বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক নিয়োগ : প্রস্তুতি ও পড়াশোনা



নাজমুল হুদা, পেশা বিষয়ক লেখক ও, উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক নিয়োগ : প্রস্তুতি ও পড়াশোনা

বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক নিয়োগ : প্রস্তুতি ও পড়াশোনা

  • Font increase
  • Font Decrease

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাজ করার স্বপ্ন যাদের, তাদের জন্য আবারো সুবর্ণ সুযোগ! গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৮৮ টি সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

যেকোন বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (কমপক্ষে দু’টি প্রথম শ্রেণিসহ) ডিগ্রি থাকলে আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী ও যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরা নিশ্চয় অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেহেতু তথাকথিত ব্যাংকিং সেবা দিতে হয়না, বরং বিভিন্ন বিশেষায়িত বিষয়ে পড়াশোনা করেও সামগ্রিক অর্থনীতি, উন্নয়ন ও ব্যাংকিং খাতের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে যুক্ত থেকে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ থাকায় ক্রমেই চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ক্রমবর্ধমান এই আবেদনকারীদেরকে টপকে কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পড়াশোনা, পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি। নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে এখন থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিলে সাফল্য আসা সময়ের ব্যাপার। অবশ্য বেশিরভাগ চাকরিপ্রত্যাশী অনেক আগ থেকেই প্রস্তুতি পর্ব শুরু করেছেন।

শুরুটা হতে পারে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন দেখে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

সহকারী পরিচালক পদের বাছাই প্রক্রিয়া সাধারণত তিনভাগে ৩০০+২৫ নম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপটি নকআউট ভিত্তিক বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরপর্ব বা এমসিকিউ। চাকরি প্রার্থীদের জন্য এটি টিকে থাকার লড়াই। তাই স্কোর যা-ই তুলতে পারেন না কেন টিকে থাকলেই চলবে। ক্রিকেটে ব্যাট হাতে সব বল খেলার মত সব প্রশ্নের উল্টর দিতে যাবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। কারো পক্ষেই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনও নেই।

প্রিলিমিনারী পরীক্ষার ৬০ মিনিট সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটির জন্য গড়ে ৩৩ সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে ০.২৫ নম্বর।

স্বাভাবিকভাবেই মনস্তাত্বিক চাপ থাকবে। তাই এই অংশে ভাল করার জন্য সময় সতকর্তা, তাতক্ষনিক বুদ্ধিমত্তা, মনোযোগ ও মনোবল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যথোপযুক্ত প্রশ্ন বাছাই করে উত্তর দিতে পারা এক ধরণের বাড়তি দক্ষতা। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে হাতে যতটুকু সময় পান প্রতিদিন অনুশীলন করুন। সাফল্য আসবেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় সাধারণত বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, গনিতে ৩০,সাধারণ জ্ঞান থেকে ২০ এবং কম্পিউটার প্রযুক্তি অংশে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। বাংলার ক্ষেত্রে সাহিত্য ও ব্যাকরণ থেকে সমান সংখ্যক প্রশ্ন হতে পারে তবে ইংরেজিতে সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দসহ অ্যানালজি, বাক্যে ভুল নির্নয়, বাক্য সম্পূর্ণ ক্রিয়ার ব্যবহার সংক্রান্ত বেশি প্রশ্ন দেখা যায়। বাংলায় প্রশ্নের ক্ষেত্রে সমসাময়িক সাহিত্যকর্মের প্রাধান্য থাকে। এছাড়া শুদ্ধিকরণ, প্রবাদ প্রবচন, বাগধারা, সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি ও প্রত্যয় ও এককথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন হয়। এ অংশে পড়াশোনার জন্য নবম-দশম শ্রেণীর ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ’ বইটিসহ প্রচলিত ভাল মানের গাইড বই রাখতে পারেন। তবে আনুপাতিকভাবে গনিতে নম্বর বেশি এবং পরীক্ষায় উত্তর করতেও বেশি সময় লাগে বলে অনুশীলন বাড়াতে হবে। ক্যালকুলেটর ছাড়াই বিভিন্ন বই থেকে ইংরেজিতে অংক করার অভ্যাস করুন। ভয় কেটে যাবে। মনোবল বৃদ্ধি পাবে। কম্পিউটার ও প্রযুক্তি নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। এ অংশ থেকে দশটি প্রশ্ন থাকে। সিলেবাস সীমিত তাই নির্দিষ্ট কিছু বিষয় ভালভাবে আয়ত্ত্ব করতে পারলে এ অংশে পূর্ণ নম্বর পেতে পারেন। কম্পিউটার প্রযুক্তির জন্য নবম-দশম বা উচ্চমাধ্যমিকের কম্পিউটার বইসহ বাজারের যেকোনো গাইড বই আদ্যেপান্ত ভালভাবে পড়ে ফেলুন। পাশাপাশি দৈনিক পত্রিকার টেক বা প্রযুক্তি পাতা নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করলে কাজে আসবে। পত্রিকায় প্রতিদিন সমসময়িক নানা ঘটনার বিবরণ-বিশ্লেষণ পড়লেই সাধারণ জ্ঞান অংশের প্রস্তুতি অনেকখানি হয়ে যাবে। বাকিটা যেকোনো বই থেকে পড়লেই প্রিলিমিনারীর জন্য চলবে। 

