বাংলাদেশেও সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা বার্তা২৪.কম
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছে, জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা। গত ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় হামলার যে ঘটনা ঘটলো, তাতে আমরা বাংলাদেশের কয়েকজনকে হারিয়েছি। অনেকগুলো শিশুও মারা যায়। আমাদের জায়ানকে হারাতে হয়েছে এই জঙ্গি সন্ত্রাসের কারণে। বাংলাদেশেও এই ঘটনা ঘটানোর যথেষ্ট চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা সংস্থা যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো- এই ধরনের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত থাকবে? কে কোথায় এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লিপ্ত, সেটা শুধু গোয়েন্দা সংস্থার কাছেই জানাতে হবে। দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে। কেননা আমরা দেশে শান্তি চাই। শান্তি দিতে পারে উন্নতি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ হলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা এখানে দেখেছি অগ্নিসংযোগ, জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা। এই বিএনপি জামায়াত তারা আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে, বাস কিনেছি বিআরটিসির সেগুলা পুড়িয়ে দিয়েছে। বাস ট্রেন লঞ্চ এমন কিছু নেই যেটা অগ্নিসন্ত্রাসের কবলে পড়ে নি। আর সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবন। ছোট শিশু নারী পুরুষ, বাবা দেখেছে চোখের সামনে শিশু পুড়ে যাচ্ছে, স্বামী দেখেছে চোখের সামনে স্ত্রী পুড়ে যাচ্ছে, স্ত্রী দেখেছে চোখের সামনে স্বামী পুড়ে যাচ্ছে এইরকম ভয়াবহ চিত্র আমরা বাংলাদেশে দেখেছি। কিন্তু আমরা চাই না এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে ঘটুক। তাই আমি দেশবাসী সকলকে আহ্বান জানাই আগুন সন্ত্রাস মোকাবেলা করতে হবে।

শ্রীলঙ্কায় হামলায় নাতি জায়ান চৌধুরীকে হারানোর কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আট বছরের একটা ছেলে জায়ান চৌধুরী। তাকে আমি হারিয়েছি। আমাদের পরিবারে ১৫ আগস্ট ঘটনায় আমি আর রেহেনা বাইরে ছিলাম বলে বেঁচে গেছি, আমাদের পরিবারের আর কেউ বেঁচে নেই, সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন মেজ ফুফুর বাড়িতে যখন আক্রমণ করে তখন তার ছেলে, ছেলের বউকে হত্যা করে। শেখ ফজলুল হক মণি ও আরজু মণি। আর জায়ান হচ্ছে শেখ ফজলুল হক মণির ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ের প্রথম সন্তান। তাকেও এভাবে আজকে জীবন দিতে হতে হলো। কোনো শিশুর এ ধরনের মৃত্যু আমরা চাই না।

এসময়, ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমি জানি না এ ধরনের যারা হত্যাকাণ্ড চালায় তারা কী পায়?  কি লাভ তাদের হয়? মানুষের ঘৃণা ছাড়া, অভিশাপ ছাড়া আর কিছু তারা পায় না। আর ইসলাম ধর্মের নাম নিয়ে যারা সন্ত্রাস করে, জঙ্গিবাদ চালায় তারা আমাদের পবিত্র ধর্মটাকে কলুষিত করছে, পবিত্র ধর্মটার বদনাম করছে বিশ্বব্যাপী। তারা ইসলামের কোনো ভালো কাজ করছে না। ইসলাম ধর্মকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করে ধর্মের ক্ষতি করে দিচ্ছে। যে ধর্ম সবথেকে বড় মানবতার ধর্ম, যে ধর্ম সবথেকে বড় শান্তির ধর্ম সে ধর্মের নামে তারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে। কাজেই এই ধরনের কাজে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিরত থাকতে হবে।

এজন্য সকল অভিভাবক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, বাংলাদেশের জনগণ এবং মসজিদে ইমাম মুয়াজ্জিন যারা আছেন বা ধর্মীয় শিক্ষাগুরু, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যারা প্রত্যেককে আমরা বলব যার যার আওতায় যে ধরনের শিশু কিশোর, যুবক, ছাত্র যারা আছে বা সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধরনের একটা প্রবণতা দেখা দেয় সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে সবাইকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আর আগামী শুক্রবারের দিন আমি চাই প্রত্যেক মসজিদে আমাদের জায়ান চৌধুরী মারা গেল, কয়েকদিন আগে নিউজজিল্যান্ডে মসজিদে হামলায় অনেকে মারা গেল, সেখানে আমাদের বাংলাদেশিরাও ছিল, এরপর শ্রীলঙ্কার হামলা, আমি চাই সারা বাংলাদেশের প্রত্যেক মসজিদে শুক্রবার যেন তাদের নামে দোয়া কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে ইমাম, মুয়াজ্জিনদের প্রতি অনুরোধ থাকবে এই যে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের সঙ্গে ধর্ম ও মানবতার জন্য ক্ষতিকারক সে বিষয়টা তুলে ধরবেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজীবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন।

   

সাভারে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাভারে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহতের নিথর দেহ উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন। এর আগে দুপুরের দিকে সাভার পৌরসভার সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শহিদুল ইসলাম (২৪) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার চরধরমপুর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি সাভারের সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন দন্ত চিকিৎসকের সহকারী।

হত্যাকান্ডের কারণ বা এর সাথে কারা জড়িত তা এখনও বলতে পারেনি পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৭২ কোটি টাকা) অনুদানের কথা জানিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশস্থ জাপানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য এ অনুদান দিয়েছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে।

অনুদান প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, এ অনুদানের অর্থ বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সমৃদ্ধির পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। পাশাপাশি এ অনুদানের অর্থ দেশে রোহিঙ্গা নিয়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে সেটিরও প্রশমন ঘটাবে।

;

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে মন দিয়ে রেলের জন্য কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

তিনি বলেন, রেলের কিছুটা পরিবর্তন সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছেন এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর রেলভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রেলকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অনেক কষ্টে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে অনেক স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। এদেশের মানুষকে ভালোবেসেই তিনি নিজের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আমাদের এই দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের মনে, চেতনায়, মননে ও মানসিকতায় বঙ্গবন্ধুর নাম আমাদের বুকে লেখা হয়ে গেছে। তাই আমরা যদি সবাই মিলে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই আমাদের মহান স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মদান অর্থবহ হবে।

এর আগে অফিস কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা সাক্ষাৎ করেন। ভারতের সহায়তায় বাস্তবায়নধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অলোচনা করেন তারা।

;

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বঙ্গভবনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে দেশকে অন্য পথে পরিচালিত করতে চেয়েছিল কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাৎকালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধিদল ৩ মে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলনে যোগদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।

প্রতিনিধিদল ১৯৭১ এর গণহত্যাকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য স্মারকপত্র প্রদান করেন।

তাঁরা সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করবে মর্মে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশন সাহাবুদ্দিন কমিশন নামে পরিচিত।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস. এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

;