নান্নুর স্বপ্ন কি পূরণ হবে?



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজবাড়ী
এভাবেই বই বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে শিশু নান্নু মন্ডল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

এভাবেই বই বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে শিশু নান্নু মন্ডল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অতি দরিদ্র পরিবারে জন্ম ৯ বছরের শিশু নান্নু মন্ডলের। দরিদ্র পরিবারে জন্ম হলেও তার স্বপ্ন লেখাপড়া করে ভালো মানুষ হওয়ার। বড় হয়ে একটি চাকরি করে মা-বাবার দু:খ-কষ্টকে দূর করার। কিন্তু দারিদ্রতার কষাঘাতে তার সেই স্বপ্ন ভেঙে যেতে বসেছে। যেখানে একমুঠো ভাতের জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হচ্ছে তার পরিবারকে সেখানে লেখাপড়া করা তার কাছে দুঃস্বপ্নের।

তারপরও হাল ছাড়তে নারাজ স্বপ্নবাজ নান্নু। স্কুলে যাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে যখনই সময় পায় তখনই ২০-৩০টি বই বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে ছুটে চলে ক্রেতার উদ্দেশ্যে। নান্নু রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ার ৬ নং ফেরি ঘাটের ছাত্তার মেম্বার পাড়ার আলম মন্ডলের ছেলে। সে চানখানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান।

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে কথা হয় নান্নুর সাথে। নান্নু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলে, ‘আমার অনেক স্বপ্ন। আমি লেখাপড়া করে বড় হয়ে ভালো একটি চাকরি করতে চায়। আমার বাবা মাটি কাটার কাজ করে যে টাকা আয় করেন তা দিয়ে আমাদের সংসার চলেনা। মাঝে আমার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন আমি অনেক কান্না করলে আমার মা আমাকে আবার স্কুলে যেতে দিয়েছে।

নান্নু আরো বলে, সংসারে কিছুটা সহযোগিতা করার জন্য আমি স্কুল ছুটির শেষে বিকালে এবং  স্কুল বন্ধের সময় সারাদিন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে বই বিক্রি করে থাকি। প্রতিদিন আমার প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বই বিক্রি হয়। বই বিক্রির টাকা আমি সব মায়ের কাছে দেয়।

বই ক্রেতা গোলাম মোর্তবা রিজু ও সবুজ শিকদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এই বয়সে এই শিশুটির আনন্দ করে বেড়ানোর কথা। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে আজ সে অর্থের জন্য বই বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। আমরা এই শিশুটির কাছ থেকে কয়েকটি ধর্মীয়মূলক বই কিনলাম।

রাজবাড়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, শিশুটি স্কুল বন্ধের সময় বই বিক্রি করছে এটা ভালো দিক। মানুষও তো বই কিনছে। শিশুটির জন্য ঝুঁকি কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ঝুঁকি হবে কেন? এটাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা যায়না। সে তো ভারি কোন কাজ করছেনা। তাছাড়া সে স্কুল ফাঁকি দিয়েও বই বিক্রি করছেনা।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোবাশ্বের হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, যে জায়গায় শিশুটি ফেরী করে বই বিক্রি করছে সেটা তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বই বিক্রি করতে চাইলে তাকে অন্যভাবে করা উচিত। তবে শিশু শ্রম আইনে কোন শিশুকে দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো যাবেনা।

এসময় তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে এ সকল শিশুদের উপবৃত্তি দিচ্ছেন। আপনি আমাকে ঐ শিশুটির বিস্তারিত তথ্য দিন আমি ওকে উপবৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;