রাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে

শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক।

রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ড. বিনায়ক সেন বলেন, শেখ হাসিনা যে সাহসী তাতে কারো সন্দেহ করার অবকাশ নেই। শেখ হাসিনার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়ার আছে বাংলাদেশের। আমি যখন বাংলাদেশের আগামী দশ বছরের কথা চিন্তা করি তখন আমি দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভাবি না। এটা আমার ব্যক্তিগত দুর্বলতা। ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে তখন আমার চিন্তা আবর্তিত হতে থাকে। সেই ব্যক্তিটি এই মুহূর্তে আমি শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে পাই না। বাংলাদেশ আজ যে জায়গায় এসে পৌঁছেছে তিনি ছাড়া সেখানে পৌঁছাতে পারত না।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু বৈষম্যও বাড়ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অর্থনৈতিক বৈষম্য। মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৈষম্য হচ্ছে। এমনকি আঞ্চলিক বৈষম্যও বাড়ছে। সেই বৈষম্য মাঝে একটু কমে আসলেও এখন আবার বেড়েছে। পশ্চিমাঞ্চল-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য আছে। এসব বৈষম্য ছাড়াও সুশাসনের প্রতি, স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অনেকগুলো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য আমার কাছে মনে হয় বঙ্গবন্ধু ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র বিষয়ক এ আলোচনা।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাদ থেকে একসময় একচেটিয়া পুঁজিবাদ গড়ে ওঠে। কিন্তু পুঁজিবাদ এবং একচেটিয়া পুঁজিবাদ গ্রহণ করা দুটি ভিন্ন বিষয়। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিলো একচেটিয়া পুঁজিবাদ গ্রহণে সম্মতি না দেওয়া। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কোনো ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না। কারণ পাকিস্তান আমলের ২২ পরিবার গড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা তাঁর মনে দগ্ধভাবে গেঁথে ছিল। বঙ্গবন্ধু একচেটিয়া পুঁজিবাদ গড়ে উঠতে দিলে তার মালিকরা  রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হয়ে উঠতো এবং ছোট, বড়, মাঝারি কোনো পুঁজিরই বিকাশ ঘটত না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য বলেন, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই আমাদের বেঁচে থাকার যে আলো, সে আলোর উজ্বল রশ্মি। তিনি ৪২ বছর ধরে কি দিয়েছেন তা বলতে হয় না। কারণ সূর্য উঠলে ঢোল পিটিয়ে বলতে হয়না সূর্য উঠেছে। এখানে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার সূর্যটাকে কীভাবে দেখছি। উনি না থাকলে দেশ কোথায় যেত তা বলা মুশকিল। ১৯৮১ সালের পর এসে উনি দেশের কল্যাণের জন্যে কী করেছেন সেটিও আপনি বলবেন। উনার আগামী যে পরিকল্পনা সেখানে একটা আগামীর দিশা আছে, সেটা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। এখন শুধু আমাদের অপেক্ষা, তার সেই স্পর্ধিত বিষয়টি স্পর্শ  করা। আমরা তার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। ২০৪১ এর আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আমরা একটি আলোকিত বাংলাদেশে চলে যাব।

অনুষ্ঠানের সভাপতি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে আমরা বিভিন্নভাবে বলি উনি মানবতার মা, উনি আপোষহীন নেত্রী, উনি দেশরত্ন, উনি গণতন্ত্রের মানসকন্যা অনেক সময় অনেক কথা বলি। আমরা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘটনা জানি। ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনা আমরা জানি। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টার কথা জানি। সেসব ঘটনা সবচেয়ে বেশি যাকে আঘাত দিয়েছে, কষ্ট দিয়েছে তিনি আমাদের মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এত দুঃখ কষ্ট বুকে নিয়েও বাংলার মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহাও বক্তৃতা দেন। এসময় জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদসহ প্রায় তিন শত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন।

   

ভূমিকম্পে কুবির আবাসিক হলে ফাটল



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভূমিকম্পে কুবির আবাসিক হলে ফাটল

ভূমিকম্পে কুবির আবাসিক হলে ফাটল

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমিকম্পের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিটে এই ভূ-কম্পনটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল কুমিল্লার দক্ষিণে  লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু হলের ২০৯ নম্বর কক্ষের দেয়াল, পাঁচতলার দক্ষিণ পাশের ব্লকের ৫০৪ নম্বর কক্ষের সামনের করিডোরের মেঝের দুইটি টাইলস উঠে গেছে৷ একই তলায় নতুন ও ব্লকের সংযোগস্থলের করিডোরে নতুন ফাটল দেখা গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ব্লকের দুই করিডোরের মাঝের সংযোগস্থলে পুরো পাঁচ তলাব্যাপী ফাটল লক্ষ্য করা গেছে ৷


