন নিশ্চিত হয়, ক্ষতিকর কেমিক্যাল যেন ব্যবহৃত না হয়, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক যেন মানবদেহের জন্য সহনীয় মাত্রায় ব্যবহৃত হয়, কাঁচাবাজারগুলো যেন মানসম্পন্ন হয় সে বিষয়ে ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্ট কাজ করছে।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, কম মূল্যে অনিরাপদ খাদ্য ক্রয় করা হলে চিকিৎসায় অধিক অর্থ ব্যয় করতে হবে। এর থেকে একটু বেশি মূল্যে নিরাপদ খাদ্য ক্রয় করাই শ্রেয়। এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ আপনারা কৃষকদের সহযোগিতা করবেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এ ধরণের উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকরী।
চলতি আগস্ট মাসের ১৬ দিনে ১১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯৫ টাকা হিসাবে)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার ছড়িয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ১০০ কোটি ৭০ লাখ (১ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা চলতি আগস্টের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ কম। চলতি মাসে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ২৬ লাখ ডলার বা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আর গত বছরের (২০২১) জুলাই মাসের চেয়ে বেশি ছিল ১২ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের (চলতি মাস আগস্টের ১৬ দিন) প্রথম দেড় মাসে ৩২৮ কোটি ৮০ লাখ (৩.২৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৯৫ টাকা হিসাবে) এ অর্থের পরিমাণ ৩১ হাজার ৪৬ কোটি টাকা।
গত বছরের আগস্টের একই (১ থেকে ১৬ আগস্ট) সময়ে ১০০ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আর গত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দেড় মাসে (২০২১ এর আগস্টের ১৬ দিন) ২৮৭ কোটি ৮০ লাখ (২.৮৮ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল দেশে। সে হিসাবে গত অর্থবছরের দেড় মাসের চেয়ে ১৩.৫০ শতাংশ বেশি এসেছে।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি (২১.০৩ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল দেশে। যা গড়ে প্রতিদিন ৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। সবচেয়ে বেশি এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি (২৪.৭৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে যা প্রতিদিন গড়ে আসে ৬ কোটি ৭৯ ডলার।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতিবাচক এই ধারা পুরো মাসেই অব্যাহত থাকবে। গত জুলাই মাসের মতো চলতি আগস্ট মাসেও ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে।
ইসলামী ব্যাংক সিলেট জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক সিলেট জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
অর্থনীতি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর সিলেট জোনের উদ্যোগে ‘ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ পরিপালন’ শীর্ষক ওয়েবিনার সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যাংকের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য প্রফেসর মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। মূল বিষয়ের ওপর বক্তব্য দেন শরী‘আহ সেক্রেটারিয়েটের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ শামসুদ্দোহা। সিলেট জোনপ্রধান শিকদার মোঃ শিহাবুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট শাখাপ্রধান মোঃ শহিদ আহমেদ।
এছাড়া সিলেট জোনের অধীন শাখাসমূহের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।