চাকরির ৯ বছর পর ধরা পড়ল সনদ জাল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পাবনা
জাল সনদধারী শিক্ষক নাজনীন নাহার ছবি: সংগৃহীত

জাল সনদধারী শিক্ষক নাজনীন নাহার ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’র (এনটিআরসিএ) সনদ জাল করে ৯ বছর বাংলা বিষয়ে প্রভাষক পদে চাকরি করার পর ধরা পড়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক নাজনীন নাহার। এনটিআরসিএ জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার নির্দেশনা দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের স্বামী ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে ২০১০ সালে প্রভাষক নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ের প্রভাষক পদে আবেদন করেন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গেলে নিয়োগ বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের এনটিআরসির নিবন্ধন সনদ জাল সন্দেহ হলে তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাই বাচ্চু প্রভাব খাটিয়ে তার স্ত্রীকে পরীক্ষায় বসানোর ব্যবস্থা করেন।

অভিযোগ উঠে, ওই সময়ে এ আওয়ামী লীগ নেতা কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ও নিয়োগ বোর্ডকে অনৈতিকভাবে ম্যানেজ করেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় নিয়োগ বোর্ড শিক্ষক নিবন্ধন জাল সনদেই নিয়োগ দেন নাজনীন নাহারকে।

একটি সূত্র জানায়, জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে নিয়োগ দেওয়ার সময় কলেজের সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সে সময়ে নিয়োগ বোর্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়োগকৃত নাজনীন নাহারের নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য পরামর্শ দেয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তার নিবন্ধন সনদ যাচাই বাছাই না করায় তিনি বহাল তবিয়তে ৯ বছর ধরে চাকরি করে আসছিলেন।

অপর একটি সূত্র জানায়, প্রভাষক পদে নিয়োগ পাওয়া নাজনীন নাহারের এমপিওভুক্তির সময় তার নিবন্ধন সার্টিফিকেট যে জাল সেটা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শাখায় ধরা পড়ে। সেখানেও অনৈতিক পন্থায় সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ম্যানেজ করে এমপিওভুক্ত করানো হয়। ওই প্রভাষকের সনদ জাল এটি কলেজের বিভিন্ন সময়ের সরকারি অডিটে (নিরীক্ষা) উঠে আসলেও বারংবার ঘুষ দিয়ে তিনি এমপিও বহাল রাখেন। গেল ৯ বছরে জাল সনদে তিনি সরকারের ২৩ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা আসার পর শুরু হয় শিক্ষকদের সনদসহ প্রয়োজনীয় ফাইল যাচাইবাছাই। গেল বছরের ১২ আগস্ট সরকারিকরণ জিও (গভর্নমেন্ট অর্ডার) জারির পর এনটিআরসিএ ১ম থেকে ৫ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিবন্ধন যাচাইয়ের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করে। সে সময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়োগপ্রাপ্ত ১৭ শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ এনটিআরসিএ ’র কাছে পাঠায়। যাচাই বাছাই শেষে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নাজনীন নাহারের নিবন্ধন সনদ জাল বলে সংশ্লিষ্ট কলেজে চিঠি পাঠায়। একই কপি ভাঙ্গুড়া থানায় পাঠিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নাজনীন নাহারের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সনদটি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য গত সপ্তাহে ঢাকার বিভিন্ন অফিসে খোঁজ খবর নিয়ে জাল সনদের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। অথচ তিনি অজ্ঞাত কারণেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায় তিন সপ্তাহেও কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জনমনে দেখা দিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, দুর্নীতি শুরুতেই করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশ্রয়ে এবং নিয়োগ বোর্ডকে আর্থিক ম্যানেজ করে জাল সার্টিফিকেট ধারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা চরম অন্যায়ের সামিল। প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণেই এবং অনাকাংখিত ঝামেলা এড়াতে আমরা কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি। তাদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষকসহ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত প্রত্যেকের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।

এনটিআরসিএ’র প্রতিবেদনে জাল সনদধারী শিক্ষক নাজনীন নাহারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ধরেননি।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অধ্যক্ষ শহীদুজ্জামান অনৈতিক ভাবে জাল সনদের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ১ম থেকে ৫ম পর্যন্ত এনটিআরসিএ’র সনদ পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। পরবর্তীতে শিক্ষক নাজনীন নাহারের নিবন্ধন সনদ জাল এমন প্রতিবেদন আসার সাথে সাথেই তাকে নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কলেজ আর না এসে নিজে থেকেই অব্যাহতিপত্র কলেজে পাঠিয়েছেন।

অধ্যক্ষ আরো বলেন, ডিজি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের পরামর্শ মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কলেজের সভাপতি ভাঙ্গুড়া ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, জাল সনদে ৯ বছর ধরে সরকারি বেতন ভোগ করেছেন। সরকারি টাকা ফেরতসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিতে হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;