মোবাইলে বিয়ে করে মালয়েশিয়া যেতে মরিয়া রোহিঙ্গা নারীরা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় আটককৃত খতিজা ও নুরুচ্ছাবা / ছবি: বার্তা২৪

সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় আটককৃত খতিজা ও নুরুচ্ছাবা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খতিজা বেগম (১৯)। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারের বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের ডি-৬ ক্যাম্পে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে তার পরিবার। মোবাইলের মাধ্যমে সদ্য বিয়ে হয়েছে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত আরেক রোহিঙ্গা মো. ইউসূফের সঙ্গে। তার কাছে যেতে দালালের মাধ্যমে সাগর পাড়ি দিতে ক্যাম্প ছেড়েছে খতিজা।

খতিজার মতো নুরুচ্ছাবা বেগমও ক্যাম্প ছেড়েছে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত স্বামী নয়ন উল্লাহর জন্য। তারাও মোবাইলে বিয়ে করেছে। নুরুচ্ছাবার পরিবারের অস্থায়ী বসবাস টেকনাফের মুচনির শালবন ক্যাম্পের ডি ব্লকে।

শুধু নুরুচ্ছাবা ও খতিজা নয় মোট ৪৩ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক উপকূলে নামিয়ে দেয় দালাল চক্র। মহেশখালী থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর বার্তা২৪.কমের কাছে এসব তথ্য জানান তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/15/1557914966979.jpg

খতিজা বেগম বলেন, ‘মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসার পর থেকে ইউসূফের সঙ্গে আমার যোগাযোগ। তারপর দুই পরিবারের মতের ভিত্তিতে সম্প্রতি মোবাইলে বিয়ে হয় আমাদের। এরপর এক বড় ভাই বলেছে আমাদেরকে সহজে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেবে। আমার স্বামীও একই কথা বলেছে। সাগর পাড়ি দিতে হবে সেটা জানতাম না। তবে বলছে যে অল্প সাগর পাড়ি দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু দূর নেওয়ার পর একটা এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয় আমাদের। পরে আমরা কিছুই চিনতে পারছিলাম না। এক পর্যায়ে পুলিশ আমাদের ধরে নিয়ে আসে।’

একই কথা জানান নুরুচ্ছাবা বেগমও। তবে তার কথাগুলো একটু ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘নয়নের সঙ্গে পরিচয় বর্মা (মিয়ানমার) থাকতে। এরপর বাংলাদেশে চলে আসি আমরা। তার সঙ্গে কিছুদিন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে আবারও যোগাযোগ হয়। পরে আমরা মোবাইলে বিয়ে করি। এখন তার কাছে যাচ্ছিলাম।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/15/1557915485458.jpg

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, গত তিনদিনে ৯৭ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক থেকে ২৯ জন, কালারমারছড়া থেকে ১৪ জন, পৃথক অভিযানে টেকনাফের বাহারছড়া থেকে ২০ জন ও মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের দরিয়া নগর এলাকা থেকে ৩৪ জনকে আটক করা হয়। তাদেরকে পরবর্তীতে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

এদিকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এটা খুবই শঙ্কার কথা। মালয়েশিয়া যাওয়ার বিষয়টি আরও ভয়ঙ্কর। এটি যদি চালু হয় তাহলে স্থানীয়দের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।

কক্সবাজার পিপলস ফোরামের মুখপাত্র এইচ এম নজরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ২০১৫ সালেও মালয়েশিয়া যাওয়া শুরু করেছিল। যেটা পরবর্তীতে স্থানীয়দের মধ্যে প্রভাব পড়ে। যার ফলে অনেক বাংলাদেশি নিখোঁজ ও প্রাণ হারায়।’

দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/15/1557915510231.jpg

কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিছু রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে এসব রোহিঙ্গা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছে। চেকপোস্টে তল্লাশি আরও বাড়ানো হয়েছে।’

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা পাচার ঠেকাতে সাগরে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে কোস্টগার্ড। কক্সবাজার উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল বাড়ানো হয়েছে।’

ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বৈঠকে আছেন বলে জানান। তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;