হজের ৫ দিনের ধারাবাহিক কাজ ও নিয়মসমূহ



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মক্কা নগরী এখন হাজিদের পদচারণায় মুখর/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মক্কা নগরী এখন হাজিদের পদচারণায় মুখর/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কা নগরী (সৌদি আরব) থেকে: ১০ আগস্ট (৯ জিলহজ শনিবার পালিত হবে পবিত্র হজ। এদিন আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হবেন হজপালনকারী আল্লাহর মেহমানরা। হজের উদ্দেশ্যে মক্কা ও মদিনাসহ সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮ জিলহজ (৯ আগস্ট) হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে জোহরের আগেই মিনায় উপস্থিত হবে।

৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত চলবে হজের কার্যক্রম ও আনুষ্ঠানিকতা। হজের ৫ দিনের করণীয়গুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-

৮ জিলহজ, হজের ইহরাম

মক্কার হারাম শরিফ অথবা বাসা-হোটেল থেকে হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া এবং জোহরের নামাজের আগেই মিনায় পৌঁছা। এখন অবশ্য ৭ তারিখে রাত থেকেই হাজিদের মিনায় নেওয়ার কাজ শুরু হয়।

মিনায় অবস্থান: মিনায় ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব এবং সেখানে অবস্থান করা সুন্নত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565159805219.jpg

৯ জিলহজ, আরাফাতের ময়দানে অবস্থান

৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে পালিত হবে পবিত্র হজ। নবী করিস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আরাফাই হজ।' তাই ৯ জিলহজ ফজরের পর সম্ভব হলে মিনায় গোসল করে নেওয়া অথবা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া।

৯ জিলহজ জোহরের আগেই হজের অন্যতম রোকন পালনে আরাফাতের ময়দানে গিয়ে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করা। আর এটাই হলো হজের অন্যতম রোকন। ৯ জিলহজ সকালে মিনা থেকে রওয়ানা সময় তাকবির বলা- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং নিজ নিজ তাবুতে জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা-ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ-তাহলিল ও মোনাজাতে কান্নাকাটিতে আত্মনিয়োগ করা।

বিশেষ করে হজের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং তা বুঝে নিয়ে জীবনের বাকি সময় এ নসিহতের আলোকে জীবন গড়ার দীপ্ত শপথ নেওয়া।

সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও ইশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565159820272.jpg

১০ জিলহজ

মুজদালিফায় অবস্থান: মুজদালিফায় সারারাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করা। মুজদালিফায় সুবহে সাদিক পর্যন্ত থাকা সুন্নত। সুবহে-সাদিক থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত যেকোনো এক মুহূর্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য উঠার কিছু আগে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া।

পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরাতে (শয়তানকে মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে কংকর সংগ্রহ করা।

কংকর নিক্ষেপ: ১০ জিলহজ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরাতে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করা। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করা। কংকর নিক্ষেপের স্থানগুলোতে বাংলায় দেওয়া দিক-নির্দেশনা মনোযোগ সহকারে শুনে তা আদায় করা।

কোরবানি করা: বড় জামরাতে কংকর নিক্ষেপ করে মিনায় কোরবানির পশু জবাই করা। এ ক্ষেত্রে যারা ব্যাংকের মাধ্যমে কোরবানি সম্পন্ন করবেন, তারা ব্যাংকের লোকদের কাছ থেকে মাথা মুণ্ডনের নির্দিষ্ট সময় জেনে নেওয়া।

মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পর পরই মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হবে হাজি। মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে হাজি ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারলেও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১ ও ১২ জিলহজ, কংকর নিক্ষেপ ও তাওয়াফে জিয়ারত

তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো- তাওয়াফে জিয়ারত। যা ১১ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।

কংকর নিক্ষেপ: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করবে এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরাতে ৭টি করে ২১টি কংকর নিক্ষেপ করবে। তবে যদি কেউ কংকর নিক্ষেপের আগে কিংবা পরে কাবা শরিফ গিয়ে তাওয়াফে জিয়ারত আদায় করে তবে তাকে তাওয়াফের পর আবার মদিনায় চলে আসতে হবে এবং মিনায় অবস্থান করতে হবে।

