প্রস্তাবিত বাজেট দেশীয় লিফট উৎপাদন শিল্প বিকাশের পথ সুগম করবে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রস্তাবিত বাজেট দেশীয় লিফট উৎপাদন শিল্প বিকাশের পথ সুগম করবে

প্রস্তাবিত বাজেট দেশীয় লিফট উৎপাদন শিল্প বিকাশের পথ সুগম করবে

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে লিফট বা এলিভেটর পণ্যের স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ খাতে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এবং স্থানীয় শিল্প-উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে লিফট আমদানিতে শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টিকে দেশীয় শিল্পের জন্য খুবই ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত- প্রস্তাবিত বাজেট দেশীয় শিল্পবান্ধব হয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের উদ্দেশ্য স্থানীয় শিল্পের বিকাশের স্বার্থে শুল্ক বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি নিরুৎসাহিত করা। এরফলে লিফটের মতো ভারী শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ আসবে। দেশে এ শিল্পের বিকাশ ও প্রসার ঘটবে। এতে একদিকে যেমন আমদানি ব্যয় হ্রাস পাবে, অন্যদিকে স্থানীয় উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়বে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তব্যে জানিয়েছেন স্থানীয় শিল্পের বিকাশ এবং এ খাতের উদ্যোক্তাদের স্বার্থে লিফট আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে লিফটের চাহিদা বাড়ছে। স্থানীয় উদ্যোক্তারা লিফট উৎপাদন শিল্পে অধিক হারে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে এ খাতের উদ্যোক্তাদের যথেষ্ঠ ইতিবাচক মনে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, যে কোনো দেশের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে তাকে অবশ্যই ডোমেস্টিক উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে হবে। আপনি শুরু থেকেই যদি দেশীয় ইনফ্যান্ট ইন্ডাস্ট্রিকে কম্পিটিশনের মধ্যে ছেড়ে দেন, তাহলে সে কিন্তু শুরুতেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই তাকে শুরুতে অনেক বেশি সুযোগ দিতে হবে এবং সে যাতে উঠে দাঁড়াতে পারে এজন্য সরকারকে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

এ খাতের দেশীয় একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তারা আমাদের দেশের জন্য বাইরে থেকে যেমন সুনাম বয়ে আনছে, তেমনিভাবে দেশের স্বনির্ভরতা বাড়াচ্ছে। আর এ স্বনির্ভরতাই বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন। দেশীয় উৎপাদকদের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের জন্য একটা ইতিবাচক দিক।

অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, প্রস্তাাবিত বাজেটে দেশের ভেতর যেসব পণ্য উৎপাদন করা যায়, সেগুলো বিদেশ থেকে আনা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এতে দেশীয় কোম্পানি বা উদ্যোক্তারা সুবিধা পাবে। অর্থনৈতিক কর্মকা- বর্ধিত হবে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে পারে। আমরা একে ইতিবাচক হিসেবে দেখি।

এনবিআর-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, দেশীয় শিল্প বিকাশে সরকার কর্তৃক এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। শিল্পায়নের বিকাশে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে, পাশাপাশি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বুস্ট-আপ হয়। তার মতে এক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতা যেমন বাড়ে, তেমনই দেশে উদ্যোক্তা তৈরি হয়।

জানা গেছে, দেশে লিফটের বিপুল চাহিদা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রমতে, করোনার মধ্যেও ২০২০ সালে ৭০৭ কোটি টাকার লিফট আমদানি হয়েছে। ২০২১ সালে এ খাতে আমদানির পরিমাণ ৮৮৫ কোটি টাকা। খাত সংশ্লিষ্টদের মতে বর্তমানে দেশে লিফটের বাজার ১২০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর এ খাতের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশেরও বেশি।

আমদানির মাধ্যমে লিফটের স্থানীয় চাহিদা মেটানোয় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানি লাভজনক হওয়ায় সেদিকেই ঝুঁকছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। ¯্রােতের বিপরীতে গিয়ে দু-একটি প্রতিষ্ঠান দেশে লিফট উৎপাদন প্ল্যান্ট গড়ে তুলেছে। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত লিফট দিয়ে সব চাহিদা মেটানোর যথেষ্ঠ সক্ষমতা রয়েছে। ইউরোপীয় প্রযুক্তিতে বাংলাদেশে তৈরি লিফট আমদানিকৃত লিফটের চেয়ে মানে অনেক উন্নত।

