ভিটামিন ডি ঘাটতি: ঝুঁকি, উপসর্গ এবং বৃদ্ধির উপায়



সুলতানা জাহান, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, লাইফস্টাইল
নিয়মানুবর্তিতা

নিয়মানুবর্তিতা

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিটামিন ডি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা মানবদেহের বিভিন্ন অর্গানের সুস্থতা নিশ্চিত করে।মূলত ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে ফসফরাসের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে একদিকে যেমন হাড়ের ক্ষয় রোধ ও পুনর্গঠন করে তেমনি অন্য রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।

যদিও বাংলাদেশে এর প্রবণতা কম, তবুও ইদানিং শহুরে মানুষদের মধ্যে প্রায়ই ভিটামিন ডি ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

 যারা এর ঝুঁকিতে রয়েছেন

নিরামিষভোজীরা এই ঝুঁকির মধ্যে পড়েন কারণ যেসব খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় তার সবই আমিষ জাতীয় খাবার। যেমন ডিমের কুসুম, মাছ, মাছের তেল, দুধ এবং কলিজা।

যারা রোদের সংস্পর্শে একেবারেই যান না এবং তুলনামূলক অন্ধকার ও স্যাঁতস্যাঁতে ঘরের মধ্যে বেশি থাকেন বা মাথা ঢেকে লম্বা পোশাকে নিজেকে আবৃত রাখেন অথবা দিনের বেশির ভাগ সময় এসি রুমে থাকেন তারা ভিটামিন ডি ঘাটতির ঝুঁকিতে রয়েছেন।

সাধারণত গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালীন সময়ে ভিটামিন ডি’র অভাব বেশি দেখা যায়।

মায়ের ভিটামিন ডি’র অভাব থাকলে মাতৃদুগ্ধ পানকারী শিশুর মধ্যে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

অনুজ্জ্বল ত্বকের মানুষও এই ঝুঁকিতে রয়েছেন। অনুজ্জ্বল ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বেশি থাকে যা সূর্য থেকে ভিটামিন ডি তৈরির ক্ষমতা হ্রাস করে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় ভাবে ভিটামিন ডি রূপান্তর বা তৈরি করতে কিডনির সক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে এই বয়সীদের মধ্যে ভিটামিন ডি ঘাটতি হতে পারে যা ঝুঁকিপূর্ণ।

লিভার বা কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও ভিটামিন ডি’র ঘাটতির ঝুঁকিতে রয়েছে। এই রোগের কারণে খাদ্য বা সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করার ক্ষমতাও কম থাকে।

ভিটামিন ডি ঘাটতির কারণে যেসব রোগ হয়:

ভিটামিন ডির অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হয়। ফলে বাচ্চাদের হাত-পা বাঁকা হয়ে যায় এমনকি বিকলাঙ্গও হতে পারে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশও বাধাগ্রস্থ হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি না থাকে ফলে ঘনঘন ঠাণ্ডা ও অন্যান্য সংক্রমণ হতে থাকে।

ভিটামিন ডি হাড়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন ঘাটতির কারণে অস্টিওপরোসিস দেখা দেয়। যা হাড়ের স্বাভাবিক ঘনত্ব কমিয়ে দেয় অর্থাৎ হাড় পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। ফলে হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভোগান্তিতে রূপ নেয়।

ভিটামিন ডি’র লেভেল কম থাকলে বয়স্কদের স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে অর্থাৎ চিন্তাশক্তিতে স্বচ্ছতা কমে যেতে পারে।

ভিটামিন ডি’র অভাবে দাঁতের গোড়া শক্ত হতে পারে না এবং অকালেই দাঁত পড়ে যায় এমনকি চোয়ালও বাঁকা হয়ে যায়।

এছাড়া দীর্ঘদিন ভিটামিন ডি’র অভাব থাকলে জটিল যেসব রোগের সম্ভাবনাও রয়েছে:

ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যানসার, মেদবৃদ্ধি, দূর্বল মাংসপেশি, বিষন্নতা, দূর্বলতা, আর্থরাইটিস, চুল পড়ে যাওয়া, অ্যাজমা, ক্রনিক ডিজিজ ইত্যাদি।  

 সুস্থ্ মানুষের কতটা ভিটামিন ডি প্রয়োজন?

মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের মেডিসিন ইনস্টিটিউট (IOM)এর তথ্যমতে বয়স অনুযায়ী কার কতটা ভিটামিন ডি প্রয়োজন তা নিচে দেয়া হলো। এক মাইক্রোগ্রাম সমান ৪০ আইইউ (আন্তর্জাতিক ইউনিট)

১২ মাসের কম বয়সি শিশু: ৪০০ আইইউ (১০ মাইক্রোগ্রাম)

১ থেকে ১৮ বছরের পর্যন্ত: ৬০০ আইইউ (১৫ মাইক্রোগ্রাম)

১৯ থেকে ৭০ বছরের জন্য: ৬০০ আইইউ (১৫ মাইক্রোগ্রাম)

৭১ থেকে তদুর্ধদের জন্য: ৮০০ আইইউ (২০ মাইক্রোগ্রাম)

গর্ভাবস্থায় এবং ব্রেস্ট ফিডিং করান এমন মায়েদের ক্ষেত্রে: ৬০০ আইইউ

ভিটামিন ডি পাওয়ার উপায়:

খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন এবং সূর্যের আলো থেকে এই ঘাটতি কমানো সম্ভব।

রোদে ভিটামিন ডি: 