নারী, বৃদ্ধ ও দুর্বলদের কংকর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে রাতের সময় বেচে নেওয়া উত্তম। তবে কংকর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে এখন হজ কর্তৃপক্ষ সময়সূচি নির্ধারণ করে দেওয়া এবং বাংলায় দিক নির্দেশনার ব্যবস্থা করে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী মিনায় কংকর নিক্ষেপের সময় জেনে তা পালন করা।

মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় রাতযাপন করা এবং যারা মিনা ত্যাগ করবেন তারা ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করবেন। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করা।

উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে কিংবা থাকার ইচ্ছা করে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি কংকর নিক্ষেপ করতে হবে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৩ জিলহজও মিনায় অবস্থান করেছিলেন।

বিদায়ী তাওয়াফ

সারাবিশ্ব থেকে আগত সব হজপালনকারীর জন্য দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে তাওয়াফ করা আবশ্যক। এ তাওয়াফকে বিদায়ী তাওয়াফ বলে। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফে হিসেবে আদায় হয়ে যায়।

   

শরিয়া ব্যাংকিং বিভাগ প্রতিষ্ঠার দাবিতে আইনি নোটিশ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন

বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন

  • Font increase
  • Font Decrease

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শরিয়া ব্যাংকিং বিভাগ প্রতিষ্ঠার দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ‘দ্য বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২’ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওই আইনের ধারা ৭এ (এফ) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ হলো- সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা। বাংলাদেশে দুই ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। এর একটি হলো- সুদভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যাংকিং, আর অপরটি ইসলামি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং। বাংলাদেশে ১০টি পূর্ণাঙ্গ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে। এ ছাড়া ১১টি প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২৩টি ইসলামি ব্যাংকিং শাখা এবং ১৩টি প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৫১১টি ইসলামি ব্যাংকিং উইন্ডো শরিয়াভিত্তিক আর্থিক পরিষেবা দিয়ে থাকে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ ও ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞদের বিস্তর অভিযোগ আছে, বাংলাদেশে প্রচলিত ইসলামি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে শরিয়া অনুসরণ করছে না। তারা মূলত বাংলাদেশের আপামর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে ব্যবসা করছে। এগুলোর তদারকির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো শরিয়া ব্যাংকিং বিভাগ নেই। এ ছাড়া শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রোডাক্টগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো শরিয়া বোর্ডও নেই। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক এদেশের শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও তদারকিতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক তার আইনি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে পৃথক শরিয়া ব্যাংকিং বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নিজস্ব শরিয়া বোর্ড গঠন করতে হবে। অন্যথায় এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হবে।

;

জার্মানি ইসলামিক সেন্টারের ৫০ বছর পূর্তি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অ্যাসোসিয়েশন অব ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার

অ্যাসোসিয়েশন অব ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার বলেছেন, ‘ইসলাম ধর্ম, মুসলমান ও মুসলিম সংস্কৃতি আমাদের দেশের শিকড়ে পৌঁছে গেছে। তারা এখন আমাদের দেশেরই অংশ। কিছু উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠী ইসলামফোবিয়ার মাধ্যমে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।’

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অ্যাসোসিয়েশন অব ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের (ভিআইকেজেড) ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কোলনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জার্মান প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।

স্টেইনমায়ার বলেন, ইসলাম ধর্ম, মুসলিম জীবনব্যবস্থা, মুসলিম সংস্কৃতি আমাদের দেশে শিকড়ে পৌঁছে গেছে। তাই আজকে ইসলামের বৈচিত্র্য, ৫০ লাখ মুসলমানের বৈচিত্র্যও আমাদের দেশের অংশ। তবে কিছু উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠী দল শরণার্থী সংকটকে সামনে রেখে বর্ণবাদ ও ইসলামফোবিয়ার মাধ্যমে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে চাইছে।

