কাদিয়ানিদের অর্থায়নকারী প্রাণ-আরএফএলের পণ্য বর্জনের আহবান ১০১ আলেমের



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রাণ-আরএফএলের

প্রাণ-আরএফএলের

  • Font increase
  • Font Decrease

কাদিয়ানিদের পৃষ্ঠপোষক ও অর্থায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএলের উৎপাদিত যাবতীয় পণ্য বয়কটের আহবান জানিয়েছেন দেশের ১০১ আলেম।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে মাওলানা মো. নাজমুল হকের পাঠানো ১০১ আলেমের বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ ডিসেম্বর কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকীতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে তারা কাদিয়ানিদের পৃষ্ঠপোষক, অর্থায়নকারী। সুতরাং তাদের মালিকানাধীন প্রাণ-আরএফএলের পণ্য মুসলমানদের বর্জন করতে হবে।

১০১ আলেমের নাম সম্বলিত সম্মিলিত বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ যে কাদিয়ানি মালিকানাধীন- তা দেশের অধিকাংশ মুসলমান জানেন না। যেহেতেু কাদিয়ানিরা শেষ নবী হিসেবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মানে না, তাই তারা কাফের। সুতরাং কাদিয়ানিদের অর্থায়নকারী ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে প্রাণ-আর এফএলের পণ্য বর্জন করতে হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রাণ-আরএফএল-এর উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানও ঠিক নেই। এমনকি তা জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বিএসটিআই গুণগত মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করতে না পারায় যে ৩১ কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের সিএম লাইসেন্স বাতিল করে, ওই তালিকায় প্রাণের ৮টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রাণের কথিত কোমল পানীয়, জুস, মসলার গুণগত মান ঠিক নেই। এসব জনস্বাস্থ্যের জন্যও নিরাপদ নয়। প্রাণের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্য প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু প্রচার-প্রসারে শীর্ষে রয়েছে কাদিয়ানিদের এ প্রতিষ্ঠান।

প্রাণ-আরএফএল সেন্টার

প্রাণ-আরএফএল-এর পণ্যের জন্য বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার নিয়ে আলেমরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলেন, প্রাণের পণ্যে ইঁদুরের বিষ্ঠা পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইতালি। প্রাণের পণ্যে ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ ভাইরাস (খুরারোগ) ও পোকামাকড়ের উপস্থিতি থাকায় ২০১৪ সালের শেষের দিকে কানাডা থেকে ফেরত আসে। ফলে প্রশ্নে মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের, বিষয়টি দেশের জন্যও লজ্জার। বিগত অর্থবছরসমূহে প্রায় ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে কোম্পানিটি।

বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, তিন দশকের বেশি সময় ধরে দেশে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য বাজারজাত করছে প্রাণ। তবে নানা সময় তাদের উৎপাদিত পণ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর ভাইরাস পাওয়া গেছে। ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পণ্য উৎপাদন করে প্রাণ গ্রুপ দেশ-বিদেশের ভোক্তাদের ধোঁকা দিচ্ছে। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।’

পৃথিবীর প্রায় মুসলিম প্রধান দেশেই কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে তারা মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী নানা কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিয়ে ইসলামি পরিভাষাসমূহ ব্যবহার করছে, তাতে এদেশের মুসলমানরা ক্ষুব্ধ। এদেশের নবীপ্রেমিক তওহিদি জনতা কোনোভাবেই বরদাশত করবে না- বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আলেমরা।

আলেমরা বিবৃতিতে আরও বলেন, সমপর্যায়ের মানগত অন্য পণ্য বাজারে বিদ্যমান থাকাবস্থায় প্রাণ-আরএফএল-এর মালিকানাধীন কোম্পানির পণ্য ব্যবহার ও ক্রয় জায়েজ নয়। যেহেতু এটা প্রমাণিত যে, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মালিক বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের অর্থ যোগানদাতা। আর কাদিয়ানিরা মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির পণ্য ক্রয় করা জায়েজ নয়।

বিভিন্ন মিডিয়ায় কাদিয়ানিদের ‘কাদিয়ানি মুসলিম’ কিংবা ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ বলে সম্বোধন না করে সরাসরি ‘কাদিয়ানি জামাত’ সম্বোধন করারও আহ্বান জানান আলেমরা। তারা বলেন, কাদিয়ানিদের মুসলিম বলার কোনো সুযোগ নেই। ইসলামে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম পালনে বাধা প্রদান করা হয় না- যদি তারা ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতি না করে। কিন্তু ইসলামের নামে কেউ যদি অপপ্রচার চালায় এবং ইসলামের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে, সেটা সমর্থন করে না। কাদিয়ানিরা সেটা করছে, তাই মুসলমানরা কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানায়।

বকশিকাজারে কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান, ছবি: সংগৃহীত

