জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে আরও ৩’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির (এপিএসসিএল) নতুন নির্মিত ৪’শ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (ইস্ট) থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে এ ইউনিটটি সিম্পল সাইকেলে (আংশিক শক্তি) পরীক্ষামূলক উৎপাদনে চেষ্টা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। প্রথম ২-১ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হলেও পর্যায়ক্রমে তা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে ইউনিটটি (সিম্পল সাইকেলে নির্ধারিত) পুরোপুরি চালু করা হলে প্রায় ৩’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে নতুন এই ইউনিটটি থেকে জাতীয় গ্রিডে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন থেকে আরও অতিরিক্ত ৩’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হল।

আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে ইউনিটটি কম্বাইন্ড সাইকেলে (পূর্ণ শক্তিতে) চালু হলে ৪’শ থেকে ৪’শ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ। এদিকে এ ইউনিটটি চালু হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির দৈনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে ১৮’শ থেকে ১৯’শ মেগাওয়াট।

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসাবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আশুগঞ্জকে ‘পাওয়ার হাব’ ঘোষণা করে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করে এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ৪৫০ মেগাওয়াটের কম্বাইন সাইকেল (নর্থ ও সাউথ) প্লান্ট দুটি, ২২৫ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্ট ও ২০০ মেগাওয়াটের মডিউলার প্লান্ট ইউনিট নির্মিত এবং চালু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অধিক পুরানো দুটি কম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি (প্রতিটি ৬৪ মেগাওয়াটের ইউনিট জিটি-১.জিটি-২ ও এসটি ইউনিটটি) অপসারণ করে একই প্রায় সমপরিমাণ জ্বালানি (গ্যাস) ব্যবহার করে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ৪‘শ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল (ইস্ট) প্লান্ট নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ।

এপিএসসিএল সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির (একনেক) সভায় ৪‘শ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল (ইস্ট) প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। দরপত্র প্রক্রিয়ায় ২০১৮ সালে ২০ মার্চ সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে চায়না ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন এবং চায়না ন্যাশনাল কর্পোরেশন ফর অভারসিস ইকোনোমিক্স কো-অপারেশন কনস্ট্রাকশন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ১৮০.৩২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অর্থের মধ্যে এডিবি ১০৭.৯২ মিলিয়ন আইডিবি ৮৫ মিলিয়ন ডলার এবং অবশিষ্ট টাকা বাংলাদেশ সরকার প্রদান করার কথা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের মার্চ মাসে চুক্তি স্বাক্ষর করলেও তারা একই বছরে ১৬ জুলাই থেকে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করে। চুক্তি মোতাবেক প্রকল্পটি ডিসেম্বর/২০২০ এ সিম্পল সাইকেলে (আংশিক) ও জুন/২০২১ কম্বাইন্ড সাইকেল (পুরোপুরি ) ৪‘শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা ছিল। কিন্ত প্রথমে প্রকল্প বাস্তবায়নকারি দেশ চীন ও পরে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের বিস্তার ও মহামারি আকার ধারন করায় এ প্রকল্পের কাজে স্থবিরতা নেমে আসে।

তাছাড়া চুক্তি মোতাবেক প্রকল্পের গ্যাস টারবাইন ও স্টিম টারবাইন জার্মানের সিমেন্স কোম্পানি কিছু যন্ত্রপাতি চীন থেকে আসার কথা থাকলেও আর্ন্তজাতিক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় তা বাধাগ্রস্ত হয়। করোনার প্রকোপ কমে গেলে জার্মান থেকে জেনারেটর ও কারিগরি টিম আসলে তা পুনরায় কাজ শুরু করা হলেও জেনারেটরের একটি অংশে ত্রুটি দেখায় পুনঃনির্ধারিত সময়েও উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে জেনারেটর সরবরাহকারি দেশ জার্মানের কারিগরি টিমের সার্বিক তত্ত্বাবাধনে উদ্ভুত সমস্যা সমাধান ও পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গত সোমবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এম. এম সাজ্জাদুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নতুন ইউনিটটি বর্তমানে ৩’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ ইউনিট কম্বাইন্ড সাইকেলে (পুরুদমে) চালু করা সম্ভব হবে। ইউনিটটি পুরোপুরি চালু হলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৪’শ থেকে ৪’শ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। পাশাপাশি পুরোনো দুটি ইউনিট বন্ধ করা হলে অনেক জ্বালানি সাশ্রয় হবে। এই ইউনিটটি পুরোপুরি চালু হলে আশুগঞ্জ থেকে দৈনিক প্রায় ১৯’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে।

   

ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ৬টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সাথে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।

এর আগে, ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটন জানিয়েছে দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপক সহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছি এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান কার্যালয়ে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

এসময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরেছি, এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

একীভূতকরণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

তিনি জানান, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একভূতীকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। তবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূত করা হবে কি না, সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণার পর তালিকায় এসেছে সরকারি-বেসরকারি আরও ডজনখানেকের নাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করেই সুশাসন ফেরানো যাবে না এই খাতে। ব্যবস্থা নিতে হবে দায়ী পরিচালকদের বিরুদ্ধেও।

এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দুর্বল (খারাপ অবস্থা) থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। তার আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।

এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;