১৪২৬ বর্ষবরণের আয়োজন

বৈশাখী সাজে আলো ছড়াবে বাহারি টিপের সম্ভার



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি কৃতজ্ঞতা: সারানা, ক্রাফটোমাইজ ও আরটোপলিস।

ছবি কৃতজ্ঞতা: সারানা, ক্রাফটোমাইজ ও আরটোপলিস।

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা সময় ছিল যখন এক রঙা ছোট-বড় গোল ও লম্বাটে বর্ণীল বিভিন্ন ধরণের টিপ পাওয়া যেত।

হালকা সাজ মানেই পোশাকের সাথে মানানসই রংয়ের টিপ ললাটে জুড়ে দেওয়া। পরবর্তী সময়ে আসলো পাথর খচিত ছোট-বড় আকৃতির বেশ জাঁকজমক টিপের প্রচলন। বাহারি পাথরের টিপের আধিপত্য ছিল বেশ লম্বা সময়।

তবে গত কয়েক বছরে টিপের ধরণে এসেছে বেশ বড়সড় পরিবর্তন। এখন হাতে তৈরি, হাতে আঁকা, হাতে কাটা কিংবা ছোট চার্মযুক্ত টিপের দিকেই নারীরা ঝুঁকছেন বেশি। এমন টিপের মাঝে ঐতিহ্য, সৌন্দর্য ও আধুনিকতা মিলেমিশে একাকার। হালকা সাজের সঙ্গে এমন একটা টিপেই যেন পরিপূর্ণতা চলে আসে পুরো সাজ-পোশাকে।

বৈশাখের আয়োজনে দেশীয় পোশাকের সঙ্গে এমন টিপ না থাকলে অপূর্ণ রয়ে যাবে পুরো বাঙালিয়ানা বৈশাখের সাজ। তাইতো টিপের খোঁজ ও টিপ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে বার্তা লাইফস্টাইলে আজকের বিশেষ আয়োজনটি।

সারানা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706542049.jpg

আসন্ন বৈশাখ উপলক্ষে অসংখ্য নতুন নকশার টিপ এনেছে অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সারানা। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও উদ্যোক্তা নওরিন আক্তার জানান, বৈশাখের অন্যতম মোটিফ হিসেবে থাকছে মাছের নকশার টিপ। পাশপাশি গ্রীষ্মকালকে মাথায় রেখে এনেছেন তরমুজ আকৃতির টিপ। এছাড়া প্রায় ২৫টি ভিন্ন ও নতুন চার্মযুক্ত টিপ প্রাধান্য পেয়েছে সারানার এই বৈশাখের আয়োজনে।

চার্মের মাঝে হাতি, পেঁচা, ইলিশ মাছের সঙ্গে প্রজাপতিও ঠাঁই পেয়েছে টিপের পাতায়। এছাড়া ১০টি ভিন্ন ও নতুন ধরনের ফুলের বিডস থাকবে টিপের সঙ্গে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706573933.jpg

‘ক্রেতারা মূলত কোন ধরনের টিপ বেশি পছন্দ করেন’? এমন প্রশ্নের মুখে নওরিন আক্তার জানান, ক্রেতারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছেন টিপের পুরো ক্যানভাস জুড়ে নকশা থাকা টিপগুলো। এছাড়া বড় ফুল ও জ্যামিতিক নকশার টিপের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বরাবরই বেশি থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706603194.jpg

একজন টিপপ্রেমী ও টিপের কারিগর হিসেবে নওরিন বলেন, ‘সাজে যদি ফিকশন থাকে, তবে টিপ নিয়েও করা যায় নিরীক্ষা। পোশাকের সাথে একদম কনট্রাস্ট রঙের টিপ পরা যেতে পারে। টিপের ক্যানভাসে যদি থাকে পেঁচা, হাতি অথবা মাছের মোটিফ, বৈশাখী আবেদনে বেশ একটা প্রাণ চলে আসবে। আবার সাদা-লাল শাড়ির সঙ্গে বড় একটা লাল ফুলেল টিপও সাজে নিয়ে আসবে বাঙ্গালিয়ানা’। সারানার টিপগুলো পাওয়া যাবে সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মাঝে।

