জবির ফাঁকা আসন পূরণে গণ আবেদন আহবান



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জবির ফাঁকা আসন পূরণে গণ আবেদন আহবান

জবির ফাঁকা আসন পূরণে গণ আবেদন আহবান

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ফাঁকা আসন পূরণের জন্য অনলাইনে গণ আবেদন আহবান করা হয়েছে। বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে ১০ হাজার মেধাক্রম, মানবিক (বি) ইউনিটে ৩ হাজার মেধাক্রম এবং বাণিজ্য (সি) ইউনিটে ১১০০ মেধাক্রম পর্যন্ত থাকা শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারবে৷

পাশাপাশি প্রথম থেকে সপ্তম মেধাতালিকায় বিষয় বরাদ্দ পেয়েও বিভিন্ন কারণে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হননি তারাও আবার আবেদনের সুযোগ পাবে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর পূর্বে গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জারিকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত মেধাক্রমের শিক্ষার্থীদেরকে ১৫-১৬ জানুয়ারির মধ্যে (https://admission.jnu.ac.bd) ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজ নিজ প্যানেলে লগ ইন করে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ১৭ জানুয়ারি ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৮-১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুনভাবে বিষয় বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তি ফিস জমা দিয়ে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ডীন অফিসে সনদপত্রাদি জমা দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

এক্ষেত্রে বিজ্ঞান অনুষদ ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের জন্য ৭ হাজার ৪০০ টাকা (প্রাথমিক ভর্তি ফিস ৫ হাজার টাকা বাদে), বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের জন্য ৫ হাজার ৪০০ টাকা (প্রাথমিক ভর্তি ফিস ৫ হাজার টাকা বাদে) কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদভুক্ত বিভাগ এবং ইন্সটিটিউটসমূহের জন্য (বিশেষায়িত ৪টি বিভাগ বাদে) ৫হাজার ৪০০ টাকা (প্রাথমিক ভর্তি ফিস ৫ হাজার টাকা বাদে) জমা দিতে হবে।

অপরদিকে যারা ইতিমধ্যে গুচ্ছভুক্ত অন্যকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছে তারা অনলাইনের মাধ্যমে অবশিষ্ট ভর্তি ফিস জমা দিয়ে পূর্বে জমাকৃত ভর্তি ফিসের প্রাপ্তিস্বীকার পত্র (একনলেজমেন্ট স্প্লিপ) সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ডীন অফিসে জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করবে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান (এ) ইউনিটে ২৪১টি আসন ফাঁকা। এর মধ্যে বাংলা বিভাগে ৭টি, ইতিহাস বিভাগে ১০টি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ৯টি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ৯টি, দর্শন বিভাগে ১৮টি, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগে ৪টি, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ১৬টি, ফিন্যান্স বিভাগে ৪টি,মার্কেটিং বিভাগে ৩টি, অর্থনীতি বিভাগে ৬টি,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ১৩টি, সমাজকর্ম বিভাগে ৪টি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ৭টি,নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৮টি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ৭টি, লোকপ্রশাসন বিভাগে ১০টি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে ১৪টি, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ৩৪টি, মনোবিজ্ঞান বিভাগে ৪৪টি, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৮টি এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ৬টি আসন ফাঁকা রয়েছে।

অপরদিকে মানবিক (বি) ইউনিটে ফাঁকা আছে ৪১টি আসন। যার মধ্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ২৭টি ও নৃবিজ্ঞান বিভাগে ১৪টি আসন ফাঁকা রয়েছে। আর বাণিজ্য (সি) ইউনিটে ফাঁকা আছে ২টি আসন। এই ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য কেবল নৃবিজ্ঞান বিভাগেই দুইটি আসন ফাঁকা।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয় গতবছরের ১৭ অক্টোবর। অনলাইনে আবেদন চলে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে আসন পূরণের লক্ষ্যে ধাপে ধাপে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। আগামী ২২জানুয়ারি থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য (https://admission.jnu.ac.bd) (www.jnu.ac.bd) ওয়েবসাইটগুলোতে পাওয়া যাবে৷