তাছাড়া বর্তমানে দেশের গৃহায়ন শিল্প ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটায় এ খাতে লিফটের চাহিদা আরো বাড়বে। সুতরাং লিফটের ক্ষেত্রে দেশ আমদানি নির্ভর হলে তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। দেশে উৎপাদন বাড়লে লিফট সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। পাশাপাশি পুরাতন স্থাপনাগুলোতে সহজেই লিফট সংক্রান্ত সেবা দেয়া সহজ হবে। সবদিক বিবেচনায় সরকারের এ সিদ্ধান্ত দেশীয় শিল্প ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য খুবই ইতিবাচক। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করেছে। প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনে স্বাবলম্বী হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এর আগে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য খাতে আমদানি শুল্ক বাড়ানো এবং স্থানীয় উৎপাদকদের সুবিধা দেয়ায় দেশে রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি শিল্পের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছে। অনেক দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করেছে। এসব পণ্যের উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি দেশে উৎপাদিত পণ্য দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এ খাতে রপ্তানি আয় বাড়ছে। তৈরি পোশাকের মতো ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য শিল্প রপ্তানি আয়ের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে।

তাদের মতে লিফটেও একই রকম সুবিধা দেয়ায় দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় উৎপাদনে আগ্রহী হবে। ফলে এ খাতে বড় বিনিয়োগ আসবে। যা বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং আমদানি ব্যয় হ্রাস এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

   

বি পি আর এ’র উদ্যোগে ‘ডিজিটাল পিআর’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪র্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ সে বিষয়ে “পিআর ইন ডিজিটাল এরা: হাউ পিআর প্রোফেশনালস ক্যান ট্রান্সফর্ম” শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব)।

ইউল্যাব’র ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ৮০ জন জনসংযোগ পেশাজীবি উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কি-নোট স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনন্দিত জনসংযোগ ব্যক্তিত্ব এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী জাস্টিন গ্রীন।

এসময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনসংযোগ খাতের বর্তমান পরিস্থিতি, গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পাশাপাশি জনসংযোগ খাতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে জনসংযোগের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে ডিজিটাল পিআর। উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কারণে এখন মুহূর্তের মধ্যেই একটি তথ্য সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এর ফলে তথ্য পাওয়া যেমন সহজ হচ্ছে তেমনি তথ্যের সত্যতা ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে। জনসংযোগ কর্মীদের এবিষয় নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন ইউল্যাব’র প্রো-ভিসি অধ্যাপক জুড ইউলিয়াম হেনিলো, বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির সভাপতি বজলুল হক রানা ও মহাসচিব মনিরুজ্জামান টিপু। প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালাটি শেষ হয়। নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কিছু উদাহরণ দিয়ে উপস্থিত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জাস্টিন গ্রীন।

;

আরও ৪ জেলায় সম্প্রসারিত বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরও ৪ জেলায় সম্প্রসারিত বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি

আরও ৪ জেলায় সম্প্রসারিত বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশের সহযোগিতায় এবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সম্প্রসারণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল ও দিনাজপুর জেলার ১৪টি স্কুলে।

শিক্ষার্থী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে বই তুলে দিয়ে এবছর ৩৩,৬০০ বই বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন লাখ বই বিতরণ করেছে বিকাশ, যার মাধ্যমে অন্তত ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছেন।

চট্টগ্রামের ৫টি এবং চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল ও দিনাজপুরের ৩টি করে বিদ্যালয়ে এবার বই পড়া কর্মসূচি সম্প্রসারিত হলো। এই জেলাগুলোতে পৃথক চারটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে বই তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। চট্টগ্রামের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গাতে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, নড়াইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল এবং দিনাজপুর চিরিরবন্দরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম শরীফুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আবদুন নূর তুষার ও বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) ইভিপি এবং রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানগুলোতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক জনাব শামীম আল মামুন।