ক্রাফটোমাইজ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706627149.jpg

ক্রেতাদের পছন্দের বিষয়টি মাথায় রেখেই ছোট ও বড় দুইটি ভিন্ন আকৃতির টিপ প্রাধান্য পেয়েছে ক্রাফটোমাইজের বৈশাখী টিপ সংগ্রহে। প্রতিটি বৈশাখী টিপের পাতায় ৫-৬টি ভিন্ন ভিন্ন নকশার টিপ পাওয়া যাবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706648576.jpg

ক্রাফটোমাইজ মূলত অলংকার তৈরির কাজ করে থাকে। অনলাইন ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা লায়লা ইসমাত জাবিন জানান, গহনার সাথে ক্রেতাদের উপহার দেওয়ার জন্যে টিপ তৈরি করেছিলেন। সেখান থেকে ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পেয়ে এবারের বৈশাখেই প্রথমবারের মতো টিপ এনেছে ক্রাফটোমাইজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706669007.jpg

আকৃতি ও থিমভিত্তিক টিপের নকশা অনুযায়ী রয়েছে চমৎকার সকল নাম। বড় টিপের পাতার ৫টি ভিন্ন থিমের টিপ হলো: কামিনী, রঙ, অংকন, আদি, বৃহন্নলা, এবং ছোট টিপের পাতার ৩টি ভিন্ন থিমের টিপ হলো: কামিনী, রঙ, অংকন। প্রচারমূলক মূল্যে প্রতিটি টিপের পাতা পাওয়া যাবে ১০০ টাকায়।

আরটোপলিস

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706691824.jpg

আধুনিক ও ভিন্ন ঘরানার টিপের পরিসরে ইতোমধ্যেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছেম আরটোপলিস-এর সুমাইয়া সায়েদ। বৈশাখে নতুন টিপের জন্য ফ্লোরাল ঘরানার টিপ প্রাধ্যান্য পেয়েছে এবারের সংগ্রহে। সুমাইয়া জানান, প্রচলিত লাল-সাদা টিপের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কমে এসেছে অনেকেটাই। ক্রেতারা এখন বেশি ঝুঁকছেন রঙিন টিপের প্রতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706715256.jpg

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি টিপ কয়েকবার মাত্র ব্যবহারের পর টিপটি অথবা টিপের আঠা নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দারুণ বিষয় হলো, আরটোপলিস এনেছে পুনঃব্যবহারযোগ্য টিপ। তিপের উপরাংশের মেটাল কিংবা প্লাস্টিকের চার্মটি সাবধানতার সঙ্গে উঠিয়ে পছন্দনীয় ভিন্ন টিপে সহজেই ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে বি৬০০০ আঠা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554706731214.jpg

তবে একই টিপের আঠা নষ্ট হয়ে গেলে সুমাইয়া নেইলপলিশ গ্লু ব্যবহার পরামর্শ দেন। তিনি নিজেও টিপের আঠা পুনরায় ঠিক করতে এই পদ্ধতিই ব্যবহার করেন। সঙ্গে তিনি টিপের নিচের অংশে আঠা ব্যবহারের আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়ারও পরামর্শ দেন।

বিভিন্ন ডিজাইন ও আকৃতির আরটোপলিসের প্রতি পাতা টিপের মূল্য পড়বে সর্বনিম্ন ৪৫০ টাকা।

বৈশাখের সাজে নতুনত্ব ও ভিন্নতার আমেজ আনতে প্রচলিত ধারার বাইরে এমন ঘরানার টিপ সমাদর পাবে সবসময়ই। পুরো সাজসজ্জার সরঞ্জামে টিপের সংগ্রহ রাখতে ভুলবেন না যেন।

আরও পড়ুন: এবারের বৈশাখে কোন মোটিফে কেমন পোশাক!

আরও পড়ুন: সংগ্রহে রাখার মতো সেরা পাঁচ ‘লাল লিপস্টিক’

   

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;