তিনি বলেন, জার্মানি আদর্শিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমাদের দেশ ধর্মমুক্ত; বরং এর অর্থ হচ্ছে ধর্ম ও ধার্মিকদের স্থান দেওয়া, বিশ্বাসীদের স্বাধীনতা রক্ষা করা।

জার্মানির মুসলমানদের একাংশ

 

তার মন্তব্যটি এমন সময়ে এসেছে, যখন বর্ণবাদ ও ইসলামফোবিয়া জার্মানির দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। বার্লিনভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২ সালে জার্মানিতে মোট ৮৯৮টি ইসলামফোবিয়ার ঘটনা রেকর্ড করা হয়। তবে ধারণা করা হয়, প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হবে।

সমীক্ষা অনুসারে, বর্ণবাদ জার্মানির মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে অনেক ঘটনায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন মুসলিম নারীরা। নথিভুক্ত ঘটনাগুলোর মধ্যে পাঁচ শতাধিক ছিল নানা ধরনের অপমান ও হুমকি প্রদানসহ নানা ধরনের মৌখিক আক্রমণ। এ ছাড়া ৭১টি শারীরিক ক্ষতি, ৪৪টি সম্পত্তির ক্ষতি, তিনটি অগ্নিসংযোগ এবং ৪৯টি সহিংসতার ঘটনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে।

সমীক্ষাসূত্রে জানা গেছে, মুসলিম তরুণ ও শিশুদের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা বাড়ছে। নারীদের তাদের সন্তানদের উপস্থিতিতে আক্রমণ করা হয়েছে এবং গর্ভবতী মহিলাদের পেটে লাথি বা আঘাত করা হয়েছে।

জার্মানির শুমারি অনুযায়ী, দেশটির জনসংখ্যা ৮৪ মিলিয়ন, যার মধ্যে পাঁচ মিলিয়ন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক। পশ্চিম ইউরোপে ফ্রান্সের পরে জার্মানিতেই সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বসবাস।

;

বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের ইজতেমা বৃহস্পতিবার শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার

বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে (মারকাজুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ) দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ইজতেমা শুরু হবে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে। প্রতি বছর রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম বৃহস্পতি ও শুক্রবার খানকাহে ইমদাদিয়া আশরাফিয়া আবরারিয়ার তত্ত্বাবধানে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ফজরের নামাজের পর ইজতেমাটি শুরু হয়ে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত চলবে। এতে আলোচনা করবেন দেশের শীর্ষ আলেম ও মরব্বিরা।

দুই দশক আগে মানুষের মধ্যে সুন্নতের চর্চা ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে এই ইজতেমা শুরু করেন ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান (রহ.)। তার ইন্তেকালের পর ‘খানকাহে ইমদাদিয়া আশরাফিয়া আবরারিয়া’-এর দায়িত্ব পালন করছেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র আল্লামা মুফতি আরশাদ রাহমানী।

বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও আলেমদের জন্য সুন্নত ইজতেমার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে ২০তম বারের মতো এবার খানকাহে ইমদাদিয়া আশরাফিয়া আবরারিয়ার তত্ত্বাবধানে এই ইজতেমার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উলামায়ে কেরাম অংশ নেবেন।

দেশের যে কোনো স্থান থেকে সায়েদাবাদ, আবদুল্লাহপুর, গাবতলী, কমলাপুর বা সদরঘাট নেমে বাসযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেট (বারিধারা ও কুড়িলসংলগ্ন) আসতে হবে। বসুন্ধরা গেট থেকে ডি ব্লক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ (বড় মসজিদ) আসতে হবে। সেখানে মারকাজুল ফিকরিল ইসলামী অবস্থিত।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মনোরম পরিবেশে অবস্থিত মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) জাতীয় পর্যায়ের গবেষণামূলক একটি উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও উন্নত সমাজসেবার ব্যতিক্রমধর্মী অনন্য প্রতিষ্ঠান।

