সব হারিয়ে নতুন ঘর চান মিরিকজান



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ), বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধা মিরিকজান। ছবি: বার্তা২৪.কম

বৃদ্ধা মিরিকজান। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা মিরিকজান। পা দুটো অচল হওয়ায় হাঁটতে পারেন না। পড়ে থাকেন ভাঙা একটি কুঁড়েঘরে। আর আশপাশের মানুষের দেয়া খাবার খেয়েই দিন পার করছেন।

সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ে তার কুঁড়েঘরটি ভেঙে যায়। এরপর তার আশ্রয় হয় প্রতিবেশীর এক জরাজীর্ণ চালা ঘরে। কিন্তু ঝড়ের কবলে ওই ঘরটিও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় বার্তা২৪.কমের মাধ্যমে সরকারের কাছে একটি ঘর ও হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়েছেন বৃদ্ধা মিরিকজান।

মিরিকজানের বাবার বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলায়। স্বাধীনতার পূর্বে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের চকপাড়া গ্রামের মগর আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। কিন্তু এখন স্বামী-সন্তানরা কেউ বেঁচে নেই। বর্তমানে মিরিকজান চকপাড়া গ্রামের ফাতেমা বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

রোববার (২৩ জুন) সকালে চকপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, জরাজীর্ণ একটি টিনের ঘরে থাকেন মিরিকজান। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ঘরের বেড়ায় মাকড়সার জালে ভরে গেছে। চালের ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টি পড়ে মেঝেতে পানি জমেছে। ঘরের ভেতর ময়লা-আবর্জনা জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ওই ঘরের মাটিতে অর্ধ আবরণে পড়ে আছেন বৃদ্ধা মিরিকজান। মাথার সাদা চুলে জট বেঁধেছে, ভাঁজ পড়েছে শরীরের চামড়ায়। সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে দু’হাতে ভর দিয়ে ঘর থেকে উঠানে আসেন মিরিকজান।

এ সময় তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিয়ার পর স্বামী-সন্তান লইয়্যা সুখেই আছিলাম। কিন্তু একদিন পেটের ব্যথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পাইরা স্বামী ট্রেইনের (ট্রেন) তলে ঝাঁপ দিয়া মইরা যায়। এরপর মাইনষ্যের বাড়িত কাম কইরা সন্তান দুইডারে খাওয়াইতাম। কিন্তু হঠাৎ একদিন ট্রেইনের তলে পইড়া মাইয়াডাও মইরা যায়। কয়েক বৎসর বাদে অসুখে ভুইগ্যা ছেড়াডাও মইরা যায়। হেরপর থেইক্যা তো আমি একলাই বাঁইচ্যা আছি।’

জানা গেছে, ১০ বছর আগে পা দুটো অচল হয়ে গেলে কাজের শক্তি হারিয়ে ফেলেন মিরিকজান। এছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগলেও স্বজনদের সহায়তা মেলে না। তাই এখন বিধবা ভাতাটাই তার একমাত্র সম্বল।

মিরিকজানের আশ্রয়দাতা ফাতেমা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমিই মিরিকজানের দেখাশোনা করি। তবে গ্রামের অনেক মানুষ তাকে খাবার দেয়। কিন্তু একটা হুইল চেয়ার না থাকায় তার চলাফেরায় কষ্ট হয়।’

এ সময় মিরিকজান বলে ওঠেন, ‘আমি স্বামী-সন্তান সব হারাইছি। তাই খালি হুইল চেয়ার না, সরকারের কাছে নতুন ঘরও চাই। আমি এহন যেই ঘরডায় থাহি, হেই ঘরডা বাতাস আইলেই লইড়্যা উডে। কোন দিন যে আমার উফরে ভাইঙ্গা পড়ে, আল্লায় জানে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;