রিকশা চালক রফিকুলের নতুন যুদ্ধ



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
দেয়ালে আঁকছেন রিকশা চালক রফিকুল ইসলাম / ছবি: বার্তা২৪

দেয়ালে আঁকছেন রিকশা চালক রফিকুল ইসলাম / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রফিকুল ইসলাম। পেশায় তিনি একজন রিকশা চালক। দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধ। তখন তার বয়স এগারো। পরিবারের একমাত্র ছেলে সন্তান হওয়ায় যুদ্ধে যেতে পারেননি। সেই আক্ষেপ তাকে এখনো তাড়া করছে। তাই জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শুরু করেছেন নতুন যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো ছড়াতে রং তুলি হাতে রফিকুল ছুটছেন স্কুল-কলেজ আর পাড়া-মহল্লায়। দেয়াল অঙ্কনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছেন বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টাদের।

ঊনষাট বছর বয়সে পা রেখেছেন রফিকুল ইসলাম। কিন্তু বয়সের কাছে হার না মানা রফিকুল এখনো রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। যাত্রী সেবার পাশাপাশি রিকশায় রাখা রং তুলির ছোঁয়ায় দেয়ালে ফুটিয়ে তোলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ছবি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/06/1554544617777.jpg

২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর রংপুর মহানগরীর তাজহাট বাবুপাড়ার বটতলায় প্রথম দেয়াল অঙ্কন করেন তিনি। রং তুলির আঁচড়ে তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যা দৃষ্টি কেড়েছিল স্থানীয় যুবসমাজের। ওই দিন রফিকুল ইসলামের আঁকা ছবির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন।

রফিকুল ইসলামের অর্ধশত দেয়াল অঙ্কনে বাংলাদেশের মানচিত্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া, জাতীয় চার নেতা ও সাত বীর শ্রেষ্ঠও স্থান পেয়েছে।

শুধু ছবি আঁকাতেই থেমে নেই রফিকুল। দেয়াল অংকনের সঙ্গে সঙ্গে নিজ উদ্যোগে স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত সাড়ে ৩০০ কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/06/1554544640938.jpg

রংপুর মহানগরীর তাজহাট বাবুপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম। স্ত্রী রশিদা বেগম, দুই মেয়ে ও তিন ছেলেসহ মা-বাবাকে নিয়ে এক বাড়িতেই বসবাস করছেন তিনি। রফিকুলের তিন ছেলে রশিদুল ইসলাম রাজু, মাহমুদুল হাসান রাজিব ও রেজাউল ইসলাম রেজা। অন্যদিকে দুই মেয়ের মধ্যে রেশমা আকতার হাসি আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন। আর ছোট মেয়ে রতনা আকতার খুশি এবার এসএসসি পরীক্ষার ফলপ্রত্যাশী।

পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে থাকা রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ১৯৮০ সাল থেকে রিকশা চালাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি ১৯৮৩ সালে অবসর সময়ে কাজ করতেন প্রেস শ্রমিক হিসেবে। দীর্ঘ ১৬ বছরে নগরীর ছকিনা, ছাপাঘর, নিপুন, দৈনিক দাবানল ও দৈনিক পরিবেশে প্রেস শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময় থেকে তিনি কাগজে, আর্ট পেপারে স্কেচ করে ছবি আঁকা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে দেয়ালে দেয়ালে শুরু করেন রং তুলির আঁচড়ে ছবি আঁকা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/06/1554544664377.jpg

তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উন্মেষ ঘটানোর লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে দেয়ালে স্বহস্তে ছবি আঁকা শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অর্ধশত ছবি আঁকা হয়েছে। ছবি আঁকার সঙ্গে সঙ্গে নিজ খরচে কৃষ্ণচূড়া গাছের প্রায় সাড়ে ৩০০ চারা রোপণ করেছি।’

রফিকুল আরও বলেন, ‘আমার ইচ্ছা পায়ে হেঁটে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করে গণভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করব। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় এবং গণভবনে কৃষ্ণচূড়া চারা রোপণ করব। প্রশাসন যদি আমাকে এই পদযাত্রার জন্য অনুমতি দেন আমি পদযাত্রাকালীন বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকব।’

   

যশোরে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার বসন্ত কুমার সড়কে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আশিকুর রহমান হৃদয় (২৪) নামে এক টাইলস মিস্ত্রির অর্ধগলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্বজনদের দাবি, ২/৩ দিন আগে তিনি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়নি। তিনি একই এলাকার মনিরুজ্জামান মনি মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্ত্রী পিয়া বেগম জানান, ঈদের আগের দিন সংসারে অশান্তি হয়। যে কারণে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। ঈদের দিন শ্বশুর বাড়িতে (পিয়ার বাবার বাড়ি) গিয়েছিলেন আশিকুর কিন্তু খেয়ে আর দেরি করেনি। ঈদের দু’একদিন পরে গলায় ফাঁস নিতে পারেন।

আজ সকালে প্রতিবেশি ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে আশপাশের লোকজন ডেকে জানালা খুলে তাকে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

