'তুমি বাঁচার চেষ্টা কর' বলে সাগরে তলিয়ে গেলেন ছোট ভাই



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
নিহত মারুফ, ছবি: সংগৃহীত

নিহত মারুফ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ভাই আমারে বাঁচানো যাইতনায়, আমার পুরা শরীর আস্তে আস্তে ঠান্ডায় অবশ ওই যার (যাচ্ছে)। আমারে ছাড়ি দেও, আমি আর পারছিনা। তুমি বাঁচার চেষ্টা কর’ বলে বড় ভাই মাছুমের হাত ছাড়িয়ে সাগরে তলিয়ে যান মারুফ।

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত মারুফ ও তার বড় ভাই মাছুম একসাথেই ছিলেন। দুজন সাগর পথে দালালের মাধ্যমে ইতালি পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছিলেন।

নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া বড় ভাই মারুফের মৃত্যুর খবরটি এভাবেই দেন পরিবারের সদস্যদের। ছোট ভাই তলিয়ে যাওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তের স্মৃতি স্মরণ করে টেলিফোনে কাঁদছেন মৃত্যুকে খুব কাছে থেকে দেখা মাছুম।

আরও পড়ুন: ইউরোপ যাওয়ার পথে সাগরে ডুবে সিলেটের ৬ যুবকের মৃত্যু

বড়ভাই মাছুম আহমদ জানান, মারুফকে বাঁচাতে তিনি দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা সাগরে সাঁতার কেটেছেন। তারপরও ভাইকে বাঁচাতে পারেননি মাছুম। এক পর্যায়ে মারুফ বলেছিল ভাই তুমি আমার হাত ছেড়ে দাও, আমার শরীর অবশ হয়ে পড়েছে, এরপর মারুফ নিজেই হাত ছাড়িয়ে নিয়ে সাগরে তলিয়ে যান।

তিনমাস আগে গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর দুই ছেলে কামরান আহমেদ মারুফ (২০) ও মাছুম আহমদ (২৫) অবৈধভাবে সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার জন্য আরব আমিরাত (ডুবাই) থেকে লিবিয়ায় যান।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় লিবিয়া থেকে নৌকা পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের লক্ষ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে ওই নৌকা যাত্রা করে। বড় নৌকা থেকে ছোট নৌকায় স্থানান্তরের সময় নৌকাটি ডুবে যায়।

শুক্রবার (১০ মে) সকালে এ সময় কামরান আহমদ মারুফ মারা যান। তার ভাই মাছুম আহমদ (২৫) ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। নৌকাডুবিতে নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সিলেটের ৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

   

চরফ্যাসনে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচণ্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘণ্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যথা আরও তীব্র হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব-অ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

;

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

;

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে শহরের সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলি গ্রামে চলমান রেললাইন হতে ১০ ফিটের বাহিরে এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে থেকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম, পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

;

রাজ-পরীর সংসারে নতুন ২ অতিথি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ রাজ ও বাঘিনী পরীর ঘর আলোকিত করে এসেছে নতুন তিন অতিথি। যদিও একটা শাবক মৃত ছিল। এ নিয়ে চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ টিতে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ।

তিনি বলেন, রোজার ঈদের দুই দিন আগে ৯ এপ্রিল সকাল আটটার দিকে বাঘ রাজ-পরীর সংসারে তিনটি মেয়ে বাঘ শাবক জন্ম নেয়। তখন আমরা একটি শাবক মৃত অবস্থায় পায়। বাকি দুটি শাবক মায়ের সঙ্গে আছে। সুস্থ আছে, দুধও খাচ্ছে। ঈদের সময় একটু ব্যস্ততা ছিল তাই আমরা বিষয়টি তখন জানাতে পারিনি।

‘এনিয়ে রাজ-পরীর ঘরে মোট ১২টি বাঘ ও শাবক রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ, বাকি সব মেয়ে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন শাবক ‍দুটির নাম দেওয়া হবে। আমরা আরও একমাস পর দর্শনার্থীদের জন্য শাবকগুলো উন্মক্ত করব, বলেন চিড়িয়াখানার এ কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন দুই শাবকসহ বর্তমানে বাঘের সংখ্যা মোট ১৯টি, যার মধ্যে ১৩টি মেয়ে ৬টি পুরুষ। ১৯টির মধ্যে ৫টি সাদা বাঘ‌।

গতবছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্মগ্রহণ করা এক জোড়া বাঘ দিয়ে প্রাণী বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা হতে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকায় কেনা ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরীকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর তিনটি ছানার জন্ম হয়। যার মধ্যে দুটি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’, অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। পরদিন একটি সাদা বাঘ শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটি ‘শুভ্রা’। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেওয়া হয় ‘জয়া’। শুভ্রা বাংলাদেশে প্রথম সাদা বাঘ। এর আগে দীর্ঘ পাঁচ বছর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বাঘ শূন্য ছিল।

;