পারফেক্ট সাজে আকর্ষণীয় আপনি!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেকআপের মাধ্যমে খুব দারুণভাবে নিজের সহজাত সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়।

সেক্ষেত্রে মেকআপ হওয়া প্রয়োজন টু দ্যা পয়েন্টে। মেকআপের কোন ধাপে একটুও এদিকওদিক হয়ে গেলে, সুন্দর দেখানোর পরিবর্তে দেখাবে কিম্ভূতকিমাকার। স্বল্প মেকআপ ব্যবহার করা হলেও সেটা যেন হয় পারফেক্ট সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তাই জেনে রাখুন মেকআপের পাঁচটি প্রয়োজনীয় টিপস।  

সঠিকভাবে কন্ট্যুর করা জানতে হবে

মেকআপের বিভিন্ন ধাপের মাঝে কন্ট্যুর করা সবচেয়ে ট্রিকি ও কঠিন। পারফেক্টলি কন্ট্যুর করতে পারলে চেহারার আকার ও ভাঁজগুলো সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। তবে কন্ট্যুরে যদি ভুল হয়ে যায়, সমস্ত মেকআপের কষ্ট ভেস্তে যাবে এক নিমেষেই। থুতনির মাঝের অংশ, নাকের মাঝের অংশ, কপালের মাঝের অংশের নিচের দিকে উজ্জ্বল ও হালকা রঙের হাইলাইটার ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে কপালের দুই পাশ, থুতনির দুই পাশ, চোয়ালের নিচের অংশ ও নাকের দুই পাশে ব্যবহার করতে হবে ত্বকের চাইতে গাড় রঙের ব্রোঞ্জার।

মুখের গড়ন অনুযায়ী ব্লাশের ব্যবহার

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/05/1544005308545.jpg

সাধারণত ব্লাশের ব্যবহারকে সবচেয়ে সহজ মেকআপের ব্যবহার হিসেবে ধরা হয়। আসলেও কি তাই? মোটেও নয়। বরং ব্লাশের ব্যবহার বেশ কৌশলপূর্ণ। নিয়ম অনুযায়ী ব্লাশ ব্যবহার করা না হলে, চেহারায় রঙিনভাব ঠিকভাবে ফুটে ওঠে না। বিশেষত মুখের আকার ও আকৃতির উপর নির্ভর করে, ব্লাশ কীভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন। গোলাকৃতির মুখে যেভাবে ব্লাশ দিতে হবে, চৌকোনা মুখে সেভাবে ব্লাশ দিলে একেবারেই মানাবে না।

ভিন্নমাত্রায় আইশ্যাডো

মেকআপের ট্রেন্ড বদলাচ্ছে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। কিছুদিন আগেও ম্যাট আইশ্যাডোর প্রচলন থাকলেও, ইদানিং পুনরায় গ্লসি আইশ্যাডোর চল দেখা যাচ্ছে। নতুনভাবে গ্লসি আইশ্যাডো কেনার চাইতে, ম্যাট আইশ্যাডোকেও গ্লসি করে নেওয়া যাবে। আইশ্যাডোর উপরে ব্রাশের সাহায্যে হালকাভাবে লিপবাম ম্যাসাজ করে নিলেই, পছন্দসই গ্লসি আইশ্যাডো তৈরি হয়ে যাবে।

কনসিলারের ত্রিভুজ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/05/1544005330627.jpg

চোখের পারফেক্ট সাজ ও চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জন্য কনসিলার ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। তবে কনসিলার ভালোভাবে ব্লেন্ড এবং প্রয়োগ না করা হলে চোখের নিচের অংশের কালো দাগ রয়ে যাবে। তাই চোখের নিচের পাতার লাইন বরাবর তিনকোনা কিংবা ত্রিভুজ আকৃতির রেখা কনসিলার ব্যবহার করতে হবে। এভাবে কনসিলার ব্যবহারের ফলে চোখের কালো দাগ সম্পূর্ণভাবে কভারেজ দেওয়া সম্ভব হয়।

