দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা হচ্ছে আজ। বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির মত চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করবেন। এটি দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট।

এবারের বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ক-করহার বাড়ানো হয়েছে। এতে কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে। বিশেষ করে ডলারের ঊর্ধ্বগতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এসব পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তাই এবার বাজেটে সবার নজর কোন কোন পণ্যের দাম বাড়ছে আর কোন কোন পণ্যের দাম কমছে।

দেখে নেওয়া যাক কোন পণ্যের দাম বাড়ছে-

বিজ্ঞাপন

দেশীয় পণ্য সুরক্ষায় শুল্ক আরোপে আমদানিকরা স্মার্ট মোবাইল ফোন দাম আরেক দফায় বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সুবিধা পাবে দেশীয় কোম্পানিগুলো।

আমদানিকরা বিলাসী পণ্যের মধ্যে বডি স্প্রে, প্রসাধনী পণ্য, জুস, প্যাকেটজাত খাদ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমদানিতে নতুন করে শুল্ক আরোপ হতে পারে। ফলে দাম বাড়তে পারে এসব পণ্যের।

অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে এবার দাম বৃদ্ধি পেতে পারে তামাকজাত পণ্যের। স্ল্যাব অনুসারে শুল্ক আরোপ হবে। এনবিআর সূত্রানুসারে সিগারেটের নিম্ন স্তরের তিনটি স্ল্যাবে বেশি দাম বাড়তে পারে।

অগ্রিমকর আরোপের কারণে দাম বাড়বে মদ জাতীয় পণ্যের। প্রস্তাবিত বাজেটে মদ আমদানিতে অগ্রিম কর ২০-২৫ শতাংশ বাড়ছে।

দাম বাড়ার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বিলাসবহুল গাড়ি। ৪০০০ সিসির ওপরে বিলাসবহুল রিকন্ডিশন গাড়িতে সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও আগাম কর ও ভ্যাট মিলিয়ে কর প্রায় সাড়ে ৮০০ শতাংশে করভার রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ওই করভার এক হাজার শতাংশ বা তার বেশি হতে পারে বলে জানা গেছে।

শুল্ক বাড়ানোয় আমদানি করা ফ্রিজ ও এসির দাম আরেক দফা বাড়তে পারে। দাম বাড়তে পারে আমদানি করা সব ধরনের বিলাসবহুল হোম অ্যাপ্লায়েন্সেরও।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য মতে, আসন্ন প্রস্তাবিত বাজেট চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটের আকার বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে প্রাধিকার পাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের এবারের বাজেটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভুত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশ কিছু খাত।