অ্যাসিডিটির সমস্যা: কারণ ও পরিত্রাণের উপায়



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক এই সমস্যাটির ফলে রোগীদের দীর্ঘদিন ধরে ভুগতে হয়। টক ঢেঁকুর ওঠা, বুক জ্বালাপোড়া করা, পেট ফেঁপে যাওয়া সহ নানান ধরণের শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয় এই সমস্যাটির ফলে।
কেন অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়?
নানান কারণেই অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার মাঝে কিছু হলো-

১. খাবার খাওয়ায় অনিয়ম করা।

২. অস্বাস্থ্যকর ও ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া।

৩. অতিরিক্ত ধূমপান কিংবা মদ্যপান করা।

৪. ওজন বেশি বেড়ে যাওয়া।

৫. গর্ভকালীন অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেওয়া।

কীভাবে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে?
সঠিক জীবন ব্যবস্থা ও নিয়মতান্ত্রিক খাদ্যাভাসই অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে পারে অনেকখানি। বিরক্তিকর অ্যাসিডিটি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মেনে চলুন কিছু সহজ নিয়ম-

খাওয়ার শুরুতে পানি পান

খাবার খাওয়ার মাঝে কখনোই পানি পান করা যাবে না। এতে অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি পায়। খাবার খাওয়ার অন্ততপক্ষে আধাঘন্টা আগে ও পরে পানি পান করতে হবে।

নাস্তা খেতে হবে ভারী

সাধারণত সকালের নাস্তা খুব হালকা কিছু খাওয়া হয়। আসলে নিয়ম হলো সকালেই ভারী কিছু নাস্তা করা। দুপুরে তার চেয়ে কিছুটা কম খাবার ও রাতে সবচেয়ে কম খাবার খেতে হবে।

পেট কিছু খালি রাখতে হবে

খাওয়ার সময় বেহিসেবিভাবে খাওয়ার ফলে পেট অনেক বেশি ভরে যায়। যা অনুচিত। খেতে হবে পেট কিছুটা খালি রেখে। অর্থাৎ পেট ভরে খাবার খাওয়া যাবে না। এতে পাকস্থলিস্থ খাদ্য ভালোভাবে পরিপাক হতে পারে না। বিধায় দেখা দেয় অ্যাসিডিটির সমস্যা।

ঘুম থেকে উঠেই পানি পান

সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পান করতে হবে। এক গ্লাসের বেশি পানি পান করতে পারলে আরও ভালো।

প্লাস্টিকের বোতল পরিহার করা

প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। যার প্রভাব দেখা দেয় অ্যাসিডিটির সমস্যার উপরেও। নিত্য ব্যবহারের জন্য তাই কাঁচের বোতল ব্যবহার করতে হবে।

রাতে আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া

রাতের বেলা খাবার নির্বাচনে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অতিরিক্ত আঁশযুক্ত খাবার অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে। তাই রাতের খাবার হতে হবে আঁশবিহীন অথবা স্বল্প আঁশযুক্ত।

দুই ঘন্টা পর অল্প পরিমানে খাবার খাওয়া

অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি হওয়ার অন্যতম বড় কারণ হলো একবারে অনেক বেশি পরিমানে খাবার খাওয়া। যে কারণে পরামর্শ দেওয়া হয় দুই ঘন্টা অন্তর স্বল্প পরিমাণ খাবার খাওয়ার জন্য। এতে করে খাবার ঠিকভাবে পরিপাক হবার সময় পায় ও অ্যাসিডিটির সমস্যা এড়ানো যায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান

প্রতিদিন অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করতে হবে। পানি কম পান করা হলেই অ্যাসিডিটির প্রকোপ দেখা দেওয়া শুরু করবে।

ভরপেটে এক্সারসাইজ করা যাবে না

খাবার খাওয়ার দুই-তিন ঘন্টা পর এক্সারসাইজ করা যাবে। ভরপেটে এক্সারসাইজ করার ফলে পাকস্থলিস্থ অ্যাসিড অনেক বেশি নিঃসৃত হয়। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়।

নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে ওজন

সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজনকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। বাড়তি ওজন ও ওবেসিটি অ্যাসিডিটি দেখা দেবার অন্যতম একটি কারণ। ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও নিয়ন্ত্রনে চলে আসে।

ধূমপান বর্জন করতে হবে পুরোপুরি

ধূমপানের ফলে তৈরি হওয়া নেতিবাচক চাপ অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে, যা থেকেই দেখা দেয় বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদী অ্যাসিডিটির সমস্যাও ধূমপানের অভ্যাস বাদ দেবার ফলে কমে যায়।

বাদ দিতে হবে অ্যালকোহল

মদ্যপানের ফলে শরীরে তৈরি হয় পানি শূন্যতা। যার প্রভাব থাকে বহুদিন পর্যন্ত। এই পানিশূন্যতা থেকে অ্যাসিডিটির প্রভাব তৈরি হয় ও দেখা দেয় বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা। যে কারণে মদ্যপানের অভ্যাস বাদ দিতে হবে একেবারেই।

অতিরিক্ত ঝালযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে

বিস্বাদ কিংবা পানসে খাবার খেতে ভালো না লাগলেও বাড়াবাড়ি ঝালযুক্ত খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। বিশেষত কোন খাবার তৈরিতে শুকনা মরিচ ব্যবহার করা হলে, সেই খাবার এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।  

