ট্রাম্পের কাছে করা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলেন প্রিয়া সাহা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওতে প্রিয়া সাহা, ছবি: সংগৃহীত

ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওতে প্রিয়া সাহা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে অভিযোগকারী নারী প্রিয়া সাহা বলেছেন, 'এ কথাগুলো আমি কেন বলি, এগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথা। ২০০১ সালে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে নির্বাচনোত্তর ৯৪ দিন ধরে চরম নির্যাতন চলছিল, আজকের প্রধানমন্ত্রী তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য তিনি সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন, সমস্ত জায়গায় বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তার অনুসরণ করে এসব বলেছি। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো জায়গায় বলা যায়, এটা আমি তার কাছে শিখেছি।'

রোববার (২১ জুলাই) ইউটিউবে প্রকাশিত এক ভিডিও কথোপকথনে এসব কথা বলেন তিনি। ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ ভিডিওটিতে মোবাইলে আসা প্রশ্নে প্রিয়া সাহা তার যুক্তরাষ্ট্রে গমন, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সাক্ষাৎকার পরবর্তী পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

কেমন আছেন জানতে চাইলে প্রিয়া সাহা জবাব দেন, 'আমি ভালো নাই। আপনারা দেশে আছেন। প্রতিটা বিষয় আপনারা অবজার্ভ করছেন। প্রতিটা বিষয় কী অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সংবাদ মাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন ব্যক্তি, সকল পর্যায় থেকে। সে বিষয়ে আপনারা খুব ওয়াকিবহাল।'

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর হুমকি-ধমকি বেড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমার পরিবার ভীষণ সমস্যার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল আমার পরিবারের ছবি ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে পত্রিকায়। কথা বলেছি আমি। তারা আমার ছবি দিতে পারত। কিন্তু পরিবারের ছবি পত্রিকায় দিয়ে তাদের সবার জীবনকে বিপন্ন করে তোলা হয়েছে। তারা আমার কাজের সাথে কোনো অবস্থাতেই কেউ যুক্ত নয়।'

যুক্তরাষ্ট্রে কারা পাঠিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হিন্দু-বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ আমাকে পাঠায়নি। আমাকে আইআরএফ থেকে সরাসরি মেইল করা হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে ফোন করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসছে এখানে।'

৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছেন বলে যে দাবি ট্রাম্পের কাছে করেছেন সেটা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ২০০১ সালের যে পরিসংখ্যান বই রয়েছে তাতে যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু যে চ্যাপ্টার রয়েছেন। সেখানে এ বিষয়গুলো লেখা আছে। দেশভাগের সময় দেশের সংখ্যালঘু ছিল ২৯.০৭ ভাগ, এখন সেটা ৯.০৭ ভাগ। দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৮০ মিলিয়ন। তাহলে যদি ওই শতাংশ জনসংখ্যা যদি একইভাবে বৃদ্ধি পেত তাহলে আমি যে ৩৭ মিলিয়নের কথা বলেছি সেটা মিলে যায়।'

ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনে প্রিয়া সাহা ‘ডিজিপিয়ার্ড’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। সেই শব্দের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, 'ডিজিপিয়ার্ড শব্দের মধ্যদিয়ে আমি যেটা বুঝাতে চেয়েছি, এই পরিমাণে লোক থাকার কথা ছিল যদি স্বাভাবিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে প্রক্রিয়া, যেভাবে বাংলাদেশে জনগণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই একইভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যদি ২৯.০৭ শতাংশ থাকতো তাহলে এই জনসংখ্যাটা হত। কিন্তু তারা নেই। এই যে নাই, এটা যে ক্রমাগতভাবে ক্রমে গেছে সেটাই আমি বুঝাতে চেয়েছি।'

সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকেও সাম্প্রদায়িক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি এই কথার সঙ্গে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করি। হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ কোনো সাম্প্রদায়িক সংগঠন নয়। যেকোনো সাম্প্রদায়িক সংগঠনের তার নিজস্ব সম্প্রদায়ের জন্য এজেন্ডা থাকে। অনেক কিছু করে সেটা আপনি জানেন। হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ শুধু একটা কাজই করছে। সেটা হল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। যেটা বর্তমান সরকারও করছে। তাদের সুরক্ষা, তাদের নিরাপত্তা এই কাজটাই তারা করে। এবং অধিকার নিয়ে কাজ করে। একটা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কেমন করে সাম্প্রদায়িক সংগঠন হলো সেটা আমার বোধগম্য নয়।'

হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদে মুসলমানরা নেই কেন জানতে চাইলে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা বলেন, 'আপনি জানেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। সেই সালেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার পরেই দেশের অনেকে এই তিন সম্প্রদায়ই শুধু না, বাংলাদেশের অনেক মুসলিমও এদের সাথে থেকে ওইটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য এই সংগঠনটার জন্ম হয়। যেহেতু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার বিরুদ্ধেই সংগঠনটা, সেকারণেই হয় মুসলিম সম্প্রদায় এই সংগঠনটার সদস্য হিসেবে নাই। কিন্তু আপনি জানেন দেশের প্রথিতযশা অসাম্প্রদায়িক লোক আমাদের উপদেষ্টা আছেন। আমাদের মিছিল মিটিংয়ে সর্বসময়ই বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক শক্তি, সিভিল সোসাইটি সবাই আমাদের সাথে আছেন। সকল রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমাদের প্রোগ্রামে সহমর্মিতা পোষণ করেন।'

