চট্টগ্রাম-১০: দুই হেভিওয়েটের লড়াই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
বাঁ থেকে ডা. আফসারুল আমিন ও আবদুল্লাহ আল নোমান, ছবি: সংগৃহীত

বাঁ থেকে ডা. আফসারুল আমিন ও আবদুল্লাহ আল নোমান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের-১০ আসনের (পাহাড়তলী- হালিশহর) নৌকা এবং ধানের শীষ মনোনীত দুই প্রার্থীই সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য ডা. আফসারুল আমিন এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

আফসারুল আমিন চট্টগ্রাম-১০ আসনের ১০ম জাতীয় সংসদের সদস্য ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। সরকারের নৌ পরিবহন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি এ আসনে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে কোতোয়ালি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্থানীয় সূত্রমতে জানা যায়, এলাকায় দুই প্রার্থীই সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণায়। দিন-রাত বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড।

জানতে চাইলে নৌকা মনোনীত প্রার্থী ডা. আফসারুল আমিন বার্তা২৪কে বলেন, 'ধানের শীষের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান একজন বহিরাগত প্রার্থী। তার একখণ্ড জমি এ হালিশহরে-বাকলিয়া অঞ্চলে নাই। তিনি মোটেও হেভিওয়েট প্রার্থী নন। বিগত দশ বছরে উনি কোথায় ছিলেন।'

অপর দিকে আবদুল্লাহ আল নোমান বার্তা২৪কে বলেন, 'আফসারুল আমিন ক্ষমতায় থেকেও হালিশহর-পাহাড়তলী এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেন নি। যাতায়াত ব্যবস্থা, পানি নিষ্কাশন, জলাবদ্ধতা এ আসনের অন্যতম প্রধান সমস্যা। কিন্তু আফসারুল আমিন এলাকায় কি করেছে। মানুষকে দুর্ভোগে রেখে তিনি আরাম আয়েশ করেছেন। বর্তমানে জোর করে জেতার জন্য আমার নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছেন। অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাচ্ছেন।'

চট্টগ্রাম-১০ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে নৌকা আর ধানের শীষের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৬ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৪০ হাজার ২১০জন পুরুষ এবং ২ লাখ ২৯ হাজার ৩৬ জন নারী।

   

ঢাকা-১৮ আসনে উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেবেন বিএনপি প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপি প্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর।

বিএনপি প্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর।

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বিএনপি প্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১টায় তিনি আগারগাঁও প্রধান নির্বাচন কমিশন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় এস.এম. জাহাঙ্গীরের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আমানউল্লাহ আমান।

উল্লেখ্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে চলতি বছরের ৯ জুলাই ঢাকা-১৮ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন আগামী ১২ নভেম্বর এই আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে।

;

বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন বিএনপি প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিপক্ষের নানা বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ। প্রতিদিনই বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে ভোটারদের দ্বারে ঘুরছেন তিনি।

বাণিজ্যিক এলাকার দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে আবাসিক এলাকা ও নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসস্থল বস্তিবাসীর কাছেও যাচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ নেমে আসছে তার নির্বাচনী প্রচারণায়।

এ সময় গৃহবধূ, শিক্ষার্থী ও শিশুরা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায় বিএনপি প্রার্থীকে। প্রতিউত্তরে সালাহউদ্দিন আহমেদও হাত নেড়ে জবাব দেন।

শনিবার (১০ অক্টোবর) বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ যাত্রাবাড়ী এলাকার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের আর কে চৌধুরী কলেজ গলি, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুতি খালপাড় ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর গলিতে গণসংযোগকালে এসব কথা জানান।

এ সময় কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ভোটারদের কাছে যান বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

সরকার দলীয় প্রার্থীর এক বক্তব্যের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মনু সব সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও টেন্ডারবাজদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকেন। এমনকি নির্বাচনকে সামনে রেখে কারাগারে আটক কয়েকজন সন্ত্রাসীকে মুক্ত করে আনা হয়েছে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী প্রার্থী এলাকার শিল্পপতিসহ নানাজনের কাছে চাঁদা দাবি করেছে বলে অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি প্রার্থী বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। আমাদের অভিযোগগুলো আমলে নিচ্ছে না। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কিছু ম্যাজিস্ট্রেট বিনা কারণে আমাদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে।

তাদের উদ্দেশে সালাহউদ্দিন বলেন, আপনারা জনগণের ট্যাক্সে লালিত-পালিত। তাই জনগণের পক্ষে থাকুন। তা থাকতে ব্যর্থ হলে ও ঢাকা-৫ উপনির্বাচন সুষ্ঠু না হলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগকালে অন্যান্যের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, যাত্রাবাড়ী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভাণ্ডারী, সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন সরদার, যুগ্ম সম্পাদক মাসুম দেওয়ান, যাত্রাবাড়ী যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মজিবুর রহমান মধু, যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শান্ত ইসলাম, জুম্মন, যাত্রাবাড়ী থানা জাসাসের আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল, স্বেচ্ছাসেবকদলের থানা আহ্বায়ক আলাউদ্দিন মানিক ও নারীদের থানা সভানেত্রী মাসুদা খান লতাসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

;

বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিনের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সালাহউদ্দিন আহমেদকে বহনকারী গাড়িতে ফের হামলা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদকে বহনকারী গাড়িতে ফের হামলা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদকে বহনকারী গাড়িতে ফের হামলা হয়েছে। এতে সালাহউদ্দিন অক্ষত থাকলেও হামলায় গাড়ির বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে যাত্রাবাড়ীতে প্রধান নির্বাচনী অফিসে ফেরার পথে ডেমরা বামৈল ব্রিজের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী মিছিলসহ হঠাৎ দৌড়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলে।

নির্বাচনী প্রচারণায় এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর এক বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি প্রার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাবালক ও অর্বাচীন। রাজনীতি ও এ নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই। তিনি একদিকে আমাকে বহিরাগত বলে সম্পূর্ণ ফালতু অপপ্রচার চালান, আবার আমার গণসংযোগে হামলাও করেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি সালাহউদ্দিন আহমেদ এই এলাকার তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এ এলাকার ৯০ ভাগ উন্নয়ন আমার হাত ধরে হয়েছে। আমার প্রচারণায় অতর্কিত হামলা করে এ এলাকার জনগণের মনে আঘাত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে রাজনীতিতে তার নাবালকতার পরিচয় দিয়েছেন।’

এর আগে ডেমরার বামৈল ব্রিজ থেকে শুরু করে বামৈল বাজার, ডগাইর নতুনপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন তিনি।

;

ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন মনিরুল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি সংগৃহীত।

ছবি সংগৃহীত।

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে মনিরুল ইসলাম মনু ও নওগাঁ-৬ আসনে মো. আনোয়ার হোসেন হেলালকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মনিরুল ইসলাম মনু হলেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়া আনোয়ার হোসেন হেলাল হলেন রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ৩০ আগস্ট গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ড চেয়ারপারসন ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা-৫ আসনে মনিরুল ইসলাম মনু এবং নওগাঁ-৬ আসনে মো. আনোয়ার হোসেন হেলালকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

অপরদিকে ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নৌকার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে এ নির্বাচনী আসনটি খালি হয়। এছাড়া সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে শূন্য হয় নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনটি। এ কারণে এখন ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে চলছে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি। 

;