   

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান চালু



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান প্রবর্তন করেছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এরআগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৪তম সিন্ডিকেট সভায় ছুটির বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এই বিধিতে প্রচলিত সকল ছুটির সঙ্গে ১৫ দিনের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান প্রণীত হয়েছে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে ২৪তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জহুরুল ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুব্রত ভৌমিক, লেজিসলেটিভ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. ফিরোজ আহমদ, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা এবং রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী উপস্থিত ছিলেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তরুণ ও মেধাবী শিক্ষকগণ পাঠদান করছেন। পাশাপাশি তরুণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও রয়েছেন। তাদের সন্তানদের দেখাশুনার জন্য আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধানটি আমলে নিয়েছে।

তিনি বলেন, একজন সন্তানের কাছে মা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক বাবার ভূমিকাও তেমনই। এই দিক বিবেচনা করে আমাদের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ যারা নব্য বিবাহিত তারা সর্বোচ্চ দুবার পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

শাহ্ আজম আরও বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান থাকার ফলে মায়ের পাশাপাশি পিতাও সন্তানকে দেখাশোনার সুযোগ পাবেন। এই সুযোগটি তাদের উদ্বেগজনক অবস্থা মোকাবিলায় সহায়ক হবে এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণা হিসাবে কাজ করবে। যার ফলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অধিক মনোযোগী হবে, যা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক লক্ষ্য অর্জনে অগ্রসর হতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এছাড়াও উক্ত সিন্ডিকেট সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বিধি অনুমোদিত হয়েছ। প্রণীত শৃঙ্খলা বিধি শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন উপাচার্য।

;

জবি থেকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ চেয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস)।

রোববার (১ অক্টোবর) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ চিঠি দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, আগামী ২৬ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদের মেয়াদ শেষ হবে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে অবসর গ্রহণ করেছেন।

এদিকে জবিতে বর্তমানে গ্রেড-১ পদে ৩৬ জন, গ্রেড-২ পদে ৪৬ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৭৪ জন মিলিয়ে সর্বমোট ১৫৬ জন অধ্যাপক কর্মরত। এর মধ্যে দুজন অধ্যাপককে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে এবং দুজন অধ্যাপককে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং তারা সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।


চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সমিতির সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, কর্মরত অধ্যাপকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে এবং উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত সৎ এবং প্রশাসনিক ও গবেষণায় অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মধ্য থেকে গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা সাপেক্ষে যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দানের জন্য সরকারের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করার ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে মত প্রকাশ করেন।

এ অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করে শিক্ষকদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

চিঠির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অভিজ্ঞ, দক্ষ অধ্যাপক রয়েছে। আমরা চাই, সরকার যাকে ইচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে আগামীতে আরও ত্বরান্বিত করবে।

;

শেকৃবিতে ভেটেরিনারি ইন্টার্নশিপ রিসিপশন ও ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ রিসিপশন ও ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল ভবনের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ইন্টার্নশিপের উদ্বোধন করেন এএসভিএম অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম। এরপরে অনুষদের সকল শিক্ষক এবং ইন্টার্ন শিক্ষার্থীগণ একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করেন।

সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সেমিনার কক্ষে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এএসভিএম অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কেবিএম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইন্টার্নশিপ রিসিপশন ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন শুভ্র রায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্প্রসারণ বিভাগের পরিচালক ড. মো. শাহিনুর আলম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এগ্রো ভেট ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার জয়ন্ত দত্ত গুপ্ত। 

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্টার্নশিপ কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইন্টার্নশিপ কো-অর্ডিনেটর ড. মাহফুজুল ইসলাম। 

