টক-ঝাল মিষ্টি স্বাদে বেবি কর্ন মাঞ্চুরিয়ান



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দো-চায়নিজ ভেজিটেরিয়ান কুইজিনের মাঝে বেবি কর্ন মাঞ্চুরিয়ান খুবই জনপ্রিয় মুখরোচক একটি পদ।

একইসাথে টক, ঝাল ও হালকা মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি যতটাই মুখরোচক, ততটাই স্বাস্থ্যকর। নুডলস কিংবা ফ্রাইড রাইসের সঙ্গে সবজি হিসেবে খুব দারুনভাবেই মানিয়ে যায় বলে, প্রচলিত চায়নিজ ভেজিটেবলের পরিবর্তে স্বাচ্ছন্দে তৈরি করে নিতে পারবেন সহজ রেসিপির এই খাবারটি।   

বেবি কর্ন মাঞ্চুরিয়ান তৈরিতে যা লাগবে

মাঞ্চুরিয়ান তৈরিতে প্রয়োজন হবে

১. ২০০ গ্রাম বেবি কর্ন।

২. ১/৪ কাপ ময়দা।

৩. ২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার।

৪. ১ টেবিল চামচ আদা-রসুনের পেস্ট।

৫. ১/২ চা চামচ সয়া সস।

৬. ১/২ চা চামচ কালো গোলমরিচের গুঁড়া।

৭. ১/২ কাপ পানি।

৪. স্বাদমতো লবণ ও ভাজার জন্য তেল।

সস তৈরিতে প্রয়োজন হবে

১. ১টি ছোট পেঁয়াজ।

২. ৩টি পেঁয়াজ পাতা।

৩. ১ চা চামচ রসুন কুঁচি।

৪. ১ চা চামচ আদা কুঁচি।

৫. ১ টেবিল চামচ সয়া সস।

৬. ১/২ টেবিল চামচ ভিনেগার।

৭. ১ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ।

৮. ১ টেবিল চামচ রেড চিলি সস।

৯. ১/২ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া।

১০. স্বাদমতো লবণ ও ভাজার জন্য তেল।

বেবি কর্ন মাঞ্চুরিয়ান যেভাবে তৈরি করতে হবে

১. প্রতিটি বেবি কর্ন ধুয়ে, ছিলে মাঝ বরাবর কেটে দুই ভাগ করতে হবে।

২. একটি বড় পাত্রে ময়দা, কর্ন ফ্লাওয়ার, আদা-রসুনের পেস্ট, সয়া সস, কালো গোল মরিচের গুঁড়া ও পরিমাণমতো লবণ কিছুটা পানির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করতে হবে।

৩. প্রতি পিস বেবি কর্ন এই ব্যাটারে ডুবিয়ে ডুবো তেলে বাদামী করে ভেজে নিতে হবে। মুচমুচে করে ভাজা হয়ে গেলে তেল ঝরানোর জন্য রেখে দিতে হবে।

৪. এখন সস তৈরির জন্য চিন্ন একটি কড়াইতে তেল গরম করে এতে পেঁয়াজ কুঁচি, পেঁয়াজ পাতা কুঁচি দিয়ে নাড়তে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে এতে সয়া সস, ভিনেগার, রেড চিলি সস ও টমেটো কেচাপ দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে।

৫. সস তৈরি হয়ে আসলে এতে ফ্রাইড বেবি কর্নগুলো দিয়ে সসের সঙ্গে ভালোভাবে মাখাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বেবি কর্ন যেন ভেঙে না যায়।

৬. সম্পূর্ণ সস বেবি কর্নের সঙ্গে মাখা মাখা হয়ে আসলে কাঁচের পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।

এর উপরে গোলমরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে টক-ঝাল মিষ্টি স্বাদের বেবি কর্ন মাঞ্চুরিয়ান।

আরো পড়ুন: শীতকালীন টমেটোর চাটনি

আরো পড়ুন: ভিন্ন রেসিপি মঙ্গলিয়ান বিফ

   

যেসব খাবার খেয়ে রোজা ভাঙাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্যকর ইফতার

স্বাস্থ্যকর ইফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র সময়। সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ।

টানা একমাস রোজা রাখার কারণে, শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। তাই সারাদিন রোজা থাকার পর এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। জেনে নিন, রোজা ভাঙার সময় যেসব খাবার বেশি উপকারী হতে পারে-