সূর্যের আলোর সংস্পর্শ, আপনার শরীরে ভিটামিন ডি উৎপাদন হতে সাহায্য করবে। তবে অতিরিক্ত সূর্য রশ্মি আবার ত্বকের জন্য ক্ষতিকরও বটে।

খাদ্যে ভিটামিন ডি: 

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন তেল সমৃদ্ধ মাছ (স্যালমন, টুনা এবং মেকারেল), গরু-খাসি-মহিষের কলিজা, ডিম, শুঁটকি, মাশরুম এবং পনির ইত্যাদি খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে ভরপুর ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। এছাড়া দুধ, সয়া প্রোডাক্ট, অরেঞ্জ জ্যুস ইত্যাদিতেও ভিটামিন ডি রয়েছে।

টিপস:

পুষ্টিবিদের পরামর্শানুযায়ী খাদ্যতালিকা গ্রহণ করুন

শিশুকে নিয়মিত তেল মেখে রোদে রাখুন

সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অন্তত ৫ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকুন।

তুলনামূলক কম উজ্জ্বল ত্বকের যারা তারা ১০ থেকে ৪০ মিনিট রোদে থাকুন।

অতিরিক্ত এসি রুমে না থাকার চেষ্টা করুন

কর্মক্ষেত্রে যাদের দীর্ঘসময় এসিতে থাকতে হয় তারা যে কোনো এক ফাঁকে রোদে থাকুন

আপনার শরীরে নানাবিধ ব্যথার কারণ ভিটামিন ডি’র ঘাটতি কিনা তা যাচাই করে দেখুন 

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির মাত্রাও বেড়ে যায় তাই সকালের দিকের রোদই বেশি উপযোগী ভিটামিন ডি গ্রহণের জন্য। তাতে ত্বক পুড়ে যাওয়া বা ত্বকে নানা রোগ হওয়ারও সুযোগ থাকে না। রোদে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে সানস্ক্রীন ক্রিম ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাবেন না।

ধুমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করুন

আপনার শরীরের নানান সমস্যার কারণ ভিটামিন ডি’র ঘাটতি নয়তো? যাচাই করে নিশ্চিত থাকুন। কারণ একটু সচেতনতা আর নিয়মানুবর্তিতাই পারবে আপনাকে নানাবিধ রোগ থেকে রক্ষা করতে। আর প্রকৃতি প্রদেয় পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ অন্তত কিছুটা হলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ায় ভাটা পড়াবে।

   

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;

সিডনীর উইলি পার্কে উৎসব মুখর বৈশাখী মেলা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ মানেই নতুন সূচনা। বছরের প্রথম মাসে নতুন করে চারদিক আন্দোলিত হয় নতুন আনন্দে। এই আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালিরা। আমাদের দেশে বেশ ধুমধাম করে পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকালে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা, পাশাপাশি বিখ্যাত রমনার বৈশাখীমেলা। দেশের বিভিন্ন স্থানেই বৈশাখে কয়েকদিন যাবত মেলা চলে।

তবে দেশের বাইরেও বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অনেক বাঙালি। তাদের ভেতরের বাঙালি সত্ত্বাও নতুন বাংলা বছরে জেগে ওঠে। প্রায় সময় দেখা যায় প্রবাসে বসবাসকারীরা বিভিন্ন উৎসব নিজেদের উদ্যোগে উদযাপনের চেষ্টা করে। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যেকোনো উৎসব আয়োজন করার।


রোববার (২১ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে বসবাসকারী বাঙালিরা আয়োজন করেছিলেন বৈশাখী মেলার। নিউ সাউথ ওয়েলসের উইলি পার্কে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। সেখানে স্থানীয় বাঙালিরা ভিড় জমান এবং বৈশাখ বিলাসে মেতে ওঠেন। লাল-সাদা পোশাকে সকলে একত্রিত হন পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে। ছোট ছোট শিশুরা বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচে-গানে সেজে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ঢোল, তবলা, করতালের ছন্দে বাংলার আভায় মেতে ওঠে এক টুকরো সিডনি।

মেলার মাঠে ছোট ছোট তাবুতে স্টল বসেছে। সেখানে সাজানো হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যময় নানান জিনিস। তাঁতের শাড়ি, নানান গহনা, খেলনা, বাঙালি খাবার , পোশাকসহ নাগরদোলা এবং বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা। খাবারের মধ্যে ছিল সিঙ্গারা, সমুচা, ফুচকা, চটপটি, হালিম সহ নানান পদ।


শুধু বিদেশের মাটিতে বাঙালীর মেলার আয়োজন হয়েছে তা নয়! আমাদের দেশেও বেড়াতে আসা ভিনদেশীদেরা ঐতিহ্যে নিজেদের খাপ খায়িয়ে নেন। প্রায়ই দেখা যায়, অনেক বিদেশীরাও বৈশাখী আনন্দে মেতে ওঠে। গালে শুভ নববর্ষ লিখে মেলায় যায়। মানুষের সাথে মানুষের যে আত্মার বন্ধন; পোশাক, জীবনধারা, ভাষা- কিছুই যে বাঁধা নয় তারই প্রমাণ মেলে। আমরা যেমন আবরণ ভুলে সকলকে জরিয়ে আপন করে নেই, তেমনি তারাও আমাদের সংস্কৃতির ছাঁচে তাদের আবদ্ধ করে নেয়। এমন করে দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি ছড়িয়ে যাক! যুগ যুগ বেঁচে থাকুক বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি…

;