রাজশাহীতে দিনে নারী-শিশু নির্যাতনের ১২ মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
বিচারাধীন রয়েছে প্রায় ১৬ হাজার মামলা,  ছবি: সংগৃহীত

বিচারাধীন রয়েছে প্রায় ১৬ হাজার মামলা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা।

সুপ্রিম কোর্টের হিসেব মতে, বিভাগের জেলাগুলোতে অবস্থিত ১২টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রতিদিন গড়ে ১২টি করে নতুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। একই সময়ে দিনে গড়ে ১৮টি মামলা নিষ্পত্তিও করা হয়েছে। বিভাগের নওগাঁ জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৪টি নতুন মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরে প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী- ট্রাইব্যুনালগুলোতে বিচারাধীন রয়েছে ১৫ হাজার ৮৭৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা। নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁয়। বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে শুধু সিরাজগঞ্জে ৪ হাজার ৫০৮ ও নওগাঁয় মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৮৮০ রয়েছে। দুই জেলায় মামলা বিচারাধীন ৭ হাজার ৩৮৮ টি।

বিভাগের বাকি ৬ জেলায় মামলার সংখ্যা ৮ হাজার ৪৮৯টি। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১ হাজার ৩২০টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪২৯টি, নাটোরে ১ হাজার ৬২৩টি, বগুড়ায় ২ হাজার ৭২৯টি, জয়পুরহাটে ৬০৭টি, পাবনায় ১ হাজার ৭৮১টি মামলা বিচারাধীন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সিরাজগঞ্জে ৫ থেকে ১০ বছর বা তারও বেশি পুরোনো মামলা ১ হাজার ৫২৯টি বিচারাধীন রয়েছে। আর নওগাঁয় এর সংখ্যা ১ হাজার ৬০০টি। এই দুই জেলার হিসেবে বাকি ৬ জেলায় ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান মামলার সংখ্যা খুবই কম। রাজশাহীতে ২৫৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০, নাটোরে ৬১৭, বগুড়ায় ৯০৭, জয়পুরহাটে ১০৬, পাবনায় ৩৩১টি মামলা কমপক্ষে ৫ বছর ধরে চলমান রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁর পরে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বগুড়া জেলা। বগুড়ায় দু'টি ট্রাইব্যুনালে ২ হাজার ৭২৯টি মামলা বিচারাধীন। সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও বগুড়ায় মামলার কার্যক্রম স্থগিতের হারও বাকি পাঁচ জেলার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৬২টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এর মধ্যে বগুড়ায় ২৬টি, সিরাজগঞ্জে ২০টি এবং নওগাঁয় ১৫টি মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

   

খাগড়াছড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে অর্থদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি অভ্যন্তরীণ সড়কের জামতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দীঘিনালা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন।

ঘণ্টাব্যাপী চলা অভিযানে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় তিনজন চালককে ১ হাজার ২ শত টাকা অর্থদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি অনেককে সতর্ক করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসনাত খাঁন জানান, টানা ছুটিতে সড়কে যাত্রীর চলাচল বাড়ায় স্বার্থান্বেষী কিছু পরিবহন মালিক-শ্রমিক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। এ তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

;

খাগড়াছড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে অর্থদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খাগড়াছড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে অর্থদণ্ড

খাগড়াছড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে অর্থদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশী আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার সকালে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি অভ্যন্তরীণ সড়কের জামতলী এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন দীঘিনালা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন।

ঘণ্টাব্যাপী চলা অভিযানে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় তিনজন চালককে ১ হাজার ২ শত টাকা অর্থদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি অনেককে সর্তক করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসনাত খাঁন জানান, টানা ছুটিতে সড়কে যাত্রীর চলাচল বাড়ায় স্বার্থান্বেষী কিছু পরিবহন মালিক-শ্রমিক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। এ তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

;

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি, হাঁপাচ্ছে মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এ জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিকে, সূর্যের প্রখরতার সাথে তীব্র গরম প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কড়া রোদে শ্রমজীবী মানুষ বাইরে বের হতে পারছেন না। গরমে হাঁপাচ্ছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই এ জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৃদু তাপপ্রবাহ। এরপর থেকে ক্রমেই উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার (১৪ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একদিনের ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখি ঝড় হলে তার সাথে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

এদিকে, তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশা চালক আজিজুর রহমান জানান, 'এই রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বেরোচ্ছে না। তাই যাত্রী খুবই কম। একে তো গরম তার ওপর তেমন ভাড়া না হওয়ায় খুব কষ্টে আছি। দিনশেষে বাড়িতে চুলা জ্বলবে কিনা সেই চিন্তা করছি।'

চুয়াডাঙ্গার একটি চাতালে ভুট্টা শুকানোর কাজ করছেন এক নারী। তিনি বলেন, 'গরিবের আবার গরম! পেটে ভাত জুটানোর চিন্তা করলে ওসব রোদ-গরম সব তুচ্ছ মনে হয়।'

শরবত বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানান, গরম বাড়ায় তাদের শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।

;

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় বিদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার লিংক রোডের সড়ক দুর্ঘটনায় এক বিদেশি নারী শিক্ষাথীর (২৫) নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মধ্যরাতে লিংক রোডের চরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত ফুটফাফোন জেইডলা (Phutphaphone xaydala) লাউসের নাগরিক। তিনি নগরীর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। আহত দুজনকে নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজন বাংলাদেশি এবং সম্পর্কে ভাইবোন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মধ্যরাতে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে একটি পাজেরো গাড়ির ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই ওই বিদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। আহত দুইজন নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, পাজেরো গাড়িটির সামনের চাকা ব্লাস্ট হওয়ার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভাজকের সাথে ধাক্কা লাগে বলে ধারণা হচ্ছে। নিহত বিদেশি মেয়েটি গাড়ির পেছনের সিটে ছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, সকালে পতেঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক নারী মরদেহ আনা হয়েছে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। মরদেহ মর্গে রাখা আছে। 

;