‘বিনোদন যে দিনশেষে আসলে একটা ব্যবসা না, এটা কে বুঝবে!’



মাহবুবুর রহমান সজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

কেবল দশ-বারো বছর বয়স বাংলাদেশে এফএম রেডিওর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারাও পাল্টে যাচ্ছে, রূপ বদলাচ্ছে অনুষ্ঠানের। শ্রোতা চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্টেশনগুলো দিনকে দিন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের নিত্যকর্ম। ফেসবুকেও ইদানিং দেখা যায় বিভিন্ন এফএম রেডিওর নিয়মিত লাইভ অনুষ্ঠান। আগে যেটা কেবল কানে শোনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলো।


এসব বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বার্তা২৪-এর মুখোমুখি রেডিও টুডে এফএম ৮৯.৬-এর সিনিয়র আরজে এবং হেড অফ প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট জহিরুল ইসলাম টুটুল, আরজে টুটুল বা এফএম মামা নামেই যিনি পরিচিত শ্রোতা মহলে।


/uploads/files/my2gjYSlCUtYBo5pw7p8rpvDRpgi76tbUH15zTpP.jpeg

আগে কেবল শোনা যেতো আপনাদের, এখন দেখাও যায়; ক্যামেরার সামনে চলে আসার এই প্রবণতার কারণ কী?

রেডিওর আরজেরা মিডিয়ার অন্য সব মাধ্যমের সুবিধা নিয়ে শ্রোতাদের সঙ্গে আরও বেশি কানেক্টেড হওয়ার চেষ্টা করছে; সেটা ফেসবুক লাইভ হোক, বা অন্য কোনো উপায়ে হোক। এটা তাদের দায়বদ্ধতা থেকেই করছে। তারা ভিডিওতে এসেও তাদের ওই কথাগুলোই বলছে, বিভিন্ন সামাজিক ব্যাপারগুলো তুলে ধরছে; যেগুলো রেডিওতে বলে। ফলে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন আরও সহজতর হচ্ছে। শ্রোতাদের এখন আর অনেক টাকা খরচ করে টেক্সট পাঠাতে হচ্ছে না। যা বলার তা কমেন্টবক্সে লিখে দিলেই হচ্ছে।

এতোসব কিছুর সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে রেডিওগুলো কি তাদের স্বকিয়তা বা মৌলিকতা হারিয়েছে?

আমার মনে হয় না। রেডিও রেডিওর মতোই চলছে। কারণ, রেডিও স্টুডিও থেকেও যেই ফেসবুক লাইভটা হচ্ছে, সেটার জন্যও কিন্তু কিচ্ছু পাল্টাচ্ছে না, নতুন করে সেট করা হচ্ছে না টেলিভিশনের মতো। এমনকী ফেসবুক লাইভে পুরো শো’টাও দেখানো হচ্ছে না সাধারণত, একটা নির্দিষ্ট অংশ দেখানো হচ্ছে। বাকিটা ওই কান পেতেই শুনতে হচ্ছে সবাইকে।

/uploads/files/fv527cISotYfFHzTPZykTaAQceK4UImetbrduhqw.jpeg

শ্রোতাদের আগের সেই ক্রেজিনেসটা কি কমে গেছে?

মোটেও না। শুধু উপায় বদলেছে। আগে যেমন টেক্সট-এর পর টেক্সট করে যেতো তারা, পড়ার আগ পর্যন্ত। এখন কমেন্টের পর কমেন্ট করে যায়, যেহেতু প্রায় প্রত্যেকের হাতেই স্মার্টফোন আছে; যেটা পাঁচ-সাত বছর আগেও এতোটা এভেইলেবল ছিলো না। এখন বরং আরজেকে সরাসরি দেখে তারা আরও বেশি চাচ্ছে যে কমেন্টটা পড়া হোক বা যেটা বলতে চাচ্ছে সেটা শোনা হোক। এমনকী তারা কমেন্টে তাদের ফোন নাম্বার পর্যন্ত দিয়ে দিচ্ছে যেনো কল করা হয়।

আগে তো শ্রোতারা আপনাদেরকে অন্তত একবার দেখার জন্য পাগল হয়ে যেতো!

হা হা হা। অনেকেই অফিস পর্যন্ত চলে আসতো তখন। এখন আর সেটা হয় না। সময় পাল্টেছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক দ্রুত স্মার্ট হচ্ছে। তারা সব বিষয়ে একটা পাগলাটে ব্যাপার করে ফেলবে, এটা আশা করা যায় না। এমনকী সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তারা এখন বেশ পরিপক্ক। প্রেমময় গল্প-টল্প নিয়ে আগে যতো বেশি অনুষ্ঠান হতো রেডিওতে, এখন কিন্তু সেই ব্যাপারটায় ভাটা পড়েছে। বরং এখন ক্যারিয়ার সংশ্লিষ্ট অথবা আইটি বিষয়ক অনুষ্ঠানগুলো বেশি জমজমাট হচ্ছে। এখন এই টেক্সট পর্যন্ত চলে আসে যে, ভাই আমি কোন গাড়িটা কিনবো অথবা কোন মডেলের ক্যামেরাটা কিনলে ভালো হবে ইত্যাদি।

/uploads/files/pnz2byvRw04puQtIfR6Hf9tV4plxMBd2CJgMB6uV.jpeg

একটা স্টুডিও রুমে বসে একা একা কথা বলে যাওয়া, বিষয়টা কেমন?