লিপস্টিক দিতে হবে ধীরেসুস্থে

তাড়াহুড়ো করে লিপস্টিক দেওয়া এবং কিছুটা সময় নিয়ে ঠোঁটকে লিপলাইনার দিয়ে এঁকে এরপর লিপস্টিক দেওয়ার মাঝে তফাৎ থাকে। তারকাদের পারফেক্ট লিপ্সটক দেওয়া দেখে খুব অবাক হতে হয় নিশ্চয়। সেক্ষেত্রে জেনে রাখুন ছোট ও সহজ একটি নিয়ম। লিপস্টিকের চাইতে এক শেড হালকা রঙের লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের বর্ডার লাইন বরাবর এঁকে নিতে হবে। এরপর ঠোঁটে মাঝ বরাবর রেখা টেনে ঠোঁটেকে চারভাগ আঁকতে হবে। এরপর চারভাগের মাঝে আরো দুইটি করে লাইন টেনে মোট আট ভাগ করে নিতে হবে। এরপর লিপস্টিক ব্রাশের সাহায্যে কর্নার বরাবর ব্লেন্ড করে লাগিয়ে নিতে হবে। এভাবে লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের সঠিক আকৃতি ফুটিয়ে তোলা যায় এবং ঠোঁটকে আকর্ষণীয় দেখায়।

আরো পড়ুন: সঠিক সাজে আকর্ষণীয় চোখ

আরো পড়ুন: শ্যামলা ত্বকের জন্য নজরকাড়া লিপস্টিকের শেড

   

সম্পর্ককে প্রযুক্তির প্রভাবমুক্ত করবেন যেভাবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সম্পর্ককে প্রযুক্তির প্রভাবমুক্ত করবেন যেভাবে

সম্পর্ককে প্রযুক্তির প্রভাবমুক্ত করবেন যেভাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রযুক্তি এই যুগে মানুষের জীবন অনেকটাই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। এরমধ্যে মোবাইল ফোন এমন এক যন্ত্র যা ছাড়া প্রতিদিনের জীবন কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু যদি আপনার জীবনসঙ্গী মোবাইল ফোনের ওপর আসক্ত হয়ে যায় তাহলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

দম্পত্য জীবন নিয়ে কাজ করা কানাডার থেরাপিস্ট ডা. ট্রেসি ডালগ্লিশ তার একটি পোস্টে এই সম্পর্কে উপদেশ দিয়েছেন। আপনার সঙ্গীও যদি ডিভাইসের প্রতি বেশি আসক্ত হয় তবে কি করতে হবে দেখে নিন।

যেকোনো সম্পর্কে কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর সাথে মন খুলে কথা বলুন। প্রতিদিন আপনার সারাদিনের ঘটনা ও গল্পগুলো তাকে বলুন। তার সারাদিন কেমন কেটেছে তা জানতে চাইতে পারেন। আপনার অনুভূতি এবং উদ্বেগ গুলো তার কাছে প্রকাশ করুন। পার্টনারকে ভালো অনুভব করাতে তার কাজে তাকে উৎসাহ প্রদান করুন।

অভিযোগমূলক বা সমালোচনামূলক কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করা ভালো। এর চেয়ে বরং আপনার অনুভূতি দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। আপনার আবেগ এবং প্রয়োজনগুলি তাকে সরাসরি বলুন। একাবোধ করলে বা এড়িয়ে চলছে অনুভব করলে সেগুলোও তাকে জানান। 

তার ঘন ঘন ফোনে থাকার কারণগুলো বুঝতে আগ্রহী হন। সঙ্গী হিসেবে আপনাকে তার স্বস্তির স্থান হিসেবে তাকে অনুভব করান। নিজের সম্মান বজায় রাখুন এবং তাকেও সম্মানিত করুন।

প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ও পরিস্থিতি ঠিক করে নিন। যেখানে উভয়ই একসাথে ডিজিটাল ডিভাইস থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকবেন। হতে পারে তা খাবারের সময়, বাইরে হাঁটতে যাওয়া বা একসাথে বারান্দায় বসে কিছুক্ষণ গল্প করা।

নির্দিষ্ট অঞ্চল বা সময়গুলিকে প্রযুক্তি-মুক্ত অঞ্চল হিসাবে দু’জন মিলে ঠিক করে নিন। যেমন, হতে পারে বেডরুম। ঘুমানোর সময় কেউই শোয়ার ঘরে মোবাইল, ল্যাপটপ বা অন্য কোনো যন্ত্র আনবেন না এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

আপনি যে আচরণ তার থেকে প্রত্যাশা করেন, নিজেও তা প্রদর্শন করুন। গল্প করার সময় আপনার সঙ্গীর মনোযোগ যদি আশা করেন,তবে আপনাকেও তাই করতে হবে। নিজের ফোনের অভ্যাসের দিকেও নজর দিন।

