অরুণ জেটলি: ভারতীয় রাজনীতির মেধাবী পুরুষ



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম  
অরুণ জেটলি

অরুণ জেটলি

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ এশিয়ার সমকালীন রাজনীতি, বিশেষ করে ভারতের খোঁজ-খবর যারা রাখেন, তাদের কাছে বেশ কিছু নেতার মুখ খুবই চেনা। নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উপমহাদেশ জুড়ে পরিচিতি পাওয়া তেমন রাজনীতিবিদদের অন্যতম একজন ছিলেন অরুণ (মহারাজ কৃষাণ) জেটলি।   

তুখোড় ছাত্রনেতা থেকে তীক্ষ্ণতা সম্পন্ন আইনজীবীর পরিচয় ছাপিয়ে অরুণ জেটলি ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে রেখেছেন স্থায়ী স্বাক্ষর। প্রায়-নিঃস্ব অবস্থা থেকে কেন্দ্রীয় রাজনীতির শীর্ষে আরোহণের পথে জনমত ও মিডিয়া অ্যাক্টিভিজমের ক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) যে কয়জন নেতা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের মধ্যে বাজপেয়ী ও আদভানীর পর পরই নাম আসে অরুণ জেটলি ও সুষমা স্বরাজের।

গত ৬ আগস্ট সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর ১৮ দিনের মাথায় ২৪ আগস্ট ৬৬ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন অরুণ জেটলি। অবশ্য ৯ আগস্ট তিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা হয় নি তার। কয়েক দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২৪ আগস্ট দ্বিপ্রহরে তার জীবনাবসান হয়।  

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি শিবিরে এই মৃত্যুজনিত বেদনা গভীর ক্ষত ছড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক জানিয়ে বলেছেন যে, তিনি 'বিশ্বস্ত বন্ধু' হারিয়েছেন। বিজেপি'র পক্ষ থেকে অরুণ জেটলির মৃত্যুকে বর্ণনা করা হয়েছে 'মধ্যাহ্নে সূর্যাস্ত' শিরোনামে।

অরুণ জেটলি ছিলেন দলের অন্যতম মুখপাত্র। মিডিয়া ও বিতর্কে দলের নীতি ও আদর্শ তুলে ধরতে লাগাতার সফলতা দেখিয়েছেন তিনি। বিগত বছরগুলোতে তার যুক্তি ও বাচনভঙ্গি প্রায়-অখ্যাত বিজেপি নামক দলটির প্রতি মানুষের মনোযোগ ও আগ্রহ বাড়িয়েছে। নিজের দল ও রাজনীতি সম্পর্কে একটি ইতিবাচক মনোভাব ও আস্থাজনক বার্তা পৌঁছে দিতে অরুণ জেটলি ছিলেন সফল ও পারঙ্গম।            

অরুণ জেটলিকে বলা হতো 'ট্রাবলশুটার’, ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ এবং 'কিং মেকার'। মাঠের রাজনীতির চেয়ে কৌশল ও পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন উজ্জ্বলতর৷ ফলে তিনি নিজে নির্বাচনে লড়েছেন হাতে গোনা কয়েকটি। এমনকি, ২০১৪ সালে প্রবল মোদী হাওয়াতেও অমৃতসর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে কংগ্রেস প্রার্থী অমর সিং-এর কাছে পরাজিত হন তিনি। তবে তাকে গুজরাত থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত করে আনা হয় দলের পক্ষ থেকে। সর্বাবস্থায় তিনি বিজেপির অপরিহার্য নেতা ও  মোদীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থেকে গিয়েছেন বরাবর।

ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার সময় জেলখানায় রাজনীতির হাতে খড়ি হওয়া তরুণ আইনজীবী অরুণ জেটলি জেল খেটেছেন ১৯ মাস। আর সেই ১৯ মাসেই এমন এমন রাজনৈতিক গুরুদের সংস্পর্শে আসেন তিনি, যে তার জীবনদর্শনই বদলে যায়। সে তালিকায় ছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, নানাজি দেশমুখের মতো প্রবাদ প্রতিম নেতারা। 

জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ)-এর সর্বভারতীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওকালতির সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে রাজনীতিকেও কেরিয়ার হিসাবে বেছে নেন তিনি।

রাজনীতিকে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিলেও, নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে অবশ্য ততটা সাফল্য পাননি অরুণ জেটলি। অরুণ জেটলি নিজে অবশ্য শেষ বার ভোটে জিতেছিলেন ১৯৭৪ সালে দিল্লির ছাত্র সংসদের নির্বাচনে। তার পর থেকে তিনি চলে গিয়েছিলেন মঞ্চের পিছনে।

পরের চার দশক ধরে তিনি ‘ব্যাকরুম স্ট্র্যাটেজিস্ট’। বহু নির্বাচনেই দলের হয়ে রণকৌশল এবং প্রচার কৌশল তৈরির কারিগর ছিলেন তিনি। কিন্তু, নিজে ভোটে লড়েননি, অন্যদের লড়িয়ে জিতিয়ে এনেছিলেন।

