অগ্রণী ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কি!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি অগ্রণী ব্যাংক কি বিপদের মুখোমুখি! বড় ঋণ গ্রহীতাদের বেশিরভাগ বেসরকারি খাতের। এই বেসরকারি খাতের কোম্পানীগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপ। এদের ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। দ্বিতীয় হচ্ছে ইউনিক গ্রুপ। এদের পরিমাণ ১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা।

অগ্রণী ব্যাংকের বেসরকারি খাতের ঋণ পরিস্থিতি রোববার প্রকাশ করেছে দৈনিক বণিক বার্তা। প্রথম পাতায় প্রধান শিরোনাম হিসাবে প্রকাশিত এই রিপোর্টে বলা হয়েছে:

দেশের বড় কিছু করপোরেটের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ। ব্যাংকটির বিতরণকৃত মোট ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশই গিয়েছে ৩৬ গ্রাহকের কাছে, যার সিংহভাগই বেসরকারি খাতের। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে সাত ও ২৯টি। এসব বড় গ্রাহকের মধ্যে মূলত বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোর ভালোমন্দ বা সদিচ্ছার ওপরই এখন নির্ভর করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ।

গত বছরের শেষে ব্যাংকটির মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৬ কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে ২৩ হাজার ৭৩ কোটি টাকারও বেশি। এসব কোম্পানির একেকটি ২৮৪ কোটি থেকে শুরু করে ২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংকের ঋণের সবচেয়ে বড় গ্রাহক ওরিয়ন গ্রুপ। ২০২১ সাল শেষে ওরিয়নের কাছে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। ব্যাংকটি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঋণ গিয়েছে ইউনিক গ্রুপের কাছে। গত বছর শেষে এ গ্রুপের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ ছিল ১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে এ নিট স্পিন লিমিটেড। কোম্পানিটি অগ্রণী ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।

ঋণের অন্য বড় গ্রাহকদের মধ্যে ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে জাকিয়া গ্রুপের কাছে। এছাড়া জজ ভূঞা গ্রুপের কাছে ৯২৯ কোটি, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের কাছে ৯০০ কোটি, থার্মেক্স গ্রুপের কাছে ৭৬৯ কোটি, তানাকা গ্রুপের কাছে ৭৩৭ কোটি, ম্যাগপাই গ্রুপের কাছে ৭৩০ কোটি ও নাইস স্পান মিলস লিমিটেডের কাছে ৬৮৩ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের। এসব গ্রাহক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির শীর্ষ ১০ ঋণগ্রহীতা হিসেবে স্বীকৃত।

বড়দের কাছে ঋণ কেন্দ্রীভূত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, বড় ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু রীতিনীতি আছে। সেসব রীতিনীতি মেনেই আমরা বড় গ্রহকদের ঋণ দিয়েছি। তবে অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ বড়দের কাছে কেন্দ্রীভূত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি স্বীকার করছি। যেকোনো ব্যাংকের ক্ষেত্রেই এ ধরনের ঋণ কিছুটা ঝুঁকি তৈরি করে। আশার কথা হলো অগ্রণী ব্যাংকের বড় গ্রহকদের ঋণ নিয়মিত আছে। যেসব ঋণ এরই মধ্যে বিতরণ হয়ে গিয়েছে, সেগুলো আদায়ে জোর দেয়া হচ্ছে।

জায়েদ বখত বলেন, সম্প্রতি বড়দের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিধিনিষেধ মেনে বড়দের ঋণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছি। ঋণের ঝুঁকি কমাতে আমরা সিন্ডিকেশনের পদ্ধতিতে বড় ঋণ বিতরণ করছি। পাশাপাশি এসএমই খাতে ঋণ বিতরণে জোর দেয়া হচ্ছে।