প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার বৈতরনী পার হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ পক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল লিখিত পরীক্ষা। দুই ঘন্টার দুইশত নম্বরের এই পরীক্ষার উপরই অনেকটা নির্ভর করে চূড়ান্ত নিয়োগের সম্ভাবনা।

যেহেতু প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার নম্বর যোগ হবেনা এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বর তুলনামূলক কম তাই লিখিত অংশে ভাল করার বিকল্প নেই। ভাল করতে চাওয়া মানে বাড়তি চাপ নেওয়া নয়। যেহেতু সবচেয়ে কঠিন এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ ধাপ পেড়িয়ে এসেছেন তার মানে আপনার প্রস্তুতি যথেষ্ট ভাল। প্রয়োজনীয় খুটিনাটি বিষয় আপনার দখলে। লিখিত পরীক্ষায় সেগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরাই আপনার কাজ। তাছাড়া লিখিত’র জন্য যে কয়েক মাস সময় পাবেন তা কীভাবে কাজে লাগাবেন সে পরিকল্পনা করে ফেলুন এখনই। এজন্য প্রয়োজনীয় রসদ জোগাড় করতে থাকুন। বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজিতে ফোকাল রাইটিং (নির্দিষ্টি বিষয়ে নির্ধারিত জায়গার সংক্ষিপ্ত রচনা) ক্রিয়েটিভ রাইটিং, বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ অনুশীলন করতে পারেন। এগুলো প্রিলিমিনারী ও লিখিত উভয় অংশে কাজে লাগবে। যেমন বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স, বৈদেশিক মুদ্রার বিজার্ভ, খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়ন, দরিদ্রতা হ্রাস, কয়েক বছরের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি(জিডিপি), রপ্তানী বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিস্তিতি, ব্যাংকিং বিকাশ ও আর্থিক অন্তভূক্তিসহ সমসাময়িক বিষয়গুলো সূত্রসহ ছক আকারে কয়েক পৃষ্টার মধ্যে লিখে রাখতে পারেন। বাংলা কিংবা ইংরেজি যে মাধ্যমই হোক, লিখতে গেলে এ তথ্যগুলো কাজে আসবে। পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান বা বিশিষ্ট ব্যক্তির পর্যবেক্ষন নির্ভর মন্তব্য বা উক্তিও আরেক পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করে রাখলে লেখার প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া ইংরেজি ও বাংলা পত্রিকার সম্পাদকীয় কলাম, অর্থ ও বানিজ্য পাতা, বিঞ্জান ও সাহিত্য সাময়িকী নিয়মিত পড়লে ভাল লেখার পাশাপাশি অনুবাদ দক্ষতাও বাড়ে।