ফল: রোজা ভাঙার সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজেই হজম করা যাবে। এজন্য ফল একটি ভালো উপকরণ হতে পারে। সারাদিন নির্জলা উপবাসের কারণে শরীরে পানির ঘাটতিও হয়। তাই তরমুজ, আঙ্গুর, আপেল, নাশপাতির মতো ফল খেতে পারেন। এসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তবে টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।  

ডিম: রোজা রাখার কারণে যে পেশিক্ষয় হয়, সেই ক্ষতিপূরণ করার জন্য ডিম খেতে পারেন। ডিম যেমন প্রোটিনের একটি উত্তম মাধ্য, তেমন খাওয়ার জন্য রান্না করতেও সময় কম লাগে। ডিম অমলেট, মামলেট বা সিদ্ধ যেভাবেই খেতে চান, প্রস্তুত করতে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করলেই হয়।

মাছ: মাছে প্রোটিন ছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘ভিটামিন ডি’ থাকে। তাছাড়া বেশিরভাগ মাছেই পর্যাপ্ত চর্বি থাকে। খাবার তেলের থেকে মাছের থেকে পাওয়া তেল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর প্রোটিনের উৎস হিসেবে, মাংসের চেয়ে মাছ উত্তম। বিশেষ করে রেডমিট (গরু, খাসি) খেয়ে একদমই রোজা ভাঙা উচিত নয়। কারণ, এসব হজম করা বেশ কঠিন।

প্রোবায়োটিকস: সারাদিন রোজা রাখার কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হয়। তাই অন্ত্রে অস্বাভাবিকা দেখা দিতে পারে। হজমে সমস্যা ছাড়াও অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। যেমন- দই, কম্বুচা ইত্যাদি।  

অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো একপ্রকার বিদেশী ফল। এটি অনেক নরম হয়, তাই সহজেই হজমযোগ্য। একটু খাওয়ার নারকেল তেল বা জলপাই তেলের সাথে এই ফল খাওয়া যেতে পারে।

সবজি: রোজা রেখে ফল এবং সবজি খাওয়া অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে ফুলকপি, ব্রকলির মতো ফল রোজার পর অধিক কার্যকরী হতে পারে।   

তথ্যসূত্র: ফেয়ারপ্রাইস

;

দোলযাত্রায় রঙ খেলায় মেনে চলতে হবে যেসব নিয়ম



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দোলযাত্রায় রঙ খেলা / ছবি : বিং এআই

দোলযাত্রায় রঙ খেলা / ছবি : বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ রঙ উৎসবের দিন। সনাতন ধর্মাবলম্বদের দোলপূর্ণিমার এই উৎসবে নানা রঙের আবিরে চারদিক রঙিন হয়ে ওঠে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মের ভেদাভেদে আবদ্ধ থাকে না মানুষ। সকলকেই দেখা যায় মনের আনন্দে রঙ মাখামাখি হয়ে উল্লাস করতে। বসন্তে প্রকৃতির জীর্ণতা ছেড়ে রঙিন হয়ে ওঠার আনন্দে রঙ ছড়ায় তারা। দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং শাঁখারি বাজারে মহা সমারোহে এই উৎসব উদযাপিত হয়।

রঙ-বেরঙের আবিরের সাথে মেতে ওঠা দোল উৎসব অসেক আনন্দের। তবে অনেক সময় দেখা যায়, রঙ খেলার পর অনেকের ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। রঙে ব্যবহৃত উপাদান অনেকের ত্বকে অস্বস্তি করতে পারে। অথবা চুলের নানারকম ক্ষতি করতে পারে। ত্বকের এই ক্ষতিকর দিক এড়িয়ে চলা খুব জরুরি। নয়তো ষোল আনা আনন্দের সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠা সম্ভব হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক, হোলিতে রঙ খেলার আগে যেসব ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।

১. কম ক্ষতিকর রঙ ব্যবহারের চেষ্টা করুন। শ্রীকৃষ্ণ যখন রাধারানিকে রঙ মেখে হোলি খেলা শুরু করেছিলেন তখন আবির তৈরি হতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। বিভিন্ন রঙিন প্রাকৃতিক উপাদান থেকে ভিন্ন ভিন্ন রঙ তৈরি করা হতো। তবে এখন রঙ তৈরি করা হয় কারখানায়। আবিরের রঙ উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক উপাদান। তাই রঙ কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন রাসায়নিক উপাদান খুবই কম মাত্রায় থাকে। বেশি সস্তা রঙ কেনা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ সেসব রঙে ক্ষতিকর উপাদান বেশি থাকার সম্ভাবনা থাকে।