লোকসভা নির্বাচনে (২০১৪ সালে) দেশ জুড়ে প্রবল মোদি ঝড়েও কিন্তু অরুণ জেটলি পপুলার ভোটে জিততে পারেন নি। পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে ভোটে লড়ে পরাজিত হন তিনি। তাতে অবশ্য মোদি বা দলের কাছে তার গুরুত্ব কমেনি। প্রথম মোদি সরকারের অর্থ মন্ত্রক তো বটেই প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও ছিল অরুণ জেটলির কাঁধে। কিন্তু, শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ রোগ। একটু একটু করে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরেও আসতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালের ভোটে আর দাঁড়াননি তিনি।

তারপরেও তাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার কথা উঠলে তিনি তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন শারীরিক কারণ দেখিয়ে। ২৮ ডিসেম্বর ১৯৫২ সালে দিল্লিতে আইনজীবী পিতা মহারাজ কৃষাণ জেটলি ও মাতা রতন প্রভা জেটলির ঘরে  জন্ম গ্রহণকারী এই নেতা রাজধানীর সরব রাজনীতি থেকে দূরেই থেকেছেন শেষ দিনগুলো। স্মৃতিচারণ করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তাল ঘটনাক্রম আর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের।

স্ত্রী সঙ্গীতা, যার পিতা ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের অর্থমন্ত্রী গিরিদরী লাল দুর্গা এবং দুই আইনজীবী সন্তান, পুত্র রোহন ও কন্যা সোনালি ছাড়াও পুরো দিল্লিতে ছড়িয়ে ছিল তার অসংখ্য আত্মীয়, পরিজন ও গুণগ্রাহী। তথাপি তিনি শেষ জীবনের অসুস্থতার কারণে রাজনীতি ও সামাজিক ভিড় এড়িয়ে নিভৃতচারীর মতো জীবনযাপন করেন।          

দিল্লির অভিজাত আবাসিক এলাকা গ্রেটার কৈলাশের বাড়ির নির্জনে অরুণ জেটলির জীবনাবসানে কেবল বিজেপি নয়, ভারতীয় রাজনীতি এক মেধাবী পুরুষকে হারিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া হারিয়েছে একজন উচ্চাঙ্গের রাজনৈতিক নেতা ও সুশিক্ষিত-সুদক্ষ ব্যক্তিত্বকে। 

   

সংবাদ পাঠের মাঝেই গরমে অজ্ঞান সংবাদ পাঠিকা!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অঞ্চলজুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা রয়েছে। সেখানে অসহনীয় গরমে কাহিল সবাই। একাধিক জেলার তাপমাত্রা চল্লিশেরও উপরে। দাবদাহের এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলছে না!

এই তীব্র গরমের কারণে লাইভ সংবাদ পাঠের মাঝেই জ্ঞান হারিয়েছেন কলকাতা দূরদর্শনের সংবাদ পাঠিকা লোপামুদ্রা সিনহা। বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ তিনি। মিঠাইসহ লোপামুদ্রা কাজ করেছেন একাধিক হিট মেগাসিরিয়ালে।

সিরিয়ালের এই পরিচিত অভিনেত্রী দীর্ঘদিন দূরদর্শনে সংবাদ পাঠও করেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে অসুস্থতার কথা জানান লোপামুদ্রা নিজেই।

তিনি তার ফলোয়ার্সদের বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে নিউজ বুলেটিন পড়ার সময় মারাত্মক গরমে অসুস্থবোধ করছিলাম। লাইভ নিউজ চলার সময় আমার বিপি (রক্তচাপ) মারাত্মক কমে যায় এবং আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। বেশকিছুক্ষণ ধরেই আমার শরীর খারাপ লাগছিল। মনে হচ্ছিল একটু পানি খেলে ঠিক হয়ে যাবে। আমি কোনওদিন পানি নিয়ে সংবাদ পড়তে বসি না। সেটা ১০ মিনিটের নিউজ হোক বা আধ ঘন্টার, কখনও প্রয়োজন পড়েনি। ফ্লোর ম্যানেজারকে ইশারা করে জলের বোতল চাই। কিন্তু, সেই সময় কোনও বাইট চলছিল না। ফলে আমি পানি খেতে পারচ্ছিলাম না। অবশেষে একটা বাইট আসায়, পানি খাই।’

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে লোপামুদ্রা আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল বাকি চারটা নিউজ স্টোরি আমি শেষ করতে পারব। দুটি কোনওরকমে কমপ্লিট করি, তিন নম্বরটা হিট ওয়েভের ওপর স্টোরি ছিল। সেটা পড়বার সময়ই আমার আস্তে আস্তে কথাটা জড়িয়ে যাচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম আমি শেষ করতে পারব, নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু না, ওই স্টোরিটার সময় আমি আর কিছুই দেখতেই পাচ্ছিলাম না। টেলিপ্রমটারটা আবছা হতে হতে শেষে আমি জ্ঞান হারাই।’

নিজের ২১ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম এমন ঘটনার সম্মুখীন হলেন লোপামুদ্রা। ওই সময় তার নিউজ প্রোডিউসার তৎক্ষণাৎ বুলেটিন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন।

