দীর্ঘায়ু পেতে এড়াতে হবে ৮ খাবার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খেতে যতই মজাদার হোক না কেন, চিপস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর, ছবি: বার্তা২৪.কম

খেতে যতই মজাদার হোক না কেন, চিপস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সকলের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে, পছন্দের খাওয়ার প্রতি অতি আগ্রহের প্রবণতা।

কিন্তু খাবার যতই পছন্দের, যতই সুস্বাদু, তার ক্ষতির মাত্রাও যেন তত বেশি। সুস্থভাবে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কোন বিকল্প নেই একদম। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে যত্নশীল হতে হবে।

সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু পেতে উপকারী খাবারের উপর অনীহা না এনে ঠিকমতো পর্যাপ্ত পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য খেতে হবে। একইসাথে মনে রাখতে হবে, অতিমাত্রায়  যে কোনো খাদ্য উপাদান গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জেনে নিন কোন ৮টি খাবার ক্ষতি করছে আপনার।

১. প্রক্রিয়াজাত মাংস

এ ধরনের মাংসকে শুকিয়ে, লবণ ও নাইট্রিক এসিড দিয়ে সংরক্ষিত করা হয়। যেমন: সসেজ, বেকন, টিনজাত বা ধূমায়িত মাংস ইত্যাদি। ২০১৩ সালে বাইয়োমেড সেন্ট্রাল এর গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, যারা নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত মাংস গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ মানুষ উচ্চমাত্রার ক্যান্সার, ও হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুমুখে ঢলে পরেন। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত মাংসে অতিরিক্ত লবণ থাকে, যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায় ও ডায়াবেটিসের সম্ভবনা তৈরি হয়।

২. কোমল পানীয়

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561801876520.jpg

কোমল পানীয়তে ৪৪ শতাংশের মতো চিনি থাকে। এই তরল পানে আয়ু কমে যাওয়ার মতো বিষয় না ঘটলেও, নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাড় ক্ষয়, ওজন বৃদ্ধি। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত কোমল পানীয় পানে শরীরের স্থুলতা বেড়ে যায়, বিশেষ করে শিশুদের। তাই কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন।

৩. তেলে ভাজা খাবার

প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া হয়। ক্লাসের বিরতিতে বা ক্লাস শেষে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ভাজাপোড়া খাবার খেতেই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। বর্তমানে বেশিরভাগ খাওয়াই তেলে ভাজা হয়। আলুর চিপস, পেঁয়াজের রিং, চিকেন ফ্রাই, চপ, বুট ভাজা ইত্যাদি। স্বাদু এই খাবারগুলো প্রিয় হলেও ধমনীর জন্য দারুণ ক্ষতিকর। এগুলো অতিমাত্রায় তেল ও ফ্যাট থাকে। ফলে কোলেস্টেরল জমে ধমনী বন্ধ হয়ে যায়।

২০১৪ সালে অ্যামেরিকা সোসাইটির নিউট্রিশন জার্নাল গবেষণার তথ্য প্রকাশ করেছে, ঘন ঘন তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার ফলে টাইপ-২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ অতিরিক্ত হলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই বেশি পরিমান ভাজাপোড়া পরিহার করতে হবে।

৪. ইন্সট্যান্ট নুডলস

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561801922814.jpg

সারাদিন কাজ করে বাড়ি ফিরে অনেকেই রান্না করতে আগ্রহী হন না। আবার শরীরেও তেমন একটা শক্তি থাকেনা। তাই ক্ষুধা মিটাতে বেছে নেওয়া হয় ইন্সট্যান্ট নুডলস। কিন্তু বেশিদিন বেঁচে থাকতে চাইলে এটি খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে একদম। কারণ এটি প্রিজারভ করা হয়, কৃত্তিম রং ও ফ্লেভার দেওয়া হয় এবং বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। এসব মিশ্রিত অবস্থায় মাসের পর মাস প্যাকেটজাত অবস্থায় সংরক্ষিত থাকে ইন্সট্যান্ট নুডলস। পাশপাশি এই খাদ্য উপাদানটি অতিমাত্রায় ক্যালরিযুক্ত ও সম্পূর্ণ পুষ্টিহীন। তাই স্বাস্থ্যের উপর এই নুডলস নানাভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে দেয়।

৫. আইসক্রিম

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561801946919.jpg

আইসক্রিমের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। ভাবনা শুরু হয়ে যায়, কোন ফ্লেভারের আইসক্রিম খাওয়া যায়। কিন্তু প্রিয় এই খাবারটি কি ক্ষতিকর? উত্তরট হচ্ছে হ্যাঁ, কারণ এটি তৈরি করতে প্রয়োজন হয় অনেক ধরণের স্বাদের রং, অতিমাত্রায় চিনি, ক্রিম বানাতে অধিক ফ্যাটের দুধ। এতে যে পরিমাণ দুধ ব্যবহার করা হয় তার জন্য কোলেস্টেরল ও চর্বি বেড়ে যায় অনেকখানি। ফলে ধমনীগুলো সরু হয়ে আসে ও হৃদরোগ দেখা দেয়। তাই শরীরের প্রতি যত্ন নিতে একেবারেই স্বল্পমাত্রায় আইসক্রিম খেতে হবে।

