স্থানীয়দের সাথে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
স্থানীয়দের সাথে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

স্থানীয়দের সাথে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা এবং ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে 'নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকবৃন্দ'র ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, গত ১১ তারিখ কালো একটি দিন। যেদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ জীবনে আমি কখনো দেখিনি এতগুলো শিক্ষার্থী একসঙ্গে রক্তাক্ত হয়েছে। এতো বড় একটি ঘটনা কেন ঘটল, ঘটনার সাথে কারা সম্পৃৃক্ত, কাদের গাফিলতি ছিল এবং পুলিশ কেন প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালাল। এই বিষয়টিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই ঘটনার একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিৎ। যারা দোষী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ। আমরা দেখেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্মমভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। তাদের সমস্ত শরীরে গুলির চিহ্ন লেগে আছে। প্রশাসন কেন সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কেন বিষয়টি এত ঘোলাটে আকার ধারণ করল। এভাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত হোক আগামী দিনগুলোতে আমরা সেই প্রত্যাশা করিনা। শিক্ষক হিসেবে আমি চাই শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ এবং লেখাপড়ার একটি সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকুক। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়ন বন্ধ করা হোক।

বিশিষ্ট গবেষক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এই ক্যাম্পাসে যা ঘঠেছে তা আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে বিচলিত করছে। যখন কোন ঘটনা ঘটে সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং সে উত্তেজনায় আমরা অনেক ধরনের উগ্র কর্মকাণ্ড চালাই। তারপর ঠান্ডা পানির মতো আমরাও শীতল হয়ে যাই এবং অদূর ভবিষ্যতে আবার একটি ঘটনা ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। পুনরায় সেই ঘটনা ঘটলে আমরা আবার তীব্র উত্তেজনা প্রদর্শন করবো এবং খুব শীঘ্র সে উত্তেজনাও প্রশমিত হবে। কিন্তু তার ভেতরে বহু ছাত্র-ছাত্রী আহত হবে, বহু রকমের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটবে এবং আমরা আবার আরেকটা ঘটনার জন্য অপেক্ষা করবো। এটাই স্বাভাবিকভাবে চলে আসছে এবং আমরা ভাবি পরবর্তীতে যখন ঘটবে তখন ব্যবস্থা নেব।

বিষয়টি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে শিক্ষা থাকলে এই মানসিকতা তৈরি হওয়ার কোন সুযোগ ছিলোনা। যারাই আহত হয়েছে সেটা শিক্ষার্থী হোক বা বহিরাগত হোক সবার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের দেওয়া ছয় দফা দাবিও উপস্থাপন করে সেগুলো মেনে সে অনুযায়ী কাজ করার জোর দাবি জানান।

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর এবং আহ্বায়ক আমানুল্লাহ খান আমান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাবিতে প্রক্সিকাণ্ডে গ্রেফতার সেই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
হাসিবুল ইসলাম শান্ত

হাসিবুল ইসলাম শান্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত থাকা হাসিবুল ইসলাম শান্তকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

রোববার (৪ জুন) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক, এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. হাসিবুল ইসলাম শান্ত (সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা)-কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হল।’

এর আগে, রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে সরাসরি আটককৃতদের তথ্য অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৩০ মে) হাসিবুল ইসলাম শান্তকে নগরীর কাটাখালি এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়ের করা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, রাবির গত বছরের ভর্তি পরীক্ষাতেও একই অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের সংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে বহিষ্কার করা হলেও তিন মাসের মাথায় বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;

রাবির ১৬ কৃতী শিক্ষার্থীকে রুয়েডা’র বৃত্তি প্রদান



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ১৬ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন একাডেমিক ভবনের ২০৪ নম্বর কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগ এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়েডা) এই বৃত্তি প্রদান করে।

অনুষ্ঠানে বৃত্তি প্রদান কমিটির আহ্বায়ক মনজুর হাসান জানান, এই বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে অর্থনীতি বিভাগ যে দৃষ্টান্ত স্হাপন করল তা সকলের নিকট অনুকরনীয় হয়ে থাকবে। সকলকে এধরনের কর্মে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে কোনো শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে না যায়। ভবিষ্যতে এই বৃত্তি আরও বৃহৎ পরিসরে প্রদান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

বৃত্তি প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন রুয়েডার সভাপতি আলতাফ হোসেন, বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, বৃত্তি প্রদান কমিটির সদস্য সচিব আশরাফুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

;

ঢাবি রেজিস্ট্রার ভবনে হয়রানি বন্ধসহ ৭ দাবিতে শিক্ষার্থীরা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ইডেন মহিলা কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়েছে।

রোববার (৪ জুন) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে মিছিল শুরু করেন তারা। এরপর মিছিলটি ঢাকা কলেজের সামনে থেকে ঘুরে এসে ইডেন কলেজের গেট বন্ধ করে দেয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) গেটে এসে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত গেট বন্ধ থাকবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা অযোগ্য সমন্বয়ক মানি না, মানবো না, সাত দফা সাত দাবি মানতে হবে, মানতে হবে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে নন-প্রমোটেড তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

এছাড়া বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে, সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দিতে হবে, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সকল বিষয়ে পাশ করার পরেও একজন শিক্ষার্থী সিজিপিএ শর্তের জন্য নন প্রমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।

আন্দোলমকারী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, সমন্বয়ক এসে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ইডেনের গেট থেকে সরে দাঁড়াবো না। সমন্বয়ক সাত কলেজ চালাতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন।

এর আগে গত ২৫ মে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিসমূহ নিয়ে ঢাকা কলেজের সামনে মানববন্ধন করেন।

;

রাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুুদুর রহমান বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ বিশবিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ ও তার সহযোগীরা মাহমুদুর রহমানের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। হামলার সময় তারা নিজেদেরকে জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে পরিচয় দেন। এসময় প্রায় ২০ মিনিট ধরে তারা মাহমুদুর রহমানের মুখমণ্ডল, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধর করেন। মারধরের সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুর রহমানকে ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তোকে থাকতে দেবো না’ বলে হুমকি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, গতকাল ইবলিশ (শেখ রাসেল মাঠ) চত্বরে বসে সে গাঁজা সেবন করছিল। যেটা থেকে গন্ধ আসছিলো। এ জন্য আমি তাকে একটু দূরে সরে যেতে বলি। কিন্তু সে আমাকে উল্টো গালি দেয়। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি। এরপর টুকিটাকি চত্বরে আমার সঙ্গে দেখা হলে আমাকে আবারও গালি দেয় সে। এরপর আমি তার কাছে জানতে চাই ক্যাম্পাসে কোন ইয়ারে পড়াশোনা করো এবং বোঝাই। কিন্তু তাকে কোনো মারধর করা হয়নি।

গাঁজা সেবন করার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযোগকারী মাহমুদুর রহমান বলেন, আমার সাবেক প্রেমিকা তার (খালিদ সাইফুল্লাহ) বর্তমান গার্লফ্রেন্ড। একদিন স্টেশন বাজারে তার সঙ্গে চোখাচোখি হয়েছিল। কোনোদিন কথা হয়নি। পরে কালকে মারধর করার সময় আমাকে বলে, সিনিয়রদের সঙ্গে কিভাবে আচরণ করতে হয় জানিস না। বাজে সাউন্ড করিস এই বলে মারতে থাকে। আর বলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে থাকতে দেবে না।

লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়েছি। গতকাল (শুক্রবার) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছে। আগামীকাল (রোববার) অফিস খোলা থাকবে। তাই এ বিষয়ে আগামীকাল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়া হবে। প্রয়োজন বোধে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রক্টর দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে রোববার বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।

;