;

মেক্সিকোতে দুই মেয়র প্রার্থীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেক্সিকোতে এক দিনে দুই মেয়র প্রার্থীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। দেশটিতে নির্বাচনের আগে সহিংসতা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।

আগামী ২ জুন মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেসনাল এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত সেখানে নিহত প্রার্থীর সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য তামাউলিপাস কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা মেয়র প্রার্থী নোয়া রামোস ফেরেটিজকে হত্যাকারী ব্যক্তির অনুসন্ধান শুরু করেছে।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে এবং তিনি ফুটপাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন।

পিআরআই পার্টির নেতা আলেজান্দ্রো মোরেনো সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমরা এই সহিংসতাকে মেনে নেব না।’

দ্বিতীয় নিহত প্রার্থীর নাম আলবার্তো গার্সিয়া। তিনি নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ওক্সাকার সান হোসে ইন্ডিপেন্ডেন্সিয়ার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।

রাজ্য নির্বাচনী বোর্ড গার্সিয়ার মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছে। বোর্ড গার্সিয়ার মৃত্যুকে হত্যা বলে অভিহিত করে বলেছে, এই ধরনের অপরাধ নির্বাচনের সময় হওয়া উচিত নয়।

মেক্সিকোতে সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত গ্রুপগুলো দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদদের হত্যা করেছে।

উল্লেখ্য, মেক্সিকোতে স্থানীয় পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বা পৌরসভার আয় থেকে অর্থ আদায় করার জন্য ড্রাগ কার্টেলরা প্রায়শই এই ধরনের হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর এপ্রিলের শুরুতে স্বীকার করে বলেছিলেন যে, কার্টেলগুলো প্রায়শই নির্ধারণ করতে চায় যে, কে মেয়র হিসাবে কাজ করবে।

তিনি বলেছিলেন, তারা একটি চুক্তি করে এবং বলে যে, তাদের মনোনীত কোন ব্যক্তি মেয়র হতে চলেছেন। এর বাইরে অন্য কেউ নির্বাচন করতে চাইলেই তাকে হত্যা করা হয়।

সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো সরকারকে প্রায় ২৫০ জন প্রার্থীর জন্য দেহরক্ষী সরবরাহ করতে বাধ্য করেছে। এক্ষেত্রে পৌরসভার পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

;

ইসরায়েলের ড্রোন হামলার পাল্টা জবাব ইরাকের 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের পর এবার ইরাকের বাগদাদের দক্ষিণের ব্যাবিলন প্রদেশের ক্যালসোর ইরানপন্থি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা ঘটে।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গভীর রাতে প্যারা মিলিশিয়া বাহিনীর সেনাঘাঁটিতে বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় এক সেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হামলার পাল্টা জবার দিতে ইসরায়েলের ইলাত শহরে পাল্টা ড্রোন হামলার দাবি করেছে ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ত প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালসোর সে স্থানটিতে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি ইরাকের ইরানপন্থী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস বা হাশেদ আল-শাবি বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করে থাকে।এই প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী ইরানের মদতপুষ্ট এবং প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে গঠিত।

মিলিশিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লোহিত সাগরের তীরবর্তী ইসরাইলের ইলাত শহরে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। সেনাঘাঁটিতে হামলার জবাবে  ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কালসো নামে একটি সেনাঘাঁটিতে অবস্থানরত পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের সেনাদের ওপর আকাশ থেকে বোমা হামলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র জানিয়েছে, কারা এ বিমান হামলার জন্য দায়ী তা জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে। ইরাকে অবস্থানরত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইরাকে কোনো মার্কিন সামরিক তৎপরতা ছিল না।’

গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ভোরে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। তবে এই দাবি অস্বীকার করে ইরান।

 

;

বুশরা বিবিকে টয়লেট ক্লিনার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরান খানের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান দাবি করেছেন, তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে টয়লেট ক্লিনার মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো হয়েছিল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের দুর্নীতির রেফারেন্সের শুনানির সময় ইমরান খান বিচারক নাসির জাভেদ রানাকে জানান, আদালত কক্ষে অতিরিক্ত দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে, যা একটি বন্ধ আদালতের পরিবেশ তৈরি করেছে।

শওকত খানুম হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আসিম ইউসুফ শিফা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে বুশরা বিবির পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে জেল প্রশাসন পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (পিআইএমএস) হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে অনড় বলেও জানান ইমরান খান।

তিনি আদালতকে জানান, বুশরা বিবির খাবারে টয়লেট ক্লিনার মেশানো হয়েছে। ফলে প্রতিদিনের পেট জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে।

আদালত শুনানি চলাকালীন ইমরানকে সংবাদ সম্মেলন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলে তার জবাবে খান বলেছিলেন যে তার বক্তব্যগুলো ভুলভাবে উদ্ধৃত হয়েছে এবং তিনি সেগুলো স্পষ্ট করার জন্য সাংবাদিকদের সাথে জড়িত ছিলেন।

শুনানির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে আদালত শালীনতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

;