মেকআপ ব্যবহারে মলিন ত্বক?



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
মেকআপ পরবর্তী সময়ে ত্বকের সঠিক যত্ন খুবই জরুরি, ছবি: সংগৃহীত

মেকআপ পরবর্তী সময়ে ত্বকের সঠিক যত্ন খুবই জরুরি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যিনি একেবারেই সাজেন না, ঈদের সময়টিতেও আলতো ফেস পাউডার ও লিপস্টিক ব্যবহার করেন।

উৎসবের আমেজে সাজ সাজ রব শুধু চারপাশে নয়, নিজের মাঝেও বিরাজ করে।

ঈদের কয়েকটি দিন প্রায় প্রতি বেলাতেই মেকআপ পণ্য ব্যবহার করা হয়। পরপর কয়েকদিন মেকআপ ব্যবহারের ফলে খুব স্বাভাবিক নিয়মেই ত্বকের উপর নেতিবাচক প্রভাবের সৃষ্টি হয়। ত্বক তুলনামূলক খসখসে ও নিষ্প্রাণ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত ব্রণের প্রাদুর্ভাবও দেখা দেয়।

এই সমস্যাগুলো দূরে রাখতে প্রয়োজন ত্বকের সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন। বিশেষত ভারি মেকআপের পরবর্তী সময়ে ত্বক সঠিকভাবে পরিষ্কার করা খুবই জরুরি। আজকের ফিচারে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো মেকআপ পরবর্তী সময়ে ত্বকের যত্নে কি করা প্রয়োজন।

ক্লিনজিং

ত্বককে প্রস্তুত করার জন্য অবশ্যই প্রথমে ভালো কোন ক্লিনজার দিয়ে মুখ, গলা ও ঘাড়ের ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে।

এক্সফলিয়েটিং

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/08/1559976596919.jpg

সাধারণভাবে মুখের ত্বক ধোয়া হলেও ত্বকের গভীর থেকে ময়লা ও মেকআপের অবশিষ্টাংশ দূর করার জন্য এক্সফলিয়েট করা খুবই জরুরি। এক্সফলিয়েশনের জন্য বাজার থেকে কেনা অথবা ঘরে  তৈরি এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মধু, লেবুর রস ও চিনি একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে চিনি যেন গলে না যায়। এই এক্সফলিয়েটর ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা বের করে আনার পাশাপাশি ত্বকের উপকারেও কাজ করবে।

ময়েশ্চারাইজিং

এক্সফলিয়েশনের পর ত্বকে সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুবই জরুরি। মেকআপ ব্যবহারের ফলে এমনিতেও ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। এক্সফলিয়েশনের ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল অনেকটাই দূর হয়ে যায়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল ও আমন্ড অয়েলও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ময়েশ্চারাইজার মুখে মিনিট পাঁচেক সময় নিয়ে ম্যাসাজ করে সারা রাত রেখে দিতে হবে।

সুদিং

ত্বকের স্বাভাবিক প্রকৃতি ফিরিয়ে আনতে সুদিং খুবই প্রয়োজনীয় একটি ধাপ। এ ধাপে ত্বক ময়েশ্চারাইজেশনের পরদিন সকালে তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে। দই, হলুদ গুঁড়া ও মধুর সমন্বয়ে তৈরি এই ফেসপ্যাকটি ত্বককে নতুনভাবে তৈরি হতে, ত্বকের প্রদাহ, ইরিটেশন, ব্লেমিশ, ব্রণের প্রাদুর্ভাব দূর করতে কাজ করবে। এছাড়া মেকআপ পণ্যের ব্যবহারে ত্বকয়ে যদি কোন ক্ষতিকর প্রভাব তৈরির সম্ভবনা তাহকে সেটাও দূর করতে কাজ করে।

উপরোক্ত সকল ধাপ ঠিকঠাকভাবে শেষ করার পর কয়েকদিন ত্বককে রেস্টে রাখতে হবে। অর্থাৎ আর কোন ধাপের পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন হবে না। ত্বক এ সময়ের মাঝে নিজ থেকেই আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। তবে বাইরে বেশি যাওয়া হলে হালকা ঘরানার ক্লিনজিং দিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুন: ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে

আরও পড়ুন: সৌন্দর্যচর্চায় মধুর চমৎকার চার ব্যবহার

   

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;

সিডনীর উইলি পার্কে উৎসব মুখর বৈশাখী মেলা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ মানেই নতুন সূচনা। বছরের প্রথম মাসে নতুন করে চারদিক আন্দোলিত হয় নতুন আনন্দে। এই আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালিরা। আমাদের দেশে বেশ ধুমধাম করে পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকালে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা, পাশাপাশি বিখ্যাত রমনার বৈশাখীমেলা। দেশের বিভিন্ন স্থানেই বৈশাখে কয়েকদিন যাবত মেলা চলে।

তবে দেশের বাইরেও বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অনেক বাঙালি। তাদের ভেতরের বাঙালি সত্ত্বাও নতুন বাংলা বছরে জেগে ওঠে। প্রায় সময় দেখা যায় প্রবাসে বসবাসকারীরা বিভিন্ন উৎসব নিজেদের উদ্যোগে উদযাপনের চেষ্টা করে। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যেকোনো উৎসব আয়োজন করার।


রোববার (২১ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে বসবাসকারী বাঙালিরা আয়োজন করেছিলেন বৈশাখী মেলার। নিউ সাউথ ওয়েলসের উইলি পার্কে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। সেখানে স্থানীয় বাঙালিরা ভিড় জমান এবং বৈশাখ বিলাসে মেতে ওঠেন। লাল-সাদা পোশাকে সকলে একত্রিত হন পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে। ছোট ছোট শিশুরা বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচে-গানে সেজে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ঢোল, তবলা, করতালের ছন্দে বাংলার আভায় মেতে ওঠে এক টুকরো সিডনি।