নজরুল হলের দোতলার ২০৭ নম্বর কক্ষের দেয়ালে, টিভি রুমের সামনের পিলারের সংযোগস্থলে নতুন ফাটল দেখা গেছে।

মোতালেব নামে এ হলের একজন আনসার সদস্য জানান, ‘আমি নিচতলা, দুইতলা ও তিনতলায় ফাটল দেখে এসেছি। এগুলো আগে ছিলো না।'

ফয়জুন্নেছা হলের পাঁচ তলার ৫০৩ ও ৫১১ নম্বর কক্ষে এবং চার তলার ৪০৩ নম্বর কক্ষের সামনের পিলারের নিচে নতুন ফাটল দেখা গেছে।

এছাড়া শেখ হাসিনা হলের রিডিংরুমের দেয়ালে হালকা ফাটল লক্ষ্য করা গেছে৷

বঙ্গবন্ধু হলের ৫১৯ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এমরান হোসেন বলেন, 'ভূমিকম্পের সময় আমরা নিচে নামতে পারিনি। কম্পন থামলে দক্ষিণ  ব্লকে পাশাপাশি দুইটি টাইলস উপরের দিকে হালকা উঠে থাকতে দেখা যায়।' 

নজরুল হলের ২০৭ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এহসান জানান, ‘প্রথমে আমরা কিছু বুঝতে পারিনি৷ ঝাঁকুনির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সবাই দৌড়ে বাইরে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর রুমে এসে দেখি দেওয়ালে ছোটবড় কিছু ফাটল তৈরি হয়েছে।'

হলগুলোর প্রভোস্টদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

যোগাযোগের পর বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট সরেজমিনে ফাটলগুলো পরিদর্শন করেছেন৷ তিনি জানান, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে কথা বলবেন বিষয়টি দেখার জন্য।

নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো: আবদুল লতিফ বলেন, 'আমি বিষয়টা জানতাম না, আপনার থেকে শুনেছি। যদি স্ট্রাকচারাল কোনো সমস্যা হয় তবে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো। যদি সত্যিই ভূমিকম্পের কারণে স্ট্রাকচারাল কোনো সমস্যা হয়, তবে তা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। এই বিষয়ে আমরা নিজেরা খোঁজ নিয়ে এক্সপার্টদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।' 

;

ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ল দরজার ফ্রেম, আতঙ্কে লাফ দিল শিক্ষার্থীরা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমিকম্পে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের রিডিং রুমের দরজা, ভঙ্গুর রেলিং এবং বিভিন্ন রুমের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়েছে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে লাফিয়ে পড়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে হলে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কমকে জানান, কিছু শিক্ষার্থী ভূমিকম্প আতঙ্কে হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছেন। ভূমিকম্পের তীব্র কম্পনের ফলে ভয়ে তারা লাফিয়ে পড়েন বলে ধারণা করছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ গুরুতর আহত হয় নি। তাদের কারোরই নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের রিডিং রুমের দরজার ফ্রেম ভেঙে পড়েছে। তাছাড়াও ৩৫১, ২৪৪, ২৪৮, ৩৪৮, ৩৪৪ সহ আরো কিছু রুমের ছাদের পলেস্তারা খসে পূর্বেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। তাছাড়াও ২৪৯ ও ৪৩৮ নং রুমসহ আরো কিছু রুমে ছাদের ঝুঁকি থাকায় সিলিং ফ্যান লাগানো যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় ভূমিকম্প হওয়ায় ভঙ্গুর এ সকল স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করে। ফলে পুরো হলের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ নভেম্বর বার্তা ২৪.কমের 'ভেঙে পড়েছে মুহসীন হলের ছাদের পলেস্তারা,আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা' শীর্ষক এক প্রতিবেদনে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ঝুঁকিপূর্ণ চিত্র উঠে আসে। তখন এ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। আমরা হলের বাকি তলাগুলো সংস্কার করেছি। দ্বিতীয় তলা সংস্কারের কাগজপত্র ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা এর ব্যবস্থা করছি।

আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ছে মুহসীন হলের ছাদের পলেস্তারা, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

 

;

জাবিতে খুলনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সভাপতি আরিফুজ্জামান উজ্জল ও সাধারণ সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন

ছবি: সভাপতি আরিফুজ্জামান উজ্জল ও সাধারণ সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত খুলনা জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন খুলনা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির আগামী এক (০১) বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জলকে সভাপতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি ফারিহা ইতু, ফাহমিদা হাসান তানহা, বিপ্লব সরকার, সানমুন আজাদ, সালমান রহমান, মাহাদী হাসান ও সজিব পাল রোমেন; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ, হাফিজুর রহমান, আহসান হাবিব রাসেল, খাদিজা তাবাচ্ছুম প্রমা, ফারহান মাসুদ, মাহমুদ হাসান, মো. শামীম উসমান ও মেশান শিকদার।

এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন মৃধা; সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, শামীমা আক্তার, লাভলী আক্তার, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মশিউর রহমান, রিয়াছাদ আলম, খাইরুজ্জামান শাহরিয়ার ও রাকিবুল হাসান; দপ্তর সম্পাদক লামিয়া জান্নাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক তানিয়া; কোষাধ্যক্ষ নাজমুস সাকিব, সহ-কোষাধ্যক্ষ ওশিন; প্রচার সম্পাদক আসমা নেহা, উপ-প্রচার সম্পাদক তন্ময় মন্ডল; ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিশ্বাস, সহ-ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস কান্তা; ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জয় প্রকাশ মন্ডল, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ শাহনেওয়াজ ফয়সাল; আইন বিষয়ক সম্পাদক আহনাফ তাজোয়ার ও উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসাইন শুভ।

কমিটির তথ্য ও যোগযোগ সম্পাদক মো. আলামিন হোসাইন, উপ-তথ্য ও যোগযোগ সম্পাদক সাজিয়া ইসলাম; সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধরা কবির, উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সামানজা শাহাদাত মৌনি; কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার রানা, উপ-কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক আরিফা আক্তার বৈশাখী, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হালিমা খাতুন, উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সামির আহমেদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আহসান আহমেদ পারভেজ এবং উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক রাফিয়ান আহমেদ নয়ন। এছাড়া কার্যকরী সদস্য হয়েছেন- অর্পন মন্ডল, প্রজ্ঞা প্রতীতি, নওশাদ নেওয়াজ ও মনিরা ফারজানা।

অন্যদিকে কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছেন, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান। এছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক মো. তাজউদ্দিন সিকদার, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জিনিয়া ইসলাম ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক এস এম এ মওদুদ আহমেদ প্রমুখ।

 

;

জাবিতে মসজিদের নির্মাণ কাজ চালুর দাবিতে মানববন্ধন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম বরকত হল ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল সংলগ্ন মসজিদের ৪র্থ বারের মতো বন্ধ হয়ে থাকা নির্মাণ কাজ পুনরায় চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে দুই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ সময় চলতি মাসেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১লা ডিসেম্বর) বাদ জুমা নির্মাণাধীন মসজিদের সামনে দুই হলের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ পুনরায় চালু করার দাবি জানান। এছাড়া আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও প্রকল্প অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার আল্টিমেটাম দেন তারা।

মানববন্ধনে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক ছাত্র রাফিউল ইসলাম রনি বলেন, 'মসজিদ নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালবাহানা শুরু করেছে। এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন অজুহাতে বারবার এ মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়েছে। আমরা এই মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, আগামী ১০ তারিখের মধ্যে কাজ শুরু না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন এবং প্রকল্প অফিসে আমরা তালা ঝুলিয়ে দিবো। যতদিন কাজ শুরু না হবে ততদিন এই তালা থাকবে। আমরা আগামী মাসের মধ্যে এই মসজিদে নামাজ শুরু করতে চাই।'

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও কামাল উদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র মো. মূসা ভূঁইয়া মানববন্ধনে বলেন, 'মসজিদের কাজ নিয়ে এতো তালবাহানা আমরা আর কোথাও দেখি নাই। এক বছরের মধ্যে এখনো নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই মসজিদে নামাজ পড়তে চাই।'

প্রসঙ্গত, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল ও শহীদ সালাম-বরকত হলের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৯৯০ সালে সমন্বিত একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মাণকাজ সমাপ্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে পাঁচবার সংস্কার করা হয়েছিল পুরাতন মসজিদটি। পরবর্তিতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে জরাজীর্ণ মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের এপ্রিলে। এর মধ্যে নকশা এবং আসন ও অর্থ জটিলতায় কয়েক দফায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট সকালে ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে।

;