তিনি বলেন, 'দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান থাকবে তারা পরিসংখ্যান থেকে সত্যটা জানবেন। দেশের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার ইচ্ছে আমার কোনোকালেই ছিল না। কোনদিনও হবে না। দেশটা আমার। আমার পরিবারও যুদ্ধ করেছে দেশটা স্বাধীন করার জন্য। এই ভূমির জন্ম থেকে আমার পূর্বপুরুষেরা এখানে বসবাস করে। এই দেশের কোনো রকমের কোনো অমঙ্গল হোক, অকল্যাণ হোক সেটা কোনোকালেই আমার চাওয়া নয়। সেটা আমি করতে পারি না, করি নাই ,করব না।'

   

নড়াইলে জমি নিয়ে বিরোধে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম 



ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
নড়াইলে জমি নিয়ে বিরোধে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম 

নড়াইলে জমি নিয়ে বিরোধে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম 

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের চরবকজুড়ি গ্রামের এরশাদ মোল্যার ও একই গ্রামের মো. মহিউদ্দিন মোল্যার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নাজমা বেগম, এরশাদ মোল্যা, হারুন মোল্যাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এরশাদ মোল্যার বাড়িতে এ ঘটনায় । ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এজাহার ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরবকজুড়ি গ্রামের হুমায়ুন মোল্যার পরিবারের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন একই গ্রামের মো. মহিউদ্দিন মোল্যার পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চলছিলো। এরই জের ধরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় মহিউদ্দিন মোল্যা, আফজাল মোল্যা, উজ্জল মোল্যা, খোকা মোল্যা, লিঠু মোল্যা, মনসুর মোল্যা, জাহিদ মোল্যা, উজ্জ্বল মোল্যা, মুকিত মোল্যা, রঞ্জু মোল্যা, সাইদ মোল্যাসহ মোট ১৪/১৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নাজমা বেগম, এরশাদ মোল্যা, হারুন মোল্যাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।

এ সময় স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে দ্রুত লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত নাজমা বেগমকে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ছাড়া আহত বাকি ২ জন এরশাদ মোল্যা ও হারুন মোল্যা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ সময় আহত এরশাদ মোল্যা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আহত ভাই-বোনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ফার্মেসি থেকে ঔষধ কেনার জন্য আসলে পুনরায় দুর্বৃত্তরা এরশাদ মোল্যাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এ সময় নিজেকে রক্ষা করার জন্য এরশাদ মোল্যা দৌড়ে লোহাগড়া থানায় আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে পুলিশি হেফাজতে তাকে চিকিৎসার জন্য লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আহতদের বোন লোহাগড়া উপজেলার লংকারচর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে উল্লিখিত ১১ জনকে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ কে আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আহত মহিউদ্দিন মোল্যা বলেন, এ ঘটনায় আমার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই, এরশাদ মোল্যার পরিবারের সঙ্গে আফজাল মোল্যার মারামারি হচ্ছিলো। তখন আমি মারামারি ঠেকাতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে মারপিট করে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। আমি এখন লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ১১ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রতিপক্ষের কেউ থানায় এখনো কোন অভিযোগ করেনি, তবে অভিযোগ পেলে সেটিও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

;

কোস্টগার্ডের কাছে বিজিপির ১৩ সদস্যের আত্মসমর্পণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তারা সবাই বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী দিয়ে পালিয়ে আসেন ১৩ বিজিপি সদস্য। পরে টেকনাফ স্টেশনের কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তাদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে মিয়ানমারের ৪৬ জন বিজিপি সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে এখন মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির ২৭৪ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ৩৩০ জন বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার নৌ-সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর নতুন করে আরও ২৭৪ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

;

নওগাঁয় সিআইডি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগার ধামুরহাটে ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার রুপনারায়ণপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। 

গ্রেফতারকৃত রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার রিয়াজ আহমেদ এর ছেলে। জানা যায়, নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতেন তিনি। 

ভুক্তভোগী মানুয়েল তপ্ন বলেন, নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে সে ২৯ হাজার ৫৩৮ টাকা গ্রহণ করে এবং আরো টাকা দাবি করলে স্থানীয় জনতা এই ভুয়া সিআইডি পুলিশ কর্মকর্তাকে চ্যালেঞ্জ করে ধামইরহাট থানায় খবর দেয়। বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে এই প্রতারক। 

পরে থানার এসআই পরিতোষ চন্দ্র সরকার সঙ্গীয় কনস্টেবল মো. ইকবাল হোসেন, মো. নুর ইসলাম ও মো. ফরহাদ হোসেন গিয়ে ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। 

এ প্রসঙ্গে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বিপিএম, পিপিএম বলেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। সিআইডি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও ভুয়া পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিতেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মামলা দায়ের হয়েছে।

;

ছয় বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এপ্রিল মাসের বাকি সময় জুড়ে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারার আশঙ্কা থাকলেও ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট এবং এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আর এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিনে দেশের সর্বনিম্ন ২০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

 

;