পরিহার করতে হবে ক্যাফেইন

কফি কিংবা চায়ের স্ট্রং ক্যাফেইন অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাসিডিটি তৈরি জন্য দায়ী। অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বাদ দিতে হবে ক্যাফেইন গ্রহণ।

পেটের কাছে টাইট জামা পরা যাবে না

পেটের কাছে টাইট ফিট জামা পরার ফলে খাদ্য ভালোভাবে পরিপাক হতে পারে না। ফলে দেখা দেয় অ্যাসিডিটির সমস্যা।

 

কোন খাবারে বাড়ে অ্যাসিডিটির সমস্যা
একেকজন মানুষের একেকটি খাবারে অ্যাসিডিটির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। কারোর হয়তো চকলেট খাওয়ার সাথে সাথেই বুক জ্বালাপোড়া শুরু হয়, কেউ হয়তো টমেটো একেবারেই খেতে পারেন না। নিজের কোন খাবারে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে সেটা নির্ধারন করতে হবে।

চেয়ারে দিতে হবে দুপুর ঘুম

অ্যাসিডিটির সমস্যার সাথে দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে? তবে চেষ্টা করুন চেয়ারে আধশোয়া হয়ে ঘুমানোর। এতে অ্যাসিডিটি কম হবে।

ঘুমাতে হবে মাথা কিছুটা উঁচু রেখে

অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব বেড়ে গেলে ঘুমাতে হবে কিছুটা উঁচু বালিশে মাথা রেখে। এতে পেটের খাবার ভালোভাবে পরিপাক হয় এবং অ্যাসিডিটি তৈরি হয় না।

প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম

প্রতিদিন অন্তত ছয়-আট ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে। ঘুম কম হলে পাকস্থলিস্থ খাদ্য ভালোভাবে পরিপাক হয় না। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় অথবা বেড়ে যায়।

ঘুমানোর আগে খাবার না খাওয়া

যদি ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে পেট ভরে খাবার খাওয়া হয়, তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেবার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই-তিন ঘন্টা আগে খাবার খাওয়ার নিয়ম। এতে করে পাকস্থলী পর্যাপ্ত সময় পায় খাবার ঠিকভাবে পরিপাক হবার জন্য।

কোন খাবার অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সহায়ক?
উপকারী খাবার কমাবে অ্যাসিডিটি

অ্যালোভেরার জুস, কলা, কাজু বাদাম ও আদা খাওয়ার ফলে বুক জ্বালাপোড়া ও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যায় অনেকটাই।

সুগার ফ্রি চুইংগাম

সুগার ফ্রি চুইংগাম চিবানোর ফলে স্যালাইভা অনেক বেশি নিঃসৃত হয়। যা অ্যাসিডিটির প্রকোপ ও বুক জ্বালাপোড়াভাব কমাতে অনেকটা কার্যকর।

ঠাণ্ডা পানি পান

যদি হুট করে বুক জ্বালাপোড়া ভাব দেখা দেয় তবে এক-দুই গ্লাস ঠাণ্ডা পানি পান করতে হবে। ঠাণ্ডার সমস্যা থাকলে নরমাল পানি পান করলেও হবে।

পান করতে হবে বেকিং সোডার মিশ্রণ

অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি চাইলে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করতে হবে।

অ্যাসিডিটির সমস্যা না থাকলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন শরীর কতটা সুস্থ ও ঝরঝরে বোধ হয়। তাই সঠিক খাদ্যাভাস ও জীবন ব্যবস্থার মধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং দূরে সরিয়ে দিতে হবে অ্যাসিডিটি নামক যন্ত্রনাকে।

   

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত, মেনে চলুন এই বিষয়গুলো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুপিং কাশি খুবই গুরুতর একটি রোগ। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানুষের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করার ফলে হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক উপসর্গ হলো কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট। ইদানিং বেশ কয়েকটি দেশে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ২০ গুণ বেশি। তাই হুপিং কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

সতর্কতা বাড়ানোর আগে অবশ্যই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সংক্রমণ শিথিল করার উদ্দেশ্যে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। জেনে নিই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হলে কি করতে হবে-

১. টিকা: যেকোনো রোগের প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো টিকাগ্রহণ। বেশির ভাগ রোগের জন্যই প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে। শিশুদের ছোট থেকেই বাধ্যতামূলক কিছু টিকাদান করা হয়। সাধারণত ২ মাস বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়।

২. স্বাস্থ্যবিধি: ছোট থেকেই সকলের পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অনুশীলন করতে হবে। বাড়ি বড়দের উচিত সাবান পানিতে দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা। বিশেষ করের বাইরে থেকে ফেরত আসার পর, হাঁচি-কাশির পরে বা নোংরা কিছু ধরার পর। এছাড়া টয়লেট থেকে এসে এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও কাপ, চামচ, গ্লাস বা মগ ইত্যাদি জিনিস ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার করাই ভালো।   

৩. নাক-মুখ ঢাকা: শুধু হুপিং কাশি নয়, বেশিরভাগ ছোঁয়াচে রোগই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই অবশ্যই হাঁচি বা কাশি আসলে সবসময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। অথবা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নিন যেন জীবাণু না ছড়াতে পারে। হাতের কাছে কিছুই না পেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। হাঁচি এবং কাশির সময় ‍মুখ ঢেকে নিলে রোগ ছড়ানো অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

৪. বাড়িতে থাকা: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত হলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। একেবারেই বের না হলে আরও ভালো। অত্যাধিক সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে অন্যদেরও উচিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. চিকিৎসা: আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হবে। 

;