ঢাবিতে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের সকল ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট অফিস, প্রক্টরিয়াল টিম ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত সকল ধরণের ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কর্মচারীরা। এ অভিযান পরিচালনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফার তত্ত্বাবধায়নে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদসহ প্রক্টরিয়াল বডির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিএসসির দোকানসমূহ উচ্ছেদের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানায় থাকা রাস্তায় সকল ভাসমান দোকান তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। টিএসসি হয়ে কার্জন হলের সম্মুখে থাকা ফুলের দোকান, খাবারের দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এরপর শহিদুল্লাহ হল, ঢাকা মেডিকেল হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে সিটি কর্পোরেশনের অবৈধ অফিস উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় শহিদুল্লাহ হলের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবন দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই তৈরী করা হচ্ছে। এসময় কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিককে পাওয়া গেলেও কাদের তত্ত্বাবধায়নে এ ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি জানাতে পারেননি তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফা ভবনটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

এ অভিযানের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থিত সকল ভাসমান ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছি।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সকল দোকান তুলে দিয়েছি। তবে, টিএসসিতে পরবর্তীতে কিছু দোকান বসানো হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা ও দোকানিদের আবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক বরাদ্দকৃত দোকানগুলোই   টিএসসিতে বসতে পারবে। সেক্ষেত্রে দোকানগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ভাড়া প্রধান করতে হবে।’

ঢাবিতে ভাসমান দোকানের বিষয়ে এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মোস্তফা জানান, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল স্থানে দোকানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, প্রক্টর এই ব্যাপারে একটি দোকান সমূহের একটি তালিকা তৈরি করবেন। সেটি সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হওয়ার পরই ক্যাম্পাসে নতুন দোকানের অনুমোদন দেয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত সকল অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করবে প্রশাসন।’