বর্ণিল আয়োজনে শেষ হলো ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তন



আরিফ জাওয়াদ, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বর্ণিল আয়োজনে শেষ হলো ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তনের

বর্ণিল আয়োজনে শেষ হলো ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তনের

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক উৎসব মুখর আমেজে সম্পন্ন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে সিনেট, সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কনস্টিট্যুয়েন্ট কলেজের অধ্যক্ষ/ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা অংশগ্রহণে মাননীয় চ্যান্সেলরের শোভাযাত্রা বের হয়। শোভা যাত্রাটি কার্জন হল হয়ে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে (মূল সমাবর্তন কেন্দ্রে) প্রবেশ করে। ওই শোভাযাত্রাতে সমাবর্তনের বক্তা নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ ড. জ্যঁ মার্সেল তিরোলও অংশ গ্রহণ করেন।

বেলা ১২টায় সভাপতির আসন গ্রহণ করেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ।

সভাপতির বক্তব্যে আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অপরিসীম অবদান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশকে নেতৃত্ব প্রদানকারী অনেক নেতাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় আলোকিত হয়েছেন। এছাড়া যুগ যুগ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও কার্যকর অবদান রাখবেন।


উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবজ্ঞাননির্মাণের ব্রতকে সামনে রেখে একদিকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। অপরদিকে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মতো প্রযুক্তিমুখ্য বিশ্বব্যবস্থার উপযোগী করে এর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বহুমুখী বাস্তবতাকে সামনে রেখে এই বিদ্যাপীঠ আগামী একশ বছরে কোন পথে এগিয়ে যাবে তা নির্ধারণে প্রয়াস চলছে।

সমাবর্তন বক্তা ড. জ্যঁ মার্সেল তিরোল বলেন, পেশাজীবনে সফলতা অর্জনের জন্য গ্র্যাজুয়েটদের আত্মবিশ্বাস, দায়িত্ববোধ ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পরিকল্পিত উপায়ে কঠোর পরিশ্রম করলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য ও অগ্রগতি অর্জনের জন্য তিনি বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এর আগে তাঁকে সম্মান সূচক ডিগ্রি ‘ডক্টর অব লজ’ প্রদান করে মাননীয় রাষ্ট্রপতি।

উচ্চ শিক্ষা জীবনের পাঠের সমাপ্তির পরিপূর্ণতা ঘটে সমাবর্তনের মাধ্যমে, তেমনি ৩০ হাজার ৩শ ৪৮জন গ্রাজুয়েট ও গবেষকের পরিপূর্ণতা পেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের মাধ্যমে। পুুরো ক্যাম্পাস জুড়ে গ্রাজুয়েটদের এমন উপস্থিতিতে উৎসব মুখর আমেজ বিরাজ করছিল এসময় জুড়ে।


চিরাচরিত কালো গাউন আর মাথায় সমাবর্তন ক্যাপ পরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে হৈ হুল্লোড় আর ছবি তোলার হিড়িক চলছে ক্যাম্পাসে জুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), কলাভবন, অপরাজেয় বাংলা, রাজু ভাস্কর্য, বটতলা, সিনেট ভবন, মল চত্বর, কার্জন হলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় গ্রাজুয়েটরা গায়ে কালো গাউন আর মাথায় কালো হ্যাট পরে সেলফি, গ্রুপ ফটোসেশনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে সমাবর্তন প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের।

বেশ কয়েকজন সমাবর্তন প্রত্যাশীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে এ বিশেষ দিনটির জন্য অপেক্ষা করছি। অনুষ্ঠানের আগে ছবি তুলছি, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছি। বেশ আনন্দ লাগছে। পড়াশোনার এক পর্ব শেষ হলেও সামনে আরও পড়াশোনা রয়েছেই।

স্বর্ণপদক পাওয়া একজন শিক্ষার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক। তাঁর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আমার পরিশ্রমের স্বীকৃতি দিয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেরিতে হলেও স্বীকৃতি পেয়েছি, এজন্য গর্ব বোধ করছি।