ইন্টার্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হোসাইন। বিকালে ইন্টার্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে রোগ প্রতিরোধ এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ক টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. অলোক কুমার পাল বলেন, যেকোনো শিক্ষার্থীকে গ্রাজুয়েট হওয়ার জন্য ইন্টার্নশিপ খুবই প্রয়োজন। তবে সকল বিষয়ে এখনো ইন্টার্নশিপ না থাকলেও ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের মেধা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য ইন্টার্নশিপ একটি ভালো সুযোগ।  দক্ষ ভেটেরিনারিয়ানদের হাত ধরেই দেশে আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। নিরাপদ আমিষ চাহিদা মেটাতে তারা কাজ করছে। আশাকরি শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে সব প্লেসমেন্ট থেকে ভালো কিছু শিখে আসবে, নতুন নতুন বিষয় হাতে কলমে শিখবে। সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে এগিয়ে যাবে, একজন দক্ষ ভেটেরিনারি ডাক্তার হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অংশ নিবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে একজন ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীর কর্মজীবনের সূচনা হয়। আমরা বারবার বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে কার্যকর ও শিক্ষা বান্ধব প্লেসমেন্ট ঠিক করেছি। প্রতি পাঁচ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন সুপারভাইজার দিয়েছি। সবকিছু নিয়মের মধ্যে হচ্ছে। একজন ভেটেরিনারিয়ানের দায়িত্ব অনেক বেশি। তাই তাকে অবশ্যই জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। আমরা আশাকরি আমাদের অনুষদ বাংলাদেশের একটি রোল মডেল হবে। আমাদের গ্রাজুয়েটরা তাদের কাজের মাধ্যমে এএসভিএম অনুষদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনবে।



;

ঢাবিতে হতে যাচ্ছে ৯ দিন ব্যাপি নাট্যোৎসব



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৯ দিন ব্যাপি (২ থেকে ১০ অক্টোবর) '১৭তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০২৩'।

রোববার (১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ নাট্যোৎসব আয়োজনের জানান দেন থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন কাজী তামান্না হক সিগমা, অধ্যাপক ড.ইসরাফিল শাহীন, সহকারী অধ্যাপক তানভির নাহিদ খান।

এই নাট্যোৎসব উপলক্ষে ২ অক্টোবর ২০২৩ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে বিভাগের স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় ১৫টি বাংলা নাটক মঞ্চস্থ হবে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নাট্যোৎসব উদ্ভোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সাংবাদিক সম্মেলনে থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের চ্যায়ারপার্সন কাজী তামান্না হক সিগমা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ জ্ঞানচর্চা, সৃষ্টিশীলতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে। অন্যদিকে বাঙ্গালির আত্মপরিচয় বিনির্মাণে সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ এবং বৈচিত্র্যময় মানবজীবনে দেহ ও আত্মার স্বরূপ অন্বেষণেও আমরা সচেতনভাবে আগ্রহী। মানব মনের সৌন্দর্য উপলব্ধি ও অন্তঃস্থিত অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম ক্ষেত্র শিল্প । এই শৈল্পিক প্রকাশে অনুভব ও অনুশীলন দ্বারা অধিগত সৃজনের এক নান্দনিক উপস্থাপন থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব।

তিনি আরো বলেন, এবারের ১৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব বিশেষভাবে অনন্য। কেননা কেবল বাংলা নাটক নিয়ে এই নাট্যোৎসবের বিন্যাস করা হয়েছে। নাট্যোৎসবে বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকদের ১৫টি নাটক মঞ্চায়িত হবে। । শিক্ষার্থী নির্দেশকগণ উৎসবে তাদের সৃজনশীলতা ও অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করবে। উৎসবে বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে নাট্যজন সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় মামুনুর রশীদের অবদান স্মরণ করে এই সম্মাননা, তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, নাট্যোৎসবে বিশেষ সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। ইতোপূর্বে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন সেলিম আলদীন, ফেরদৌসী মজুমদার, সৈয়দ শামসুল হক, আলী যাকের, আতাউর রহমান, রামেন্দু মজুমদার ও আসাদুজ্জামান নূর। 

 

 

;