৬. ফ্রুট জুস

ফ্রুট জুসকে স্বাস্থ্যকর বলা হয়। কিন্তু সত্যটি হচ্ছে, তা আদতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। প্যাকেট বা বোতলে পাস্তুরিত কিছু জুস রয়েছে যেগুলোতে লেখা থাকে ১০০% ফল থেকে তৈরি, যা আসলে কখনোই সত্য হয় না। বরং এতে রং, ফ্লেভারে, অতিমাত্রায় চিনি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এগুলো যখন প্যাকেট করা হয় তখন অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকে, ফলে দীর্ঘদিন থাকলে জুসের স্বাদ হারিয়ে যায় এবং নষ্টও হয়ে যায়। অধিক মাত্রায় চিনি দেওয়ায় এতে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।

৭. পিনাট বাটার

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561801975454.jpg

পাউরুটি বা কুকিজের সাথে পিনাট বাটার খাওয়া হয়। এর স্বাদ মিষ্টি করে তৈরি করা হয়, যেন এটা খেতে সবাই পছন্দ করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মিষ্টি স্বাদের জন্য চিনি মেশানো হয় এতে। আর এই চিনির ফলে শরীরে স্থুলতা বৃদ্ধি পায়, ওজন বেড়ে যায়। পিনাট বাটারের কিছু ফ্যাট উপকারী হলেও, সব ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই পিনাট বাটার খেলেও তা অধিক পরিমাণ ও নিয়মিত না খাওয়াই ভালো।

৮. ফ্রোজেন খাদ্য

অনেকেই ফ্রোজেন খাবার খান নিয়মিত। সময় কম থাকায় বা চটজলদি নাশতার জন্য ফ্রোজেন খাওয়া কিনে থাকেন। তবে সমস্যা খাওয়া ফ্রোজেন করে রাখাতে না। সমস্যা হচ্ছে ফ্রোজেন খাবার সংরক্ষণে যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয় তাতে। এছাড়াও এতে রয়েছে অধিক সোডিয়াম ও কৃত্তিম ফ্লেভারের রং। এছাড়া এতে ভেজিটেবিল অয়েল দেয়া হয়, যাতে প্রচুর ফ্যাটি এসিড রয়েছে। সবকিছু মিলে শরীরে ডায়বেটিস ও হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব তৈরি করে ফ্রোজেন খাবার।

আরও পড়ুন: খাবার তেলে ভাজার ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো আপনিও করেন!

আরও পড়ুন: ছুটির দিনে অস্বাস্থ্যকর খাবারে বাড়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

   

রমজানে যেসব কাজ এড়িয়ে যাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান সবচেয়ে পবিত্র মাস। ইবাদতের এই মাসে কেবল ভালো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জানেন রমজান মাসে কি করা উচিত। তবে অনেকেই জানেন না, এই এক মাস কোন কাজগুলো একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-     

অকারণে রোজা ভাঙা: রমজানে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক এবং প্রধান নির্দেশনা। সংযমের মাসে রোজা রেখে সংযম চর্চা করা হয়। রমজান মাসে শেহরির পর এবং ইফতারের আগে কিছুই খাওয়া যাবেনা। রোজা রেখে ভেঙে ফেলা একদমই উচিত নয়। তাই খুব বিশেষ কারণ ছাড়া রোজা ভাঙবেন না।     

ঝগড়া-বিবাদ: সকল খারাপ অভ্যাস কমিয়ে ফেলা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা রমজানের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য। যেকোনো ধরনের খারাপ আচরণ, ঝগড়া, তর্ক এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে রমজান মাসেস একদমই এসব করা যাবে না। এমনকি অহংকারও অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। কোনো বিষয় নিয়েই অহংকার করে অথবা কাউকে ছোট করে কথা বলা উচিত না।   

দানশীলতার অভাব: দান দক্ষিণা প্রদান খুবই ভালো কাজ। নিজেদের কাছে থাকা অতিরিক্ত জিনিসগুলো, যাদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া উচিত। সকলেরই সাধ্য অনুযায়ী টাকা, খাবার, পোশাক- এসব গরীবদের দেওয়া উচিত।   

ইফতারের পর অপকর্মে লিপ্ত: অনেকে মনে করেন, রমজান মাসে শুধু দিনের বেলা ইবাদত আর ভালো করতে হয়। ইফতারের পরই পরই অনেকে মদ, সিগারেটের মতো নেশাজাত দ্রব্য সেবন শুরু করে। এসব কাজ রমজানের শিক্ষাকে ব্যর্থ করে দেয়।   

অলস সময় পার করা: সারাদির না খেয়ে রোজা থাকার ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত থাক। অনেকে এই বাহানায় কাজ করতে চান না। তারা মনে করেন রোজা রেখে সারাদিন শুয়ে, বসে, ঘুমিয়ে কাটালে কোনো অসুবিধা নেই। আদতে এমন নয়। নিতান্ত নড়াচড়া করতে পারেনা অথবা খুব অসুস্থ মানুষ ছাড়া সকলেরই প্রতিদিনেরই রুটিন অনুসারেই কাজ করে যেতে হবে।  

নামাজ না পড়া: মুসল্লীদের মধ্যে অনেকেই রোজা রাখলেও নামাজ পড়েন না। নামাজ না পড়লে রোজা রাখার মাহাত্ম্য নেই। রমজান মাসে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি হয়। তাই একবেলাও নামাজ বাদ দেওয়া ঠিক না।  

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;