ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শুরু হতে যাচ্ছে দুইদিনব্যাপী পর্যটন মেলা। কক্সবাজার স্টুডেন্ট ফোরাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিস্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আগামী ২৪ এবং ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন ডাচ চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে মেলা উপলক্ষে আয়োজকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কক্সবাজার স্টুডেন্ট ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সাইমুন ইসলাম বাপ্পি।
সম্মেলনে বাপ্পি বলেন, ‘মেলায় হোটেল, এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর এবং কক্সবাজারের ঐতিহ্যেবাহী পণ্যের ১৪ টি স্টল থাকবে। মেলা শুরু হবে সকাল ১০ টা এবং শেষ হবে রাত ৮ টায়। এছাড়া মেলা চলাকালীন অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের জন্য তাদের সেবা এবং পণ্যের উপর ১৫-৫০% ছাড় প্রদান করবে।’
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। মেলায় টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে Travelplz। প্রায় ২০ হাজার পর্যটক, দর্শনার্থী মেলা প্রাঙ্গন মুখরিত রাখবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার স্টুডেন্টস ফোরাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুল রহমান রাসেল, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটির সভাপতি মো:আশরাফুল ইসলাম নাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ, ট্যুর অপারেটর গ্রুপ অব কক্সবাজার (ট্যুয়াক) এর সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কবির পাশা এবং পর্যটন বিষয়ক সম্পাদক তওহিদুল ইসলাম তোহা।
এই আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়ে সাইমুন ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘প্রতিবছর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে কক্সবাজারে একটি পর্যটন মেলার আয়োজন করা হয়। আমরা চাচ্ছি আমাদের পর্যটন নগরীর কক্সবাজারের ঐতিহ্য তুলে ধরতে, ব্র্যান্ডিং করতে। সেই লক্ষ্যে ঢাকায় আমাদের এই আয়োজন।’
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরের পর্যটন ও পার্বত্য বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তোহা বলেন, ‘আমরা কক্সবাজারের পর্যটনকে প্রমোট করার জন্য সারা বাংলাদেশে কাজ করি। আমাদের অনেকগুলো কার্যক্রম আছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হচ্ছে কক্সবাজারের পর্যটনকে বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া। তার জন্য ট্যুরের সাথে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেয়া, সকলকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া। এগুলো আমাদের কার্যক্রমের অন্যতম লক্ষ্য। এরই অংশ হিসেবে এই আয়োজন।’
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল কমিটির সদস্য নুরুল কবির পাশা বলেন, ‘যারা আমাদের কক্সাবাজার যাবে তাদের জন্য আমার হোটেল ৫০ শতাংশ ও রেস্টুরেন্টে ২০শতাংশ ছাড় দিবো। এর পাশাপাশি আমি সকল কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিককে মূল্য ছাড় দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’