২০১৯’র ঈদের বাজার

শাড়ির ক্যানভাসে উঠে আসুক গল্প!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
এক একটা শাড়িই হয়ে ওঠে এক একটি গল্প, ছবি কৃতজ্ঞতা: পটের বিবি

এক একটা শাড়িই হয়ে ওঠে এক একটি গল্প, ছবি কৃতজ্ঞতা: পটের বিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদে পছন্দমতো একটা শাড়ি না হলে হয় নাকি!

ঈদ আনন্দের অনেকটাই নির্ভর করে শখের শাড়িটির উপর। প্রিয় শাড়িটি গায়ে জড়ালেই যেন ঈদের রঙ ছড়িয়ে পড়ে মনে। তাই শাড়িটিও হওয়া চায় একটু বিশেষ, ভিন্ন ও ব্যতিক্রম।

সময়ের হাত ধরে শাড়ির নকশায় এসেছে পরিবর্তন। এখন একটি শাড়ি শুধুই বারো হাতের আঁচল ও পাড়যুক্ত কাপড় নয়। এক একটি শাড়িতেই উঠে আসছে গল্প, পুরনো দিনের স্মৃতি। ফুটে উঠছে নান্দনিক ফুল, প্রজাপতি। বলতে গেলে শাড়িই যেন বর্তমান সময়ে ক্যানভাসের এক ভিন্ন মাত্রা।

নকশা, ধারণা, রঙ ও তন্তুতে আধুনিকতার সাথে যুক্ত হয়েছে বৈচিত্র্যতা। জাঁকজমক ও চাকচিক্যপূর্ণ শাড়ির বদলে, বর্তমান সময়ের ক্রেতাদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে ছিমছাম কিন্তু আবহপূর্ণ শাড়ির প্রতি। এবারের ঈদ আয়োজনে তেমন ঘরানার শাড়ির আনাগোনাই দেখা গিয়েছে গুটিপোকা, পটের বিবি ও কালার ক্রেজ এর সংগ্রহে।

পটের বিবি

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613832781.jpg

ছেলেবেলার বিশুদ্ধ আবেগের অন্য নাম মাসুদ রানা। কত স্মৃতি ও ভালোলাগা এই মাসুদ রানাকে ঘিরে। এদিকে রঙিন প্রজাপতির প্রতি মোহ যেন কাটতেই চায় না। ইচ্ছে হয় প্রজাপতিটাকে নিজের কাছে রেখে দিতে। আবেগের মাসুদ রানা কিংবা ভালোবাসার প্রজাপতি- যেটাই হোক না কেন, নান্দনিকতার পরিচয় দিয়ে তা শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছে পটের বিবি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613859226.jpg

অনলাইন বাজারে ইতোমধ্যে সুপরিচিত হয়ে ওঠা পটের বিবি শুরু থেকেই ব্যতিক্রমী নকশা ও আয়োজনের জন্য জনপ্রিয়তা পেয়ে এসেছে। পাঁচ বছর পা দেওয়া এই অনলাইন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ফোয়ারা ফেরদৌস জানালেন, ঈদ উপলক্ষে মূলত পাঁচটি ভিন্ন থিমের নকশা নিয়ে এসেছে পটের বিবি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613885759.jpg

মৌমাছি, প্রজাপতি, মাসুদ রানা, আতা ও আরামদায়ক রঙের চেক শাড়ি। আবহাওয়া ও ক্রেতার আরামের বিষয়টিতে প্রাধান্য দিয়ে সুতি তন্তু ও সাদা রঙটির উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে এবারের ঈদ সংগ্রহে। অভিনব এই শাড়িগুলোর মূল্য পড়বে ১৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০০ পর্যন্ত।

কালার ক্রেজ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613904475.jpg

ঈদে পার্টি থিমকে মাথায় রেখে শাড়ির সংগ্রহ এনেছে কালার ক্রেজ। এক একটা শাড়ির মাঝেই যেন উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে সেই প্রচেষ্টা থেকেই নজরকাড়া নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুরো শাড়িতে। গরম আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই তন্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে হাফসিল্ক, এমনটাই জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মারুফা আক্তার স্বর্ণা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613927098.jpg

হাফসিল্কের উপরে স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ ছাড়াও রয়েছে অ্যাপ্লিক, প্যাচওয়ার্ক, টাইডাই ও শিবুড়ি। নকশা ভেদে যে তন্তুতে যে কাজটি ভালোভাবে ফুটে ওঠে, সে কাজটিই বেছে নেওয়া হয় শাড়ির জন্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613945719.jpg

