#মোজোএশিয়া২০১৯

যদি মোজো করতে চাও, স্মার্টলি করো



কানালায়উই ওয়ায়েক্লায়হং, ব্যাংকক; থাইল্যান্ড থেকে
ছবি. কানালায়উই ওয়ায়েক্লায়হং

ছবি. কানালায়উই ওয়ায়েক্লায়হং

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল জার্নালিজম এখন এক বাস্তবতা। তবে একজন সাংবাদিক হিসেবে এই আলোচনাও হতে পারে, মোবাইল জার্নালিজম কি আমাদের জন্য সুযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন করছে? মোবাইল জার্নালিজম কি আমাদের ভবিষ্যত নিউজরুম অথবা আমাদের ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছে?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563273807946.png

এসব প্রশ্নের মধ্যে প্রথমটির উত্তর আমি পেয়েছি সম্প্রতি ব্যাংককে অনুষ্ঠিত মোবাইল জার্নালিজম কনফারেন্স ২০১৯-এ। যাকে বলা হচ্ছে #মোজোএশিয়া২০১৯।

মোজোএশিয়া২০১৯-এর আয়োজক ছিল কর্নাড এডেনয়ার স্টিফটাং (কেএএস) নামক প্রতিষ্ঠান। সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে কেএএস-এর পরিচালক ক্রিস্টোফ গ্রাবিটজ বলেন, এশিয়ার দেশগুলোতে যখন স্বাধীন সাংবাদিকতা রুদ্ধ হয়ে এসেছে, তখন মোবাইল সাংবাদিকতা হতে পারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার একটি বড় উপায়।

এই সম্মেলনে ৩৩টি দেশ থেকে পেশাদার সাংবাদিক, সংবাদ প্রযোজক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা যোগ দেন। এখানে যেমন মোবাইল জার্নালিজমের ওপর কর্মশালা পরিচালিত হয়, তেমনি অনেকেই নিজেদের ধারণা এবং মোবাইল সাংবাদিকতার উদাহরণ উপস্থাপন করেন।

শুধু সাংবাদিক নয় এখন প্রায় সকলের হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। মোবাইল ফোনের ব্যবহার এই ধারণাকেই বদলে দিয়েছে, যে সংবাদ শুধুমাত্র সাংবাদিকের কাছ থেকেই আসতে হবে৷ বরং যে কোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর কাছ থেকেই আসতে পারে৷ আবার একজন সাংবাদিক মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত এবং ঘটনার আরো কাছে গিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন। তবে এখানে একটি প্রশ্ন আসছে যে, যদি মোবাইল ব্যবহারকারী দিনের ২৪ ঘণ্টাই প্রতিবেদন তৈরি করতে চায় বা বলতে চায়, সেটি পেশাদারিত্ব হবে কিনা?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563274071108.png
উদ্বোধনী বক্তব্যে কেএএস-এর পরিচালক ক্রিস্টোফ গ্রাবিটজ ◢

 

এই দুদিনের ওয়ার্কশপে কোনো প্রশিক্ষকই, কী পদ্ধতিতে মোবাইল ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করেননি। তারা শুধুমাত্র বলে গিয়েছেন, মোবাইল তাদের কাজে কী ধরনের সুবিধা তৈরি করছে বা তাদের সম্পাদকীয় নীতিমালায় কিভাবে মোবাইল ব্যবহারের বিষয়গুলো এসেছে।

অন্যদিকে সামাজিক এবং কমিউনিটির উন্নতিতে মোজো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সে বিষয়ে কিছু প্রকল্পের উদাহরণও দেখানো হয়েছে সম্মেলনে।

সম্মেলনের মধ্যে লেবাননের সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতার প্রশিক্ষক সারাহ টেইটসের প্রকল্প উপস্থাপনা সত্যি আমার ভালো লেগেছে। সিরিয়া যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের সময় মোজো কিভাবে তার কাজে সাহায্য করেছে, উপস্থাপন করেন তিনি৷

মোজো সাংবাদিকতার তিন ধারণা

তিনি বলেন, যুদ্ধাবস্থার এলাকাগুলো থেকে সাংবাদিকরা শুধু যুদ্ধের অবস্থা, ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংস এবং শরণার্থী বা ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে প্রতিবেদন করেন৷ তবে আরেকটি সত্যি হচ্ছে, এই খারাপ দিনগুলো থেকেও তারা একদিন সুখে থাকার স্বপ্ন দেখেন, জীবনে সমৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করেন। জীবনকে ছেড়ে দেন না।