শিক্ষার্থীদের পাঠ্য-পুস্তকের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে পরিপূর্ণ ও আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশজুড়ে বইপড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে আরও প্রসারিত ও কার্যকরী করতে গত নয় বছর ধরে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিকাশ।

;

৬০ টাকায় নগদ গ্রাহকরা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে পাবেন র‌্যাবিটহোলে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নগদ বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষ্যে নগদ ও র‌্যাবিটহোল নিয়ে এসেছে দারুণ অফার। বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষ্যে জনপ্রিয় ভিডিও সম্প্রচার মাধ্যম র‌্যাবিটহোল-এ গ্রাহক নগদের মাধ্যমে ৬০ টাকা পেমেন্ট করে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন।

ক্রিকেটপ্রেমী গ্রাহকেরা বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ ও তাদের প্রিয় দলের খেলা এখন নগদ ও র‌্যাবিটহোল-এর এই অফারের মাধ্যমে উপভোগ করতে পারবেন। অফারের আগে র‌্যাবিটহোল-এর এই প্যাকটির মাসিক মূল্য ছিল ৯৯ টাকা, গোটা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ দেখতে হলে গ্রাহকদের খরচ করতে হতো ১৯৮ টাকা। নগদ ও র‌্যাবিটহোল-এর এই চুক্তির ফলে এখন মাত্র ৬০ টাকায় নগদ গ্রাহকেরা এই অফারটি উপভোগ করতে পারবেন এবং গোটা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ দেখতে পারবেন। ২০ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অফারটি কার্যকর থাকবে।

অফারটি উপভোগ করতে গ্রাহককে র‌্যাবিটহোল-এর ওয়েবসাইট ( https://www.rabbitholebd.com) অথবা অ্যাপ থেকে ‘নগদ ওয়ার্ল্ড কাপ প্যাক’ অপশনটি বাছাই করতে হবে এবং নগদের গেটওয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে।

এই অফার উপলক্ষ্যে নগদ লিমিটেড ও র‌্যাবিটহোল গতকাল সোমবার নগদের প্রধান কার্যালয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নগদ লিমিটেড-এর নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক ও র‌্যাবিটহোল-এর পক্ষে কনটেন্ট ম্যাটার্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম রফিক উল্লাহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এ সময় নগদ লিমিটেড-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার সাদাত আদনান আহমেদ ও হেড অব বিজনেস সেলস মোহাম্মদ মাহবুব সোবহান উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে ১৯ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত। এরপর নগদ গ্রাহক এই স্পেশাল প্যাকের অফার উপভোগ করতে পারবেন না। সব শর্ত মেনে একজন গ্রাহক একবারই এই অফার উপভোগ করতে পারবেন।

ক্যাম্পেইনের বিষয়ে নগদ লিমিটেড-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার সাদাত আদনান আহমেদ বলেন, ‘ক্রিকেটপ্রেমী গ্রাহকদের স্বল্পমূল্যে জনপ্রিয় ভিডিও সম্প্রচার মাধ্যমে বিশ্বকাপ খেলা দেখার সুযোগ করে দিতে নগদ ও র‌্যাবিটহোল যৌথভাবে এই অফারটি নিয়ে এসেছে। মানুষের জীবনকে আরামদায়ক করার একটি প্রয়াস এই ক্যাম্পেইন।’

এ ছাড়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষ্যে মাস্টারকার্ড থেকে নগদ ওয়ালেটে ৩৪৫০ টাকা বা তার বেশি অ্যাড মানি বা ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট করে গ্রাহক জিতে নিতে পারেন আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা দেখার টিকিট। এর সাথে থাকছে প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ লেনদেনকারী গ্রাহকের জন্য ফ্ল্যাগ বিয়ারার প্রোগ্রাম ও মাস্টারকার্ড সোফা। এই অফারটি চলবে ১৬ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত।

;

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৬ শতাংশে নামার পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব‍্যাংক। গত এপ্রিলে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির ৬ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ‍্য উঠে আসে। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক, মাইনাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে এবং প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

এর আগে বাংলাদেশের ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ১ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।

;