তথ্যসূত্র: দ্য এন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

কাঁচা ছোলা কেন খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের অনেকেই শরীরের যত্ন ও স্বাস্থ্য সচেতনতায় ডায়েটে কাঁচা ছোলা রাখেন। এতে শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়। ছোলা খাওয়ার পর অল্প সময়েই হজম হয়। এতে ফলিক অ্যাসিড থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কাঁচা ছোলায় দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ থাকে, যা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ছোলা খাদ্যনালিতে ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পরিমাণ মতো কাঁচা ছোলা খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। কাঁচা ছোলায় থাকা ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়।

কাঁচা ছোলার স্বাস্থ্যগুণ:

ওজন কমায়: পুষ্টিগুণে ভরপুর ভেজানো ছোলা। প্রোটিন, ফাইবারে পরিপূর্ণ, এতে ক্যালোরিও খুব কম। ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম থাকার ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে না।

চুল ভালো রাখে: ভেজানো ছোলায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, জিংক এবং ম্যাংগানিজ। এই উপাদানগুলো চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে চাইলে প্রতিদিনের ডায়েটে ভেজানো ছোলা রাখতে পারেন।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে: ভেজানো ছোলায় কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার আছে। যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং শরীরে শর্করার শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। রোজ ভেজানো ছোলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১, বি২, বি৬ রয়েছে। এছাড়াও ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার ও আয়রন রয়েছে।

;

হজম সমস্যায় উপকারী খাদ্য



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজম সমস্যায় উপকারী খাদ্য

হজম সমস্যায় উপকারী খাদ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীরে যথাযথ পুষ্টি সরবরাহের জন্য গ্রহণকৃত খাদ্যের পরিপূর্ণ পরিপাক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যের পরিপাক পুরোপুরি না হলে তা প্রদাহ সৃষ্টি করে। এ কারণে পেটে ব্যথা, গলায় জ্বালাপোড়া, অস্বাভাবিক মলত্যাগসহ ক্লান্তি-অবসাদও হতে পারে। এমন অবস্থায় কী খাওয়া উচিৎ তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হতেই পারে। অবশ্যই এই ধরণেও সমস্যা হলে সহজপাচ্য ঘরে তৈরি খাবার খাওয়া উচিৎ। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ নীতি শেঠ ইন্সটাগ্রামে সম্প্রতি এই ব্যাপারে পোস্ট করেছেন। স্বাদযুক্ত সহজে পাচনযোগ্য কিছু খাদ্য ও পানীয়র উপদেশ দেন তিনি-

স্যুপ: গাজর, ধুন্দল, মটরশুঁটি, শতমূলীর মতো সাধারণ কিছু সবজি দিয়ে তৈরি করে নিন মজাদার স্যুপ। সাথে ব্যবহার করতে পারেন অল্প পরিমাণে মশলা, যেমন-আদা, গোলমরিচ, জিরা, ধনে। শরীরের হজম জনিত সমস্যা ও শক্তির অভাব হলে এই খাবার বেশ উপকারী।


জাউভাত: হালকা আদা বাটা ও লবণ দিয়ে জাউভাত রান্না করা হয়। বেশি করে পানি দিয়ে চাল অনেক্ষণ সিদ্ধ করে জাউভাত রান্না করুন। বেশি ক্ষুধার্ত না থাকলে কেবর চাল সেদ্ধ পানিপান করাও উপকারী।  

মুগডাল: মুগডাল একটি হাল্কা ও পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান। হজমের সমস্যায় মুগডাল খাওয়া ভালো অপশন। তবে অবশ্যই রান্নার আগে ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে যেন ভালোভাবে সিদ্ধ হয়। ডাল পুরোপুরি ভালোভাবে সিদ্ধ করে রান্না করে খাওয়া উচিৎ।

সবজির ঝোল: প্রতিদিন সবজির ঝোল শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রদানে অনিবার্য। পুষ্টি, ফাইবার, হার্ভস আর লাইট মশলার দুর্দান্ত মিশ্রণ এটি।   

খিচুড়ি: যেকোনো ধরণের ডাল ও চালের মিশ্রণে তৈরি খিচুড়ি খুব উপকারী। এটি যেমন কম সময়ে সহজেই তৈরি করা যায়, তেমন পেটের স্বাস্থ্যের জন্যও এটি বেশ উপকারী। 