সারাহ যুদ্ধকালীন সময়ে তিনটি শরণার্থী ক্যাম্পে মোজো প্রশিক্ষণ প্রদান করেন শরণার্থীদের। এবং তার এই উপস্থাপনায় এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে মোজো শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য নয়, বরং সকলের জন্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563274315964.png
লেবাননের সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতার প্রশিক্ষক সারাহ টেইটস ◢

 

এবার আসি পরের আলোচনায়। মোজো কি আমাদের পরবর্তী নিউজরুম? আসলে আমার মনে হয় না, এই প্রশ্নের উত্তর এখনই পাওয়া যাবে। তবে, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের অনেক সাংবাদিকও এরই মধ্যে বলেছেন, সব দেশেই মোজোর ভিন্নতা রয়েছে এবং বর্তমান সময়ে প্রতিবেদন তৈরিতে মোজো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তাই আমার মনে হয়, গণমাধ্যমের, নিউজরুমের খুব ভালোভাবে জানা প্রয়োজন কেন আমরা নিউজরুমে মোজোর ওপর গুরুত্ব দেব? উত্তর হচ্ছে, খরচ বাঁচানো, সবার প্রথমে সংবাদ পরিবেশন এবং স্থানীয়দের সংবাদ তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করতে।

যাই হোক, যদিও মোজো সবার জন্য, প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় যখন তথ্যের স্রোত বইছে, সেসময় মোজো কিন্তু ভুল সংবাদের উৎসও হয়ে উঠতে পারে। যা ঘৃণা ছড়াতে, ভুল তথ্য ছড়াতে বা বিভ্রান্ত করতে সহায়ক হতে পারে৷ তাই যখন মোজো করা হবে, সেখানে তথ্যের উৎস এবং সত্যতা সম্পর্কে আরো বেশি নিশ্চিত হতে হবে। এর মানে নিউজরুম, স্থানীয় গণমাধ্যম এমনকি নাগরিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মোজোতে আনতে হবে পেশাদারিত্ব।

সম্মেলনের একজন আলোচক বলেছিলেন, যদি তুমি মোজোকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে চাও, এটাকে নির্ভুল করো প্রথমে। সম্মেলনের এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। শুধু আপনার হাতে ফোন আছে বলেই আপনি দায়িত্বহীনভাবে যা ইচ্ছে বলে যাবেন, সেটা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/16/1563274529956.png

   

ইরানের ইস্পাহানকেই কেন টার্গেট করে হামলা চালালো ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরাইলি ভূখণ্ডে তেহরানের নজিরবিহীন হামলার ছয় দিনের মাথায় একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দাবি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসি’র যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্ফাহানের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানের গণমাধ্যমে এসেছে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার মাধ্যমে তিনটি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।

ইরানি গণমাধ্যম এবং দেশটির কর্মকর্তারা ইস্ফাহান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরে হামলার খবরটিকে হালকাভাবেই উপস্থাপন করছেন।

ইরানিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি একজন কর্মকর্তা হোসেইন দালিরিয়ানের দাবি, সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

এদিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।


বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে দেশটির মধ্যাঞ্চলের নগরী ইস্পাহানের বিমানঘাঁটির কাছে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করার কথা জানানো হয়েছে।

তবে ইরানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। ইরানের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারণে ইস্পাহান বিমানঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফারস বলেছে, মধ্যাঞ্চলের শহর ইস্পাহানের একটি সেনাঘাঁটির কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছে, এটা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়। ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, মধ্যরাতের একটু পরেই ‘ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ নিরাপত্তাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। আর এর ফলে ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করে ফেলা হয়।


যে কারণে ইস্পাহানই ইসরায়েলের লক্ষবস্তু-


বিবিসিকে একজন পারমাণবিক এবং রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর ইস্ফাহানকে বেছে নেয়া ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’।

যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন উল্লেখ করেছেন, শহরটির আশপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু। যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে ধারণা করা হয় সেই স্থানটির খুব কাছেই আলোচিত আক্রমণটি করা হয়েছে। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি,’ বিবিসিকে বলেন তিনি।