বার্তা২৪ কে স্বর্ণা জানালেন, দেশীয় পোশাকের উপরে ক্রেতাদের আগ্রহ প্রশংসনীয়। বিশেষত দেশীয় শাড়িতে গর্জিয়াস নকশা সহজেই ক্রেতদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে কালার ক্রেজের শাড়ির মূল নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ১৭০০ থেকে ২৬০০ টাকার মাঝে পাওয়া যাবে চমৎকার শাড়িগুলো।

গুটিপোকা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558614214489.jpg

হাতে আঁকা শাড়ি ও পোশাকের খোঁজ চাইলে ঘুরে আসতে হবে অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গুটিপোকার ঈদ কালেকশন। বরাবরই রঙ ও তুলির ছোঁয়ায় শাড়ি কিংবা পোশাকের পটে প্রাণের ছোঁয়া তুলে আনতে কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আফসানা সুমী জানালেন, এবারে ঈদ সম্ভারে মসলিন, জয়শ্রী সিল্ক, হাফসিল্ক ও সুতি তন্তুর উপরে কাজ করা হয়েছে। রঙ হিসেবে আরামদায়ক ও হালকা ঘরানার রঙগুলোই প্রাধান্য পেয়েছে শাড়িতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558614173348.jpg

শাড়িতে তুলির আঁচড়ে দোলনচাঁপা, মধুমঞ্জুরি, ক্যামেলিয়া, বুনো গোলাপের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ফুল কৃষ্ণচূড়া, জারুলও থাকছে। সেই সাথে বর্ষার ধারণাকে মাথায় রেখে ময়ূরকেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িতে। ক্রেতাদের আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সুমী বলেন, ‘প্রতিটি নকশায় প্রচুর সাড়া পেয়েছি আমরা। ময়ূর সবসময় জনপ্রিয়। তবে ঋতুভিত্তিক ফুলেল নকশার চাহিদাও ভালো।’ শাড়ির তন্তু ও নকশা ভেদে গুটিপোকার শাড়ি মূল্য পড়বে সর্বনিম্ন ৩৫০০ থেকে ১৩৫০০ টাকা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: চলছে কাবলি, ফরমালেও রয়েছে আকর্ষণ

   

দুধ ছাড়াও হাড় ভালো থাকবে যে সব খাবারে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। এটি আমাদের হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। হাড়কে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে আমাদের খাদ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। জেনে নিন দুধ ছাড়াও যেসব খাবার হাড়কে করে শক্তিশালী। 


চর্বিযুক্ত মাছ

ম্যাকরেল, স্যামন এবং সার্ডিন জাতীয় মাছ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। যা হাড় এবং পেশীগুলিতে ভিটামিন সরবরাহ করে। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার হাড়কে ভালো রাখে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।


মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে থাকে নির্দিষ্ট মাত্রার ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। হাড়ের জন্য প্রয়োজন হয় পটাসিয়ামেরও। ম্যাগনেসিয়াম প্রধানত ভিটামিন ডি স্তরকে ভারসাম্য করে, যেখানে মিষ্টি আলু কার্যকর থাকে। 


গাঢ় সবুজ শাক

গাঢ় সবুজ শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যেমন- পালং শাক, কালে, কলার্ড। এছাড়াও অনেক ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবজি প্রতিদিন খাওয়া উচিত।


বাদাম এবং বীজ

বাদাম ও বীজ পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। আপনার ডায়েটে বাদাম চিয়া, বীজ, তিলের বীজ এবং পোস্ত অন্তর্ভুক্ত করুন। কারণ এগুলি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। তাই প্রায় প্রতিদিনই এসব খাবার খাওয়া উচিত।


সাইট্রাস ফল

কোলাজেন হল এক ধরনের প্রোটিন, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। সুতরাং, স্ট্রবেরি, পেঁপে, গোলমরিচ এবং আরও অনেক কিছু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।


কমলা সবজি

ভিটামিন এ আমাদের হাড়ের কোষগুলিকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিনযুক্ত সবজি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যেমন- আম, গাজর এবং ক্যানটালুপ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।


মটরশুটি

মটরশুটি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। অতএব, আপনার সাদা মটরশুটি খাওয়া উচিত যা আপনাকে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে সাহায্য করবে।


শুকনো ডুমুর

শুকনো ফল ভিটামিনের একটি ভালো উৎস। যা আমাদের হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করে। প্রতেকেরই ডুমুর প্রতিদিন খাওয়া উচিত।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

 

;

তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।

এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায় চলুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-

সূর্যের তাপ:

ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। 

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার:

রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া:

‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:

ঘর ঠান্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠান্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠান্ডা পানির বোতল রাখলে ঠান্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন:

ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা:

ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দা টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠান্ডা হয়ে আসে।

চুলা বন্ধ রাখা:

চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এই সময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় ও ঠান্ডা হয়ে আসে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

;

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;