২. রঙ নিয়ে খেলায় বেশি মত্ত হয়ে যাওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর স্থানগুলো থেকে যতটা সম্ভব রঙ দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে চোখের চারপাশের অংশ খুব সাবধানে রাখতে হবে। রঙ চোখে গেলে অস্বস্তি, জ্বালাতন, এলার্জি, পানি পড়া ছাড়াও অন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যাও হয়ে যেতে পারে। অনেকে চোখে লেন্স পড়েন। তাদের চোখে রঙ গেলে সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে যায়।

৩. অনেকের ত্বকে হোলির রঙের কারণে ত্বকশুষ্ক, জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি, চুলকানি, এলার্জির মতো অনেক সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই রঙ খেলার আগে ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে রঙ লাগা এড়াতে ত্বকে তৈলাক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে রঙ তোলা খুব সহজ হয়।

৪. ত্বকের মতো একই ভাবে রঙের ক্ষতিকর দিক থেকে চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য চুলে নারকেল তেল ব্যবহার করা উত্তম। অথবা চুল ওড়না, স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে ঢেকে রাখুন।

৫. রঙ খেলার আগে অবশ্যই নখ ছোট করে কেটে যাওয়া উচিত। রঙ খেলার পর এসে ভালো করে পরিষ্কারও করতে হবে। নয়তো খাবারের সাথে তা পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৬. রঙ খেলার সময় হালকা রঙ গুলো বাছাই করুন। যেমন আকাশি, হলুদ, গোলাপি, ইত্যাদি। সবুজ, নীল, বেগুনীর মতো গাঢ় রঙ গুলো এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ এগুলো তুলে পরিষ্কার করা কষ্টসাধ্য।

৭. রঙ খেলার সময় যথা সম্ভব শরীরের বেশিভাগ অংশ ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। ফুল হাতা এবং ঢিলাঢালা জামাকাপড় পড়লে শরীর রঙের ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।    

তথ্যসূত্র: সিআইটিটিএ ওয়ার্ল্ড     

;

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘কল্লোলমার্ট.কম’-এর যাত্রা শুরু



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের দ্রুত-সম্প্রসারনশীল ভোগ্যপন্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের সব পণ্যের সমাহার নিয়ে অনলাইন জগতে যাত্রা শুরু করেছে নিজস্ব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘কল্লোলমার্ট.কম’। এর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিজস্ব পণ্য সহজলভ্যে পৌঁছে যাবে।

এখন থেকে ই-কমার্স সাইট ‘kallolmart.com’ এর মাধ্যমে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভোক্তারা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে সহজেই কল্লোল গ্রুপের জেট ডিটারজেন্ট পাউডার, জেট লিকুইড, ফে টিস্যু, ফে এয়ার ফ্রেশনার, ফে কটন বাডস, ফে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মামা নুডলস, নিউট্রি-সি, সিস্টেমা টুথ ব্রাশ, মামা ডিশ ওয়াস, উজালাসহ যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

‘কল্লোল মার্ট’- এর ওয়েবসাইটটি স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার উপযোগী এবং আকর্ষণীয় নানান ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। যাতে ভোক্তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে বাছাই করে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো অর্ডার করতে পারেন। ‘কল্লোল মার্ট’ শুধু নিজস্ব পণ্যের নিশ্চয়তাই দিচ্ছে না, পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্য ও বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে ভোক্তাদের কেনাকাটা উপভোগ্য করে তুলবে।

কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘‘ভোক্তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে আমাদের নিজস্ব ই-কমার্স সাইট ‘কল্লোলমার্ট.কম’। এছাড়াও ভোক্তারা এখন তাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও প্রিয় ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো ‘কল্লোল মার্ট’-এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় মূল্যে দ্রুত ও নিরাপদে নিজেদের দোরগোড়ায় পেতে পারেন।’

কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং রিফাত আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের ঘরে ঘরে কল্লোল গ্রুপের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের নিজস্ব ই-কমার্স সাইট ‘kallolmart.com’ এর যাত্রা শুরু। এছাড়াও ‘কল্লোল মার্ট’ ভোক্তাদেরকে নিজস্ব ও প্রকৃত পণ্যের নিশ্চয়তাও দিচ্ছে, যা তাদেরকে গুণগত মান নিশ্চিত করবে। বর্তমানে গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা বিবেচনায় আমরা দেশজুড়ে ফ্রি হোম ডেলিভারির সুবিধা দিচ্ছি এবং পণ্য বুঝে পাওয়ার পরই গ্রাহক মুল্য পরিশোধ করতে পারবেন। খুব শীঘ্রই অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা যুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।’