এখন থেকে আপনার ধারাবাহিক পড়াশোনা নিয়োগের সর্বশেষ ধাপ মৌখিক পরীক্ষায়ও ইতিবাচক ফল দেবে, এগিয়ে রাখবে সাফল্যের দৌড়ে। প্রস্তুতি পর্বে এগিয়ে থাকলে দেখা হবে বিজয়ে।

 পরামর্শ দিয়েছেন:

 নাজমুল হুদা
 পেশা বিষয়ক লেখক ও
 উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক

   

নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে

নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন চাকরিতে জয়েন করবার আগে বা ওই প্রতিষ্ঠানে জয়েন করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবার আগে অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। আগের জায়গাতে থেকে যাবেন কিনা অথবা অফার পাওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে জয়েন করা ঠিক হবে কিনা এসব নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন।

আপনার সিদ্ধান্তটি নিতে সাহায্য করবে কতগুলো কম্পারেটিভ এনালাইসিস। যা আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

১. আপনি কি নিশ্চিৎ যে আপনার বর্তমান প্রতিষ্ঠানটিকে সত্যিই ছাড়তে আপনি স্থিরচিত্ত কিনা অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ছাড়বার মতো সত্যিই যথেষ্ট কারণ আপনার আছে কিনা। আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নেবেন না। একটি জব তখনি ছাড়বেন যখন সেটা ছাড়বার পেছনে আপনার ক্যারিয়ারের স্বার্থ থাকবে। আপনি যদি কোনো গ্রিভেন্সের কারনে নতুন জবে যেতে চান, তবে একবার হলেও নিরপেক্ষভাবে ভেবে নিন, সত্যিই ওই গ্রিভেন্স ক্ষমার অযোগ্য কিনা।

২. নতুন প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে আপনার বর্তমান জবটির তুলনায় কোন কোন ফ্যাসিলিটিতে কেমন পরিবর্তন হবে এবং তার কতগুলো আপনার জন্য পজেটিভ বা কত পার্সেন্ট পজিটিভ সেটা ভাবুন। প্রয়োজনে একটি চেকলিষ্ট করে নিন।

৩. নতুন চাকরির কি কি ফ্যাসিলিটি ক্রসম্যাচ করবেন দেখুন: বেতন, বোনাস (কতবার ও কত হারে), মোবাইল এলাউন্স, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পদ্ধতি ও হার, প্রমোশনের টাইমলাইন, কর্মঘন্টা, লাঞ্চ ফ্যাসিলিটি, ট্রান্সপোর্ট ফ্যাসিলিটি, লিখিত এপয়েন্টমেন্ট লেটার ও জব কন্ডিশন, টার্মিনেশন পলিসি, সার্ভিস বেনিফিট, ছুটির সংখ্যা ও দিন, সিপিএফ, মেডিক্যাল ইন্সুর‌্যান্স, জব ডেসক্রিপশন ইত্যাদি।

৪.যে বসের আন্ডারে কাজ করবেন তিনি কেমন বস, সেটা জানার চেষ্টা করুন। বেতনের অঙ্কে বিশাল রেইজ হলেও বাজে বসের সাথে কাজ করার বিড়ম্বনা ওটাকে জিরোতে পরিণত করতে পারে। কোম্পানির সার্বিক কর্মপরিবেশ ও অফিস কালচার কেমন সেটা বিবেচনায় রাখুন।

৫. কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা এবং গ্রোথ রেট পারলে খোঁজ নিন। নড়বড়ে আর্থিক অবস্থার কোম্পানিতে বেশি টাকার চেয়ে বড় কোম্পানিতে তুলনামূলক কম সেলারি বেশি ভালো।

৬. যদি একদম পারিবারিক ব্যবসায়ী কোম্পানি হয় তবে পারলে টপ ম্যানেজমেন্টের প্যাটার্ন সম্পর্কে জেনে নিন। হতে পারে আপনি তাদের সাথে একদমই ম্যাচ করতে না পেরে নতুন দারুন চাকরিও ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন।