;

বার্তা২৪.কমে প্রতিবেদন: সেই অর্পিতার অস্ত্রোপচারের টাকা দিলেন ডিসি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসুস্থ মেয়ে অর্পিতা দাশের অস্ত্রোপচারের জন্য বহু কষ্টে ৫০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন মা সুগন্ধা দাশ। যত্ন করে সেই টাকাটা রেখেছিলেন আলমারির ড্রয়ারে। কিন্তু একদিন আগে আগুনে অন্য সবকিছুর সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সেই টাকাও। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের অস্ত্রোপচার কীভাবে করবেন, সেই চিন্তায় পোড়া ঘরের সামনে কেঁদেই চলেছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব এই স্বামীহারা নারী। মায়ের সেই দুঃখের গল্প তুলে ধরেছিল বার্তা২৪.কম।

সেই প্রতিবেদনটি ছড়িয়ে পড়তেই নানা দিক থেকে অর্পিতাকে সহযোগিতা করতে অনেকেই এগিয়ে আসতে চান। এই প্রতিবেদককে ফোন করেও বহুজন অর্পিতার পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। তবে অর্পিতার আপাতত আর সহযোগিতা লাগছে না। কেননা, পুড়ে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা অর্পিতার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। পাশাপাশি তিনি অর্পিতার চিকিৎসার বিষয়েও উদ্যোগ নেবেন বলে তার মাকে আশ্বস্ত করেছেন।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের অস্ত্রোপচারের জন্য অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন মা সুগন্ধা দাশ। কিন্তু আগুনে সেই টাকাটা পুড়ে যায়। আমরা গণমাধ্যমে খবর দেখার পর এই মাকে মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছি। পাশাপাশি আমি বন্দর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলব, যাতে কম খরচে কীভাবে অর্পিতার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।’

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের টেক পাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক। এসময় তিনি অর্পিতার মাসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের মাঝে মানবিক সহায়তা তুলে দেন।

২০১৭ সালে স্বামী পরিমল দাশকে হারান সুগন্ধা। এরপর থেকে ছেলে ও মেয়ের কথা ভেবে আর বিয়েমুখী হননি এই নারী। বড় ছেলের বয়স মাত্রই ২০। তিনি অবশ্য এখনো তেমন কিছু করেন না। আর ১৬ বছরের মেয়ে অর্পিতা নবম শ্রেণিতে পড়ছে পাথরঘাটা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। বন্দর হাসপাতালে দৈনন্দিন ভিত্তিতে কাজ করা মায়ের আয়েই চলছিল অর্পিতাদের সংসার। এর মধ্যে অর্পিতা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আরও বিপাকে পড়েছিলেন মা। তবে জেলা প্রশাসকের সহায়তা পাওয়ার পর আপাতত তার সেই দুশ্চিন্তা কমে গেছে।

জেলা প্রশাসক অর্থ সহায়তা তুলে দেওয়ার সময় তাই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি সুগন্ধা দাশ। তিনি এ সময় কেঁদে ফেলেন। সুগন্ধা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘অনেক কষ্টে মেয়ের অস্ত্রোপচারের জন্য টাকাটা জমিয়েছিলাম। কিন্তু আগুন আমার সবকিছুই ছাই করে দিয়েছে। এখন আমাকে ডিসি মহোদয় পুড়ে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা সহায়তা করেছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও ডিসি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর যে সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার দুর্দশার বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেছেন তাদের ঋণও শোধ করতে পারব না।’

;

উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া জরুরি: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

;

থানায় হামলা, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৯ জন রিমান্ডে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুরুজ্জামান নুরুসহ তার ৯ সহযোগীকে ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মনিরুজ্জামান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাজাহানপুর থানায় হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা এবং পরে গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হওয়া বিদেশি পিস্তল ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় আরেকটি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে রিমান্ড শুনানি দিন ধার্য্য ছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান জানান, দুইটি মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে তিন দিন করে দুই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানি কালে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।

তারা হলেন, শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের (সাময়িক অব্যাহতি প্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু, তার সহযোগী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান খোকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মিতুল, এবং ওহাবুজ্জামান।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ চাকুসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠুন মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাত ১০ টার দিকে নুরুজ্জামান নুরুর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা শাজাহানপুর থানায় হামলা করে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে আটক মিঠুনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। আসামি ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে।সেখান থেকেও পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। থানায় হামলা এবং মহাসড়কে ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের ৮ জন সদস্য আহত হন। ওই রাতেই পুলিশ নুরুজ্জামান নুরুসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের হেফাজত থেকে ১৫ রাউন্ডগুলিসহ দুইটি বিদেশি পিস্তল, এক কেজি গাঁজা ও তিন বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় দুই মামলা দায়ের করা হয়।মামলা দুইটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি) তদন্ত করছেন।

এদিকে নুরুজ্জামান নুরু গ্রেফতারের পর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে নুরুজ্জামান নুরুকে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়।

;