এইজন্যই আরজেকে অনেক বেশি পড়াশোনা করতে হয়। মাথায় যদি কিছু না থাকে, বলবে কী সে তাহলে! কারেন্ট ইস্যু থেকে শুরু করে অন্যান্য সব বিষয়গুলোও তার জেনে রাখতে হয়। এমনকী একটা গান বাজানোর আগে ওই গানের সমস্ত তথ্যও তার শেয়ার করতে হয় শ্রোতাদের সঙ্গে।

উপস্থাপনার জন্য রেডিও থেকে অনেকেই টেলিভিশনে চলে আসে। কারণ কী এটার?

রেডিও খুব ভালো শেখার যায়গা। টেলিভিশনকে যেহেতু একটু ওয়াইড অ্যাংগেল থেকে চিন্তা করে মানুষ, সেখানে ইনভল্বমেন্টটাও বেশি, সম্মান এবং সম্মানিটাও বেশি; ফলে অনেকেই যায় সেখানে সুযোগ পেলেই। যারাই যায়, তারা যদি ফিরেও না আসে কখনও; রেডিওটাকেই কিন্তু ধারণ করে এবং মিস করে। নুসরাত ফারিয়া, নওশীন এদের উদাহরণ দিয়ে দেয়া যায় এখানে।

/uploads/files/ulAdLUoXudUqxlZ0YiLosRf7VJMXpbM5hZ5GShmn.jpeg

কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং? ক্যামেরার সামনে উপস্থাপনা নাকি পেছনে উপস্থাপনা? আইমিন রেডিও নাকি টিভি?

পেছনে থেকে উপস্থাপনার চ্যালেঞ্জটা বেশি। কারণ, রেডিও আরজেদের সবসময় অভিনয়ের মধ্যেই থাকতে হয়। একজন আরজে একা একা বসে কথা বলছে, অথচ তাকে শুনলে মনে হয় যে তার সঙ্গে হাজারো মানুষ। এই অভিনয়টা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। ফলে তারা যখন টিভিতে আসে উপস্থাপনার জন্য, বেশ সুবিধে হয়। শুধু কিছু টেকনিক্যাল বিষয় শিখে নিলেই হলো।

রেডিওগুলো যখন প্রথম শুরু করেছে, তখনকার অবস্থা আর এখনকার অবস্থার মধ্যে পার্থক্য কেমন?

বাজার বড় হয়েছে, এটা একটা বিষয়। প্রথম প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিলো বেশি। নতুন একটা ধারা, মানুষ নেবে কিনা! এসব বিষয় আর কী। শুরুতে রেডিও টুডে, রেডিও আমার, এবিসি রেডিও সহ যারা এসেছে; এই দেশে সামনে রাখার মতো কিন্তু তাদের কেউ ছিলো না। এই চ্যালেঞ্জে যখন তারা টিকে গেলো, অন্তত বিজ্ঞাপনের টাকা থেকে সবাইকে বেতন দিতে পারা শুরু করলো; বাড়তে থাকলো একটার পর একটা স্টেশন। এখন তো প্রায় বিশটার মতো রেডিও স্টেশন চলছে।

/uploads/files/z1j2tuaUPxwnZgWnVxjBSxfbGvFKVg9TSkX9lhBa.jpeg

সবার অবস্থাই কি ভালো?

ওভারঅল আমাদের মিডিয়ার অবস্থাই তো ভালো না। এই ছোট্ট দেশে এতো বেশি মিডিয়া হাউজ হয়ে গেছে যে, ইনভেস্টররা কোন যায়গায় বা কয়টা যায়গায় ইনভেস্ট করবে! বড় বড় কম্পানিগুলো আবার নিজেরাই রেডিও, টেলিভিশন বা পত্রিকা খুলে বসে আছে। তাদের বড় ইনভেস্টটা কিন্তু নিজেদের যায়গায়ই করছে। অন্য লাইনের বিজনেস ম্যাগনেট যারা, দুয়েকজন ছাড়া; তারাও দেখি বিনোদন ব্যবসা খুলে বসে আছে। বিনোদন যে দিনশেষে আসলে একটা ব্যবসা না, অন্য জিনিস; এটা কে বুঝবে!

ব্যক্তিগত কাজকর্মের খবর..

কয়েকটা গানের মিউজিক ভিডিও করবো। এছাড়া আরও কিছু কাজ নিয়ে আগাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ

জ্যাম-এ ঋতুপর্ণা

এই রাখি অচেনা

মম গলবে না অনুরোধে!

জয়জিৎ এবার নতুন পরিচয়ে

   

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ড. হাফিজ রহমানের লেখা দেশাত্মবোধক গান 'আমরা মুক্তি সেনা' রিলিজ হয়েছে। বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকারের সুরে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও সহশিল্পীবৃন্দ।

এমকে মিউজিক ২৪ এর ব্যানারে গানটি গত ২৬ মার্চ তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। গানটির মিউজিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রফিকুল আজাদ খোকন।

'আমরা মুক্তি সেনা' গানটি রিলিজের দুই দিনের মধ্যেই হাজার হাজার ভিউজ হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাফিজ রহমান বলেন,' মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি গান লেখার ইচ্ছে ছিলো। ২৫ মার্চ। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কাল রাত্রি। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরীহ নিরপরাধ ঘুমন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম নৃশংসতা চালায় । তাই আমার লেখা গানটি সেই রাতেই রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে বাস্তবে রূপায়িত হলো সেই অভিপ্রায়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, "গানটির কথা খুবই সুন্দর ছিলো। সুর করেছি। কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সুন্দর কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।"

;

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;