ইউএইতে ট্রেড সেন্টার স্থাপন করবে এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইউএইতে ট্রেড সেন্টার স্থাপন করবে এফবিসিসিআই

ইউএইতে ট্রেড সেন্টার স্থাপন করবে এফবিসিসিআই

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এবার দেশটির রাজধানী দুবাইতে ট্রেড সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছে এফবিসিসিআই।

এ লক্ষ্যে শুক্রবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (বিবিসি) অব দুবাই ও এফবিসিসিআই’র মধ্যে সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী দুবাইতে এফবিসিসিআই ট্রেড সেন্টার স্থাপনে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বিবিসি-দুবাই। ট্রেড সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে ইউএইতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের কার্যক্রম হাতে নেবে এফবিসিসিআই।

দুবাইকে হাব হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ব্যবসায়ীক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করবে এফবিসিসিআইয়ের ট্রেড সেন্টার। বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী আমিরাতের ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সহযোগিতা করবে এই ট্রেড সেন্টার।

এফবিসিসিআই’র পক্ষে সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও বিবিসি-দুবাই এর পক্ষে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মেদ মাহতাবুর রহমান সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মোঃ হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক এম.জি.আর নাসির মজুমদার, মোহাম্মেদ বজলুর রহমান ও মোঃ নিজাম উদ্দিন।

   

আগাম ডলার বুকিং, দাম ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগাম (ফরওয়ার্ড রেট) ডলার বেচাকেনায় নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকগুলো ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করতে পারবে না। এখন থেকে ডলারের আগাম বেচাকেনার ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া দামের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১২.১৪ শতাংশ বার্ষিক ভিত্তিতে দাম বাড়ানো যাবে। কোনোক্রমেই এর বেশি বাড়ানো যাবে না। ফলে আগাম বিক্রির ক্ষেত্রে এক বছর মেয়াদে প্রতি ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা। ছয় মাস মেয়াদে প্রতি ডলারের আগাম দাম হবে সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা ৬৮ পয়সা। বর্তমানে প্রতি ডলারের বেঁধে দেওয়া দর সর্বোচ্চ ১১০ টাকা।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

জানা গেছে, বাজারে সংকট থাকায় আমদানির এলসি খোলার জন্য চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে আমদানিকারকরা এলসি খোলার জন্য আগাম ডলার কিনে রাখছেন। অনেকে আগে এলসি খুললেও এখন দেনা শোধের জন্য আগাম ডলার কিনছেন। যে কারণে বাজারে আগাম ডলারের চাহিদা বেড়েছে। এতে দামও বাড়ছে। বর্তমানে করপোরেট ডিলিংয়ের আওতায় আগাম ডলার ১২২ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন মেয়াদি ডলার ১১৪ থেকে ১২৫ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। এ কারণেই আগাম ডলার বাজারে শৃঙ্খলা আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন দর বেঁধে দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, আগাম ডলার বেচাকেনার দাম নির্ধারিত হবে ছয় মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারের সঙ্গে। প্রতিমাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সুদের হার ঘোষণা করছে। বর্তমানে ছয় মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হার ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ যোগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

ফলে আগাম ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো প্রিমিয়াম হিসাবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ যোগ করতে পারবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) আমদানিতে প্রতি ডলারের বেঁধে দেওয়া দর হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা। নতুন নিয়মে আগাম বেচাকেনার ক্ষেত্রে এক বছর মেয়াদে এর সঙ্গে আরও ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ প্রিমিয়াম যোগ করা যাবে। এ হিসাবে এক বছর মেয়াদে আগাম ডলার বেচাকেনার দর হবে সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা। একই সঙ্গে ছয় মেয়াদের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৬ টাকা ৬৮ পয়সা।

;

রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাটা পড়েছে বিদেশ থেকে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ে। গত আগস্টের মতো চলতি সেপ্টেম্বরেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৪৮ কোটি ডলার, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ১১ কোটি ডলার কম। আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেশে এসেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং আগস্টে প্রবাসী আয় আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।

১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ও রফতানিকারকরা এক ডলারের বিপরীতে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১১০ টাকার বিপরীতে পাওয়া যায় এক ডলার। কিন্তু কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের অন্তত সাত-আট টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে।

;

‘নিরাপত্তা মানেই হচ্ছে ব্যবসা’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার

হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তায় কাঁদামাটিতে সিলিন্ডার রাখা দীর্ঘ মেয়াদের জন্য খুবই বিপদজ্জনক। দূর্ঘটনা রোধে এলপিজি সিলিন্ডারে প্রেসার রেগুলেটিং ভাল্ব স্থাপন জরুরি। অনেক দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রযুক্তি।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইপিবি অডিটরিয়ামে “হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার” শীর্ষক সেমিনার এমন সুপারিশ উঠে এসেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আমিন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী। তিনি বলেন, সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে বিইআরসি নির্ধারিত নিরাপত্তা নির্দেশিকা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। সিলিন্ডারের গায়ে ওয়ার্কিং ও টেস্টিং প্রেসার উল্লেখ বাধ্যতামুলক হলেও থাকছে না। সিলিন্ডারে ভাল্ব ও রেগুলেটর ব্যবহার হচ্ছে অনুমোদনহীন। কিছু প্রযুক্তি এসেছে বিএসটিআই এর অনুমোদন নেই, তবুও বাজারে চলছে। এগুলো মার্কেটে আনা উচিত হয় নি।

তিনি বলেন, আধুনিক মানেই নিরাপদ নয়। উন্নত বিশ্ব নতুন প্রযুক্তি এলে তার ভালো দিকগুলো বেশি বেশি প্রচার করে, খারাপ দিকগুলো বলে না। আমরা দেখেছি গ্যাস্টিকের ওষুধ খেয়ে মানুষকে ক্যান্সারের আক্রান্ত হতে।

বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, কোন কিছু করতে গেলে অনেক জায়গা থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু দূর্ঘটনার পর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না। সেভাবে কোন অথরিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় নি। ব্যবসা লাভজনক না হলে, নিরাপদ না হলে দীর্ঘমেয়াদে টিকতে পারবে না। যে কারণে নিরাপত্তা মানেই হচ্ছে ব্যবসা।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক (ঢাকা) সালেহ উদ্দিন বলেন, দিন শেষে সকল দায় ফায়ার সার্ভিসের উপর পড়ে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই অবহেলা করা হয়। গার্মেন্টে জিএম কমপ্ল্যায়েন্স বেতন পান ১ লাখ টাকা, আর প্রোডাকশনের জিএম পান ৩ লাখ টাকা।

সেমিনার রুমটির (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যূরো) ত্রুটির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, বড় এই হল রুমে, দরজা মাত্র একটি। কোন কারণে ওই দরজা বন্ধ হয়ে গেলে লোকজন বের হবে কোন দিক দিয়ে তার কোন ব্যবস্থা নেই। ভবন তৈরির সময় এসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।

ওমেরা পেট্রোলিয়ামের হেড অব হেলথ্ সেফটি এনভায়রনমেন্ট এন্ড কোয়ালিটি দাউদুর রহমান খান বলেন, হোটেল রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডার রাস্তার পাশে কাদামাটিতে রাখা হয়। এতে দীর্ঘ মেয়াদে সিলিন্ডারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বহুতল ভবনের সিঁড়ির নিচে কিংবা স্টোররুমে সিলিন্ডার স্টোরেজ করা হচ্ছে। যেখানে পর‌্যন্ত বাতাস প্রবেশের কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আগুণ নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা নেই। এলপি গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারি তাই লিকেজ হলে নিচে জমা হয়। আর আগুণের স্পর্শে এলে বিস্ফোরিত হয়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ক্রস ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা থাকা উচিত। মেঝের লেভেলে হাওয়া বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা গেলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিনি বলেন, ২০০৯ সালে এলপি গ্যাসের চাহিদা ছিল ৪৭হাজার টন, এখন ১৪ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। চাহিদা ২০ থেকে ২২ গুণ বেড়ে গেছে, ভবিষ্যতে এটা দ্বিগুণ হবে। এটার যুগপোযোগি নীতিমালা জরুরি। আরও আধুনিক নীতিমালা করা দরকার। সিলিন্ডার লিকের কারনে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহনে কিভাবে, কোথায় ব্যবহৃত হবে তার একটি গাইডলাইন থাকা দরকার। যত্রতত্র যাতে না বসতে পারে, তার জন্য নীতিমালা থাকা উচিত। আমাদের দেশ উন্নয়ন হচ্ছে, এখন এসব বিষয়ে দেখা দরকার। ভবিষ্যতে কোথায় কিভাবে গ্যাস দিবো তার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর দেখছি, যে কারণে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। যারা ব্যবসা করছেন সবকিছুর দিকে যেনো নজর দেন। অটোগ্যাস স্টেশন থেকে সিলিন্ডারে গ্যাস নিচ্ছে এটি কোনভাবেই কাম্য নয়।