মেলার মাঠে ছোট ছোট তাবুতে স্টল বসেছে। সেখানে সাজানো হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যময় নানান জিনিস। তাঁতের শাড়ি, নানান গহনা, খেলনা, বাঙালি খাবার , পোশাকসহ নাগরদোলা এবং বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা। খাবারের মধ্যে ছিল সিঙ্গারা, সমুচা, ফুচকা, চটপটি, হালিম সহ নানান পদ।


শুধু বিদেশের মাটিতে বাঙালীর মেলার আয়োজন হয়েছে তা নয়! আমাদের দেশেও বেড়াতে আসা ভিনদেশীদেরা ঐতিহ্যে নিজেদের খাপ খায়িয়ে নেন। প্রায়ই দেখা যায়, অনেক বিদেশীরাও বৈশাখী আনন্দে মেতে ওঠে। গালে শুভ নববর্ষ লিখে মেলায় যায়। মানুষের সাথে মানুষের যে আত্মার বন্ধন; পোশাক, জীবনধারা, ভাষা- কিছুই যে বাঁধা নয় তারই প্রমাণ মেলে। আমরা যেমন আবরণ ভুলে সকলকে জরিয়ে আপন করে নেই, তেমনি তারাও আমাদের সংস্কৃতির ছাঁচে তাদের আবদ্ধ করে নেয়। এমন করে দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি ছড়িয়ে যাক! যুগ যুগ বেঁচে থাকুক বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি…

;

গর্ভধারণে জটিলতার কারণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জীবনের বিভিন্ন ধাপে নারীদের শরীরে নানা রকম পরিবর্তন আসে। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই, কিশোরের তুলনায় কিশোরীর শরীর বেশি পরিবর্তিত হয়। নারীদের পরিবর্তন গুলো তুলনামূলকভাবে জটিলও বটে। তবে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে যখন নারীর শরীরে মধ্যেই নতুন এক জীবনের সূচনা হতে শুরু করে। প্রজননের মাধ্যমে একটি শিশুর জন্ম খুবই সাধারণ একটি ঘটনা হলেও যথেষ্ট জটিল প্রক্রিয়ায় এটি ঘটে। ব্যক্তিভেদে অনেক নারীর গর্ভকালে নানান জটিলতা দেখা যায়। 

ভারতীয় চিকিৎসক মঞ্জু গুপ্তা একজন প্রসূতি এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি এক প্রতিবেদনে নারীদের প্রজনন সম্পর্কিত বিভিন্ন জটিলতার তথ্য দেন। তিনি বলেন, নারীদের গর্ভকালে কিছু সাধারণ সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এইসব সমস্যাগুলো সাধারণত নারীদের হরমোনের ভারসাম্যতা, বিভিন্ন সংক্রমণ, কাঠামোর অস্বাভাবিকতা, জীবন ধারার ধরণ এমনকি জেনেটিক কারণেও হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক যেবসব কারণে গর্ভধারণে নারীরা জটিলতায় পড়েন তার বিস্তারিত-

হরমোন ভারসাম্যহীনতা: হরমোনের ব্যাঘাতের ফলে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস), অনিয়মিত পিরিয়ড, ডিম্বাশয়ের সিস্টের মতো সমস্যা দেখা যায়। এসব কারণে গর্ভকালের উর্বরতাকে প্রভাবিত হতে পারে। এছাড়াও, অনিয়মিত মাসিক চক্র এবং অস্বাভাবিক হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক নয়। শরীরের অভ্যন্তরে গোপনে সমস্যার কারণে এসব হয়।

সংক্রমণ: যৌন সংক্রমণ সরাসরি শিশু গর্ভধারণ সমস্যার সাথে জড়িত। ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়ার মতো রোগের সময় মতো চিকিৎসা করা প্রয়োজন। না হলে দীর্ঘস্থায়ী পেলভিক পীড়া, দাগ পড়া এবং বন্ধ্যাত্বও হতে পারে। এমনকি মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই)ও প্রজনন স্বাস্থ্যক প্রভাবিত করতে পারে।

কাঠামো: এন্ডোমেট্রিওসিসের এমন এক শারীরিক জটিলতা যেখানে এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়। এটি একপ্রকার কাঠামোগত অস্বাভাবিকতা। এরকম আরও সমস্যা রয়েছে যা বংশবৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। যেমন- জরায়ু ফাইব্রয়েড, জরায়ু অঙ্গের অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে বৃদ্ধি, নিতম্বে ব্যথা, ভারী মাসিক রক্তপাত এবং উর্বরতার অভাব।

জীবনধারা: ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, অপুষ্টিজনিত এবং স্লো পয়জন ধরনের খাদ্যগ্রহণ, মানসিক চাপ এবং দূষিত পরিবেশের বিষের সংস্পর্শও প্রজনন স্বাস্থ্যকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এইসব কারণে মাসিক চক্র, হরমোনের মাত্রা এবং সামগ্রিক উর্বরতা ব্যাহত করতে পারে।

জিনগত সমস্যা: কিছু নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যায় জেনেটিক প্রভাব থাকতে পারে। যেমন- এন্ডোমেট্রিওসিস বা পিসিওএসের মতো সমস্যা পারিবারিক উৎস থেকে আসে। এসব কারণে প্রকট জিন নির্দিষ্ট প্রজনন ব্যাধিকে তরান্বিত করতে পারে।

তথ্যসুত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস

;