প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরির সুযোগ, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত নবম ও দশম গ্রেডের কয়েকটি পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত।

পদ ও পদসংখ্যা: সহকারী পরিচালক (নন-টেকনিক্যাল (৪) / পরিসংখ্যান (১) / সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (১) / সফটওয়্যার সাপোর্ট (১), নিরাপত্তা পরিদর্শক -এসআই (২), নকশাকার গ্রেড-১ (২) ও এস্টিমেটর (১)।

যোগ্যতা: সহকারী পরিচালক নন-টেকনিক্যালের জন্য প্রথম শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক ডিগ্রি; পরিসংখ্যানের জন্য গণিত বা অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং দ্বিতীয় শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক ডিগ্রি; সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও সাপোর্টের জন্য কম্পিউটারবিজ্ঞান/কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশলে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক ডিগ্রি। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে। নেটওয়ার্কিংয়ে প্রফেশনাল সনদ এবং স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিচিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে; নিরাপত্তা পরিদর্শকের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক ডিগ্রি এবং নকশাকার ও এস্টিমেটরের জন্য পুরকৌশল বিষয়ে চার বছরের ডিপ্লোমা।

বেতন স্কেল: সহকারী পরিচালকদের জন্য ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (নবম গ্রেড); নিরাপত্তা পরিদর্শক, নকশাকার ও এস্টিমেটরদের জন্য ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (দশম গ্রেড)।

আগ্রহী প্রার্থীরা টেলিটকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। আবেদনের নিয়ম ও বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এখানে

আরও পড়ুন: 

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন

রেলে চাকরির সুযোগ, ২২ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন

 

 

   

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ফের পেছাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দ্বিতীয়বারের মতো পেছানো হলো।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুল রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সভায় জানানো হয় ৮ ডিসেম্বর প্রথম পর্বের রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে সকাল ১০ থেকে ১ ঘণ্টার এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

চলতি মাসের ২৪ নভেম্বর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৮ নভেম্বর ঘোষণা দেওয়া হয়, এই পরীক্ষা হবে ১ ডিসেম্বর। আজ আবার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হলো।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগ ধরে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হবে।

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

;

নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দিচ্ছে ঢাবি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা জ্ঞান বৃদ্ধি করতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে বসানো সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্সে দায়িত্ব পালনের জন্যে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। 

১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৯ জন নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অনুকূলে একশত পঞ্চাশ টাকা মূল্যের ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার করতে হবে। সাথে এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং সাদা কাগজে প্রার্থীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জন্ম তারিখ (বর্তমান বয়সসহ) জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, মোবাইল নম্বরসহ ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। এসব বিষয় উল্লেখ পূর্বক সকল পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেট, প্রশংসা পত্র ও নাগরিকত্ব সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি দরখাস্ত ২৫ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে হবে। 

উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে নিরাপত্তা প্রহরীর দৈনিক পারিশ্রমিক হবে চারশত পঁচাত্তর টাকা এবং তার বয়স হতে হবে নূন্যতম ১৮ বছর। শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি পাশ হতে হবে। তবে অবসরপ্রাপ্ত সেনা, বিজিবি, পুলিশ বা আনসার বাহিনীর সদস্যদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান সূত্রে জানা যায়, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক এই নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের কথা ছিলো কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই নয় জন নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ যে দুই থেকে তিনটি বক্স রয়েছে সেগুলো চালু করা হবে। যেহেতু  নিয়োগের কাজ শেষ হবে ২৬ তারিখ সুতরাং ২৬ বা ২৭ তারিখের মধ্যেই বক্সগুলো চালু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

;

নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে

নতুন চাকরিতে যোগদানের আগে

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন চাকরিতে জয়েন করবার আগে বা ওই প্রতিষ্ঠানে জয়েন করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবার আগে অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। আগের জায়গাতে থেকে যাবেন কিনা অথবা অফার পাওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে জয়েন করা ঠিক হবে কিনা এসব নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন।

আপনার সিদ্ধান্তটি নিতে সাহায্য করবে কতগুলো কম্পারেটিভ এনালাইসিস। যা আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