উচ্ছ্বসিত অভিভাবক: বাবা-মাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে সমাবর্তন উদযাপন করতে এসেছেন অনেক গ্রাজুয়েটই। সমাবর্তনে আসা পারভীন আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার পর থেকেই স্বপ্ন ছিল তার সমাবর্তনে যাব। আমার যে আজ কত খুশি লাগছে বুঝাতে পারব না। আমার আজ স্বপ্ন পূরণের দিন।’

অন্যদিকে আকলিমা আক্তার বলেন, ‘আজ আমার সন্তানের লেখাপড়া শেষ। আজ থেকে আমি বলতে পারব আমার সন্তান গ্র্যাজুয়েট। এই অনুভূতি অনেক আনন্দের। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।'

এদিকে শামসুল হক নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমাদের এমন সমাবর্তন হয় নি। মেয়ের সমাবর্তনে এসে সেই অপূর্ণতার পরিপূর্ণতা পেল।’ বিশ্ববি শিক্ষাজীবনকে বেশ মিস করছি, বলে জানান ওই অভিভাবক।

উল্লেখ্য, ৩০ হাজার ৩৪৮ জন সমাবর্তন প্রত্যাশীদের মধ্যে ২২ হাজার ২৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া অধিভুক্ত সাত কলেজের দুই ৭ হাজার ৭৯৬ জন সমাবর্তনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ১৩১জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ১৫৩টি স্বর্ণপদক, ১৭জনকে পিএইচডি, ২জনকে ডিবিএ এবং ৩৫জনকে এম ফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

   

২৪ দিন বন্ধ থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইস্টার সানডে, পবিত্র শবে কদর ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৪ দিন ছুটি থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। আগামী ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল ২২ দিন সব ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে উপলক্ষে একদিন এবং ৭-১৮ এপ্রিল ১২ দিন পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকবে। ১৮ এপ্রিলের পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় এবারের ইদের ছুটিতে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা ২৪ দিন ছুটি পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছুটি কার্যকর হওয়ার কথা জানান।

হল প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চলাকালীন হল বন্ধ থাকবে, এ সময় কোনো শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবেন না। তবে বিশেষ কারণে যদি কেউ হলে থাকে সেক্ষেত্রে তাকে ২ এপ্রিলের মধ্যে হল অফিসে রক্ষিত রেজিস্টারে উপযুক্ত কারণসহ পরিচয় এন্ট্রি করতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে থাকতে হবে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা চাইবো ছুটিতে হলে কেউ না থাকুক।’

;

স্বাধীনতা দিবসে টোকেন কিনেও খাবার পায়নি ইবি অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাবারের টোকেন থাকার পরেও খাবার প্যাকেট ও কোমল পানীয় পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী। মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আটটি হলের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ করা হলে কিছু শিক্ষার্থী টোকেন থাকা স্বত্বেও খাবার না পেয়ে ফিরে যান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আছরের নামাজের পড়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ৫০ টাকার টোকেনের বিনিময়ে উন্নতমানের বিশেষ খাবার দেওয়ার কথা ছিল। তবে, নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে টোকেন সংগ্রহ করলেও খাবার নিতে এসে খাবার না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন বঙ্গবন্ধু হলের একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী।

তবে খাবার বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া ছিল বলে হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

