রাস্তায় চামড়া, দেখতেও আসছে না ব্যাপারীরা



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
চামড়া নিয়ে রাস্তায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মানুষগুলো, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চামড়া নিয়ে রাস্তায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মানুষগুলো, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দাম কম থাকায় সারি সারি স্তূপ চামড়া নিয়ে রাস্তায় ব্যবসায়ীদের অপেক্ষার প্রহর গুণছেন চামড়া মালিকরা। কিন্তু মৌসুমি, কিংবা বড় ব্যবসায়ীরা কোনো খোঁজ খবরও নিচ্ছেন না।

ফলে সকাল থেকে কুড়িয়ে এনে জমা করে রাখা চামড়া নিয়ে ভয়াবহ বিপদে পড়েছে রাজধানীর মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা এবং বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মানুষগুলো।

সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার এবং মালিবাগ এলাকার ঘুরে দেখা গেছে- ছোট, বড়, গরু এবং ছাগলের চামড়া ভাগ করে কয়েক স্তরে রাখা হয়েছে। চামড়ার স্তূপ সামনে রেখে পাহারা নিচ্ছেন এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন:  কাঁচা চামড়ার পাইকারি দামে লোকসানের শঙ্কা খুচরা ব্যবসায়ীদের

শুধু তাই নয়, তাদের পরিচিত ব্যবসায়ীদের ফোন করছেন। ব্যবসায়ীরা তোদেরকে ফোনে বলছেন, 'চামড়ার দাম নেই, পোস্তা ট্যানারি মালিকরা কিনছে না। আমরা কিনে লোকসান বাড়াতে পারব না'।

ওয়ারলেস গেইট এলাকায় অবস্থিত হোসানিয়া মাদরাসার শিক্ষক আওলাদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'এবার গরিবকে একেবারে মেরে ফেলছে। চামড়া তো গরিবের হক, কয়েকটি একটি সিন্ডিকেট মিলে চামড়া কিনছে না। তাদের নির্দেশে এবার কোনো ব্যবসায়ীরাও চামড়া কিনতে আসছে না।'

আরও পড়ুন: রংপুরে চামড়ার সরবরাহ কম, হতাশ ব্যবসায়ীরা

চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে সতর্কতা

রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালীর রাস্তার উপর শত শত চামড়া নিয়ে ব্যবসায়ীর অপেক্ষা করছিলেন শাহ খেরিয়া মসজিদ ও এতিম খানার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তারেকুজ্জামান। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'গত ৩০ বছর জীবনে চামড়ার এমন কম দাম দেখিনি'।

তিনি বলেন, 'গত বছরও চামড়া কেনার জন্য সন্ধ্যা থেকে অন্তত ২০ জন ব্যবসায়ী ফোন নিয়েছিলো। এবার কেউ আসছে না। চামড়ার কথা জিজ্ঞাসাও করছে না।'

রাজারবাগ এলাকায় রাস্তার উপর চামড়া নিয়ে বসে থাকা, এতিম খানার শিক্ষক মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, 'বিভিন্ন এলাকার গরু জবাই করে দেওয়ার বিনিময়ে পশুর চামড়াগুলো দিয়েছেন। এই চামড়াগুলো বিক্রি করে এখানকার এতিম শিশুদের খাবারের টাকা জোগানো হয়। অথচ এই দামড়ার দামই বলেছে না।' গরিবের পেটে লাথি মারা ছাড়া আর কী প্রশ্ন করেন তিনি।

এদিকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত দেখা গেছে, গত বছরও যে চামড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনেছিলেন, এ বছর সেই চামড়া কিনছেন ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, 'পানির দরে চামড়া কিনছেন বড় (পোস্তা ও ট্যানারি) ব্যবসায়ীরা।'

সরকার নির্ধারিত দামে ভাল মানের ছোট একটি গরুর চামড়ায় দাম কমেছে এক থেকে দেড়শ টাকা। মাঝারি মানের গরুর চামড়ার দাম কমেছে অর্ধেক। একইভাবে প্রতিটি বড় গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে কিনছেন। ছাগল কিংবা ভেড়ার চামড়ার দাম একেবারেই কম।

রাজধানীর হাজারীবাগ, মতিঝিল, সায়েন্স ল্যাব, পোস্তা এলাকায় ছোট গরু অর্থাৎ ৬০ হাজার টাকার নিচের দামের গরুর চামড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় কিনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

মাঝারি গরু অর্থাৎ লাখ টাকার নিচের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। গত বছর একই চামড়া বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়। সরকার নির্ধারিত দামে এসব চামড়া বিক্রি হওয়ার কথা ছিল অন্তত হাজার টাকা।

আরও পড়ুন:  ‘পানির’ দরে চামড়া কিনছেন ব্যবসায়ীরা

এসব এলাকায় এক থেকে পাঁচ লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। এছাড়াও পাঁচ লাখের বেশি দামের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকার ওপরে।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানান, ট্যানারি ও পোস্তার আড়তদাররা তাদের কাছ থেকে চামড়া কিনছেন না। আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম কম বলে তারা চুপ করে বসে আছেন। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি করতে না পারলে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দাম অনুযায়ী, ঢাকায় কোরবানির গরুর প্রতিটি ২০ থেকে ৩৫ বর্গফুট চামড়া লবণ দেওয়ার পরে ৯০০ থেকে এক হাজার ৭৫০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি মালিকদের। কিন্তু সোমবার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন। কোথাও কোথাও আরও কম।

   

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;