১. আপনি কি নিশ্চিৎ যে আপনার বর্তমান প্রতিষ্ঠানটিকে সত্যিই ছাড়তে আপনি স্থিরচিত্ত কিনা অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ছাড়বার মতো সত্যিই যথেষ্ট কারণ আপনার আছে কিনা। আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নেবেন না। একটি জব তখনি ছাড়বেন যখন সেটা ছাড়বার পেছনে আপনার ক্যারিয়ারের স্বার্থ থাকবে। আপনি যদি কোনো গ্রিভেন্সের কারনে নতুন জবে যেতে চান, তবে একবার হলেও নিরপেক্ষভাবে ভেবে নিন, সত্যিই ওই গ্রিভেন্স ক্ষমার অযোগ্য কিনা।

২. নতুন প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে আপনার বর্তমান জবটির তুলনায় কোন কোন ফ্যাসিলিটিতে কেমন পরিবর্তন হবে এবং তার কতগুলো আপনার জন্য পজেটিভ বা কত পার্সেন্ট পজিটিভ সেটা ভাবুন। প্রয়োজনে একটি চেকলিষ্ট করে নিন।

৩. নতুন চাকরির কি কি ফ্যাসিলিটি ক্রসম্যাচ করবেন দেখুন: বেতন, বোনাস (কতবার ও কত হারে), মোবাইল এলাউন্স, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পদ্ধতি ও হার, প্রমোশনের টাইমলাইন, কর্মঘন্টা, লাঞ্চ ফ্যাসিলিটি, ট্রান্সপোর্ট ফ্যাসিলিটি, লিখিত এপয়েন্টমেন্ট লেটার ও জব কন্ডিশন, টার্মিনেশন পলিসি, সার্ভিস বেনিফিট, ছুটির সংখ্যা ও দিন, সিপিএফ, মেডিক্যাল ইন্সুর‌্যান্স, জব ডেসক্রিপশন ইত্যাদি।

৪.যে বসের আন্ডারে কাজ করবেন তিনি কেমন বস, সেটা জানার চেষ্টা করুন। বেতনের অঙ্কে বিশাল রেইজ হলেও বাজে বসের সাথে কাজ করার বিড়ম্বনা ওটাকে জিরোতে পরিণত করতে পারে। কোম্পানির সার্বিক কর্মপরিবেশ ও অফিস কালচার কেমন সেটা বিবেচনায় রাখুন।

৫. কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা এবং গ্রোথ রেট পারলে খোঁজ নিন। নড়বড়ে আর্থিক অবস্থার কোম্পানিতে বেশি টাকার চেয়ে বড় কোম্পানিতে তুলনামূলক কম সেলারি বেশি ভালো।

৬. যদি একদম পারিবারিক ব্যবসায়ী কোম্পানি হয় তবে পারলে টপ ম্যানেজমেন্টের প্যাটার্ন সম্পর্কে জেনে নিন। হতে পারে আপনি তাদের সাথে একদমই ম্যাচ করতে না পেরে নতুন দারুন চাকরিও ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন।

৭. নতুন জবে আপনার স্যালারী কত পার্সেন্ট বাড়বে সেটা ভেবে নেবেন। ৩০-৪০% হল এভারেজ রেইজ রেট। পাশাপাশি স্যালারীর সাথে আপনি আরো যেসব ফ্রিঞ্জ বেনেফিট পাচ্ছেন সেগুলোর আর্থিক মূল্যের বিপরীতে ওখানে যা যা পাবেন তার কম্পারেটিভ এনালাইসিস করুন।

৮. নিয়মিত স্যালারী পেমেন্ট হয় কিনা জেনে নিন।

৯. কোন পজিশনে বর্তমানে আছেন আর ওখানে কোন পজিশনে যাবেন সেটা ভাবুন। শুধু যে ইকুয়্যাল বা উপরের পজিশনে যাওয়াটাই হতে হবে তা নয়। প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালুর উপরে ভিত্তি করে পজিশনে বা র‌্যাংকে আপ-ডাউন নিয়ে ভাবতে পারেন।

১০. নতুন কর্মস্থলে গেলে সবগুলো প্রাপ্য বিষয়ের সাথে বর্তমানের পার্থক্যটা কতটা বেশি সেটা অবশ্যই বিবেচনায় আনবেন। মনে রাখবেন, একটি সেটেলড জবের স্ট্যাবিলিটি কস্ট নামে একটা বিষয় আছে যেটা টাকার অঙ্কে কনভার্ট করলে সেটার মূল্য কম না। নতুন জবে নতুন বসের সাথে নতুন পরিবেশে নতুন চ্যালেঞ্জে মানিয়ে নেবার বিপরীতে বর্তমান জবে ওগুলোতে দারুন কমফোর্টে থাকার বা হাতের তালুর মতো চেনা থাকার প্রাপ্তিটুকুরও মূল্য আছে। তার বিপরীতে আপনি কতটা বেশি পাবেন নতুন স্থানে সেটা ভেবে নেবেন। আর এই সবকিছুই নির্ভর করবে আপনার কম্পারেটিভ চয়েসের ওপর।