ভেষজ চা: অসুস্থ অবস্থায় ভেষজ  চা অনেক কার্যকরী। গরম পানিতে লেবু, আদা, দারুচিনি, ড্যান্ডেলিয়ন, ক্যামোমাইলের চা উপকার করে।

ফলমূল: খাবারের ফাঁকে নাস্তা হিসেবে ফল খাওয়া যেতে পারে। আপেল, আনার বা তাজা ফল হজমে ভালো কাজ করে।           

এসব খাবার খাওয়ার পাশাপাশি হজমে সমস্যাকারী খাবার পরিত্যাগ করাও জরুরি। যেমন- দুগ্ধজাত, মাংস, রিফাইন্ড চিনি ও আটা, পাস্তা এবং বাইরের ভাজা পোড়া ও প্যাকেটজাত খাবার খেলে হজমের সমস্যা আরো বাড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

;

নিউমোনিয়ার ঘরোয়া উপশম



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিউমোনিয়ার ঘরোয়া উপশম

নিউমোনিয়ার ঘরোয়া উপশম

  • Font increase
  • Font Decrease

শীতকালে সাধারণত কিছু রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এর মধ্যে খুব কমন নিউমোনিয়া । এটি ফুসফুসে জীবাণুর ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে। ফুসফুসের বায়ুথলিতে ব্যথা হওয়া এই রোগের বড় সমস্যা। আরও বেশি গুরুতর অবস্থা হয় যখন ফুসফুসে পানি জমতে শুরু করে বা পুজ ধরে যায়।

তবে কাশি, বুকে ব্যথা, ঠান্ডা, শ্বাসকস্টের সমস্যা হওয়া এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। এই রোগ সব বয়সের মানুষের হয়, তবে বৃদ্ধ এবং বিশেষ করে শিশুদের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।

নিউমোনিয়ার কোনো ঘরোয়া চিকিৎসা নেই। তবু, ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খাওয়া ছাড়াও উপকারী কিছু ঘরোয়া নিয়ম পালন করা ফলপ্রসূ। এতে দ্রুত সেরে ওঠার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত হয়।

কমলা: ভিটামিন সি ঠান্ডাজাতীয় সমস্যায় দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের জন্য কার্যকরী এন্টিঅক্সিডেন্টের উৎস কমলা । তবে গলা ব্যথার সমস্যা থাকলে বেশি টকজাতীয় কমলা খাওয়া উচিৎ নয়। ভিটামিন সি এর জন্য অন্যান্য টকজাতীয় ফল যেমন লেবু, কিউয়ি, ব্যেরি খাওয়া যেতে পারে।

শস্যজাতীয় খাদ্য: উন্নত শর্করারসমৃদ্ধ হোলগ্রেইন খাবার নিউমোনিয়ার সময় খাওয়া উচিৎ। যেমন বার্লি, ওটস, বাদামী চাল ইত্যাদি শস্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এসব খাবারে ভিটামিন বি থাকে,  যা শরীরের তাপমাত্রা  নিয়ন্ত্রণে রাখে।

গরম পানি ও তরল খাবার: পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম পানীয় খাওয়া অনিবার্য। যেমন হলুদ গোলানো পানি ও চা।রোগীর অবস্থা ভেদে শরীরে পানির চাহিদা ভিন্ন। একবারে অনেক বেশি পানি পান করার চেয়ে, অল্প পরিমাণ গরম পানীয় বারবার পান করা বেশি কার্যকর। এছাড়াও, গরম অনুভূতির কারণে গলায় আরাম বোধও হয়।

মধু: বিভিন্ন ঔষধী গুণসম্পন্ন প্রাচীন উপাদানগুলোর একটি হলো মধু। এটি ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথার মতো নানাবিধ সমস্যার উপশম করে থাকে। লেমোনেডের সাথে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে স্বাদে মিষ্টতাও আসে, আবার গলার উপকারও হয়।

আদা: নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিউমোনিয়ার সকল উপসর্গসহ বুকে ব্যথার প্রতিও আদা প্রভাব ফেলতে পারে। আদা খাওয়ার ফলে বুকের কফ ও সর্দি কমে । এতে প্রশ্বাস-নিঃশ্বাস নিতে সুবিধা হয়।    

;