অগ্রণী ব্যাংকের সরকারি-বেসরকারি বড় ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে আরো রয়েছে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (৬৬২ কোটি টাকা), প্যাসিফিক গ্রুপ (৬৫৮ কোটি), যমুনা গ্রুপ (৬৩০ কোটি), প্রাইম গ্রুপ (৬০৮ কোটি), ঢাকা হাইড অ্যান্ড স্কিন্স লিমিটেড (৫৬৬ কোটি), নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন (৫৫৩ কোটি), প্যারামাউন্ট বিট্র্যাক এনার্জি লিমিটেড (৫৩১ কোটি), নোমান গ্রুপ (৫২৭ কোটি), মুন গ্রুপ (৫২১ কোটি), বসুন্ধরা গ্রুপ (৫১৪ কোটি), বিএসআরএম স্টিল (৫১১ কোটি), নোমান উইভিং মিলস লিমিটেড (৫১১ কোটি), বেক্সিমকো গ্রুপ (৫০৯ কোটি), সোনালী গ্রুপ (৫০৩ কোটি), বাংলাদেশ সুগার অ্যান্ড ফুড অর্গানাইজেশন (৪৯০ কোটি), আরপিসিএল (৪৬৭ কোটি), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (৪৪০ কোটি), সিকদার গ্রুপ (৪৪০ কোটি), অগ্রণী ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (৪০১ কোটি), অ্যারিস্টোক্র্যাট গ্রুপ (৩৯৪ কোটি), নিটল মটরস লিমিটেড (৩৪৩ কোটি), আবদুল মোনেম লিমিটেড (৩০৯ কোটি), লাবিব গ্রুপ (৩০১ কোটি), প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ (২৯২ কোটি), সাদ মুসা ফ্যাব্রিকস লিমিটেড (২৮৫ কোটি) ও সিটি গ্রুপ (২৮৪ কোটি টাকা)। অগ্রণী ব্যাংকের এ শীর্ষ ৩৬ গ্রাহকের মধ্যে সাতটি কোম্পানি সরকারি খাতের। এসব কোম্পানির কাছে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।

অগ্রণী ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সাল শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। এ ঋণের ৩২ দশমিক ২৮ শতাংশই বিতরণ করা হয়েছে একটিমাত্র শাখা থেকে। অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নিচে অবস্থিত প্রিন্সিপাল শাখা থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ২৯৮ কোটি টাকার ঋণ। অভিযোগ রয়েছে, শাখাটিকে ঘিরে অনিয়ম-দুর্নীতির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ব্যাংকটির প্রায় সব বড় গ্রাহকই প্রিন্সিপাল শাখা থেকে ঋণ নিয়েছেন।

২০২১ সাল শেষে অগ্রণী ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশ গিয়েছে মাত্র ৩৬ গ্রাহকের কাছে। তবে আগের বছর বড় এসব গ্রাহকের কাছে ঋণ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ার হার ছিল আরো বেশি। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৫১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এ ঋণের অর্ধেকের বেশি তথা ২৬ হাজার ৬১৯ কোটি টাকাই পেয়েছিল মাত্র ৩৬ গ্রাহক। বড় কয়েকটি করপোরেটের ঋণ কিছুটা কমে আসায় গত বছর কেন্দ্রীভূত ঋণের পরিমাণ কমেছে।

২০১৬ সাল থেকে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছেন শামস-উল ইসলাম। প্রথম মেয়াদে তিন বছরের দায়িত্ব পালন শেষ হলে ২০১৯ সালে তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে এমডি নিয়োগ দেয়া হয়। আগামী আগস্টে এমডি পদে তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংক কোম্পানিতে নির্ধারিত এমডি পদের বয়সসীমা ৬৫ পূর্ণ হবে শামস-উল ইসলামের। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শামস-উল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শামস-উল ইসলাম অগ্রণী ব্যাংকের এমডি পদে দায়িত্ব নেয়ার সময় ২০১৬ সালে অগ্রণী ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকার বেশি এমন ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ১৩। এসব গ্রাহকের কাছে ব্যাংকটির মোট ঋণের পরিমাণ সীমাবদ্ধ ছিল ৬ হাজার ১১২ কোটি টাকায়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯২৯ কোটি টাকা ঋণ ছিল ওরিয়ন গ্রুপের। কিন্তু গত পাঁচ বছরে অগ্রণী ব্যাংকের মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি ঋণ নেয়া বড় গ্রাহকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে বড় গ্রাহকদের কাছে ব্যাংকের কেন্দ্রীভূত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে চার গুণ।

গত পাঁচ বছরে অগ্রণী ব্যাংকের আমানত, বিতরণকৃত ঋণসহ ব্যবসায়িক পরিধিও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু এ সময়ে ব্যাংকটির আর্থিক স্বাস্থ্য সুদৃঢ় না হয়ে আরো ভঙ্গুর হয়েছে। ২০২১ সালে সুদ খাতে ব্যাংকটি লোকসান দিয়েছে ৭৪৪ কোটি টাকা। গত বছর অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২১ সাল শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৯২ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। খেলাপি ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত সঞ্চিতিও রাখতে পারেনি অগ্রণী ব্যাংক। ২০২১ সাল শেষে ৪ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা সঞ্চিতি ঘাটতি ছিল ব্যাংকটির।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;