এনালিসিস করুন, নিরপেক্ষভাবে লজিক নির্ধারন করুন, আর তারপর যেটি সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিতে স্থির হোন। এতটুকু করতে পারেন, আপনার এনালাইসিস নিয়ে একজন ক্যারিয়ার এক্সপার্ট বা সিনিয়র এইচআর প্রোফেশনালের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে যাই করবেন, ভেবে করবেন। করে ভাববেন না।

এটিএম মোসলেহ উদ্দিন জাবেদ, উপ মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন), একটি স্বনামধন্য গ্রুপ অফ কোম্পানি

;

‘পেশা নয়, শিক্ষকতা আমার স্বপ্ন’



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাইয়্যেবুন নাহার মিমি। ছোটবেলা থেকে লালিত স্বপ্ন আজ তার কাছে বাস্তব। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

বার্তা২৪.কমের সঙ্গে আলাপকালে মিমি বলেন, শিক্ষকতা আমার স্বপ্ন, পেশা নয়। এটা আমার খুব আগ্রহের, খুব আকাঙ্ক্ষিত এক যাত্রা। এই যাত্রায় শামিল হয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। জাতির সেবার প্রতি দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল।

তিনি বলেন, আমি যখন হাইস্কুলে পড়ি আমার আপু তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। বাসায় যখন উনি এসে ওনার শিক্ষকদের গল্প করতেন। আমি শুনে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইনি। খুব ইচ্ছে হত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মত মহৎ কিছু হতে। আর পারিবারিকভাবে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে একটা সংযোগ আমাদের আছে। আমাদের গ্রামের বাড়িটা পরিচিত ‘সেকান্দার মাস্টারের বাড়ি’ নামে। তিনি আমার দাদা। আমার বাবাও শিক্ষকতা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। আমার বড় দুইবোন শিক্ষক। ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে আমি অসংখ্য শিক্ষকদের বিশেষ সুদৃষ্টি ও মমতা পেয়েছি। একারণেই শিক্ষক হতে চেয়েছি সব সময়।

তাইয়্যেবুন নাহার মিমি বলেন, ছেলেবেলা থেকেই নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক, আঁকাআঁকি আমাকে মানসিক শান্তি দিত। পড়াশোনার সঙ্গে সমান তালে আমি এসবের সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছি। বেশিরভাগ সময় পড়াশোনায় ভালো করলে সহশিক্ষা কার্যক্রমে আমরা পিছিয়ে পড়ি। আমি পিছিয়ে পড়তে চাইনি। থিয়েটার কুবি, অনুপ্রাস, শুভসংঘের সঙ্গে আমার সংযোগ ছিল বেশি। নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখা, অভিনয় করার পাশাপাশি অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করার কাজগুলো এখানেই করেছি। এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক চর্চা আমার ব্যক্তিত্ব ও আচরণকে আমূল বদলে দিয়েছে।

তিনি জানান, গবেষণাধর্মী পড়াশোনার চেয়ে আমি সৃজনশীল রচনার প্রতি আগ্রহী বেশি। তবে একাডেমিক পর্যায়ে গবেষণার বিকল্প নেই বলে নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করেছি এবং করছি। বাংলাদেশের নামকরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্টিকেল প্রকাশের চেষ্টা করছি। বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।

মিমি আরও জানান, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার ওপর জোর দিতে হবে। নিজেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংস্কৃতিক উভয় পর্যায়েই দক্ষ করে তোলা উচিত। ব্যক্তিগত বা পেশাগত উন্নয়নের জন্য পড়াশোনা ও নিরলস পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। আমি ২০২২ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি ইংরেজি মাধ্যম কলেজে শিক্ষকতায় যোগদান করি। এরপর সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে থাকি, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকি। বিসিএসের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম।

তিনি জানান, আমি যে মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী তা হলো ‘সফলতার শর্টকাট নেই, সততার ঊর্ধ্বে পন্থা নেই’। সুতরাং পড়াশোনা আর পরিশ্রমের পাশাপাশি সৎ থাকাটা জরুরি। তাহলে সময়ই পৌঁছে দেবে সফলতার বার্তা।

;