৭. নতুন জবে আপনার স্যালারী কত পার্সেন্ট বাড়বে সেটা ভেবে নেবেন। ৩০-৪০% হল এভারেজ রেইজ রেট। পাশাপাশি স্যালারীর সাথে আপনি আরো যেসব ফ্রিঞ্জ বেনেফিট পাচ্ছেন সেগুলোর আর্থিক মূল্যের বিপরীতে ওখানে যা যা পাবেন তার কম্পারেটিভ এনালাইসিস করুন।

৮. নিয়মিত স্যালারী পেমেন্ট হয় কিনা জেনে নিন।

৯. কোন পজিশনে বর্তমানে আছেন আর ওখানে কোন পজিশনে যাবেন সেটা ভাবুন। শুধু যে ইকুয়্যাল বা উপরের পজিশনে যাওয়াটাই হতে হবে তা নয়। প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালুর উপরে ভিত্তি করে পজিশনে বা র‌্যাংকে আপ-ডাউন নিয়ে ভাবতে পারেন।

১০. নতুন কর্মস্থলে গেলে সবগুলো প্রাপ্য বিষয়ের সাথে বর্তমানের পার্থক্যটা কতটা বেশি সেটা অবশ্যই বিবেচনায় আনবেন। মনে রাখবেন, একটি সেটেলড জবের স্ট্যাবিলিটি কস্ট নামে একটা বিষয় আছে যেটা টাকার অঙ্কে কনভার্ট করলে সেটার মূল্য কম না। নতুন জবে নতুন বসের সাথে নতুন পরিবেশে নতুন চ্যালেঞ্জে মানিয়ে নেবার বিপরীতে বর্তমান জবে ওগুলোতে দারুন কমফোর্টে থাকার বা হাতের তালুর মতো চেনা থাকার প্রাপ্তিটুকুরও মূল্য আছে। তার বিপরীতে আপনি কতটা বেশি পাবেন নতুন স্থানে সেটা ভেবে নেবেন। আর এই সবকিছুই নির্ভর করবে আপনার কম্পারেটিভ চয়েসের ওপর।

এনালিসিস করুন, নিরপেক্ষভাবে লজিক নির্ধারন করুন, আর তারপর যেটি সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিতে স্থির হোন। এতটুকু করতে পারেন, আপনার এনালাইসিস নিয়ে একজন ক্যারিয়ার এক্সপার্ট বা সিনিয়র এইচআর প্রোফেশনালের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে যাই করবেন, ভেবে করবেন। করে ভাববেন না।

এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ, উপ মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন), একটি স্বনামধন্য গ্রুপ অফ কোম্পানি

;

‘পেশা নয়, শিক্ষকতা আমার স্বপ্ন’



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাইয়্যেবুন নাহার মিমি। ছোটবেলা থেকে লালিত স্বপ্ন আজ তার কাছে বাস্তব। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

বার্তা২৪.কমের সঙ্গে আলাপকালে মিমি বলেন, শিক্ষকতা আমার স্বপ্ন, পেশা নয়। এটা আমার খুব আগ্রহের, খুব আকাঙ্ক্ষিত এক যাত্রা। এই যাত্রায় শামিল হয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। জাতির সেবার প্রতি দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল।

তিনি বলেন, আমি যখন হাইস্কুলে পড়ি আমার আপু তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। বাসায় যখন উনি এসে ওনার শিক্ষকদের গল্প করতেন। আমি শুনে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনি। খুব ইচ্ছে হত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মত মহৎ কিছু হতে। আর পারিবারিকভাবে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে একটা সংযোগ আমাদের আছে। আমাদের গ্রামের বাড়িটা পরিচিত ‘সেকান্দার মাস্টারের বাড়ি’ নামে। তিনি আমার দাদা। আমার বাবাও শিক্ষকতা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। আমার বড় দুইবোন শিক্ষক। ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে আমি অসংখ্য শিক্ষকদের বিশেষ সুদৃষ্টি ও মমতা পেয়েছি। একারণেই শিক্ষক হতে চেয়েছি সব সময়।

