হৃদরোগের ‘নীরব’ লক্ষণগুলো এড়িয়ে যাবেন না!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সময়ে হৃদরোগ দেখা দেওয়ার প্রাদুর্ভাবটি নানাবিধ কারণে বেড়ে গেছে তুলনামূলক অনেক বেশি।

অহরহ হার্ট অ্যাটাক কিংবা হার্ট ফেইল্যুরের খবর শোনা যাচ্ছে। হার্টে ব্লক ধরা পড়ার খবরটি যেন একেবারেই ডাল-ভাত হয়ে গিয়েছে। অথচ প্রতিটি হৃদরোগের পরিণতি ভীষণ ভয়ানক হয়ে থাকে।

হৃদরোগের শুরু থেকেই শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। অজানা থাকার ফলে এই লক্ষণগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। অথচ জানা থাকলে লক্ষণ প্রকাশের সময় থেকেই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে চূড়ান্ত ও বাজে পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া যায়। এমন কয়েকটি নীরব লক্ষণ আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো।

স্বল্প শারীরিক কাজেও ক্লান্তি দেখা দেওয়া

জন হপকিন্স স্কুল ও মেডিসিন এর প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর এরিন মিকোস, এমডি জানান, আগে যে কাজটি কোনরকম শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াই করা যেত, সেই একই কাজ করতে গেলেই প্রচন্ড ক্লান্তু এসে ভর করলে বুঝতে হবে হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে রক্ত হৃদপিণ্ডে সরবরাহ করতে পারছে না।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেওয়া

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটির ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও হৃদরোগের সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়। এই সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে খুব সহজেই হার্টে ব্লক তৈরি হয়, যা রক্তের স্বাভাবিক চলাচলে বাধাদান করে।

হুট করেই জেদি কাশির সমস্যা দেখা দেওয়া

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/18/1550473074202.jpg

ঠাণ্ডাজনিত কাশির সমস্যাটি খুবই সাধারণ এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ের মাঝেই সমস্যাটি ভালোও হয়ে যায়। তবে একেবারেই অকারণে ও হুট করে জেদি কাশির সমস্যা দেখা দেওয়ার পেছনে গুরুত্বর কারণ লুকিয়ে থাকে। ডাঃ মিকোস জানান, হৃদরোগের প্রাদুর্ভাবের প্রভাবে ফুসফুসে তরল জমা হয়, যার ফলে ঘনঘন কাশি দেখা দেয়। এই সমস্যাটি ক্ষেত্র বিশেষে শ্বাসকষ্ট কিংবা ফুসফুসে সমস্যা প্রতিফলন করে। তবে আদতে এই সকল সমস্যার পেছনে মূল সমস্যাটি লুকায়িত থাকে, যেটা হলো হৃদরোগ।

ঘুমানোর সময় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া

ঘুমের মাঝে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যার ফলে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যাটিকে বলা হয় ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’। এই সমস্যাটির সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক, অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলিয়েশন, হার্ট অ্যারেথমিয়া ও অন্যান্য হৃদরোগ দেখা দেওয়ার সমস্যাটি সম্পর্কিত। যেহেতু স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগীদের ঘুমের মাঝে অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা অনেক কমে যায়, তা সরাসরি হৃযদন্ত্রের উপরে প্রভাব ফেলে দেয়।

পা ও পায়ের পাতার ফোলাভাব দেখা দেওয়া

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/18/1550473118452.jpg

হুট করেই সকালে জুতা পরতে গিয়ে দেখলেন জুতা পরতে সমস্যা হচ্ছে। এরপর খেয়াল করে দেখলেন পা ও পায়ের পাতা বেশ খানিকটা ফুলে গেছে। এই সমস্যাটি দেখা দেওয়ার মাধ্যমে হৃদরোগের সম্ভবনা দেখা দেয়। হৃদযন্ত্র সঠিক ও পরিপূর্ণভাবে রক্ত পাম্প করতে ব্যর্থ হল, শিরা থেকে বাড়তি তরল শরীরের টিস্যুতে এসে জমা হয়। যার ফলে শরীরের নিচের অংশের অঙ্গে পানি এসে জমে এবং পা ফুলে যায়। পায়ে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে ডিম্পলের মতো গর্ত তৈরি হলে বুঝতে হবে পায়ে পানি এসেছে। এই সমস্যাটি ধারাবাহিকভাবে দেখা দেওয়া শুরু করে তবে খুব দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

ঘাড় ও চোয়ালে ব্যথা হওয়া

আমরা প্রায় সকলেই জানি যে, বুকে ব্যথাভাব দেখা দেওয়ার মানে হলো হৃদরোগের লক্ষণ প্রকাশ হওয়া। অথচ হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরের অন্য অঙ্গে ব্যথাভাব দেখা দেওয়ার মাধ্যমে। ডাঃ মিকোস জানান, পুরুষদের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের সমস্যার বিষয়টি শরীরের অপরিচিত স্থানে ব্যথাভাবে মাধ্যমে বেশি দেখা দেয়’। এই ব্যথাটি দেখা দেয় ঘাড় ও চোয়ালের দিকে, যখন হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনের সাপ্লাইয়ে ঘাটতি দেখা দেয়।

নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা দেওয়া

হালকা দৌড়ানো কিংবা সিঁড়ি বাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুক্ষণের মধ্যে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দেওয়া তথা ‘শর্ট ব্রেথ’ এর সমস্যাটি প্রকট হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার কার্ডিওলজি ল্যাবরেটরির অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর লরেন্স ফিলিপ জানান, শর্ট ব্রেথের সমস্যাটি সবচেয়ে বড় লক্ষণ যার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে হৃদরোগের প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি ধরা পড়ে।

হৃদযন্ত্রের প্যালপিটিশান বেড়ে যাওয়া

হার্ট বিট কিংবা প্যালপিটিশান একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় হওয়া সুস্থ ও স্বাভাবিক হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতার লক্ষণ। তবে হৃদরোগের সমস্যায় প্রায়শ এই হার্ট বিট মিস হয়, যেটাকে বলা হয় ‘অফ বিট’।

আরও পড়ুন: আট ঘণ্টার বেশি ঘুমানো কতটা ক্ষতিকর?

আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার ডে: ক্যান্সার দূরে রাখবে সঠিক নিয়ম

   

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;