সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া শহরে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে সংস্কার কাজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কুষ্টিয়া শহরে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে সংস্কার কাজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

কুষ্টিয়া শহরের একমাত্র প্রধান সড়ক এনএস রোড। অধিকাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে ওঠেছে এ সড়কেই। প্রায় সোয়া দুই কিলোমিটারের এ সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ৪২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি।

সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রী সাধারণসহ চলাচলকারী যানবাহনগুলো। অল্প দূরত্বের ব্যবধানে সেসব খুঁটির অবস্থান। কিছু কিছু খুঁটি আবার সড়কের প্রায় মাঝখানে পড়ে গেছে। এতে করে থাকছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। ফলে সড়ক প্রশস্থ হলেও সুফল পাচ্ছেন না কুষ্টিয়া পৌরসভার জনগণ।

পৌরসভা সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর থেকে বড় বাজার পর্যন্ত এনএস রোডের প্রায় সোয়া দুই কিলোমিটার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ড্রেনেজ নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে প্রশস্থ করা হয়েছে সড়কও। সড়কের উভয় পাশে অন্তত আট ফিট করে সড়ক প্রশস্থ করা হয়েছে।

এদিকে সড়ক প্রশস্থ হলেও কাজে আসছে না সড়কের মাঝখানে অনেকগুলো বিদ্যুতের খুঁটি থাকায়। বিভিন্ন সময়ে ওই সড়কে চলতে গিয়ে যানজট বেধে যাচ্ছে। এমনকি খুঁটিতে ধাক্কা লেগে ছোট দুর্ঘটনাও ঘটছে।

সরেজমিন দেখা যায়, দ্রুতগতিতে সড়ক প্রশস্থকরণের কাজ এগিয়ে চলেছে। এতে করে বেশিরভাগ জায়গায় সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। সড়কের দুইধারে প্রায় আট ফিট করে প্রশস্থ হলেও এর কোনো সুফল মিলছে না।খুঁটিগুলোর কারণে আগের মতোই যানজট লেগে আছে। মজমপুর থেকে বড় বাজার পর্যন্ত একটু পরপরই সড়কের মাঝখানে খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। সবচেয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে বকচত্বর থেকে একতারা মোড় পর্যন্ত।

এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী মামুন আহমেদ বলেন, সড়ক প্রশস্থ হচ্ছে দেখে ভালো লাগে। বৈদ্যুতিক খুঁটি আগের জায়গায় রয়ে গেছে। এখন যানজটের সঙ্গে তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এসব সমাধানের উদ্যোগ নেই পৌরসভার।

কিরন আলী নামের এক যাত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট থেকে লাল মোহাম্মদ তেলকল পর্যন্ত সড়কের বেশ কয়েকটি খুঁটি থাকায় প্রায় সময়ই রিকশা ও ইজিবাইক দুর্ঘটনার শিকার হয়। আমি নিজেও একদিন ইজিবাইকের ধাক্কায় আহত হয়েছিলাম। দ্রুত এসব সমাধানের দাবিও জানান তিনি।

সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নেশন টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম শিমুল বলেন, সড়কের বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু পিচ ঢালাই বাকি আছে। তবে সড়কের মাঝে খুঁটি পড়ে যাওয়ায় ইট খোয়া বালু রোলার করতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া পরবর্তীতে খুঁটি সরানো হলে সেখানে সড়ক আবার খোঁড়া হবে। সড়ক দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সড়কের টেকসই কমে যাবে। পিচের আগে খুঁটি না সরালে আরও সমস্যা হতে পারে।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, খুঁটিগুলো সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে আবারও চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ সড়ক যান চলাচলে সারাদিন ব্যস্ত থাকে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই শঙ্কায় বিদ্যুৎ বিভাগকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, খুঁটি সরানোর জন্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা খরচের একটা প্রাক্কলন চিঠি আমাদেরকে পাঠিয়েছিলো। আমরা অনুমোদনও দিয়েছি। শিগগিরই তারা খুঁটিগুলো সরানোর ব্যবস্থা করবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;