শ্রীলঙ্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীলঙ্কায় খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের ইস্টার সানডে চলাকালে গীর্জা ও কয়েকটি হোটেলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯০ জনে। আহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫০০জনে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। রোববারের এ হামলায় নিহতের সংখ্য রাত পর্যন্ত বলা হয়েছিল ২০৭ জন। আহতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ৪০০জন।

দেশটির পুলিশের মুখপাত্র রাওয়ান গুনাসেকারা বলেন, রোববারের এ হামলার ভয়াবহতা ১০ আগে শেষ হওয়া গৃহযুদ্ধকেও ছাড়িয়ে গেছে। তিনি  তিনটি গীর্জা ও চার হোটেলে ঘটা সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতেদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার সকাল পৌনে নয়টার দিকে শ্রীলঙ্কার ছয়টি স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। তাছাড়া এই ছয় হামলার তিন থেকে চার ঘণ্টা পর আরও দুটি স্থানে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে ৩৫ জন। তার মধ্যে বাংলাদেশের একজন রয়েছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/22/1555905861511.jpg

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বেলজিয়াম, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বলে জানিয়েছেন দেশটির পর্যটন সভাপতি।

দেশটির সরকারি এক সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসী এ হামলার সময় প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলকে সোমবার বৈঠকে বসতে বলেছেন। এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী  রনিল বিক্রমাসিংহে উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে ভয়াবহ এ হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। সেনবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে দেশটিতে।

  আরও পড়ুন:>>> শ্রীলঙ্কার বোমা হামলায় ৩২ বিদেশি নিহত

 আরও পড়ুন;>> কলম্বোতে বোমা হামলা: শেখ সেলিমের নাতি মারা গেছে

   

মিয়ানমার-থাই সীমান্তে ভয়াবহ লড়াই চলছে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের সীমান্তের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র মায়াওয়াদ্দির কাছে মিয়ানমারের সেনা এবং সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ আবার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নগদ সংকটে পড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য এই মায়াওয়াদ্দি একটি বড় বাণিজ্য পয়েন্ট বলে জানা গেছে।

মিয়ানমারের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুখপাত্র এবং থাই সেনাবাহিনী এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, এক সপ্তাহ আপেক্ষিক শান্ত থাকার পরে শনিবার (২০ এপ্রিল) উভয় পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের একটি সামরিক অভ্যুত্থানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে মিয়ানমার।

একটি আঞ্চলিক ব্লক মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

জান্তা বিরোধী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) অনুসারে, চলতি মাসের গোড়ার দিকে মিয়ানমারের বাণিজ্য কেন্দ্র মায়াওয়াদ্দির চারপাশে ভয়ঙ্কর লড়াই শুরু হয় এবং দেশটির সেনাবাহিনী শহরে তাদের অবস্থান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।

তখন কিছু সেনা মায়াওয়াদ্দির সঙ্গে থাই শহর মায়ে সোটের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সেতুর নীচে আশ্রয় নিয়েছিল।

কেএনইউ মুখপাত্র পাদোহ সো টাও নী এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন যে, গ্রুপটি মায়াওয়াদ্দিতে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

শনিবার সকালে সীমান্তে অবস্থানরত একটি থাই সেনা ইউনিট বলেছে, সেতুর নীচে জান্তা সেনাদের লক্ষ্য করে একটি সশস্ত্র বাহিনী হামলা জোরদার করেছে।

রাজমনু স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ‘তারা বর্তমানে লড়াইয়ের মধ্যে আছেন। তবে, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি।’

গ্রুপটি বলেছে, তারা সেতুর নীচে আটকা পড়া জান্তা সেনাদের বিরুদ্ধে ড্রোন মোতায়েন করেছে।

থাই টাস্ক ফোর্সও নিশ্চিত করেছে যে, সেতুটি বন্ধ রয়েছে এবং তাদের সেনারা সেতুটির নিজ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।

মায়ে সোট পুলিশ প্রধান পিটায়াকর্ন পেচারাত এএফপিকে বলেছেন, ‘লড়াই তীব্রতর হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় ২০০০ মানুষ থাই সীমান্ত অতিক্রম করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের খাবার দিয়েছি এবং নিরাপদ স্থানে নিয়েছি।’

;

ইসরায়েলের ৪ ব্যক্তি ও ২ সংস্থার ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের চার ব্যক্তি ও দুটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গ্লোবাল হিউম্যান রাইটসের আওতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এসব ব্যক্তি ও সংস্থা ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলো হলো-উগ্র ডানপন্থি ইহুদি আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী লেহাভা এবং পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য গঠিত উগ্র যুব দল হিলটপ ইয়ুথ। হিলটপ ইয়ুথের দুই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব মেইর এটিংগার এবং এলিশা ইয়ারেডও ইইউর নিষেধাজ্ঞায় আওতায় রয়েছেন।

এ ছাড়া পশ্চিমতীরের ওয়াদি সিক এবং দেইর জারিরে ২০২১ সাল থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করার অভিযোগে অভিযুক্ত নেরিয়া বেন পাজি এবং ফিলিস্তিনি গ্রামের বিরুদ্ধে একাধিক সহিংস কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ইয়িনন লেভির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা এসব ব্যক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সদস্য রাষ্ট্র ভ্রমণ বা এসব অঞ্চলে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না। 

এমনকি ইউরোপে থাকা তাদের সম্পদও জব্দ করা হতে পারে। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ইউরোপীয় কাউন্সিল ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ইসরায়েলিদের দ্বারা জবরদখলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। 



;

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়া কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য তৈরি করা একটি সুবৃহৎ আকারের ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ ছাড়াও একটি নতুন ধরনের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছে, ‘হাওয়াসাল-১ আরএ-৩' কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা একটি সুপার-লার্জ ওয়ারহেডের শক্তি পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন।

এ ছাড়াও, শুক্রবার বিকেলে একটি ‘পিওলজি-১-২’ এর একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও করেছে উত্তর কোরিয়া। কেসিএনএ জানিয়েছে, পিওলজি-১-২ একটি নতুন ধরণের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।

কেসিএনএ আরও বিশদ বিবরণ না দিয়ে জানিয়েছে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘এই অস্ত্র পরীক্ষা ছিল প্রশাসন এবং এর অধিভুক্ত প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।’

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে তার গভীর সামরিক সহযোগিতা থেকে উপকৃত হতে পারে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে যে ইউক্রেনে তাদের যুদ্ধের ক্ষমতা প্রসারিত করতে রাশিয়াকে আর্টিলারি শেল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া।

;

তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন হামাস প্রধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে শনিবার (২০ এপ্রিল) সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ।

ইরান এবং গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের হামলার প্রস্তুতির কথা জানানোর পর মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই তিনি এ সাক্ষাত করছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন এরদোয়ান। তবে, তিনি হামাস প্রধানের সাথে তার বৈঠকের বিষয়ে আন্তরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।

শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আমাদের এবং হানিয়ার মধ্যে আলোচ্যসূচি রাখব।’

তবে কাতার বলেছে, তারা হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তাদের ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করবে।

এদিকে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চেয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়ে বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে দোহায় পাঠান এরদোয়ান।

২০১১ সাল থেকে হামাসের একটি কার্যালয় রয়েছে তুরস্কে। ওই সময় ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্ত করার জন্য হামাস গ্রুপের জন্য চুক্তিটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছিল আঙ্কারা।

;