এছাড়াও, ইস্পাহান ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ও প্রধান পর্যটন নগরী। সমৃদ্ধ মুসলিম ঐতিহ্য ও নান্দনিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত এটি। একসময় শহরটিকে ‘ইস্পাহান নিসফে জানান’ বলা হতো, যার অর্থ ইস্পাহান পৃথিবীর অর্ধেক। ছন্দোবদ্ধ এই প্রবাদ আসলেই সত্য। এটি পৃথিবীর অন্যতম বড় শহর ছিল এবং দুবার ইরানের রাজধানী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল। মুসলিম ঐতিহ্যের শহর ইস্পাহানকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্রিটিশ পর্যটক রবার্ট বায়রন এথেন্স বা রোমের মতো বিরল স্থানগুলোর সঙ্গে ইস্পাহানকে তুলনা করেছেন। ইস্পাহানের ইতিহাস ও চিত্তাকর্ষক স্থাপত্যের কারণে শহরটিকে ‘ইরানের লুকানো রত্ন’ও বলা হয়।

;

ভারতে গরম নিয়ে সতর্কতা, তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪৩ ডিগ্রি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের দক্ষিণের জেলাগুলোতে বাড়ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ইতোমধ্যেই তাপমাত্রার পারদ পেরিয়েছে ৪০ এর কোঠা। এতে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি। এমন পরিস্থিতিতে একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। 

এদিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির আবহাওয়া বিভাগ এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী দু থেকে তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়বে। ২১ এপ্রিলের পর থেকে আরও ভয়ঙ্কর হবে পরিস্থিতি।  

পশ্চিমবঙ্গে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে।   

এছাড়া পশ্চিমের কিছু কিছু জেলায় সিভিয়ার হিট ওয়েভ বা তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এই ৮ জেলায় তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। 

জেলা পুরুলিয়াও রয়েছে সেই তালিকায়। এদিন জেলাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই। তবে আগামী সপ্তাহে কিছুটা গরম কমতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস। বিশেষ করে ‌উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

;

বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন মালিকায়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজ্য কর্নাটকে লোকসভা নির্বাচনের আগে ধাক্কা খেল বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, পদ্মশিবির ছেড়ে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী মালিকায়া গুট্টেদার।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে লোকসভা আসনের সংখ্যা ২৮। সেখানে দ্বিতীয় দফায় ১৪টি আসনে ভোটগ্রহণ আগামী ২৬ এপ্রিল। ৭ মে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে বাকি ১৪টি আসনে।

ভোটপর্ব শুরুর আগে প্রভাবশালী এই নেতার দলত্যাগে হায়দরাবাদ-কর্নাটক অঞ্চলে বিজেপি ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের জেলা কলবুর্গির (সাবেক গুলবর্গা) আফজলপুর বিধানসভা থেকে ছয় বার জিতেছেন গুট্টেদার।

২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন তিনি। কলবুর্গির রাজনীতিতে গুট্টেদারের ‘কট্টর বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত তারই ভাই নিতিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট কাটায় ওই আসনে জিতেছিল কংগ্রেস।

সম্প্রতি নিতিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারই জেরে বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পার একদা ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন মন্ত্রী পদ্ম ছেড়ে হাত ধরলেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।

খড়্গে নিজে কলবুর্গি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে সাংসদ হয়েছিলেন। তার ছেলে প্রিয়ঙ্ক কলবুর্গি লোকসভার অন্তর্গত চিত্তপুরের বিধায়ক। এবার ওই লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী কংগ্রেস সভাপতির জামাই রাধাকৃষ্ণ দোদ্দামণি।

;

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘণ করে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের ফলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ তালিকায় রয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েক জন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা নামও।

আইসিসির সম্ভাব্য এই পদক্ষেপ ঠেকাতে তাই সম্প্রতি নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবও আইন বিশেষজ্ঞ উপস্থিতি ছিলেন।

গত মঙ্গলবার রাতে এ বৈঠক হয়েছিল বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর।

বুধবার জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোনার প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরোয়ানা ঠেকাতে তিনি এই দুই দেশের সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

২০১৪ সালে হামাস এবং আইডিএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর এই কাজ স্থগিত থাকার পর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফরে এসেছিলেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে পারেননি তিনি তবে সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয় এবং যেসব সহিংসতা পূর্বে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, সেসব হামাস এবং আইডিএফের পূর্ব পরিকল্পিত বলে তিনি মনে করছেন। এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

করিম খানের সফরের তিন মাস পর এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া আইসিসি শুরু করেছে বলে জানা গেছে, যা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে ইসরায়েরের সরকার।

;