কে পাচ্ছেন এরশাদের শূন্য আসনের লাঙ্গল



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ | ফাইল ছবি

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ | ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনে অর্ধ ডজন প্রার্থী চাইছেন দলের মনোনয়ন। এরশাদপুত্র সাদসহ পরিবারের ৪ সদস্যও রয়েছেন মনোনয়ন দৌড়ে। তাদের একজন তো মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন।

পরিবার থেকে মনোনয়ন দৌড়ে থাকা প্রার্থীরা হলেন—এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, ভাতিজা (ছোট ভাইয়ের ছেলে) সাবেক এমপি আসিফ শাহরিয়ার, ভাতিজা (মামাতো ভাইয়ের ছেলে) মেজর (অব.) খালেদ আখতার, ভাগনি (মেরিনা রহমানের মেয়ে) মেহেজেবুন্নেছা রহমান টুম্পা।

পরিবারের বাইরে থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন—প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি এস এম ফখর-উজ-জামান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি এস এম ইয়াসির। রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা এস এম ইয়াসিরকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।

জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত এ আসনে মনোনয়ন পেলেই বিজয়ী হবেন এমনটা ধরে নিয়ে লবিং-তদবির বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রার্থীরা। অনেকেই পার্টির চেয়ারম্যান মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন।

মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছেন এরশাদপুত্র সাদ। তার জন্য লবিং করছেন তার মা সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। বিগত নির্বাচনে তাকে কুড়িগ্রাম সদর আসনে প্রার্থী করার চেষ্টা করেছিলেন। রওশন চাইছেন এরশাদের উত্তরাধিকারী হিসেবে ছেলে সাদ রংপুরে প্রার্থী হোক।

স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় অনেক নেতা গোপনে আপত্তি করলেও রওশনের সামনে গিয়ে বিরোধিতা করার মতো শক্তি-সাহস রাখেন না। এমনকি জি এম কাদের জোর দিয়ে কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তেমনটা হলে রংপুর সদরে প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ভাঙনের মুখে পড়তে প্রয়াত এরশাদের জাপা।

মনোনয়নের ব্যাপারে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে সাদ এরশাদ জানিয়েছেন, আমি প্রার্থী হতে চাই। কথাবার্তা চলছে। বাকিটা নির্ভর করছে দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর। দেখি কী হয়। তবে আমি আশাবাদী।

নির্বাচিত হতে পারলে, পিতা এরশাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চান। অগ্রাধিকার পাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত। মাদকের বিষয়ে থাকবে কঠোর অবস্থান। মাদকাসক্তদের সমাজের মূলধারায় যুক্ত করে ওয়ার্কফোর্স হিসেবে গড়তে চান সাদ এরশাদ।

এরশাদের শূন্য আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সিরিয়াস সাবেক এমপি আসিফ শাহরিয়ার। এরশাদের ছোট ভাইয়ের ছেলে শাহরিয়ার আটঘাট বেঁধেই নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় যোগাযোগ শুরু করেছেন তিনি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে আসিফ শাহরিয়ার জানিয়েছেন, দলের মনোনয়ন চাইবেন। দল যদি মনোনয়ন না দেন তাহলে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।

তিনি বলেন,মাঠে ডিমান্ড রয়েছে, রংপুরের লোক চাইছেন তাই প্রার্থী হচ্ছি। রংপুরের লোকজন কোনো বহিরাগত প্রার্থীকে মেনে নেবে না। চাচা বেঁচে থাকলে ভিন্ন কথা ছিল কিন্তু এখন মানুষ আবোল তাবোল প্রার্থীকে ইজিলি নেবে না। বহিরাগত প্রার্থী দেওয়া হলে জাতীয় পার্টির জন্য আত্মঘাতী হবে।

নির্বাচিত হতে পারলে জনগণের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে চান আসিফ শাহরিয়ার।

এরশাদের আরেক ভাতিজা পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সহকারী মেজর (অব.) খালেদ আক্তারও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তিনি বিগত নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তার প্রভাব প্রতিপত্তি অনেক। জীবিত এরশাদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকার কারণে অনেকে তাকে সমীহ করে চলতেন।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে খালেদ আখতার বলেন, আমি মনোনয়নপ্রাপ্তির বিষয়ে আশাবাদী। আমি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে আগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছি। তারাও আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশী এরশাদ পরিবারের অপর সদস্য ভাগনি টুম্মা। সাবেক এমপি মেরিনা রহমানের মেয়ে তিনি। টুম্পার পৈত্রিক ভিটা নীলফামারীর সৈয়দপুরে। বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সঙ্গে। তিনিও প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

পরিবারের বাইরে রয়েছেন, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি এস এম ইয়াসির। আশির দশকে ছাত্রসমাজের মাধ্যমে যিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এরপর ধাপে ধাপে এগিয়ে রংপুর মহানগরে প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। মহানগরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টিতে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। দীর্ঘদিন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরশাদ মৃত্যূর অল্প কয়েকদিন আগে তাকে প্রমোশন দিয়ে যুগ্ম মহাসচিব করেছেন।

এস এম ইয়াসির বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমার মনোনয়নের বিষয়ে ওয়ার্ড থানা ও মহানগর কমিটির নেতারা কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দোয়া আশীর্বাদ নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচিত হতে পারলে রংপুরকে ঢেলে সাজাতে চাই।

আরেকজন আগ্রহী প্রার্থী লবিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি এস এম ফখর উজ-জামান। রংপুর ডেইরির প্রতিষ্ঠাতা একাধিক নির্বাচনে রংপুর সদরের পাশের আসন রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) থেকে জাপার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে প্রত্যেক দফায় ধরাশায়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীর কাছে।

এরশাদের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত মকবুল হোসেন ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি ফকর-উজ-জামান এবার রংপুর সদর থেকে প্রার্থী হতে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্টির ফান্ডের বড় ডোনার হিসেবে পরিচিত ফখর-উজ-জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেছেন, পরিবারের বাইরে থেকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমার পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। তবে শঙ্কার কথা হচ্ছে ভোটারদের ভোট দিতে অনীহা। তার ওপর যদি গ্রুপিং নিরসন না হয় তাহলে ভরাডুবির শঙ্কাও দেখছেন কেউ কেউ।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, বড় দল অনেকে মনোনয়ন চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে ৪ জনের নাম প্রস্তাব চাওয়া হবে। সেই তালিকা থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে পার্লামেন্টারি বোর্ড।

   

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;