টোকেন থাকার পরেও খাবার না পাওয়া একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অনাবাসিকদের জন্য বরাদ্দকৃত টোকেনে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে যে বাদ আসর আসতে হবে। তারা সে অনুযায়ী আসরের নামাজ শেষে খাবার আনতে হলে গিয়ে প্রভোস্ট অফিস এবং ডায়নিং উভয়ই বন্ধ পান৷ এরপর হলে টানানো নোটিশে দেখতে পান যে খাবার সংগ্রহ করার সময় বিকেল ৩টা থেকে ৪টা। উপায় না শিক্ষার্থীরা হলের প্রভোস্টকে ফোন দিলে প্রথমে কর্মকর্তা ফারুকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং পরবর্তীতে তিনি দেরি করে আসার শিক্ষার্থীদেরই উল্টো দোষারোপ করেন। কিন্তু খাবার নেওয়ার সময় পরিবর্তনের নোটিশটি এমন সময় দেওয়া হয়েছে যখন অনাবাসিক অনেকেরই টোকেন নেওয়া শেষ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তারা ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকি৷ ক্লাস বন্ধ থাকায় রোজা থেকে প্রতিদিন তো প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসে আসা হয়না। কাজেই দুইদিন আগে নোটিশ জানার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া আমাদের তো জানার কথা না যে টোকেন দেওয়ার পরেও উনারা পরবর্তীতে খাবার নেয়ার সময় পরিবর্তন করবেন। প্রভোস্ট স্যার আমাদের অফিস থেকে ৫০ টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলেছেন কিন্তু আমাদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ ছিল সেটা তো অবশ্যই ৫০ টাকা সমমূল্যের খাবার না।

এবিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন বলেন, ২৪ তারিখেই নোটিশ করে খাবার বিতরণের সময়ের ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ নোটিশ না দেখলে তার দায়ভার তো আমাদের না। বিকাল ৪ টার পরেই ১ ঘন্টা আমরা খাবার দিয়েছি। আমাদেরও তো ইফতার করতে হবে, আমরা তো কারো জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকবো না।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ৫০ টাকা মূল্যে টোকেন বিক্রি করে বিশেষ খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

;

চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল



চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪. কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির উদ্যোগে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল আয়োজিত হয়েছে। এ সময় সমিতির উপদেষ্টা ও জীবন সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নগরীর চিটাগাং ক্লাবে বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে এই প্রোগ্রাম।

সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জামাল মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী নির্বাহী সদস্য আহমদ ইমরানুল আজিজের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মুহাম্মদ শামসুল আলম, মুহাম্মদ শওকত আলী নূর, প্রাক্তন সহ সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দীন খান প্রমুখ।

এতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সেলিম, সহ সভাপতি ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম, অর্থ সম্পাদক আ ন ম নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক হোসাইনী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেহেনা আখতার বেগম, তথ্য, গবেষণা ও সেমিনার বিষয়ক সম্পাদক ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তফা নাজমুল কাউসার আরমান, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল বশর রাসেল, সমাজসেবা সম্পাদক মুহাম্মদ আইয়ুব আলী, নির্বাহী সদস্য এ এম রমিজ আহমদ ও মো. দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বিকাল ৩.০০ টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল, ️দ্বিতীয় পর্বে বিকাল ৪.০০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং ️ তৃতীয় পর্বে বিকাল ৫.০০ টায় রমাদানের তাৎপর্য আলোচনা ও ইফতার মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি চবি অধ্যাপক ড.মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আপনারা আমাকে ভালোবাসেন মায়া করেন। আজকে মহান স্বাধীনতা দিবসে চিটাগং ক্লাবে আমার মত নগন্য মানুষকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। আপনাদের এই ভালোবাসায় আমি চির কৃতজ্ঞ।পবিত্র রমজান মানবজাতির জন্য মহান আল্লাহ্ তায়ালার নিয়ামত। রমজানের শিক্ষা আমাদেরকে ত্যাগ, আত্মসংযম ও নৈতিকতার মাধ্যমে দেশ ও মানবসেবায় নিবেদিত হতে শিক্ষা দেয়।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার বলেন, পবিত্র রমাদানুল মুবারকের তাৎপর্য হলো এটি ত্বাকওয়ার শিক্ষা দেয়। রমাদান ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনের শিক্ষা দেয়। আমাদেরকে রমাদান থেকে ত্বাকওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে ও দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাত ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, এ মাসেই অবতীর্ণ হয়েছে মানবতার হিদায়াতের গ্রন্থ আল কুরআন। আল কুরআনের অনুসরণ ও অনুকরণ করতে পারলে মানবজীবন শান্তিময় হয়ে উঠবে।

পরিশেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান আলোচক চবি আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির জীবন সদস্য, বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও অতিথিদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়।

;

উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল কুবি শিক্ষক সমিতি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল কুবি শিক্ষক সমিতি

উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল কুবি শিক্ষক সমিতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সেগুন বাগিচায় অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে গত ২৫ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেছেন দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কুবি শিক্ষক সমিতি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যের দেওয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ঢাকার সেগুন বাগিচায় অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেছেন, এক সময় স্থবির হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষক সমিতি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই স্থবির ছিল না। বরং বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর থেকে নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষকদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা, প্রশাসনিক কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি, নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্য, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণে বৈষম্য তৈরি, তথ্য গোপন করে ইনক্রিমেন্ট গ্রহণসহ নানাবিধ আর্থিক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল ও স্থবির করে রেখেছেন। অতীতের সকল উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প এনেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গতিশীল ছিল।

উপাচার্য ভর্তি পরীক্ষার টাকা থেকে শিক্ষকদের অ্যাওয়ার্ড ও শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাৎ, গবেষণা খাতের বরাদ্দের তহবিল তছরুপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করেছেন। নিয়োগের শর্ত শিথিল করে, বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশ অগ্রাহ্য করে এবং নিয়োগ বোর্ড সদস্যদের নোট অব ডিসেন্ট উপেক্ষা করে একাধিক বিভাগে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে বিভাগগুলো চলছে ধুকে ধুকে। উপাচার্য দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৭ জন শিক্ষকের পদ এনেছেন। একটি কর্মকতা-কর্মচারীর পদও তিনি নতুন করে আনতে পারেননি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দও তিনি (উপাচার্য) আনতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সে সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে, সবই আগের উপাচার্যের আমলের। উপাচার্য সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, স্থায়ীকরণ কমিটির সিদ্ধান্ত প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করে কার্যবিবরণী মনগড়াভাবে তৈরি করেন। সবমিলিয়ে গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দৃশ্যমান কোন উন্নয়নই করতে পারেননি। এমনকি মাননীয় উপাচার্যের সময়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এ দাবিও অমূলক। অতীতেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে গর্বিত সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। প্রতিনিয়ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।

এছাড়া আরো উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের বিভ্রান্তি। মাননীয় উপাচার্য ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদ থেকে অবসর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেশন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র প্রভাষক পদে চাকরি নিয়ে চলে যান এবং সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ১২ বছর একই পদে চাকরি করার পর পুনরায় চাকরি নবায়ন করতে না পেরে ২০২০ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং জানুয়রি ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক হিসেবে ৫৬,৫০০/- টাকা বেতন স্কেলে কর্মরত ছিলেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাঁর প্রদত্ত বায়োডাটায় চুক্তিভিত্তিক কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপাচার্যের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

২০১১ সালে অবসর গ্রহণকালীন সময়ে তাঁর সর্বশেষ বেতন স্কেল ছিল ৩৪,০০০/- টাকা। প্রজ্ঞাপন অনুসারে সর্বশেষ আহরিত বেতন স্কেল ৩৪,০০০/- টাকা অথবা ৫৬,৫০০/- টাকা অনুযায়ী তার বেতন নির্ধারিত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ৬৮,৫৩০/- টাকা বেতন স্কেল নির্ধারণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করছেন এবং পরবর্তীতে দুটি ইনক্রিমেন্ট যুক্ত করে বর্তমানে ৭৪,৪০০/-টাকা বেতন স্কেলে বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করছেন। যা সম্পূর্ণরূপে বেআইনী, অনৈতিক এবং আর্থিক কেলেঙ্কারীর সামিল হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এভাবেই মিথ্যাচারের মাধ্যমে তিনি অবৈধ বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতি করে যাচ্ছেন। শিক্ষক সমিতি মনে করে গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে চরম মিথ্যাচার করেছেন। তাঁর দেয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। উপাচার্যের এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যলয়ের মান সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

;