তাইয়্যেবুন নাহার মিমি বলেন, ছেলেবেলা থেকেই নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক, আঁকাআঁকি আমাকে মানসিক শান্তি দিত। পড়াশোনার সঙ্গে সমান তালে আমি এসবের সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছি। বেশিরভাগ সময় পড়াশোনায় ভালো করলে সহশিক্ষা কার্যক্রমে আমরা পিছিয়ে পড়ি। আমি পিছিয়ে পড়তে চাইনি। থিয়েটার কুবি, অনুপ্রাস, শুভসংঘের সঙ্গে আমার সংযোগ ছিল বেশি। নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখা, অভিনয় করার পাশাপাশি অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করার কাজগুলো এখানেই করেছি। এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক চর্চা আমার ব্যক্তিত্ব ও আচরণকে আমূল বদলে দিয়েছে।

তিনি জানান, গবেষণাধর্মী পড়াশোনার চেয়ে আমি সৃজনশীল রচনার প্রতি আগ্রহী বেশি। তবে একাডেমিক পর্যায়ে গবেষণার বিকল্প নেই বলে নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করেছি এবং করছি। বাংলাদেশের নামকরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্টিকেল প্রকাশের চেষ্টা করছি। বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।

মিমি আরও জানান, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার ওপর জোর দিতে হবে। নিজেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংস্কৃতিক উভয় পর্যায়েই দক্ষ করে তোলা উচিত। ব্যক্তিগত বা পেশাগত উন্নয়নের জন্য পড়াশোনা ও নিরলস পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। আমি ২০২২ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি ইংরেজি মাধ্যম কলেজে শিক্ষকতায় যোগদান করি। এরপর সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে থাকি, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকি। বিসিএসের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম।

তিনি জানান, আমি যে মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী তা হলো ‘সফলতার শর্টকাট নেই, সততার ঊর্ধ্বে পন্থা নেই’। সুতরাং পড়াশোনা আর পরিশ্রমের পাশাপাশি সৎ থাকাটা জরুরি। তাহলে সময়ই পৌঁছে দেবে সফলতার বার্তা।

;

১৫৯ জন এটিইও নিয়োগ দেবে পিএসসি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)।

বিজ্ঞপ্তিতে ১৫৯টি পদের জন্য আগ্রহীদের আগামী ৩১ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন বলে বলা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদে আবেদনের জন্য কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিসহ দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।

বিভাগীয় প্রার্থীরা সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদে আবেদন করতে পারবেন। বিভাগীয় প্রার্থী বলতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষককে বোঝানো হয়েছে। বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়স ৪৫ বছর হলেও আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন ফি বাবদ ৫০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড নম্বরের মাধ্যমে আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে।

প্রার্থীদের টেলিটকের ওয়েবসাইট অথবা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আবেদনপত্র অ্যাপ্লিকেন্টস কপি (বিপিএসসি ফরম-৫-এ) পূরণ করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও ফি জমাদান সম্পন্ন করতে হবে। সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদটি ১০ম গ্রেডের। এ পদে নিয়োগ পেলে বেতন স্কেল হবে ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং ফি জমাদান ও আবেদনপদ্ধতি এই লিংকে জানা যাবে।

;

১০০ জন সহকারী পরিচালক নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক (এডি) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে সহকারী পরিচালক (জেনারেল) পদে আবেদন করা যাবে। এসএসসি ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর কমপক্ষে দুটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। ৬ জুলাই বা এর আগে যাঁদের স্নাতকোত্তর বা চার বছর মেয়াদি স্নাতক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বা হবে, তারা আবেদন করতে পারবেন।

বয়স

আবেদনকারীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

বেতন স্কেল

নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা স্কেলে বেতন এবং ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে

;