;

পিয়ালের ‘শাড়ি ফেস্ট’-এ থাকছে নিত্য নতুন চমক



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
শাড়ি ফেস্টে পিয়ালের সঙ্গে নিপুণ, কাজী মারুফ ও অপু বিশ্বাস

শাড়ি ফেস্টে পিয়ালের সঙ্গে নিপুণ, কাজী মারুফ ও অপু বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গুলশান নিকেতনে (ব্লক বি, রোড ৩, হাউজ ৫৩-৫৫, থার্ড ফ্লোর) চলছে রমজানজুড়ে ‘শাড়ি ফেস্ট’। দেশ ও বিদেশে খ্যাতি পাওয়া ফ্যাশন ডিজাইনার ও ফিল্ম প্রোডিউসার পিয়াল হোসেনের ‘ডিজাইনারস ডোর’ আয়োজিত এই শাড়ি ফেস্ট পাওয়া যাবে ৩০০ ডিজাইনের শাড়ি!

সবচেয়ে এক্সক্লুসিভ বিষয় হলো- প্রতিটি শাড়িই ডিজাইনার কালেকশন। ফলে একটি শাড়ি মাত্র এক পিস-ই রয়েছে। অর্থাৎ কেউ এই ফেস্ট থেকে একটি শাড়ি কিনলে তার কোন কপি বাজারে পাওয়া যাবে না।

ডিজাইনার কালেকশন বলে ভাববেন না শাড়িগুলোর দাম আকাশছোঁয়া! এখানে মাত্র দুই হাজার থেকে শুরু করে ৫০-৬০ হাজার টাকার শাড়ি রয়েছে।

শাড়ি ফেস্টের প্রথম দিন আলোকিত করেন অঞ্জনা, টুম্পা, স্বপ্নিল, নীরব, আর্ণিক, তৃষা, তানভীরসহ একঝাঁক তারকা

শুধু শাড়িই এই ফেস্টের আকর্ষন নয়। যে কোন সময় কেনাকাটা করতে গেলে ক্রেতারা পেয়ে যাবেন তাদের পছন্দের তারকাকে। প্রতিদিন বেশ ক’জন তারকা এই ফেস্ট ভিজিট করছেন। শুধু তাই নয়, তারা নিজেরাও এমন চমৎকার কালেকশন দেখে না কিনে পারছেন না। সরেজমিনে গিয়ে বার্তা২৪.কম এমন চিত্রই দেখেছে।

এরইমধ্যে চিত্রনায়ক কাজী মারুফ, নীরব, ইমন, জয় চৌধুরী, শিশির সরদার, চিত্রনায়িকা অঞ্চনা, অপু বিশ^াস, নিপুণ, শিরিন শিলা, রাজ রীপা, কণ্ঠশিল্পী স্বপ্নীল সজীব, আর্ণিক, অভিনেতা গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মডেল বুলবুল টুম্পা, তৃষা, সৈয়দ রুমা, আঁখি আফরোজ, আসিফ আহমেদ খান, মিয়ামি, আরজে নীরবসহ অনেক তারকা এই শাড়ি ফেস্ট ভিজিট করেছেন।

রাজ রীপা, শিশির সরদার, পিয়াল ও শিরিন শিলা

আসছে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে শাড়ি ফেস্টে থাকছে মেহেদি নাইট। যে কেউ এসে মনের মতো মেহেদির ডিজাইনে হাত রাঙাতে পারবেন। সঙ্গে থাকছে সারপ্রাইজিং গিফট!

আয়োজক পিয়াল হোসেন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘আমি প্রতি বছর নিয়ম করে আমেরিকাতে মেলা করি। কিন্তু আমার দেশের মানুষ আমার কালেকশন পরার সুযোগ পান না। তারা অনেক সময় আমার কাছে সেই অভিযোগ করেন। এজন্য এবার একটু লম্বা সময় ধরে কালেকশনগুলো তৈরী করে ঈদুল ফিতরের মতো বড় উৎসবের আগেই মেলাটি করেছি। আমি অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি।’

পিয়ালের সেলফিতে কাজী মারুফ ও তার স্ত্রী

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গেও আমার কাজের সম্পর্ক। ফলে অনেক তারকা বন্ধু পেয়েছি জীবনে। তারা সবাই একে একে আসছেন আমার মেলাতে। এজন্য এই শাপি ফেস্ট হয়ে উঠেছে সবার চেয়ে আলাদা ও অনন্য।’

;