মধুমতি-নবগঙ্গা নদীর ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নেই



শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নড়াইল
নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে অনেক এলাকা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে অনেক এলাকা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলের মধুমতি-নবগঙ্গা নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে পাড় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। একই সঙ্গে পানি বেড়েছে নদীতে। ফলে মধুমতি-নবগঙ্গার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি নড়াইলের লোহাগড়া মধুমতি নদীর ঘাঘা, মল্লিকপুর, শিয়েরবর, মাকড়াইল, কালিয়ার নবগঙ্গা নদীর করগাতি, ছোট কালিয়া, শুক্তগ্রামসহ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। শুক্তগ্রাম এলাকার বাজার এলাকায় নবগঙ্গা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। হঠাৎ ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘরসহ ফসলি জমি। ভাঙন অব্যহত থাকলেও তা রোধে দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কালিয়া উপজেলার শতাধিক বাসিন্দা। ভাঙন আতঙ্কে ঘর-বাড়ি ভেঙে নিরাপদে যাচ্ছেন অনেকে।

মধুমতি-নবগঙ্গা নদীর ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নেই
নদী ভাঙনের কারণে ঘর বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

শিয়েরবর এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙন এ এলাকার নিত্য দিনের ঘটনা। প্রতিবছরই নদী ভাঙন হলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। গত বছরেও নবগঙ্গার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়েছে শুক্তগ্রাম এলাকার পালপাড়া, আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ কয়েক হাজার একর জমি। প্রতিনিয়ত ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নবগঙ্গা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ।

শুক্তগ্রামের বাসিন্দা ইলিয়াস আলী জানান, গত ৩৫ বছরে নবগঙ্গা নদীতে এমন পানি দেখেননি। এই পানি বাড়ার কারণে তাদের বাড়িটি এক রাতেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এখন যে বালির বস্তা ফেলছে তা নদীতে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে কোনও কাজে আসছে না।

মধুমতি-নবগঙ্গা নদীর ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নেই
নদীর ভাঙনে ভেঙে যাচ্ছে নদীর পাড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুল জানান, এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এবারের নদী ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই ভাঙন ঠেকানো যাবে।

লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান তসরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমার ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতিগ্রস্তরা বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। নদী ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা কোনও কাজে আসছে না। নদীর বাঁধ রক্ষায় অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের নামে প্রতিবছরই হরিলুট চলে। কাজের কাজ কিছুই হয় না।‘

মধুমতি-নবগঙ্গা নদীর ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নেই
ঘর বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

তিনি আরও বলেন, ‘নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হলেও কোনও সহযোগিতা করা হয়নি।’

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ তালুকদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘পদ্মায় পানির চাপ থাকায় আমাদের নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

মধুমতি-নবগঙ্গা নদীর ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নেই
অসহায় গ্রামবাসী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা নদী ভাঙনের বিষয়টি স্বীকার করে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সাত শতাধিক ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;