পলাশে পুলিশের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নরসিংদী
শেরখান মিয়া , ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শেরখান মিয়া , ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর পলাশে পুলিশের নির্যাতনে শেরখান মিয়া (২৩) নামে এক যুবক মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে।

নিহত শেরখান পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের পাঁচভাগ এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার বরাব বাজার থেকে গাঁজা সেবনের অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ।

নিহত শেরখানের বড় ভাই ফারুক মিয়া জানান, রোববার সন্ধ্যায় পলাশ থানার পলাশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনজুরুল আলম ও রুবেল, কনস্টেবল দেলোয়ার, মানিকসহ ছয়জনের একদল পুলিশ বরাব বাজার থেকে শেরখানকে আটক করে। পুলিশ তাকে মোটরসাইকেলে করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় শেরখান লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে এবং ক্ষিপ্ত হয়ে বেদম মারধর করে। রাতে পরিবারের লোকজন থানায় গেলে শেরখানের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ। এ সময় পরিবারের সদস্যরা শেরখানকে থানা হাজতে পড়ে থাকতে দেখেন। এর কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বরত কনস্টেবল জানান, শেরখান অসুস্থ হওয়ায় তাকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, এখন তিনি ঘুমাচ্ছেন। সেই রাতে শেরখানের জ্ঞান না ফেরায় পরিবারের লোকজন কান্নাকাটি শুরু করলে পুলিশ তাদের থানা থেকে বের করে দেয়। সোমবার সকালে শেরখানকে অচেতন অবস্থায় পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় পরিবারের লোকজনও সঙ্গে ছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠান। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে শেরখানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান।

ফারুক মিয়া আরও জানান, তারা সাদা কাগজে স্বাক্ষর না দেওয়ায় ঢাকা মেডিকেল থেকে শেরখানের মরদেহ হস্তান্তর করেনি। শেরখান মাছের ব্যবসা করতেন, তবে পাঁচ বছর আগে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে একটি ডাকাতি মামলায় জড়িয়েছিল, সেই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পথে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। পুলিশের বেদম মরধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় তারা মামলা দায়ের করবেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ আমিরুল হক শামীম দায়িত্বরত চিকিৎসক রোজি সরকারের বরাত দিয়ে জানান, শেরখানের শরীরে কোনও আঘাতের আলামত পাওয়া যায়নি। এ সময় তার জ্ঞান থাকলেও তিনি কাউকে চিনতে পারছিলেন না। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

শেরখান চি‎হ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও তার বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতিসহ চারটি মামলা রয়েছে দাবি করে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, গ্রেফতারের পর মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন শেরখান। এ সময় আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। আহতাবস্থায় প্রথমে শেরখানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে আবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পলাশ হাসপাতাল ও পরে নরসিংদী সদর থেকে সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাকে মারধর করা হয়নি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;