১৯৯১ সালের ৫ মে (১৫ শাওয়াল, ১৪১১ হিজরি) দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের পরামর্শে মুহিউসসুন্নাহ হজরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক হারদূয়ী (রহ.)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান (রহ.) এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

;

নামাজ কেন পড়া হয়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করছেন উমরাযাত্রীরা

পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করছেন উমরাযাত্রীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই; সুতরাং আমার ইবাদত করো আর নামাজ কায়েম করো আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে।’ -সুরা ত্বহা : ১৪

মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী মানুষের মনে যতক্ষণ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তার স্মরণ, তার অপরিসীম দয়া ও অনুগ্রহের কথা এবং তার কাছে জবাবদিহিতার মনে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো বিশ্বাসী, খোদাভীরু ও কৃতজ্ঞচিত্ত বান্দার পক্ষে পাপ করা, অন্যায় করা সম্ভব হয় না।

আল্লাহতায়ালা পৃথিবীতে মানুষকে দিয়েছেন তার প্রতিনিধির মর্যাদা এবং সে অনুসারেই তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, দৈহিক অবকাঠামো, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষা, বিবেক ও ইচ্ছার স্বাধীনতা সব দিক থেকে তিনি মানুষকে অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন, আকাশ ও পৃথিবীর সব সৃষ্টিকে তিনি মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত করার পাশাপাশি তিনি সেগুলোকে মানুষের আয়ত্বাধীন করে দিয়েছেন। সর্বোপরি, মানুষেরা যাতে পৃথিবীতে শান্তি, শৃঙ্খলা, ন্যায়-ইনসাফ বজায় রেখে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান-মর্যাদা বজায় রাখতে পারে সেজন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে সঠিক পথনির্দেশ (আসমানি কিতাব) ও পথ প্রদর্শকও পাঠিয়েছেন।

এসব কিছু দিয়ে আল্লাহতায়ালা দেখতে চান তার কোন কোন বান্দা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তার বিবেকবান, কৃতজ্ঞ বান্দাদের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন মহাগ্রন্থ আল কোরআনে, ‘নিশ্চয় আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টি এবং রাত ও দিনের আবর্তনের মধ্যে রয়েছে বহু নির্দশন বিবেকসম্পন্নদের জন্য।’ -সুরা আলে ইমরান : ১৯০

কোরআন মাজিদে আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আল্লাহকে স্মরণ করে দন্ডায়মান, উপবিষ্ট এবং শায়িত অবস্থায় এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টির ব্যাপারে চিন্তা করে (তারা বলে), হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করোনি, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সুতরাং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করো।’ -সুরা আলে ইমরান : ১৯১

মুমিন জীবনে আল্লাহকে স্মরণ ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং নামাজ দিনে কমপক্ষে পাঁচবার আল্লাহকে স্মরণ করার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

আল্লাহর জিকির বা স্মরণ শুধু স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশেরই উপায় নয়, এটি পাপ থেকে বেঁচে থাকারও বড় উপায়। আল্লাহতয়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন যা তোমরা করো।’ -সুরা আল আনকাবুত : ৪৫

অন্যদিকে, যারা আল্লাহকে ভুলে থাকে তারা সহজেই শয়তানের খপ্পরে পড়ে নাফরমান হয়ে ওঠে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা তাদের মতো হয়ো না যারা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছে, ফলে আল্লাহও তাদেরকে আত্মভোলা বানিয়ে দিয়েছেন। এরা পাপিষ্ঠ লোক।’ -সুরা আল হাশর : ১৯

‘আর আপন রবকে স্মরণ করো সকাল-সন্ধ্যায় মনে মনে, অনুনয়-বিনয় ও ভীতি সহকারে এবং অনুচ্চ স্বরে। আর গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।’ -সুরা আল আরাফ : ২০৫

;