এ যেন এক নৈসর্গিক পুষ্প উদ্যান!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এ যেন এক নৈসর্গিক পুষ্প উদ্যান!

এ যেন এক নৈসর্গিক পুষ্প উদ্যান!

  • Font increase
  • Font Decrease

বাঙালি ও বাংলাদেশের স্থাপত্যশিল্পের আদিম নিদর্শন পদ্মাপাড়ের রাজশাহী কলেজ। ভবনগুলোর শৈল্পিক-সুদৃঢ় কাঠামো অনায়াসে ভাবনার জগতে দাগ কাটে যে কারোর। কৃতিত্ব, সৌন্দর্য আর আভিজাত্যের জন্য বিখ্যাত লাল দালানের এই ভবনগুলো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে র্যাঙ্কিংয়ে টানা চতুর্থবারের মতো দেশসেরা হয়েছে রাজশাহী কলেজ। দেশের একমাত্র এই মডেল কলেজ সেরা সরকারি কলেজেরও খেতাবও অর্জন করেছে। রাজশাহী কলেজ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তিনবার। শুধু পড়াশোনায় শ্রেষ্ঠ নয়; গাছপালা ঘেরা মনোরম পরিবেশ এবং লাল দেওয়ালের এই বৈচিত্র্যময় কলেজের অপরূপ সৌন্দর্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বাইরে থেকে আগত বিভিন্ন দর্শনার্থীদের মন জয় করে তুলেছে।

কলেজের মনোরম এই পরিবেশ ও সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হলো ফুলের বাগান। চেনা-অচেনা অসংখ্য গাছ-গাছালি এবং হরেক রকমের ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ক্যাম্পাসের আঙ্গিনা। চারপাশের সবুজ প্রকৃতি পাখির কলরব এবং রং বেরঙের ফুল দ্বারা সেজে উঠেছে তার অপার মহিমায়।


ফুল, সে তো এক প্রশান্তির প্রতীক। কখনো ভালোবাসার প্রতীক আবার কখনো বন্ধুত্বের প্রতীক। অনেকেই বলে থাকে কালো মানেই অশুভ আর শোক প্রকাশ। তবে অধিকাংশ ফুলপ্রেমী কালো ফুল দেখে শোক প্রকাশের পরিবর্তে বিমোহিত হয়ে পড়ে। ফুল মানে নিছকই সৌন্দর্যের বিষয়বস্তু নয় বরং তা ভালোলাগা, ভালোবাসার এক আবেগময় শব্দ। সৃষ্টিকর্তার অন্যতম সৃষ্টি ফুল যা আমাদের পৃথিবীকে আরো সুন্দর করে তুলেছে। প্রকৃতি তার সৌন্দর্য প্রকাশ করে ফুলের মাধ্যমে। ফুল তার নিজ সৌন্দর্য গুনে চারপাশের পরিবেশকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।

হরেক রকমের ফুলের কারণেই দৃষ্টিনন্দিত হয়েছে দেশসেরা এই কলেজটি। শীতকালে গাছের পাতা ঝরে রিক্ততা সৃষ্টির মূহুর্তে রকমারি ফুল দিয়ে নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করেছে এই ক্যাম্পাসটি। এ যেনো এক অনন্য রূপ!

শীতের সকালে ক্যাম্পাসে ভাসতে থাকে মোহনীয় সব ফুলের সৌরভ। এই স্নিগ্ধ সকালের শিশির বিন্দুতে ভিজে লাল টকটকে রং ধারণ করেছে ডালিয়া। শিশির স্নাতে অপরুপ সাজে সজ্জিত হয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, ক্যালেণ্ডুলা, সুইট উইলিয়াম সহ হরেক রকমের ফুল। হিমেল হাওয়ায় সতেজ হয়ে উঠেছে যেন গাঁদাগুলোও। উঁচু ভবন থেকে দেখলে মনে হয় যেন মাটিতে বিছানো রয়েছে এক ফুলের গালিচা।


ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বর, ভবন ও ফাঁকা জায়গাগুলোজুড়ে রয়েছে মোহনীয় সব ফুলের সৌন্দর্য। কলেজের প্রশাসন ভবনের পেছনে পুকুরপাড় সংলগ্ন রয়েছে একটি বাগান। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, জিনিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, টাইম ফুল, ব্যাচেলরস বাটন, চাইনিজ ফ্রিঞ্জসহ হরেক রকমের ফুল। এ যেন এক নৈসর্গিক পুষ্পউদ্যান!

প্রতিদিনই প্রায় শত দর্শনার্থীর ভিড় জমে এই পুষ্পউদ্যানে। নৈসর্গিক এই পুষ্পউদ্যানের পাশেই পুকুরটিতে দেখা যায় পদ্ম ফুলের সমারোহ। শুধু পদ্ময় নয়; আরও দেখা যায় দূর্লভ লাল শাপলা। শাপলা-পদ্মের এই নিবিড় বন্ধন এই দেশসেরা কলেজ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দ্বিগুন বৃদ্ধি করেছে।

পদ্মা নার্সিং ইনস্টিটিউটের মরিয়ম শান্তা নামের এক শিক্ষার্থী এসেছিলেন এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তিনি বলেন, আমি আজ প্রথম এই কলেজে ঘুরতে এসেছি। অন্যান্য স্কুল, কলেজেও আমি ফুলের গাছ দেখেছি কিন্তু একসাথে এতোগুলা ফুল কখনো দেখিনি। আর ফুল মানেই তো চোখের প্রশান্তি, মনের প্রশান্তি। আমার মনে হচ্ছে এখানে এসে সত্যিই আমি সেই প্রশান্তিটা পাচ্ছি। আমার অনেক ভালো লাগছে।


রাজশাহী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাষ্টার্স শেষ পর্বের ছাত্র রিকো মাহমুদ বলেন, আমি এখানে এসেছি কয়েকমাস হলো মাত্র। কলেজ সময় ছাড়াও কখনো কখনো সকালে এমনকি বিকেলে ও ঘুরতে আসি। কারণ ক্যাম্পাসের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মনোরম পরিবেশ, নাম না জানা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি, ফুল দেখে সত্যি মনটা ভালো হয়ে যায়। জানা-অজানা এতো শত ফুলের সৌন্দর্যে খুব প্রশান্তি অনুভব করি। ব্যাচেলরস বাটন, চাইনিজ ফ্রিঞ্জসহ এমন কয়েক ধরণের ফুলের সাথে এখানে এসে আমি পরিচিত হয়েছি।

ফুলের সৌন্দর্যের বিষয়ে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক বলেন, ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। কলেজের সৌন্দর্য বর্ধিত করার জন্যই রং-বেরং এর ফুল গাছ লাগানোর হয়েছে। আর শাপলা-পদ্ম আমাদের সকলের শৈশবকে মনে করিয়ে দেয়। ছোটবেলাকে ফিরে পাওয়ার জন্যই মূলত এই পদ্ম পুকুরের আয়োজন।

তিনি বলেন, দেশসেরা এই কলেজ একদিকে যেমন লাল ভবন, ভবনের উপরে আঁকা টেরাকোটা দিয়ে ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে, অন্যদিকে তেমনি হাজারো রকমারি ফুল দিয়ে কেঁড়ে নিয়েছে আগতো শত দর্শনার্থীর মন। কলেজটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলেই বিমোহিত হয় নিজ ক্যাম্পাস দেখে।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;