বিবৃতিদাতা আলেমরা হলেন- মাওলানা মাহমুদুল হাসান মমতাজী (তেজগাঁও), মাওলানা মো. নাজমুল হক (উত্তরা), মাওলানা মানছুরুল হক (তেজগাঁও), মুফতি অহিদুল আলম (উত্তরা), মাওলানা এহসান উল্লাহ (উত্তরা), মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম (টঙ্গী), মাওলানা কারামাত আলী (টঙ্গী), মুফতি এনায়েতুল্লাহ (টঙ্গী), মুফতি মাসুম আহমাদ (বনানী), মাওলানা শফিকুল ইসলাম (বনানী), মুফতি আবদুর রহীম কাসেমী (আমিন বাজার), মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী (খিলগাঁও), মুফতি আবদুর রাজ্জাক কাসেমী (মোহাম্মদপুর), মাওলানা আবু জাফর কাসেমী (আশুলিয়া), মাওলানা আলী হোসেন (তেজগাঁও), মাওলানা ইব্রাহীম (তেজগাঁও), মাওলানা ইউসুফ (তেজগাঁও), মাওলানা খালেদ (বাড্ডা), মাওলানা সালমান (তেজগাঁও), মাওলানা ওমর (গুলশান), মাওলানা এইচ.এম মোতাহার উদ্দীন (কলাবাগান), মাওলানা আবদুল্লাহ (কলাবাগান), মাওলানা নাজির মাহমুদ (শাহবাগ), মাওলানা লিয়াকত হোসেন (সোবহানবাগ), মাওলানা গোলাম মোস্তফা (রাজাবাজার), মাওলানা আতাউল্লাহ (ধানমন্ডি), মাওলানা আবদুল্লাহ ইদ্রিস (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা ইয়াকুব (যাত্রাবাড়ী), মুফতি নুরুল্লাহ নূরানী (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা মুখলিসুর রহমান কাসেমী (ডেমরা), মাওলানা আবুল বাশার (কাজলারপাড়), হাফেজ নজরূল ইসলাম (কাজলারপাড়), মুফতি বোরহান উদ্দীন (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা সাখাওয়াত (মিরপুর), মাওলানা আবদুল্লাহ ফিরোজী (মিরপুর), মাওলানা মাসুদুর রহমান (মোহাম্মদপুর), মুফতি নূরুজ্জামান (মোহাম্মদপুর), মাওলানা আফজাল (মোহাম্মদপুর), মাওলানা মাহফুজুর রহমান (মোহাম্মদপুর), মাওলানা ফিরোজ হোসেন (ধানমন্ডি), মাওলানা ইকবাল (ধানমন্ডি), মুফতি রফিকুন্নবী (রায়ের বাজার), মাওলানা কারামাত আলী (মিরপুর), মাওলানা আবদুল বাতেন (বনানী), মাওলানা ওবায়দুর রহমান (বনানী), মাওলানা মতিয়ার রহমান (তুরাগ), মাওলানা ওমর ফারূক (তুরাগ), মাওলানা কাউসার আলী (তুরাগ), মুফতি মিরাজুল ইসলাম (উত্তরা), মুফতি ইলিয়াছ (দক্ষিণখান), মাওলানা আনোয়ারুল হক (গুলশান), মাওলানা নাইমুর রহমান (রামপুরা), মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ (খিলগাঁও), মাওলানা জাকির হোসেন (আগারগাঁও), মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ (শ্যামলী), মাওলানা সাখায়াতুল্লাহ (সবুজবাগ), মাওলানা মাসীহুল্লা (গ্রীণরোড), মাওলানা ইয়াকুব (টঙ্গী), মাওলানা ইব্রাহীম (টঙ্গী), মাওলানা আবু বকর আবু আলী (টঙ্গী), মাওলান আহসান হাবীব (লালবাগ), মাওলানা আবুল হাসান (কামরাঙ্গীর চর), মুফতি আবদুল হাফীজ (কামরাঙ্গীর চর), মুফতি ইয়াকুব (কামরাঙ্গীর চর), মুফতি জাফর (কামরাঙ্গীর চর), মাওলানা শফিকুল ইসলাম ( কামরাঙ্গীর চর), মাওলানা কাওছার (মোহাম্মদপুর), মাওলানা মুহসিনুর রহমান (বছিলা), মাওলানা জাফর (ঢালকানগর), মাওলানা ফজলে এলাহী (ধানমন্ডি), মাওলানা আশিকুর রহমান (উত্তরা), মুফতি শফী আহমদ (তুরাগ), মাওলানা মোছাদ্দেক (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা আতিকুর রহমান (পল্টন), হাফেজ ঝিন্নাত আলী (মিরপুর), মাওলানা ইলিয়াছুর রহমান (মিরপুর), মাওলানা কাবিল আহমদ (মিরপুর) ড. মহিবুল্লাহ (উত্তরা), ড. শাহাদাত হোসেন (উত্তরা), মাওলানা জাকির হোসেন (উত্তরা), মাওলান সিরাজ হোসেন (তুরাগ), মাওলানা আবু হানিফ (তেজগাঁও), মাওলানা ওয়াজেদ আলী (বনানী), হাফেজ হাবিবুর রহমান (তুরাগ), মাওলানা আবুল হাছান (উত্তরা), মাওলানা শফিকুল ইসলাম (উত্তরখান), মাওলানা আবুল খায়ের (রামপুরা), মাওলান হাফিজুর রহমান ( তেজগাঁও), মাওলানা কামরুজ্জামান (বেইলি রোড), মাওলানা আবদুল কাইয়ুম (পল্টন), মাওলানা ছালামতউল্লাহ (টিকাটুলি), মাওলানা নাজমুল হাসান (যাত্রাবাড়ী), মাওলানা আবু হানিফ (ধানমন্ডি), মাওলানা রেজাউল করীম (মিরপুর), মাওলানা ইব্রাহীম বিন আলী (মহাখালী), মাওলানা রোকন (তেজগাঁও), মাওলানা আবদুল কুদ্দুস (বাড্ডা), মাওলানা সরোয়ার (বাবর রোড) ও ,মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন (মিরপুর)।

উল্লেখ্য, শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার বকশীবাজার কাদিয়ানি উপাসনালয়ের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির সিইও আহসান খান চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে উত্থাপিত অভিযোগ স্পষ্ট হয়ে যায় যে, প্রাণ-আরএফএল-এর সিইও কাদিয়ানি। তাই ১০১ আলেম বিবৃতি দিয়ে কাদিয়ানিদের অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল-এর উৎপাদিত যাবতীয় পণ্য বর্জন ও বয়কটের আহ্বান জানান।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;