এলপিজির দর প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সঙ্গে মিটিং করেই প্রতি মাসে দর ঘোষণা করা হচ্ছে। দর মেনে চলা উচিত। আপনাদের অনেক ইস্যু আমরা দেখেছি, একসঙ্গে সবকিছু করা সম্ভব না। ভোক্তাদের দিকটাও দেখতে হবে। বিইআরসি যেহেতু লাইসেন্স দিয়েছে, সে কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল করারও সুযোগ রয়েছে। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নুরুল আলম বলেন, আবাসিকে আর নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব না। পাইপলাইনের গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলপিজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিইআরসির সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তাই প্রথম বলা হয়, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হয়। যা মোটেই কাম্য নয়। যারা বাজারজাত করছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অল্প বলে এড়িয়ে চলার ‍সুযোগ নেই। একটি দুর্ঘটনাও অবহেলা করার সুযোগ নেই।

বিইআরসি সদস্য ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মোঃ আমিনুর রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মোঃ খলিলুর রহমান খান, জেএমআই এলপিজির জিএম (টেকনিক্যাল অপরেশন) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, এলপিজি পরিবেশক এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

;

আরও ৮ পোশাক কারখানার ৩৬ হাজার কর্মী বেতন পাবেন বিকাশে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরও ৮ পোশাক কারখানার ৩৬ হাজার কর্মী বেতন পাবেন বিকাশে

আরও ৮ পোশাক কারখানার ৩৬ হাজার কর্মী বেতন পাবেন বিকাশে

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শীর্ষস্থানীয় আরো আটটি তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বিতরণ করবে বিকাশ-এর পে-রোল সল্যুশন-এর মাধ্যমে। এ নিয়ে দেশের পোশাক শিল্পের ১,১০০-টিরও বেশী কারখানার ১০ লাখের বেশি কর্মী ও শ্রমিকের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে বিকাশ-এর ডিজিটাল পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করে।

সম্প্রতি বিকাশ-এর প্রধান কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিকাশ-এর চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোয়াজুদ্দিন গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল নোমান, টার্গেট গ্রুপের গ্রুপ অ্যাডভাইসর আব্দুল হক, জামালউদ্দিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জামাল উদ্দিন মিয়া, শাহানা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ মোঃ মিজানুর রহমান অপু এবং ব্রিটানিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিল আহমেদ, প্যাট্রিয়ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুল হক খান এবং হ্যামস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সফিকুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন বিকাশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ এবং চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার মাহফুজ সাদিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত পে-রোল সল্যুশন ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষকে এখন আর ক্যাশ টাকা বহনের খরচ ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয়না, নষ্ট হয়না মূল্যবান কর্মঘন্টা, এছাড়াও বেতন দেওয়ার সময় খুচরা ও নকল টাকার ঝামেলাও এড়ানো যাচ্ছে, বেতন বিতরণ ব্যবস্থাপনা হয়েছে আরো সহজ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক।

কর্মীরা এখন বিকাশে পাওয়া বেতন ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ব্যবহার করে তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করার সুযোগ পাচ্ছেন। শ্রমিকরা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই নিতে পারছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ন্যানো লোন, সেভিংস, বীমা সহ আরো বহু আর্থিক সেবা।

শুধুমাত্র ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতনই নয়, এ খাতের কর্মীদের জন্য একটি টেকসই আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। এর অংশ হিসেবে বেশকিছু কারখানার ভেতরেই ন্যায্য মূল্যের দোকান ‘সুলভ বাজার’ ও ‘আপন বাজার’ স্থাপন করেছে বিকাশ, যেখানে শ্রমিকরা বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া, নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন কারখানায় অটোমেটিক স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে বিকাশ।

পাশাপাশি, আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শ্রমিকদের আরো সচেতন করতে কারখানা প্রাঙ্গণে এমএফএস-এর নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে আসছে বিকাশ। শ্রমঘন এলাকায় আছে বিকাশের বিশেষ গ্রাহক সেবাকেন্দ্র, কারখানার ফটকের পাশে এবং শ্রমিকদের আবাসস্থলের কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে এজেন্ট পয়েন্ট এবং গড়ে তোলা হচ্ছে মার্চেন্ট অবকাঠামো।

;