জেলা হাসপাতালে জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মানিকগঞ্জ
সিট না পেয়ে বারান্দাতেই থাকছেন রোগীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সিট না পেয়ে বারান্দাতেই থাকছেন রোগীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের জেলা হাসপাতালে জনবল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। অভিযোগ আছে, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও জনবল আছে একশো শয্যার। ফলে সেবা নিতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালে গাইনি এবং শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ লাইনে বেশি ভিড়। প্রায় একই অবস্থা অন্যান্য চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য দুই থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে রোগীদের। তবে সাধারণ রোগীরা অপেক্ষায় থেকে সেবা নিতে পারলেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে জরুরি রোগীদের।

জানা গেছে, প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি রোগী আসেন হাসপাতালের বহির্বিভাগে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরও চাপ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। নির্ধারিত বেড বা কেবিন না পেয়ে হাসপাতালের ফ্লোর ও বারান্দায় চিকিৎসা সেবা নিতে নিচ্ছে অনেক রোগীর। হাসপাতালের ফ্লোর ও বারান্দার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

মানিকগঞ্জ শহরের পোড়রা এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম জানান, অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে দুই দিন ধরে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। কোনো বেড বা কেবিন না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে শুধুমাত্র একটি বেডশিট দেওয়া হয়েছে। বিছানার চাদরটিও আনতে হয়েছে বাড়ি থেকে। বারান্দার ফ্যানটি নষ্ট থাকায় প্রচণ্ড গরমে কষ্ট হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ সারি
মানিকগঞ্জ হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ সারি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

হযরত আলী নামের এক যুবক জানান, ভর্তি রোগীদের দেখতে অল্প সময়ের জন্য রাউন্ডে আসেন ডাক্তাররা। তারপর আরও কেউ খোঁজ নেন না। নার্সদের ডাকলে তারাও রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তাছাড়া হাসপাতালের বাথরুমগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

মফেজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জানান, ডাক্তার দেখাতে টিকিট কেটে তিনদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও ডাক্তারের দেখা পাননি তিনি।

জেলা হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৪ সালে মানিকগঞ্জ জেলা শহরে স্থাপিত হয় ৫০ শয্যার হাসপাতাল। এরপর ১৯৯৭ সালে ১০০ শয্যা ও ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয় হাসপাতালটি। এরপর তিন বছর পার হয়ে গেলেও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

রোগীদের কারণে বারান্দায় হাঁটার কোনো অবস্থা নেই, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রোগীদের কারণে বারান্দায় হাঁটার কোনো অবস্থা নেই, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ এরফান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘কাগজে কলমে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও জনবল রয়েছে একশো শয্যার। ফলে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;